Announcement

Collapse
No announcement yet.

নির্বাচন: প্রার্থী, ভোট ও ভোটারের শরয়ী বিধান

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নির্বাচন: প্রার্থী, ভোট ও ভোটারের শরয়ী বিধান

    প্রার্থী
    প্রথমত:
    যে কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে, তাকে অবশ্যই এ বলে মনোনয়ন নিতে হবে যে, সে সংবিধন বাস্তবায়ন ও সংরক্ষণ করবে। অধিকাংশ সংসদ সদস্য যে আইনে সম্মত হবে, সেটাই হবে আইন। সেটাকে সম্মান ও ইহতিরামের সাথে বাস্তবায়ন আবশ্যক হবে। এ শপথ নিয়েই তাকে মনোনয়ন নিতে হবে।

    অর্থাৎ আল্লাহর শরীয়তের বিপরীতে বহাল থাকা আইন বাস্তবায়ন করা এবং শরীয়ত বিরোধী নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করার শপথ ও অঙ্গীকার করে মনোনয়ন নিতে হবে। আর স্পষ্ট যে, এটি সর্বসম্মতভাবে কুফর। যে ব্যক্তি এমনটা করবে, সে সর্বসম্মতভাবে কাফের।

    আর প্রার্থী হওয়ার অর্থ নির্বাচনে জয়লাভ করলে কাফের হয়ে যাবে- এই অঙ্গীকার করা। যে ব্যক্তি ভবিষ্যতে কাফের হয়ে যাবে বলে ইচ্ছা করেছে, সে এখনই কাফের হয়ে যাবে। অতএব, সংসদীয় নির্বাচনে যত প্রার্থী দাঁড়িয়েছে- পাস করুক আর ফেল করুক- সকলে ইতোমধ্যে কাফের হয়ে গেছে। পাস করার পর যখন শরীয়ত বিরোধী আইনগুলো বহাল রাখবে এবং নতুন নতুন শরীয়ত বিরোধী আইন করবে, তখন কুফর আরো বৃদ্ধি পাবে। অন্যথায় প্রার্থী হওয়ার সাথে সাথেই ইতোমধ্য কাফের হয়ে গেছে।


    ইসলামী দলের প্রার্থীর বিধান
    যে কুফরের কথা উপরে বলা হয়েছে, সে কুফরে ইসলামী প্রার্থীও লিপ্ত। এ হিসেবে তারাও কাফের হয়ে যাওয়ারই কথা। তবে তাদের তাবিলের কারণে- যদিও ভুল তাবিল হয়- আমরা তাদেরকে কাফের বলবো না। গোমরাহ ও হারামে লিপ্ত বলবো। আর তাদের বাকি হিসাব-নিকাশ আল্লাহর সাথে হবে।


    দ্বিতীয়ত:
    নির্বাচনে দাঁড়ানোর অর্থ: দেশব্যাপী অনাচার, অবিচার, খুন-খারাবী, সন্ত্রাসী, ডাকাতি, যিনা ব্যভিচার ও যাবতীয় অপকর্মের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। তবে বেশ-কম এতটুকু যে, আওয়ামী লীগ একটু বেশি করবে, বিএনপি একটু কম করবে। আর ইসলামী দল বিএনপির সমান বা কাছাকাছি করবে। তবে ব্যবধান হল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এগুলোকে হালাল ও বৈধ মনে করে করবে আর ইসলামী দল তাবিলের ভিত্তিতে বা হারাম মনে করে করবে। অর্থাৎ সকল দলই সব ধরণের অন্যায় অনাচার করবে, তবে ইসলামী দল একটু কম করবে এবং তাবিলের সাথে বা হারাম মনে করে করবে। ইসলাম কায়েম কারো দ্বারাই হবে না।


    তাহলে প্রার্থী হওয়ার অর্থ হলো-
    ক. নিজেকে বিধানদাতা ও রবরূপে দাঁড় করানো এবং এজন্য জনগণের সমর্থন ও সহায়তা কামনা করা।
    খ. কাফের হয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করা এবং কুফর প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সমর্থন ও সহায়তা কামনা করা।
    গ. সব ধরণের অন্যায় অনাচারের অঙ্গীকার করা এবং জনগণের কাছে এ জন্য সমর্থন ও সহায়তা কামনা করা।


    ভোট
    ভোটের অর্থ-
    ক. কুফর প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন দেয়া।
    খ. আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজেদের জন্য ভিন্ন মা’বূদ ও বিধানদাতা নির্ধারণের পক্ষে রায় দেয়া।
    গ. সব ধরণের অন্যায় অনাচারের পক্ষে রায় দেয়া।


    ভোটার

    ক. কুফরের সমর্থক ও সহায়ক।
    খ. আল্লাহকে বাদ দিয়ে মাখলুককে মা’বূদ ও বিধানদাতারূপে গ্রহণকারী।
    গ. সব ধরণের অন্যায় অনাচারের সমর্থক ও সহায়ক।

    তাহলে স্পষ্ট, ভোট একটি কুফরী ও হারাম কাজ।

    তবে আমরা জনগণকে কাফের বলতে পারবো না বিশেষত দুই কারণে-
    ক. ব্যাপকভাবে তাদের মাঝে অজ্ঞতা বিদ্যমান। যেসব মাসআলা আমরা বুঝতে পারছি, সেগুলো তাদের জানা নেই। আর সমাজটাও এমন যে, এখানে আলেমদের বিশাল অংশও মাসআলাগুলো বুঝে না। জনগণের কথা তো বলাই বাহুল্য। অতএব, উজর বিল জাহলের কারণে আমরা তাকফির করবো না।

    খ. ব্যাপকভাবে তাবিল বিদ্যমান। জনগণ এ নিয়তে ভোট দেয় না যে, তারা কুফর বা হারামের সমর্থন করছে। অনেকে জানেও না যে, সংসদ সদস্যদের কাজ কি। তারা শুধু এতটুকু বুঝে যে, অমুক এমপি হলে উন্নয়ন হয় বেশি। অমুক হলে দ্বীনের কাজে সহায়তা করবে। অমুক হলে করবে না। অমুক হলে রাস্তাঘাট হয়। ভাতা-টাতা পাওয়া যায়। ইত্যাদি দুনিয়াবি সুবিধা। এ তাবিলের কারণে তাকফির করা যাবে না। তবে একান্তই যারা সব কিছু বুঝে এবং বুঝে শুনে ও কুফর বাস্তবায়নের জন্য ভোট দেবে- বিশেষত উচ্চ পর্যায়ের দলীয় ব্যক্তিরা- তারা কাফের হয়ে যাবে।


    সারকথা
     সংসদীয় নির্বাচনের সকল প্রার্থী কুফরে লিপ্ত। তবে ইসলামী দলের প্রার্থীদেরকে তাবিলের কারণে কাফের বলবো না। বাকিরা কাফের।

     ভোট একটি হারাম ও কুফরি কাজ। তবে জনগণের জাহালত-অজ্ঞতা ও তাবিলের কারণে তাদের তাকফির করা হবে না।


    বিশেষ আবেদন
    তাকফিরের মাসআলা অনেক জটিল। ভাইদের কাছে আবেদন, আমরা জনগণের তাকফিরের পেছনে পড়বো না। আমাদের উচিৎ জনগণকে এ কুফর ও হারাম সম্পর্কে দরদ ও হেকমতের সাথে বুঝানো। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমীন।



  • #2
    ভাইকে প্রজ্ঞা পূর্ণ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ,আমাদের আমল করার তাওফীক দান করুন,আমীন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      মাশা-আল্লাহ!
      বারাকাল্লাহু ফী 'ইলমিক...

      ভাই খুব ভালো লাগলো। আপনার সব পোষ্টই খুব ভালো লাগে।

      ভাই,আপনার থেকে একটি বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম বা আপনার নিকট আমার একটি প্রশ্ন...
      অনুগ্রহ করে উত্তরটি দিলে আমার অনেক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।

      প্রশ্নটি হলোঃ-

      তাবেঈনদের তাক্বলীদ করার ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা রহ. এর একটি উক্তি হলোঃ
      "তারাও(তাবে'ঈন) মানুষ,আমরাও মানুষ। সুতরাং তাবে'ঈনদের তাক্বলীদ করা যাবে না।"

      তাহলে এখন প্রশ্ন হয় যে,ইমাম আবু হানীফা রহ.-ও তো একজন তাবে'ঈ,তাহলে আমরা কিভাবে তার তাক্বলীদ করি?

      উত্তরটি দিলে উপকার হতো ইনশাআল্লাহ।

      আল্লাহ সুবঃ ভাইদের মেহনাত কে কবুল করুন ও উত্তম যাঝা দান করুন,
      আমীন ইয়া রব্বাশ-শুহাদায়ী ওয়াল মুজাহিদীন।
      বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
      কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ ভাই খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন । আল্লাহ্ আপনার মেহনতকে কবুল করুন, আমিন!

        Comment


        • #5
          যারা এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি এখনো পড়েননি, দ্রুত পড়ে নিন, ইনশা আল্লাহ।
          এই পোস্টে অনেক সংশয়ের জবাব আছে, আলহামদু লিল্লাহ।
          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

          Comment


          • #6
            Originally posted by কালো পতাকাবাহী View Post
            মাশা-আল্লাহ!
            বারাকাল্লাহু ফী 'ইলমিক...

            ভাই খুব ভালো লাগলো। আপনার সব পোষ্টই খুব ভালো লাগে।

            ভাই,আপনার থেকে একটি বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম বা আপনার নিকট আমার একটি প্রশ্ন...
            অনুগ্রহ করে উত্তরটি দিলে আমার অনেক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।

            প্রশ্নটি হলোঃ-

            তাবেঈনদের তাক্বলীদ করার ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা রহ. এর একটি উক্তি হলোঃ
            "তারাও(তাবে'ঈন) মানুষ,আমরাও মানুষ। সুতরাং তাবে'ঈনদের তাক্বলীদ করা যাবে না।"

            তাহলে এখন প্রশ্ন হয় যে,ইমাম আবু হানীফা রহ.-ও তো একজন তাবে'ঈ,তাহলে আমরা কিভাবে তার তাক্বলীদ করি?

            উত্তরটি দিলে উপকার হতো ইনশাআল্লাহ।

            আল্লাহ সুবঃ ভাইদের মেহনাত কে কবুল করুন ও উত্তম যাঝা দান করুন,
            আমীন ইয়া রব্বাশ-শুহাদায়ী ওয়াল মুজাহিদীন।
            আলেম ভাইদের সাহায্য কামনা করছি
            فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

            Comment


            • #7
              মাশা আল্লাহ, খুবই গুরুত্বপূর্ন আলোচনা। আল্লাহ, এই আলোচনাকে উম্মাহর মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিন, আমিন।
              আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।

              Comment


              • #8
                সারকথা
                 সংসদীয় নির্বাচনের সকল প্রার্থী কুফরে লিপ্ত। তবে ইসলামী দলের প্রার্থীদেরকে তাবিলের কারণে কাফের বলবো না। বাকিরা কাফের।

                 ভোট একটি হারাম ও কুফরি কাজ। তবে জনগণের জাহালত-অজ্ঞতা ও তাবিলের কারণে তাদের তাকফির করা হবে না।

                আলহামদুলিল্লাহ, সংক্ষেপে ভাই আমাদেরকে অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিয়েছেন।
                আল্লাহ ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ নসীব করুন ও উম্মাহকে উপকৃত করুন। আমীন
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  মাশাআল্লাহ সুন্দর আলোচনা। বুঝমান জ্ঞানী লোকদের জন্য এখানে শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। হে আল্লাহ আপনি ভাইয়ের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।

                  Comment


                  • #10
                    আবু হানীফা র. এর এক বক্তব্যের মর্ম।
                    এক ভাইয়ের প্রশ্ন, আবু হানীফা র. তাবিঈদের ব্যপারে বলেছেন- তারাও মানুষ আমরাও ....
                    আবু হানীফা র. এর এক বক্তব্যের মর্ম।
                    بسم الله، والحمد لله. والسلام على رسول الله.
                    আবু হানীফা র. এর বক্তব্য মুজতাহিদের জন্য। একজন মুজতাহিদ সর্বদা বড়দের তাকলীদে বাধ্য। এর পন্থা হলো- কুরআন, সুন্নাহ (রাসূল صلى الله عليه وسلم থেকে যা বর্ণিত), আসার (সাহাবীর কথা বা কাজ) ও সালাফের মাঝে যা কিছু মতবিরোধহীন ভাবে (إتفاقا) গৃহীত সেখানে কোন ইজতিহাদ চলবে না। আর যদি কুরআন, সুন্নাহ, আসার ও সালাফের কোথাও কোন মাসআলায় মতবিরোধ (اختلاف) হয় তাহলে মুজতাহিদ আগের সংঘটিত মত সমূহ থেকে একটি কে ইজতিহাদ করে প্রাধান্য দিবে বা মতগুলোর মাঝে সমন্নয় করবে। নতুন মত বের করবে না। উদাহরণত, একটি মাসআলায় হাদীসে তিন রকম মত পেলে চতুর্থ মত বের করবে না। আর যদি মুজতাহিদের সম পর্যায়ের আলিম/ ফকিহদের মাঝে নতুন কোন মাসআলায় ইখতিলাফ হয় তিনি কুরআন, সুন্নাহ, আসার ও সালাফ তথা বড়দের সিদ্ধান্ত সমূহের ভিত্তিতে ক্বিয়াস করে মত/ ফাতওয়া দিবেন। সম পর্যায়ের কারো তাকলীদ করতে বাধ্য হবেন না। আবু হানীফা র. যেহেতু মুজতাহিদ তাবিঈ ছিলেন, তাই তিনি কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবির তাকলীদে বাধ্য ছিলেন। সম স্তর বিধায় কোন তাবিঈর তাকলীদে বাধ্য ছিলেন না। আমরা তো আহলুস সুন্নাহর সকল ফকিহের তাকলীদে বাধ্য। যেখানে তারা একমত সেখানে সেভাবে। আর যেখানে তাদের ইখতিলাফ সেক্ষেত্রে কোন মুজতাহিদের অনুসরণে কোন এক মতের। এক্ষেত্রে কোন মাযহাবের অনুসরণই নিরাপদ। আমাদের নতুন মত দেওয়া তো দূরে, প্রাচীণ কোন মত কে নিজে প্রাধাণ্য দেওয়ার সুযোগ নেই। আল্লাহ سبحانه وتعالى ফিতনা থেকে উম্মাহ কে রক্ষা করুন। آمين


                    Comment


                    • #11
                      সারকথা
                       সংসদীয় নির্বাচনের সকল প্রার্থী কুফরে লিপ্ত। তবে ইসলামী দলের প্রার্থীদেরকে তাবিলের কারণে কাফের বলবো না। বাকিরা কাফের।
                      ইসলামি দলের ক্ষেত্রে ওজর বিত তা'বীল গ্রহণ করা হলে, বাকিদের ক্ষেত্রে ওজর বিল জাহালাহ কেন গ্রহণযোগ্য হবেনা?!
                      দয়া করে স্পষ্ট করলে ভালো হতো।
                      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                      Comment


                      • #12
                        ভোট: ইসলামের নামে ধোঁকা!
                        https://dawahilallah.com/showthread.php?8498
                        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                        Comment


                        • #13
                          জাযাকাল্লাহ খাইরান ভাই, বিষয়গুলো স্পষ্ট করার জন্য।
                          আজ এই বিষয়গুলো অসংখ্য মুসলিম জানে না।
                          আল্লাহ্‌ হিফাজত করুন।

                          Comment


                          • #14
                            অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা , আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার তাউফীক দান করুন এবং ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ দান করুন, আমীন।

                            Comment


                            • #15
                              সাধারণ মুসলিমদের সামনে এই বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য আমাদের বেশি বেশি শেয়ার করা উচিত।
                              নিজ আত্মীয় পরিজনদের সতর্ক করা উচিত।

                              Comment

                              Working...
                              X