Announcement

Collapse
No announcement yet.

আপনি জেনে রাখুন, আমাদের ধন সম্পদে বন্দী মুসলিম ভাই বোনদের যথার্থ হক্ব আছে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আপনি জেনে রাখুন, আমাদের ধন সম্পদে বন্দী মুসলিম ভাই বোনদের যথার্থ হক্ব আছে


    >>"ইসলামে বন্দী মুক্তি" <<
    ‌‌ ‌ পর্ব_৩
    আল্লাহ তা আলা বলছেন ;

    নিশ্চয় সদাকা যাকাত হল ফকির ,মিসকিন এ সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও যাদের মন জয় করা উদ্দেশ্য তাদের জন্য দাস মুক্তি ও ঋণগ্রস্তদের জন্য আল্লাহ'র পথে ব্যয়ের জন্য আর মুসাফিরের জন্য এটা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ফরজ আর আল্লাহ হলেন সর্বগ্র মহাঙানী
    এখানে, আল্লাহর পথে “ফী সাবিলিল্লাহ” বলতে মুজাহিদীনদের বােঝায় ।

    মালেকী ফকীহ আবু বকর বিন আল আরবী বর্ণনা করেছেন :
    “মালিক বলেছেন:
    আল্লাহর পথ অনেক ধরনের রয়েছে কিন্তু এ নিয়ে কোন মতপার্থক্য নেই যে এখানে এই আয়াতের মধ্যে) 'আল্লাহর পথ 'বলতে লড়াইকে। জিহাদ) বােঝানাে হয়েছে।

    ইমাম আল নওয়াবী যাকাত ব্যয়ের ব্যাপারে বলতে গিয়ে আল মিনহাজে বর্ণনা করেছেনঃ

    "আল্লাহর পথের সৈনিককে তার যাবতীয় খরচ দেয়া হয় এবং তার পরিবারের যাবতীয় খরচও দেয়া হয় সে যাওয়ার পর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত, এমনকি সে যদি দীর্ঘ সময়ও অনুপস্থিত থাকে।"

    বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিমই মুজাহিদীনদের যাকাত দেয় না।
    তারা যদি নিজেদের শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্ত রাখতাে তাহলে তারা বুঝতাে যে এখনকার যুগে তাদের যাকাত দানের উত্তম পন্থা বা রাস্তা হলাে তা মুজাহিদীনিদের দেয়া।

    কারণ রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "পাঁচটি পরিস্থিতি ব্যাতীত সম্পদশালী ব্যক্তিদের যাকাত দেয়া যায় না। "

    রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহ্ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তার মধ্যে একটি হলাে- "আল্লাহর পথে যােদ্ধা'।
    __(আবু দাউদ)

    এখন যদি মুজাহিদীনরা ধনী হলেও তাদের যাকাত দেয়া যায়, তখন তাদের ব্যাপারে কি হবে যখন যাকাতের আটটি শ্রেণীর মধ্যে চারটিতেই মুজাহিদীনরা রয়েছে?

    - তারা দরিদ্র, তারা অভাবগ্রস্ত, তারা মুসাফির এবং একমাত্র তারাই আল্লাহর পথে রয়েছেন!

    সুতরাং আপনারা মুজাহিদীনদের যাকাত প্রদান করুন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করুন।

    আপনার মাল-সম্পদ দিয়ে জিহাদ করা একটি আয়াত ছাড়া প্রতিটি আয়াতেই স্বশরীরে জিহাদের আগে মাল সম্পদ দিয়ে জিহাদ করার কথা বলা হয়েছে।

    মাল সম্পদের মাধ্যমে জিহাদের গুরুত্বের দিক টা আমাদের দেখতে হবে কারন, এর উপরেই জিহাদ অনেকটা নির্ভরশীল।

    অন্যভাবে বলতে গেলে, মাল সম্পদ নেই তাে জিহাদ ও নেই এবং জিহাদের জন্য প্রচুর পরিমান মাল সম্পদ এর প্রয়ােজন।

    আল কুরতুবি তার তাফসীরে বলেছেনঃ

    "সাদাকাহ এর ক্ষেত্রে ব্যয় করা অর্থের পুরষ্কার দশ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, কিন্তু জিহাদের ক্ষেত্রে ব্যয় করা মাল সম্পদ ৭০০ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।"

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেনঃ
    " যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীর্ষে রয়েছে একশ’ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময় , সর্বজ্ঞ।।" [২০৪ ২৬১ ]

    সম্ভবত জিহাদের জন্য পশ্চিমা (ইউরােপ, আমেরিকা) মুসলমানরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে তাদের মাল সম্পদ জিহাদ এর জন্য খরচ করে , যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে মুজাহিদীনদের জন্য লােকবলের চেয়ে অর্থের বেশি প্রয়ােজন।

    যেমন-শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম বলেছেনঃ " আল্লাহ'র সৈনিকদের জন্য জিহাদ জরুরি এবং জিহাদের জন্য মাল সম্পদ জরুরি।"

    এছাড়াও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
    যে কোন মুসলিম যেকোন মুসলিম কে দাসত্ব থেকে মুক্ত দান করবে

    ঐ দাসের প্রতিটি অঙ্গের মুক্তির বিনিময়ে মুক্তিদাতা প্রত্যেক অঙ্গকে আল্লাহ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করবেন

    লক্ষ্য করুন ,
    এখানে যাকাতের অর্থ যদি মুসলিমদের অধীনে থাকা দাসদের মুক্তির জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে

    তাহলে কাফির কিংবা তাগুতের হাতে বন্দী থাকা নির্যাতিত নিপীড়িত অসহায় মুসলিম কিংবা মুসলিমার মুক্তির জন্য তা অধিক উপযুক্ত

    আসলে মুসলিম অধীনে থাকা দাস তো ঈমান ও আমলের পূর্ণ স্বাধীনতা পাই কিন্তু তাগুতের কারাগারে বন্দী মুসলিম ভাই বোনেরা তো তাদের ঈমান এবং আমলের নিরাপত্তাটুকু পাই না

    একজন দাস মুসলিম মনিবের থেকে সম্পূর্ণ ভরণপোষণ পেয়ে থাকে

    কিন্তু তগ্বু'তের কারাগারে একজন মুসলিম বন্দী নিনূতম চাহিদা পূরণের সুযোগটুকু পায় না

    একজন মুসলিম দাসের মুক্তির বিনিময়ে যদি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির ব্যবস্থা হয়

    তাহলে ভেবে দেখুন একজন মুসলিম বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে কেমন হতে পারে

    যে বন্দী বন্দী হয়েছে শুধুমাত্র আল্লাহর কালেমা কে বলুন্দ করার জন্য
    আল্লাহ'র জমিনে আল্লাহর দেয়া শরীয়াহ কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য

    প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
    আপনি একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো আপনার ভাই কিংবা আপনার বোন কিংবা আপনার বাবা তাগ্বুতের জিন্দানখানায় বন্দী দুনিয়ার কোন সুখ শান্তি কী আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে

    আজ আল্লাহ আপনাকে নিরাপদে রেখেছে তাই কী আপনি তাদের ভুলে যাবেন ?

    আল্লাহ আমাদের একজন কে দিয়ে আরেক জনকে পরীক্ষা করেন


    আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে বলেন,
    মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে?

    তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে।

    এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ
    তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের জান্নাতে উত্তম বাসগৃহে। এটা মহাসাফল্য।

    দেখুন ভাই,
    আল্লাহ তায়ালায়া নিজের সাথে বানিজ্যের কথা বলছেন।

    আর তার মধ্যে সর্বপ্রথম অর্থ সম্পদের কথা বলেছেন।

    সুতরাং ভাই আমাদের আল্লাহর সাথে বানিজ্য করতে হলে প্রথমে মালসম্পদ দিয়ে আগে বারতে হবে।

    আর আমাদের অর্থ গুলো ব্যয় হবে বন্দি ভাইদের মুক্তির পিছনে, তাদের পরিবার পরিজনের পিছনে।
    ইমাম তাইমিয়া রহ. বলেছিলেন

    যদি তোমার প্রতিবেশী ক্ষুধার যাতনায় মৃত্যুবরণ করার উপক্রম হয় আর অপর দিকে ময়দানে অর্থের অভাবে জিহাদের কাজ বন্ধ হয়ে যায় তখন ঐ অবস্থায় ময়দানের মুজাহিদদের সাহায্যদান করা আবশ্যক কর্তব্য।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের মন কে পূন্যময় কাজে প্রতিযোগিতামূলক করে দিন। আমিন।

    __নীরবতার প্রাচীর

    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    আল্লাহ আমাদের ভাইবোনদের মুক্তির ব্যবস্থা করে দিন আমাদেরকে তাদের সাহায্যকারী বানিয়ে দিন ।
    আমাদের সকলের জন্য জান্নাতের ফয়সালা করে দিন

    Comment


    • #3
      >> "ইসলামে বন্দী মুক্তি" <<
      পর্ব:- ২
      ইসলামে বন্দী মুক্তি ব্যাপারে আমাদের পূর্ববর্তীদের মানসিকতা পোষ্টের লিংক
      https://dawahilallah.com/forum/%E0%A...A6%A4%E0%A6%BE


      বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

      Comment


      • #4
        আমরা বন্দিকে মুক্ত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব। আর সকলে প্রতিদান পাবার জন্য উক্ত হাদীসের উপর আমল করবো।
        حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، وَشَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، جَمِيعًا عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، - وَاللَّفْظُ لِشَيْبَانَ - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ عَجَبًا لأَمْرِ الْمُؤْمِنِ إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ وَلَيْسَ ذَاكَ لأَحَدٍ إِلاَّ لِلْمُؤْمِنِ إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ ‏"‏ ‏.‏
        হাদ্দাব ইবনু খালিদ আযদী ও ফাররুখ ইবনু শায়বান (রহঃ) ... সুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনের অবস্থা ভারি অদ্ভুত। তাঁর সমস্ত কাজই তাঁর জন্য কল্যাণকর। মু’মিন ব্যাতিত অন্য কারো জন্য এ কল্যাণ লাভের ব্যাবস্থা নেই। তাঁরা আনন্দ (সুখ শান্তি) লাভ করলে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে, তা তাঁর জন্য কল্যাণকর হয়, আর দুঃখকষ্টে আক্রান্ত হলে ধৈর্যধারন করে, এও তাঁর জন্য কল্যাণকর হয়।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment

        Working...
        X