প্রার্থী
প্রথমত:
যে কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে, তাকে অবশ্যই এ বলে মনোনয়ন নিতে হবে যে, সে সংবিধন বাস্তবায়ন ও সংরক্ষণ করবে। অধিকাংশ সংসদ সদস্য যে আইনে সম্মত হবে, সেটাই হবে আইন। সেটাকে সম্মান ও ইহতিরামের সাথে বাস্তবায়ন আবশ্যক হবে। এ শপথ নিয়েই তাকে মনোনয়ন নিতে হবে।
অর্থাৎ আল্লাহর শরীয়তের বিপরীতে বহাল থাকা আইন বাস্তবায়ন করা এবং শরীয়ত বিরোধী নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করার শপথ ও অঙ্গীকার করে মনোনয়ন নিতে হবে। আর স্পষ্ট যে, এটি সর্বসম্মতভাবে কুফর। যে ব্যক্তি এমনটা করবে, সে সর্বসম্মতভাবে কাফের।
আর প্রার্থী হওয়ার অর্থ নির্বাচনে জয়লাভ করলে কাফের হয়ে যাবে- এই অঙ্গীকার করা। যে ব্যক্তি ভবিষ্যতে কাফের হয়ে যাবে বলে ইচ্ছা করেছে, সে এখনই কাফের হয়ে যাবে। অতএব, সংসদীয় নির্বাচনে যত প্রার্থী দাঁড়িয়েছে- পাস করুক আর ফেল করুক- সকলে ইতোমধ্যে কাফের হয়ে গেছে। পাস করার পর যখন শরীয়ত বিরোধী আইনগুলো বহাল রাখবে এবং নতুন নতুন শরীয়ত বিরোধী আইন করবে, তখন কুফর আরো বৃদ্ধি পাবে। অন্যথায় প্রার্থী হওয়ার সাথে সাথেই ইতোমধ্য কাফের হয়ে গেছে।
ইসলামী দলের প্রার্থীর বিধান
যে কুফরের কথা উপরে বলা হয়েছে, সে কুফরে ইসলামী প্রার্থীও লিপ্ত। এ হিসেবে তারাও কাফের হয়ে যাওয়ারই কথা। তবে তাদের তাবিলের কারণে- যদিও ভুল তাবিল হয়- আমরা তাদেরকে কাফের বলবো না। গোমরাহ ও হারামে লিপ্ত বলবো। আর তাদের বাকি হিসাব-নিকাশ আল্লাহর সাথে হবে।
দ্বিতীয়ত:
নির্বাচনে দাঁড়ানোর অর্থ: দেশব্যাপী অনাচার, অবিচার, খুন-খারাবী, সন্ত্রাসী, ডাকাতি, যিনা ব্যভিচার ও যাবতীয় অপকর্মের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। তবে বেশ-কম এতটুকু যে, আওয়ামী লীগ একটু বেশি করবে, বিএনপি একটু কম করবে। আর ইসলামী দল বিএনপির সমান বা কাছাকাছি করবে। তবে ব্যবধান হল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এগুলোকে হালাল ও বৈধ মনে করে করবে আর ইসলামী দল তাবিলের ভিত্তিতে বা হারাম মনে করে করবে। অর্থাৎ সকল দলই সব ধরণের অন্যায় অনাচার করবে, তবে ইসলামী দল একটু কম করবে এবং তাবিলের সাথে বা হারাম মনে করে করবে। ইসলাম কায়েম কারো দ্বারাই হবে না।
তাহলে প্রার্থী হওয়ার অর্থ হলো-
ক. নিজেকে বিধানদাতা ও রবরূপে দাঁড় করানো এবং এজন্য জনগণের সমর্থন ও সহায়তা কামনা করা।
খ. কাফের হয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করা এবং কুফর প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সমর্থন ও সহায়তা কামনা করা।
গ. সব ধরণের অন্যায় অনাচারের অঙ্গীকার করা এবং জনগণের কাছে এ জন্য সমর্থন ও সহায়তা কামনা করা।
ভোট
ভোটের অর্থ-
ক. কুফর প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন দেয়া।
খ. আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজেদের জন্য ভিন্ন মা’বূদ ও বিধানদাতা নির্ধারণের পক্ষে রায় দেয়া।
গ. সব ধরণের অন্যায় অনাচারের পক্ষে রায় দেয়া।
ভোটার
ক. কুফরের সমর্থক ও সহায়ক।
খ. আল্লাহকে বাদ দিয়ে মাখলুককে মা’বূদ ও বিধানদাতারূপে গ্রহণকারী।
গ. সব ধরণের অন্যায় অনাচারের সমর্থক ও সহায়ক।
তবে আমরা জনগণকে কাফের বলতে পারবো না বিশেষত দুই কারণে-
ক. ব্যাপকভাবে তাদের মাঝে অজ্ঞতা বিদ্যমান। যেসব মাসআলা আমরা বুঝতে পারছি, সেগুলো তাদের জানা নেই। আর সমাজটাও এমন যে, এখানে আলেমদের বিশাল অংশও মাসআলাগুলো বুঝে না। জনগণের কথা তো বলাই বাহুল্য। অতএব, উজর বিল জাহলের কারণে আমরা তাকফির করবো না।
খ. ব্যাপকভাবে তাবিল বিদ্যমান। জনগণ এ নিয়তে ভোট দেয় না যে, তারা কুফর বা হারামের সমর্থন করছে। অনেকে জানেও না যে, সংসদ সদস্যদের কাজ কি। তারা শুধু এতটুকু বুঝে যে, অমুক এমপি হলে উন্নয়ন হয় বেশি। অমুক হলে দ্বীনের কাজে সহায়তা করবে। অমুক হলে করবে না। অমুক হলে রাস্তাঘাট হয়। ভাতা-টাতা পাওয়া যায়। ইত্যাদি দুনিয়াবি সুবিধা। এ তাবিলের কারণে তাকফির করা যাবে না। তবে একান্তই যারা সব কিছু বুঝে এবং বুঝে শুনে ও কুফর বাস্তবায়নের জন্য ভোট দেবে- বিশেষত উচ্চ পর্যায়ের দলীয় ব্যক্তিরা- তারা কাফের হয়ে যাবে।
সারকথা
সংসদীয় নির্বাচনের সকল প্রার্থী কুফরে লিপ্ত। তবে ইসলামী দলের প্রার্থীদেরকে তাবিলের কারণে কাফের বলবো না। বাকিরা কাফের।
ভোট একটি হারাম ও কুফরি কাজ। তবে জনগণের জাহালত-অজ্ঞতা ও তাবিলের কারণে তাদের তাকফির করা হবে না।
বিশেষ আবেদন
তাকফিরের মাসআলা অনেক জটিল। ভাইদের কাছে আবেদন, আমরা জনগণের তাকফিরের পেছনে পড়বো না। আমাদের উচিৎ জনগণকে এ কুফর ও হারাম সম্পর্কে দরদ ও হেকমতের সাথে বুঝানো। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমীন।
প্রথমত:
যে কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে, তাকে অবশ্যই এ বলে মনোনয়ন নিতে হবে যে, সে সংবিধন বাস্তবায়ন ও সংরক্ষণ করবে। অধিকাংশ সংসদ সদস্য যে আইনে সম্মত হবে, সেটাই হবে আইন। সেটাকে সম্মান ও ইহতিরামের সাথে বাস্তবায়ন আবশ্যক হবে। এ শপথ নিয়েই তাকে মনোনয়ন নিতে হবে।
অর্থাৎ আল্লাহর শরীয়তের বিপরীতে বহাল থাকা আইন বাস্তবায়ন করা এবং শরীয়ত বিরোধী নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করার শপথ ও অঙ্গীকার করে মনোনয়ন নিতে হবে। আর স্পষ্ট যে, এটি সর্বসম্মতভাবে কুফর। যে ব্যক্তি এমনটা করবে, সে সর্বসম্মতভাবে কাফের।
আর প্রার্থী হওয়ার অর্থ নির্বাচনে জয়লাভ করলে কাফের হয়ে যাবে- এই অঙ্গীকার করা। যে ব্যক্তি ভবিষ্যতে কাফের হয়ে যাবে বলে ইচ্ছা করেছে, সে এখনই কাফের হয়ে যাবে। অতএব, সংসদীয় নির্বাচনে যত প্রার্থী দাঁড়িয়েছে- পাস করুক আর ফেল করুক- সকলে ইতোমধ্যে কাফের হয়ে গেছে। পাস করার পর যখন শরীয়ত বিরোধী আইনগুলো বহাল রাখবে এবং নতুন নতুন শরীয়ত বিরোধী আইন করবে, তখন কুফর আরো বৃদ্ধি পাবে। অন্যথায় প্রার্থী হওয়ার সাথে সাথেই ইতোমধ্য কাফের হয়ে গেছে।
ইসলামী দলের প্রার্থীর বিধান
যে কুফরের কথা উপরে বলা হয়েছে, সে কুফরে ইসলামী প্রার্থীও লিপ্ত। এ হিসেবে তারাও কাফের হয়ে যাওয়ারই কথা। তবে তাদের তাবিলের কারণে- যদিও ভুল তাবিল হয়- আমরা তাদেরকে কাফের বলবো না। গোমরাহ ও হারামে লিপ্ত বলবো। আর তাদের বাকি হিসাব-নিকাশ আল্লাহর সাথে হবে।
দ্বিতীয়ত:
নির্বাচনে দাঁড়ানোর অর্থ: দেশব্যাপী অনাচার, অবিচার, খুন-খারাবী, সন্ত্রাসী, ডাকাতি, যিনা ব্যভিচার ও যাবতীয় অপকর্মের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। তবে বেশ-কম এতটুকু যে, আওয়ামী লীগ একটু বেশি করবে, বিএনপি একটু কম করবে। আর ইসলামী দল বিএনপির সমান বা কাছাকাছি করবে। তবে ব্যবধান হল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এগুলোকে হালাল ও বৈধ মনে করে করবে আর ইসলামী দল তাবিলের ভিত্তিতে বা হারাম মনে করে করবে। অর্থাৎ সকল দলই সব ধরণের অন্যায় অনাচার করবে, তবে ইসলামী দল একটু কম করবে এবং তাবিলের সাথে বা হারাম মনে করে করবে। ইসলাম কায়েম কারো দ্বারাই হবে না।
তাহলে প্রার্থী হওয়ার অর্থ হলো-
ক. নিজেকে বিধানদাতা ও রবরূপে দাঁড় করানো এবং এজন্য জনগণের সমর্থন ও সহায়তা কামনা করা।
খ. কাফের হয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করা এবং কুফর প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সমর্থন ও সহায়তা কামনা করা।
গ. সব ধরণের অন্যায় অনাচারের অঙ্গীকার করা এবং জনগণের কাছে এ জন্য সমর্থন ও সহায়তা কামনা করা।
ভোট
ভোটের অর্থ-
ক. কুফর প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন দেয়া।
খ. আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজেদের জন্য ভিন্ন মা’বূদ ও বিধানদাতা নির্ধারণের পক্ষে রায় দেয়া।
গ. সব ধরণের অন্যায় অনাচারের পক্ষে রায় দেয়া।
ভোটার
ক. কুফরের সমর্থক ও সহায়ক।
খ. আল্লাহকে বাদ দিয়ে মাখলুককে মা’বূদ ও বিধানদাতারূপে গ্রহণকারী।
গ. সব ধরণের অন্যায় অনাচারের সমর্থক ও সহায়ক।
তাহলে স্পষ্ট, ভোট একটি কুফরী ও হারাম কাজ।
তবে আমরা জনগণকে কাফের বলতে পারবো না বিশেষত দুই কারণে-
ক. ব্যাপকভাবে তাদের মাঝে অজ্ঞতা বিদ্যমান। যেসব মাসআলা আমরা বুঝতে পারছি, সেগুলো তাদের জানা নেই। আর সমাজটাও এমন যে, এখানে আলেমদের বিশাল অংশও মাসআলাগুলো বুঝে না। জনগণের কথা তো বলাই বাহুল্য। অতএব, উজর বিল জাহলের কারণে আমরা তাকফির করবো না।
খ. ব্যাপকভাবে তাবিল বিদ্যমান। জনগণ এ নিয়তে ভোট দেয় না যে, তারা কুফর বা হারামের সমর্থন করছে। অনেকে জানেও না যে, সংসদ সদস্যদের কাজ কি। তারা শুধু এতটুকু বুঝে যে, অমুক এমপি হলে উন্নয়ন হয় বেশি। অমুক হলে দ্বীনের কাজে সহায়তা করবে। অমুক হলে করবে না। অমুক হলে রাস্তাঘাট হয়। ভাতা-টাতা পাওয়া যায়। ইত্যাদি দুনিয়াবি সুবিধা। এ তাবিলের কারণে তাকফির করা যাবে না। তবে একান্তই যারা সব কিছু বুঝে এবং বুঝে শুনে ও কুফর বাস্তবায়নের জন্য ভোট দেবে- বিশেষত উচ্চ পর্যায়ের দলীয় ব্যক্তিরা- তারা কাফের হয়ে যাবে।
সারকথা
সংসদীয় নির্বাচনের সকল প্রার্থী কুফরে লিপ্ত। তবে ইসলামী দলের প্রার্থীদেরকে তাবিলের কারণে কাফের বলবো না। বাকিরা কাফের।
ভোট একটি হারাম ও কুফরি কাজ। তবে জনগণের জাহালত-অজ্ঞতা ও তাবিলের কারণে তাদের তাকফির করা হবে না।
বিশেষ আবেদন
তাকফিরের মাসআলা অনেক জটিল। ভাইদের কাছে আবেদন, আমরা জনগণের তাকফিরের পেছনে পড়বো না। আমাদের উচিৎ জনগণকে এ কুফর ও হারাম সম্পর্কে দরদ ও হেকমতের সাথে বুঝানো। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমীন।
Comment