রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
শত্রুর সাক্ষাত কামনা কোরো না, তবে সাক্ষাত হয়ে গেলে ধৈর্যসহকারে
মোকাবেলা করো।
কারাগারের ব্যাপারটাও এমন।
কখনো বন্দিত্ব কামনা করবেন না,
বন্দিত্বের জন্য
দু’আ করবেন না;
বরং দু’আ করুন আল্লাহ যেন কারাগার ও শত্রুর মুখোমুখি হবার কষ্ট থেকে আপনাকে নিরাপদ রাখেন
তবে কখনো যদি কারাগারে ঢুকতেই হয়, ধৈর্য ধরুন৷ অবিচল থাকুন।
একজন পুরুষের মতো এর মোকাবেলা করুন।
এখন তরুণদের অনেকের মধ্যে একটা প্রবণতা দেখা যায়।
তারা কারাগারে যাওয়াকে
একটা ক্রেডিটের বিষয় মনে করে। মনে করে
এটা কোনো কৃতিত্বের ব্যাপার
এটা যাহির করার মতো কোনো ব্যাপার।
মনে করে এটা সেলিব্রিটি বা রকস্টার হবার
মতো কোনো বিষয়।
আমি বলছি,
দিনরাত আল্লাহর কাছে দু’আ করুন যেন
কখনো, কোনোদিন,
এক মিনিটের জন্যেও কারাগারে যেতে না হয়।
তবে যদি কারও
তাকদিরে বন্দিত্ব থাকে, তাহলে তাকে বন্দী অবস্থায় সত্যের ওপর দৃঢ় ও অবিচল
থাকতে হবে।
আল্লাহর শপথ!
কারাগারের অন্ধকার দেয়ালের ওপাশে এমনও বন্দী আছেন যারা
দিনরাত আল্লাহর ৬ দরবারে মৃত্যুর জন্য দু’আ করেন।
তাদের মাঝে কেউ কেউ
এই দু'আতেই সারা রাত কাটিয়ে দেন।
এমন অনেকেই আছেন কারাগারের প্রাচীরের আড়ালে যাদের ঈমান নষ্ট হয়েছে, এমনকি কারও কারও মস্তিষ্কবিকৃতি
ঘটেছে।
তাই সব সময় আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার জন্য দু’আ করুন।
ইবনু বাত্তাহ বলেছেন,
শত্রুর এবং কারাগারের পরীক্ষার মুখোমুখি না হওয়ার ইচ্ছা পোষণের কারণ হলো,
আমরা এগুলোর ফলাফল
সম্পর্কে জানি না।
হতে পারে আপনি পরাজিত হবেন, হতে পারে আপনি ঈমানহারা হবেন।
আপনার জন্য কোন ফলাফল অপেক্ষা করছে, আপনি জানেন না।
তাই কখনোই এমন কিছু
চাইবেন না। অন্যদের মতে, এমন করতে নিষেধ করার কারণ হলো,
এমন ইচ্ছা পোষণের ফলে ব্যক্তি নিজের ওপর খুব বেশি ভরসা করতে শুরু করতে পারে।
এই অতিরিক্ত আত্মনির্ভরশীলতা
তাকে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা থেকে
(সহিহ বুখারি,
হাদিস নং : ৩০২৪)
لاتتتوالقاء العدو فإذا لقيتموهم فاصبروا
হতাশা ঝেড়ে ফেলে সামনে এগিয়ে যাবার জন্যে তাদের অনুপ্রাণিত করতে হবে।
ইউসুফ কারাগারে অসহায়দের সাহায্য করতেন, তাদের তাওহিদের শিক্ষা
দিতেন এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতেন।
ইউসুফ আঃ নিজেও ছিলেন যুলুমের শিকার।
অন্যায়ভাবে তাঁকে কারারুদ্ধ
করা হয়েছিল।
কিন্তু তিনি এ নিয়ে ভাগ্যকে দোষারোপ করে অযথা সময় নষ্ট করেননি।
বলেননি যে, “হায়, আমি আজ এখানে কেন!
কেন আল্লাহ আমাকে
এখানে আনলেন?
যদি আল্লাহ আমাকে এখানেই আনেন,
তবে আমার আর
আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকার দরকার কী?”
মূলত একজন সত্যিকারের দা'ঈ কখনো ব্যক্তিগত স্বার্থের তোয়াক্কা করেন না।
তার চিন্তাভাবনা আবর্তিত হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যকে ঘিরে।
ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতির হিসাব তিনি করেন না; বরং তাঁর একমাত্র চিন্তা থাকে
কীভাবে আল্লাহর দ্বীনের কাজকে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়।
কারাগারের সাথিদের কাছে ইউসুফ একজন ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ হিসেবে
পরিচিত হয়ে উঠলেন।
সাধারণত কিছুদিন কারও সাথে থাকলে তার ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
কে অন্য সবার চেয়ে একটু আলাদা, বোঝা যায়
বুঝতে পারা যায় কে আমোদপ্রিয়, কে রসিক, কারা হতাশাগ্রস্ত আর কারা ন্যায়পরায়ণ ও সত্যনিষ্ঠ।
কারাগারে সবাই দাবা খেলছে আর তিনি ইবাদতে মগ্ন। অন্যরা মারামারি করছে আর তিনি এসে মিটমাট করে দিচ্ছেন।
কাজেই সবাই বুঝতে
পারছিল এই মানুষটি অন্য সবার চেয়ে আলাদা।
এ কারণেই তারা তাঁকে
বলেছিল,
‘নিশ্চয়ই, আমরা তোমাকে মুহসিনুন (সৎকর্মশীল) হিসেবে দেখতে পাচ্ছি।'
তারা তাঁকে প্রশ্ন করেছিল, আপনি কে? কেন আপনি এত আলাদা?
আপনি রাত জেগে ইবাদত করেন, রোযা রাখেন... কেন? কার জন্য?
আপনার ব্যাপারে
আমাদের কিছু বলুন।
সূরা ইউসুফ, ১২:৩৬
কারাগারে তাদের সামনে শায়িত এই মানুষটিই ছিলেন সেই ব্যক্তি,
যার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ বলেছেন,
إنّا نراك من المحسنين
الگریم ابن الكريم ابن الكريم ابن الكريم يوسف بن يعقوب بن إسحاق بن
إبراهيم
📕 কারাগার : ইউসুফ আঃ পাঠশালা
✍️ শায়েখ আহমেদ মুসা
জিবরীল (রহঃ)
শত্রুর সাক্ষাত কামনা কোরো না, তবে সাক্ষাত হয়ে গেলে ধৈর্যসহকারে
মোকাবেলা করো।
কারাগারের ব্যাপারটাও এমন।
কখনো বন্দিত্ব কামনা করবেন না,
বন্দিত্বের জন্য
দু’আ করবেন না;
বরং দু’আ করুন আল্লাহ যেন কারাগার ও শত্রুর মুখোমুখি হবার কষ্ট থেকে আপনাকে নিরাপদ রাখেন
তবে কখনো যদি কারাগারে ঢুকতেই হয়, ধৈর্য ধরুন৷ অবিচল থাকুন।
একজন পুরুষের মতো এর মোকাবেলা করুন।
এখন তরুণদের অনেকের মধ্যে একটা প্রবণতা দেখা যায়।
তারা কারাগারে যাওয়াকে
একটা ক্রেডিটের বিষয় মনে করে। মনে করে
এটা কোনো কৃতিত্বের ব্যাপার
এটা যাহির করার মতো কোনো ব্যাপার।
মনে করে এটা সেলিব্রিটি বা রকস্টার হবার
মতো কোনো বিষয়।
আমি বলছি,
দিনরাত আল্লাহর কাছে দু’আ করুন যেন
কখনো, কোনোদিন,
এক মিনিটের জন্যেও কারাগারে যেতে না হয়।
তবে যদি কারও
তাকদিরে বন্দিত্ব থাকে, তাহলে তাকে বন্দী অবস্থায় সত্যের ওপর দৃঢ় ও অবিচল
থাকতে হবে।
আল্লাহর শপথ!
কারাগারের অন্ধকার দেয়ালের ওপাশে এমনও বন্দী আছেন যারা
দিনরাত আল্লাহর ৬ দরবারে মৃত্যুর জন্য দু’আ করেন।
তাদের মাঝে কেউ কেউ
এই দু'আতেই সারা রাত কাটিয়ে দেন।
এমন অনেকেই আছেন কারাগারের প্রাচীরের আড়ালে যাদের ঈমান নষ্ট হয়েছে, এমনকি কারও কারও মস্তিষ্কবিকৃতি
ঘটেছে।
তাই সব সময় আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার জন্য দু’আ করুন।
ইবনু বাত্তাহ বলেছেন,
শত্রুর এবং কারাগারের পরীক্ষার মুখোমুখি না হওয়ার ইচ্ছা পোষণের কারণ হলো,
আমরা এগুলোর ফলাফল
সম্পর্কে জানি না।
হতে পারে আপনি পরাজিত হবেন, হতে পারে আপনি ঈমানহারা হবেন।
আপনার জন্য কোন ফলাফল অপেক্ষা করছে, আপনি জানেন না।
তাই কখনোই এমন কিছু
চাইবেন না। অন্যদের মতে, এমন করতে নিষেধ করার কারণ হলো,
এমন ইচ্ছা পোষণের ফলে ব্যক্তি নিজের ওপর খুব বেশি ভরসা করতে শুরু করতে পারে।
এই অতিরিক্ত আত্মনির্ভরশীলতা
তাকে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা থেকে
(সহিহ বুখারি,
হাদিস নং : ৩০২৪)
لاتتتوالقاء العدو فإذا لقيتموهم فاصبروا
হতাশা ঝেড়ে ফেলে সামনে এগিয়ে যাবার জন্যে তাদের অনুপ্রাণিত করতে হবে।
ইউসুফ কারাগারে অসহায়দের সাহায্য করতেন, তাদের তাওহিদের শিক্ষা
দিতেন এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতেন।
ইউসুফ আঃ নিজেও ছিলেন যুলুমের শিকার।
অন্যায়ভাবে তাঁকে কারারুদ্ধ
করা হয়েছিল।
কিন্তু তিনি এ নিয়ে ভাগ্যকে দোষারোপ করে অযথা সময় নষ্ট করেননি।
বলেননি যে, “হায়, আমি আজ এখানে কেন!
কেন আল্লাহ আমাকে
এখানে আনলেন?
যদি আল্লাহ আমাকে এখানেই আনেন,
তবে আমার আর
আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকার দরকার কী?”
মূলত একজন সত্যিকারের দা'ঈ কখনো ব্যক্তিগত স্বার্থের তোয়াক্কা করেন না।
তার চিন্তাভাবনা আবর্তিত হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যকে ঘিরে।
ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতির হিসাব তিনি করেন না; বরং তাঁর একমাত্র চিন্তা থাকে
কীভাবে আল্লাহর দ্বীনের কাজকে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়।
কারাগারের সাথিদের কাছে ইউসুফ একজন ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ হিসেবে
পরিচিত হয়ে উঠলেন।
সাধারণত কিছুদিন কারও সাথে থাকলে তার ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
কে অন্য সবার চেয়ে একটু আলাদা, বোঝা যায়
বুঝতে পারা যায় কে আমোদপ্রিয়, কে রসিক, কারা হতাশাগ্রস্ত আর কারা ন্যায়পরায়ণ ও সত্যনিষ্ঠ।
কারাগারে সবাই দাবা খেলছে আর তিনি ইবাদতে মগ্ন। অন্যরা মারামারি করছে আর তিনি এসে মিটমাট করে দিচ্ছেন।
কাজেই সবাই বুঝতে
পারছিল এই মানুষটি অন্য সবার চেয়ে আলাদা।
এ কারণেই তারা তাঁকে
বলেছিল,
‘নিশ্চয়ই, আমরা তোমাকে মুহসিনুন (সৎকর্মশীল) হিসেবে দেখতে পাচ্ছি।'
তারা তাঁকে প্রশ্ন করেছিল, আপনি কে? কেন আপনি এত আলাদা?
আপনি রাত জেগে ইবাদত করেন, রোযা রাখেন... কেন? কার জন্য?
আপনার ব্যাপারে
আমাদের কিছু বলুন।
সূরা ইউসুফ, ১২:৩৬
কারাগারে তাদের সামনে শায়িত এই মানুষটিই ছিলেন সেই ব্যক্তি,
যার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ বলেছেন,
إنّا نراك من المحسنين
الگریم ابن الكريم ابن الكريم ابن الكريم يوسف بن يعقوب بن إسحاق بن
إبراهيم
📕 কারাগার : ইউসুফ আঃ পাঠশালা
✍️ শায়েখ আহমেদ মুসা
জিবরীল (রহঃ)
Comment