মুসলিম কারাবন্দীদের পক্ষে কে দাঁড়াবে?” ষষ্ঠ পর্ব :-
হে উম্মতে ইসলাম !
এটি হচ্ছে তেমনি একটি চিঠি তাদের প্রতি যারা প্রত্যেকে দায়ী, যারা প্রত্যেকে নীরব রয়েছে, প্রত্যেক আলেম, প্রত্যেক মুসলমানের কাছে…নারী কিংবা পুরুষ……ও মুসলমানেরা !
হে আল্লাহ ! তোমার কাছে আমি অভিযোগ জানাই আমার অসহায়ত্বের ব্যাপারে, আমার কাজের দুর্বলতার কারণে,
আর মানুষের সামনে আমার মর্যাদাহানির বিষয়ে। তুমিই তো তাদের রব, যারা মযলুম
তুমিই আমার মালিক !
সে যেই হোক না কেন,
যার উপরে আমাকে তুমি ন্যস্ত করেছ, সে যেখানেই থাকুক না কেন, যত দূরের কোন দেশেই থাকুক না কেন,
আমি পরোয়া করি না, তার ভয় আমি করি না,
আমার শত্রু উপর ভ্রু কুঁচকে আছে না আমার উপরে এমন কাউকে দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছে যে আমার শত্রু,
আমি এসব পরোয়া করি না, যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমার উপর সন্তুষ্ট, সেটাই আমার জন্যে যথেষ্ট”।
“ নিশ্চয়ই আমি পরীক্ষার সময় পার করছি।
অসুস্থতা আমাকে আক্রান্ত করেছে আর ক্লান্তি আমাকে বিধ্বস্ত করেছে।
সারা দিন গনগনে সূর্য আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যা পর্যন্ত, সাথে আছে আটককারীদের কর্কশ আচরণ।
প্রতিবার আমি আমার খাঁচায় প্রবেশ করি কিংবা বের হই,
আমার হাতে পায়ে শিকল জড়ানো থাকে।
মনে হয় যেন, ভারী লোহার শিকলগুলোর ওজন আমার ওজনের চেয়ে বেশি,
ফুটন্ত পানির মতো শত্রুদের সাথে আটক থাকার চেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা আর কি হতে পারে?
এর থেকে আর অপমানের কি আছে হে মুসলিম ভাইয়েরা আমার,
লুটেরা আমেরিকানদের সামনে আমাকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করা হচ্ছে,
অপমানিত করা হচ্ছে।
যাই হোক, আমি আমার সব আকুতি পেশ করি মহান আল্লাহর দরবারে,
তোমার ক্ষমা আমার জন্যে যথেষ্ট হে রব,
আমি তোমার কাছে সেই নূর এর মাধ্যমে আশ্রয় চাই যা অন্ধকার দূর করে দেয়,
যার মাধ্যমে এই দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কাজকে তুমি ভারসাম্য দান করেছ।
আমি যেন কখনো তোমার অসন্তুষ্টি জাগানো কোন কাজ না করি।
আর নিশ্চয়ই তুমি ছাড়া আর কারও কোন ক্ষমতা বা শক্তি নেই,
তোমাকে ছাড়া আর কারও কাছে কোন আশ্রয়ও নেই ।
আজকে যিনি আমাদের এই চিঠি পড়ছেন, আমার কষ্ট,অবসাদ, দুঃখ কিছুই না
আমার মাথায় যা হচ্ছে তা যদি আপনারা জানতেন !
যখন চিন্তা করি যে মুসলিম উম্মাহর জন্যে কাজ করে
তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আজকে আমাদের এই অবস্থা আর আপনারা সবাই আমাদের কথা ভুলে গেছেন
তখন আমাদের শারীরিক কষ্ট মানসিক কষ্টের তুলনায় তুচ্ছ হয়ে যায়।
কিভাবে সবাই আমাদের কথা ভুলে গেলেন !
কিভাবে আমাদের ইস্যু হয়ে গেল গুরুত্বহীন,
কিভাবে আমাদের ব্যাপারে কোন সচেতনতা গণ জাগরণের প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করলো না …
যেন আমরা ভিন্ন গ্রহের প্রাণী…কিংবা যেন আমরা মুসলিম নই !
এর চেয়ে লজ্জাজনক, মাথা হেট হতে আসার মতন ঘটনা কি আদৌ হতে পারে??
আজকে পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলো পর্যন্ত আমাদের পক্ষে কথা বলছে, নির্যাতন বন্ধের কথা বলছে,
কারাগারগুলো উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবী জানাচ্ছে আর আমাদের মুসলিমরা কাপুরুষ, নপুংসক হয়ে আমাদের
ভুলে গেছে !
কিভাবে অস্ট্রেলিয়া আমেরিকান সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হল
কারাবন্দী নিয়ে,
কিংবা দেখুন কিভাবে কয়েকজন ব্রিটিশ বন্দীর জন্যে এংলো-আমেরিকান সম্পর্কেও ভাটা সৃষ্টি হল,
হায় ! আমাদের জন্যে কেউ নেই, অথচ আমাদের সংখ্যা ছয় শত জন।
বরং, যদি এমন হত যে আমেরিকানরা আমাদের জাতীয়তা ঘোষনা না করত,
আরব দেশগুলো আমাদের উপেক্ষা করেই যেত,
আমাদের অস্তিত্ব কিংবা জাতীয়তা পর্যন্ত অস্বীকার করত।
হে উম্মতে ইসলাম !
এটি হচ্ছে তেমনি একটি চিঠি তাদের প্রতি যারা প্রত্যেকে দায়ী, যারা প্রত্যেকে নীরব রয়েছে, প্রত্যেক আলেম, প্রত্যেক মুসলমানের কাছে…নারী কিংবা পুরুষ……ও মুসলমানেরা !
হে আল্লাহ ! তোমার কাছে আমি অভিযোগ জানাই আমার অসহায়ত্বের ব্যাপারে, আমার কাজের দুর্বলতার কারণে,
আর মানুষের সামনে আমার মর্যাদাহানির বিষয়ে। তুমিই তো তাদের রব, যারা মযলুম
তুমিই আমার মালিক !
সে যেই হোক না কেন,
যার উপরে আমাকে তুমি ন্যস্ত করেছ, সে যেখানেই থাকুক না কেন, যত দূরের কোন দেশেই থাকুক না কেন,
আমি পরোয়া করি না, তার ভয় আমি করি না,
আমার শত্রু উপর ভ্রু কুঁচকে আছে না আমার উপরে এমন কাউকে দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছে যে আমার শত্রু,
আমি এসব পরোয়া করি না, যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমার উপর সন্তুষ্ট, সেটাই আমার জন্যে যথেষ্ট”।
“ নিশ্চয়ই আমি পরীক্ষার সময় পার করছি।
অসুস্থতা আমাকে আক্রান্ত করেছে আর ক্লান্তি আমাকে বিধ্বস্ত করেছে।
সারা দিন গনগনে সূর্য আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যা পর্যন্ত, সাথে আছে আটককারীদের কর্কশ আচরণ।
প্রতিবার আমি আমার খাঁচায় প্রবেশ করি কিংবা বের হই,
আমার হাতে পায়ে শিকল জড়ানো থাকে।
মনে হয় যেন, ভারী লোহার শিকলগুলোর ওজন আমার ওজনের চেয়ে বেশি,
ফুটন্ত পানির মতো শত্রুদের সাথে আটক থাকার চেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা আর কি হতে পারে?
এর থেকে আর অপমানের কি আছে হে মুসলিম ভাইয়েরা আমার,
লুটেরা আমেরিকানদের সামনে আমাকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করা হচ্ছে,
অপমানিত করা হচ্ছে।
যাই হোক, আমি আমার সব আকুতি পেশ করি মহান আল্লাহর দরবারে,
তোমার ক্ষমা আমার জন্যে যথেষ্ট হে রব,
আমি তোমার কাছে সেই নূর এর মাধ্যমে আশ্রয় চাই যা অন্ধকার দূর করে দেয়,
যার মাধ্যমে এই দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কাজকে তুমি ভারসাম্য দান করেছ।
আমি যেন কখনো তোমার অসন্তুষ্টি জাগানো কোন কাজ না করি।
আর নিশ্চয়ই তুমি ছাড়া আর কারও কোন ক্ষমতা বা শক্তি নেই,
তোমাকে ছাড়া আর কারও কাছে কোন আশ্রয়ও নেই ।
আজকে যিনি আমাদের এই চিঠি পড়ছেন, আমার কষ্ট,অবসাদ, দুঃখ কিছুই না
আমার মাথায় যা হচ্ছে তা যদি আপনারা জানতেন !
যখন চিন্তা করি যে মুসলিম উম্মাহর জন্যে কাজ করে
তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আজকে আমাদের এই অবস্থা আর আপনারা সবাই আমাদের কথা ভুলে গেছেন
তখন আমাদের শারীরিক কষ্ট মানসিক কষ্টের তুলনায় তুচ্ছ হয়ে যায়।
কিভাবে সবাই আমাদের কথা ভুলে গেলেন !
কিভাবে আমাদের ইস্যু হয়ে গেল গুরুত্বহীন,
কিভাবে আমাদের ব্যাপারে কোন সচেতনতা গণ জাগরণের প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করলো না …
যেন আমরা ভিন্ন গ্রহের প্রাণী…কিংবা যেন আমরা মুসলিম নই !
এর চেয়ে লজ্জাজনক, মাথা হেট হতে আসার মতন ঘটনা কি আদৌ হতে পারে??
আজকে পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলো পর্যন্ত আমাদের পক্ষে কথা বলছে, নির্যাতন বন্ধের কথা বলছে,
কারাগারগুলো উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবী জানাচ্ছে আর আমাদের মুসলিমরা কাপুরুষ, নপুংসক হয়ে আমাদের
ভুলে গেছে !
কিভাবে অস্ট্রেলিয়া আমেরিকান সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হল
কারাবন্দী নিয়ে,
কিংবা দেখুন কিভাবে কয়েকজন ব্রিটিশ বন্দীর জন্যে এংলো-আমেরিকান সম্পর্কেও ভাটা সৃষ্টি হল,
হায় ! আমাদের জন্যে কেউ নেই, অথচ আমাদের সংখ্যা ছয় শত জন।
বরং, যদি এমন হত যে আমেরিকানরা আমাদের জাতীয়তা ঘোষনা না করত,
আরব দেশগুলো আমাদের উপেক্ষা করেই যেত,
আমাদের অস্তিত্ব কিংবা জাতীয়তা পর্যন্ত অস্বীকার করত।
🎙️"শাইখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল হাবদান"🎤“মুসলিম কারাবন্দীদের পক্ষে কে দাঁড়াবে?” শীর্ষক জুম্মার খুতবার লিখিত রুপ (১৬ আগস্ট ২০০২ সাল ১৪২৩ হিজরী)
Comment