Announcement

Collapse
No announcement yet.

ব্যক্তিগত ভুল সংশোধন সিরিজ - পর্ব ১ - হাতের আঙ্গুল দিয়ে নাকের ভিতর খোঁচা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ব্যক্তিগত ভুল সংশোধন সিরিজ - পর্ব ১ - হাতের আঙ্গুল দিয়ে নাকের ভিতর খোঁচা

    ব্যক্তিগত ভুল সংশোধন সিরিজ - পর্ব ১ - হাতের আঙ্গুল দিয়ে নাকের ভিতর খোঁচা

    ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা ৷ মানব জীবনের এমন কোন দিক নেই,যে বিষয়ে ইসলামে নির্দেশনা নেই ৷ বরং ছোট বড় সব বিষয়েই ইসলামে নির্দেশনা রয়েছে ৷ দিন রাত ২৪ ঘন্টা কীভাবে অতিবাহিত করতে হবে,তা সুস্পষ্টভাবে ইসলামে নিহিত রয়েছে ৷ ইসলামের সৌন্দর্যের কথা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না ৷ আলহামদুলিল্লাহি!!!

    পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আজ সামান্য কিছু আলোচনা করবো ৷ ইনশাআল্লাহ

    মানুয়ের ফিতরাতান একটি অভ্যাস হলো,মানুষ সৌন্দর্যকে ভালোবাসে ৷ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকলে সবাই তাঁকে পছন্দ করে ও ভালোবাসে ৷ এমন মানুষের সাথে কথা বলতে ও মিশতে কারো আপত্তি থাকে না ৷

    অপরদিকে নোংরা থাকলে মানুষ তাঁকে পছন্দ করে না ৷ প্রয়োজন না হলে তাঁর কাছে যেতে চায় না ৷

    আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা মুমিনের শান ৷

    কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, আমরা এমন কিছু কাজ করি যা আসলে মুমিনের দ্বারা শোভা পায় না ৷ যা নিজের কাছে ঘৃনার বিষয় না হলেও অন্যের কাছে খুবই ঘৃনার কাজ ৷ যা দ্বারা অন্যরা কষ্ট পায় ৷

    এমন একটি ঘৃনার কাজ হলো,
    হাতের আঙ্গুল দিয়ে নাকের ভিতর খোঁচা

    অনেকে জনসম্মুখে অথবা মজলিসে কিংবা কারো সাথে কথা বলার সময় নাকের ভিতর আঙ্গুল নিয়ে খোঁচাখুচি করতে থাকে এবং ময়লা বের করে ৷ আবার ময়লা বের করে আশেপাশে ছিটকে ফেলে ৷ এরপর আবার খোঁচানো শুরু করে ৷ এমন কাজ করা অনেকের অভ্যাস ৷ যা অত্যন্ত জঘন্য ও নোংরা কাজ ৷ এমন কাজ করার সময় মজলিস বা উপস্থিত লোকের অনেক কষ্ট হয় ৷ লজ্জায় সে কিছু বলতে পারে না ৷ আর না পারে মজলিস থেকে চলে যেতে ৷

    আপনি শিক্ষক হলে দারসে থাকাকালে এমন কাজ করলে ছাত্রদের কাছে ঘৃনার পাত্র হবেন ৷ মনে মনে আপনাকে নোংরা বলবে ৷

    আপনি ছাত্র হয়ে দারসে বা মজলিসে থাকাকালে এমন কাজ করলে উসতায ও সাথী ভাইদের কাছে ঘৃনার পাত্র হবেন ৷

    মনে করুন,তাবলিগে বা কোন মজলিসে একসাথে খানা খাবে সবাই ৷ এরমধ্যে একজনে খাওয়ার আগে এমন নোংরা কাজ করলো ৷ আর কয়েকজন তা দেখলো ৷ এরপর দস্তারখানা সামনে আনা হলো ৷ বড় প্লেটে সবাই একসাথে হাত ধৌত করলো ৷ ঐ নোংরা কাজ করা ব্যক্তিও একই প্লেটে হাত ধৌত করলো;যাঁরা দেখেছিল তাঁদের খানা খেতে একটু অভক্তি লাগবে এটাই স্বাভাবিক ৷ যা অন্যকে কষ্ট দেওয়ার সামিল ৷ যা মুমিনের শান হতে পারে না ৷

    একসাথে খানা খেলে সবাই এক প্লেটে হাত না ধৌত করে,একজনে পানি নিয়ে সকলকে হাত ধৌত করালে বেশি ভালো হয় ৷

    আবার একজনের সাথে কিছু লোক সাক্ষাত অথবা মুসাফাহা করতে আসলো ৷ এসে দেখলো,সে নোংরা কাজ করছে ৷ তখন উপস্থিত ব্যক্তিদের মুসাফাহা করতে কষ্ট লাগবে কিনা!

    একইভাবে পরিবারে স্বামী,স্ত্রী,ভাইবোন সকলের এমন কাজ থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয় ৷ একজন না বুঝলে তাঁকে গোপনে শিক্ষা দিতে হবে ৷

    আমার আপনার সামনে কেউ এমন কাজ করলে আমাদের কেমন লাগবে! ঠিক আমি আপনি এমন করলে অন্যের খারাপ লাগবে এ বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার ৷

    এ নোংরা কাজটি করে আপনি গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন ৷ কেউ আপনার কাছে আসতে চাইবে না ৷ মিশতে চাইবে না ৷ দায়িসহ সকল শ্রেণির মানুষের এ কাজটি পরিত্যাগ করা উচিত ৷

    এর সমাধানের জন্য আপনি কিছু কাজ করতে পারেন
    গোসলের পর নাকের ভিতরের ময়লাগুলো হাত দিয়ে বা পাতলা পরিস্কার গামছা বা কাপড় দিয়ে সাফ করতে পারেন ৷ একইভাবে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পরও এ কাজটি করা যেতে পারে ৷ তাহলে নাকের ভিতরে আর ময়লা থাকবে না ৷ গামছা দিয়ে নাক পরিষ্কার করলে পুনরায় গামছা ধৌত করা উচিত,যাতে ময়লা লেগে না থাকে ৷
    এরপর আয়না দেখে নিতে পারেন ৷ কেননা,এমনও হতে পারে ময়লাগুলো নরম হয়ে কিছুটা নাকের সাথে লেগে আছে, যা দেখতে আরো অশোভনীয় ৷
    আবার নাকের ভিতর যাদের পশম আছে,তাদের ভালো করে এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে ৷ নাকের ভিতরের পশম বড় হলে কেটে ফেলতে হবে ৷ না হয় পশমের সাথে ময়লা জড়িয়ে থাকে ৷ যা দেখলে ঘৃনা লাগে ৷

    এরপর সর্দি হলে নাক দিয়ে পানি বের হতে খাকলে কাছে টিস্যু বা কাপড় রাখা ৷ বারবার নাক না টেনে টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাকি পরিষ্কার করা ৷

    যদিও এগুলো ছোটখাট বিষয় ৷ যা মানুষের মৌলিক গুনাবলীর মধ্যে শামিল ৷
    শুধুমাত্র স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য সংক্ষিপ্ত এ আলোচনা ৷

    ইনশাআল্লাহ ধারাবাহিক ভাবে ব্যক্তিগত এমন কিছু ভুলক্রুটি নিয়ে আলোচনা করবো ৷ আশা করি সকলের জন্য যা উপকার বয়ে আনবে ৷
    নিশ্চয় কাফেরদের মুখোমুখি হওয়ার আগে মুমিনদের কাফেলাকে মুনাফিক ও ভ্রান্তদের থেকে পবিত্র করতে হবে। - শাইখ আবু মুহাম্মাদ আইমান হাফিযাহুল্লাহ

  • #2
    জ্বি আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে! অনেকের সর্দিকাশি!
    মাশাল্লাহ, ভালো ও সময়োপযোগী নাসীহা!

    ...নাকের ভিতরের পশম বড় হলে কেটে ফেলতে হবে ৷ না হয় পশমের সাথে ময়লা জড়িয়ে থাকে ৷ যা দেখলে ঘৃনা লাগে ৷
    ভাই, নাকের পশম অনেক কাজের তো! আমরা যে শ্বাস নেই এতে ধূলাবালিসহ অনেক ক্ষতিকর এজেন্ট নাক দিয়ে প্রবেশ করতে পারে; নাকের পশম তা আটকাতে ভূমিকা রাখে।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনার কলমকে শাণিত করে দিন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        Originally posted by Sa'd Ibn Abi Waqqas View Post
        ভাই, নাকের পশম অনেক কাজের তো! আমরা যে শ্বাস নেই এতে ধূলাবালিসহ অনেক ক্ষতিকর এজেন্ট নাক দিয়ে প্রবেশ করতে পারে; নাকের পশম তা আটকাতে ভূমিকা রাখে।
        ভাই! নাকের পশম বড় হলে দেখতেও খারাপ লাগে ৷ বাহিরে বের হয়ে আসে ৷ এ অবস্থায় তো কেটে ছোট করতেই হয় ৷
        নাকের পশম কাটলে ছোট হয় ৷ একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায় না ৷
        সবার পশম বড় থাকে না ৷ যাদের বড় থাকে তারা কাঁচি দিয়ে বড়গুলো কেটে ফেলে ৷

        যাদের নাকের ভিতরের পশম একেবারে ছোট,তাদের ছোট পশম যেভাবে ধুলোবালি রক্ষা করে ৷ ঠিক তেমনি বড় পশম ছোট করে রাখলেও একইভাবে রক্ষা হবে ৷
        নিশ্চয় কাফেরদের মুখোমুখি হওয়ার আগে মুমিনদের কাফেলাকে মুনাফিক ও ভ্রান্তদের থেকে পবিত্র করতে হবে। - শাইখ আবু মুহাম্মাদ আইমান হাফিযাহুল্লাহ

        Comment

        Working...
        X