একজন বন্দীর চিন্তা আবর্তিত হয় নিচের শব্দগুলো ঘিরে।
বন্দীত্ব, মুক্তি, রায়, বিচারক, অভিযোগ, আত্মপক্ষ সমর্পণ,
সাক্ষী, প্রমাণ, নির্দোষিতা, শাস্তি, শাস্তির মেয়াদ, শাস্তি লাঘব...
.
দাঁড়িয়ে বসে, শয়নে-স্বপনে, খাওয়া কিংবা পান করার সময়,
ইবাদত অথবা অবসরের সময়, ঘুরেফিরে এ শব্দগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকে বন্দীর মন।
.
পত্রিকা পড়ার সময়, কিংবা খবর দেখার সময়, শুধু ওই খবরগুলোর দিকে তার মনোযোগ থাকে
যেগুলো তার মামলা কিংবা জামিনের সাথে সম্পর্কিত।
.
নতুন নতুন ব্র্যান্ডের সেলফোন, গাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটের বিজ্ঞাপন, নিত্যনতুন রগরগে গসিপ,
স্বল্পবসনা মডেলদের চার রঙ্গা ছবি, কোনো কিছু টানে না তাকে।
এগুলো নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই বন্দীর। যেন তার চোখেই পড়ে না।
.
প্রিয় পাঠক, এবার নিচের কথাগুলো নিয়ে একটু ভাবুন।
এ দুনিয়াতে আমরা এসেছি অল্প কিছু সময়ের জন্য। এক অর্থে আমরা এখানে আটকা পড়ে আছি।
আমাদের আসল বাড়ি, আসল ঠিকানা জান্নাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে। রাসূল (ﷺ)-এর হাদিসেও এসেছে,
‘দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগার আর কাফিরের জন্য জান্নাত।’
.
দুনিয়ার কারাগারে বন্দী এই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো আমাদের গুনাহগুলো।
সাক্ষীপ্রমাণ সব প্রস্তুত। এখন কেবল রায় দেয়ার অপেক্ষা।
আত্মপক্ষ সমর্থনে আমাদের পক্ষে কেবল এটুকু আছে যে আমরা তাওহিদবাদী।
আমরা আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী। আমরা মুওয়াহ্হিদ।
.
কাজেই আমাদের যদি তাওহিদে সমস্যা থাকে, তাহলে শাস্তি নিশ্চিত।
আর সেই শাস্তির মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন করা অনর্থক। মামলা খারিজ হবার একমাত্র উপায় আন্তরিক তাওবাহ।
আর যিনি রায় দেবেন, তিনি হলেন সমগ্র সৃষ্টির একচ্ছত্র অধিপতি, প্রকৃত বিচারক, আল্লাহ।
.
তাই আমাদের সব মনোযোগ থাকা উচিত বিচারককে সন্তুষ্ট করা নিয়ে।
আমাদের সব কাজের লক্ষ হওয়া উচিত দুনিয়ার এ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আখিরাতে জান্নাতে প্রবেশ করা। ব্যস, এটাই লক্ষ্য।
.
দুনিয়ার তুচ্ছ, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমাদের নেই।
সুযোগ নেই এসব বিলাসিতার। এগুলো আমাদের মাথাব্যথা না।
আমাদের একমাত্র চিন্তা হলো আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচা, তাঁকে সন্তুষ্ট করা এবং তাঁর কাছে পুরস্কৃত হওয়া।
.
আমাদের সব চিন্তাচেতনা, কথা, কাজ, সিদ্ধান্ত আবর্তিত হতে হবে এই লক্ষ্যগুলো ঘিরে।
কোনোভাবে, কোনো অবস্থায়, কোনো কিছুর জন্যে এগুলো থেকে মনোযোগ সরানো যাবে না।
.
ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
চিরন্তন জান্নাতে এসো, যেখানে ছিল তোমার প্রথম নিবাস।
সেখানেই তাঁবু খাটানো আছে তোমার জন্য। কিন্তু আজ আমরা বন্দী শত্রুর হাতে।
কী মনে হয়? আমরা কি পারব নিরাপদে নীড়ে ফিরতে?
- ড. ইয়াদ কুনাইবী
বন্দীত্ব, মুক্তি, রায়, বিচারক, অভিযোগ, আত্মপক্ষ সমর্পণ,
সাক্ষী, প্রমাণ, নির্দোষিতা, শাস্তি, শাস্তির মেয়াদ, শাস্তি লাঘব...
.
দাঁড়িয়ে বসে, শয়নে-স্বপনে, খাওয়া কিংবা পান করার সময়,
ইবাদত অথবা অবসরের সময়, ঘুরেফিরে এ শব্দগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকে বন্দীর মন।
.
পত্রিকা পড়ার সময়, কিংবা খবর দেখার সময়, শুধু ওই খবরগুলোর দিকে তার মনোযোগ থাকে
যেগুলো তার মামলা কিংবা জামিনের সাথে সম্পর্কিত।
.
নতুন নতুন ব্র্যান্ডের সেলফোন, গাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটের বিজ্ঞাপন, নিত্যনতুন রগরগে গসিপ,
স্বল্পবসনা মডেলদের চার রঙ্গা ছবি, কোনো কিছু টানে না তাকে।
এগুলো নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই বন্দীর। যেন তার চোখেই পড়ে না।
.
প্রিয় পাঠক, এবার নিচের কথাগুলো নিয়ে একটু ভাবুন।
এ দুনিয়াতে আমরা এসেছি অল্প কিছু সময়ের জন্য। এক অর্থে আমরা এখানে আটকা পড়ে আছি।
আমাদের আসল বাড়ি, আসল ঠিকানা জান্নাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে। রাসূল (ﷺ)-এর হাদিসেও এসেছে,
‘দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগার আর কাফিরের জন্য জান্নাত।’
.
দুনিয়ার কারাগারে বন্দী এই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো আমাদের গুনাহগুলো।
সাক্ষীপ্রমাণ সব প্রস্তুত। এখন কেবল রায় দেয়ার অপেক্ষা।
আত্মপক্ষ সমর্থনে আমাদের পক্ষে কেবল এটুকু আছে যে আমরা তাওহিদবাদী।
আমরা আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী। আমরা মুওয়াহ্হিদ।
.
কাজেই আমাদের যদি তাওহিদে সমস্যা থাকে, তাহলে শাস্তি নিশ্চিত।
আর সেই শাস্তির মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন করা অনর্থক। মামলা খারিজ হবার একমাত্র উপায় আন্তরিক তাওবাহ।
আর যিনি রায় দেবেন, তিনি হলেন সমগ্র সৃষ্টির একচ্ছত্র অধিপতি, প্রকৃত বিচারক, আল্লাহ।
.
তাই আমাদের সব মনোযোগ থাকা উচিত বিচারককে সন্তুষ্ট করা নিয়ে।
আমাদের সব কাজের লক্ষ হওয়া উচিত দুনিয়ার এ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আখিরাতে জান্নাতে প্রবেশ করা। ব্যস, এটাই লক্ষ্য।
.
দুনিয়ার তুচ্ছ, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমাদের নেই।
সুযোগ নেই এসব বিলাসিতার। এগুলো আমাদের মাথাব্যথা না।
আমাদের একমাত্র চিন্তা হলো আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচা, তাঁকে সন্তুষ্ট করা এবং তাঁর কাছে পুরস্কৃত হওয়া।
.
আমাদের সব চিন্তাচেতনা, কথা, কাজ, সিদ্ধান্ত আবর্তিত হতে হবে এই লক্ষ্যগুলো ঘিরে।
কোনোভাবে, কোনো অবস্থায়, কোনো কিছুর জন্যে এগুলো থেকে মনোযোগ সরানো যাবে না।
.
ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
চিরন্তন জান্নাতে এসো, যেখানে ছিল তোমার প্রথম নিবাস।
সেখানেই তাঁবু খাটানো আছে তোমার জন্য। কিন্তু আজ আমরা বন্দী শত্রুর হাতে।
কী মনে হয়? আমরা কি পারব নিরাপদে নীড়ে ফিরতে?
- ড. ইয়াদ কুনাইবী
Comment