স্কুল-কলেজের সরকারী সিলেবাসভুক্ত বইগুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা ও আন্তরিক নিবেদন নিয়ে ধারাবাহিক প্রকাশনাঃ- সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০৭ ।
(বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও সরকারী পাঠ্যবই। তুমুল ইসলাম বিদ্বেষের অপর এক নাম। এই সিরিজের প্রতিটি পর্বে শিক্ষা কারিকুলাম ও সরকারী পাঠ্যবইগুলোর বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গতানুগতিক আলোচনার বাইরে গিয়ে বইগুলোর সঠিক-ভুল তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সবাই যেভাবে লেখে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি ইস্যু নিয়েই লেখা হয়নি। বরং বইয়ের যেই যেই বিষয়ই ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে সব বিষয়েই লেখা হচ্ছে। আল্লাহই একমাত্র তাওফীকদাতা। প্রিয় পাঠক! আপনার সার্বিক সহায়তা কামনা করি। সকলে যার যার স্থান থেকে সিরিজটিকে বেশি বেশি প্রচার করার চেষ্টা করি। হিন্দুত্ববাদের ভয়াবহ হুমকির মোকাবেলায় তাওহীদের সুমহান বাণী ছড়িয়ে দেই; বাংলার আনাচে কানাচে!)
প্রিয় পাঠক! আজ আমরা জানব নিকোলাস ডে সম্পর্কে। নিকোলাস ডে। এই নামে কোনো দিবস চেনেন আপনি? সম্ভবত না। কিন্তু না চিনলেও আপনাকে এখন চিনতে হবে। প্রয়োজন না থাকলেও আপনাকে এবিষয়ে জানতে হবে! কেন? কারণ, মানবজয়ের গল্প। এমন একটি গল্প এখানে কপি করতে চাচ্ছিলাম না। কারণ এতে প্রকৃতপক্ষে সেই গল্পেরই প্রচার হয়ে যায়। তবুও সম্মানিত পাঠকবর্গের বোঝার সুবিধার্থে কপি করে দিলাম। তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা বইয়ের ৬৮ নম্বর পৃষ্ঠা।
অনেক অনেক দিন আগের কথা। তুরস্কের একটি গ্রামের নাম ছিল পাতারা। সমুদ্রপারের সেই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন একটি শিশু। তাঁর নাম রাখা হয় নিকোলাস। নিকোলাস মানে মানব জয়। নিকোলাসের পিতামাতা ধনী ছিলেন। তিনি অল্প বয়েসেই পিতামাতাকে হারান। নিকোলাস বেড়ে ওঠেন এতিম হিসেবে। সেজন্য বাবা-মা ছাড়া বড়ো হওয়ার কষ্ট তিনি বুঝতেন। বড়ো হয়ে তিনি দয়ালু মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি তাঁর পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে শুরু করেন। তিনি শিশুদের উপহার দিতে পছন্দ করতেন। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াতেন। গরিব-দুঃখী মানুষের সন্ধান করতেন। যেখানেই গরিব মানুষ দেখতেন, তাদের সাহায্য করতেন। শিশুদের ভালবাসতেন। শিশুদের নানা উপহার দিতেন। তাঁর এই দানশীলতার কথা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সবাই তাঁকে ভালবাসতে শুরু করে। বিশেষ দিনে শিশুদের উপহার দেওয়ার রীতিও চালু হয়। ৬ই ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু দিবস। পৃথিবীর অনেক দেশ দিনটিকে ‘নিকোলাস ডে’ হিসেবে পালন করে। এ দিনে শিশুদের আনন্দের নানা আয়োজন হয়। উপহার দেওয়া হয়। শিশুদের নিয়ে মজার মজার খাবার খাওয়া হয়।
প্রিয় পাঠক! নিকোলাস ডে নামে এদেশের মানুষ কোনো দিবসকে চিনেনা। অথচ দেখুন এমন একটি অপ্রয়োজনীয় ও বিরক্তিকর দিবসকে কিভাবে সুকৌশলে পরিচিতি দেওয়া হচ্ছে! শিশুদের মনমগজে ঢুকিয়ে দিচ্ছে! আমরা সবাই জানি, শিশু ও বাল্যবয়সে যা পড়েছি; সেই পড়াগুলো সব মনে না থাকলেও সেগুলোর অর্তর্নিহীত মেসেজ আমাদের অন্তরে কিন্তু আজো গেঁথে আছে। ঠিক এই ব্যাপারটিই আপনার সন্তানদের ব্যাপারে কল্পনা করুন। এই ব্যাপারগুলো সামনে রেখে আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে একটু ভাবুন। তাদের অন্তরেও আজকের পাঠগুলো বসে যাবে, দীর্ঘদিনের জন্য । হয়তবা সারা জীবনেরও জন্য।
আজ আপনি হয়ত নিকোলাস ডে নামে ইউরোপে পালিত এই ব্যাপারটিকে তেমন একটা গুরুত্ব দিবেন না। কিন্তু আপনার সন্তান এবং পরবর্তী প্রজন্ম ঠিকই ইউরোপীয়দের মতো দিবসটিকে পালন করার জন্য এই দেশে আন্দোলন করবে। সেই সময়টির ব্যাপারে চিন্তা করুন।
বাংলাদেশে পাগলের অভাব পড়েছে নাকি পালন করার জন্য দিবসের অভাব পড়েছে? নতুন দিবস আমদানী করার মানে কী? যখন দেশে প্রতিটি মাসেই সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে নাম জানা-অজানা গড়ে ১০/১২ টি দিবস থাকেই; তখন দেশের মানুষকে নতুনভাবে বিরক্ত করার কী দরকার ? এই দিবস পালিত হওয়া কি খুবই জরুরি? তাহলে শুধু শুধু কেন শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠ্যবইতে এসব নিয়ে পাগলামি করা হচ্ছে?
একটা শিক্ষাব্যবস্থার বাৎসরিক ছুটি যখন তার বাৎসরিক কার্যদিবস থেকেও কম; তখন এই শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আমরা ভালো আর কী আশা করতে পারি?
কিন্তু এটিও মূল বিষয় নয়। এর চেয়েও জঘন্যতম বিষয় হলো, শিশুদেরকে দানশীলতার কথা শেখানোর জন্য কেন নিকোলাস নামক খৃষ্টান যাজককেই আনতে হলো? ইসলামের ইতিহাসে দানশীলতার অভাব পড়েছে নাকি? ইসলামের সোনালী ইতিহাসে এতো দয়া দানশীলতা রহমত সহমর্মীতা ও ত্যাগের সত্য-সত্য ঘটনাবলী থাকার পরও কেন ইউরোপীয়দের থেকেই দানশীলতা আমদানি করতে হয়? ইউরোপীয়রা কোনদিন থেকে দানশীল? ইউরোপীয়রা কোন-দিন থেকে সভ্য হলো? আরে তাদের ইতিহাসে একদিন যা সভ্যতা ছিল তা তো তাদেরকে আমরা মুসলিমরাই শিখিয়েছিলাম। তারা যে আজ বেঁচে আছে তা তো আমাদের মুসলিম সুলতান ও মুসলিম উম্মাহর দয়ার কারণে। আজ তাদের থেকেই আমাদের সভ্যতা, দয়া ও দানশীলতার পাঠ নিতে হবে? কতো বড়ো জুলুম এবং কী নিগুঢ় অন্ধত্ব এটা!
৮০০ বৎসর শাসন করার পরও কোনো ভূখণ্ডে বিরোধী মতালম্বীরা বেঁচে থাকতে পারে? ইউরোপের খৃষ্টানরা; তাদের জানমাল তো মুসলিমদের দয়ার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। হিন্দুস্তানের হিন্দুরা তাদের বেঁচে থাকা তো আমাদের করুণার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। তারপরও বিজাতিদের থেকেই আমাদের সভ্যতা শিখতে হবে? দয়া-দানশীলতা কাকে বলে শিখতে হবে? নিজেদের সোনালী অতীত ও সোনালী ইতিহাস ভুলে যাওয়ার চেয়ে ভয়ঙ্কর অধঃপতন কোনো জাতির জন্য আর কী হতে পারে?
আল্লাহ যাদেরকে অন্ধ করে দেন, তারা চোখ থেকেও দেখতে পায় না। কান থেকেও শুনতে পায় না । এবং অন্তর থাকা সত্বেও বুঝতে পারে না। এই বইগুলো যারা লিখেছে এবং এই শিক্ষাব্যবস্থা যারা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা কি আসলে অন্ধ? নাকি অন্ধত্বের ভান ধরেছে? এরকম অন্ধ কোনো ব্যক্তি বা অন্ধত্বে আক্রান্ত কোনো গোষ্ঠী একটি শিক্ষাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক কিভাবে হতে পারে? কিছু অন্ধ ব্যক্তি কিভাবে একটি শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? এই ভূমিতে কি চক্ষুষ্মান একজন ব্যক্তিও নেই?
ইসলামের ইতিহাসে দয়া দানশীলতা ও রহমত করুণার কিছু দাস্তান নিয়ে আমরা আলাদা পর্বে আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ।
আইন কিনা জানিনা । হয়ত ঘোষিত বা অঘোষিত এই ধরনের আইন থাকতে পারে। ইদানিং দেখতেছি প্রতিটি শ্রেণীর সরকারী পাঠ্যবইগুলোতে মুজিবের প্রশংসা, সাহস আর বাঙালির জন্য তার ত্যাগের(!) একটি পাঠ অবশ্যই থাকতেছে।
আসলে মুজিব আর মুজিবাবাদ সম্পর্কে কী আর বলব। এবিষয়ে নতুন করে আর কিছু বলার ইচ্ছা নেই। শুধু পাঠকদের বলব, youtuve চ্যানেল REALITY CHECK BD থেকে মুজিবের প্লেলিস্টের ডকুমেন্টারি ভিডিওগুলো দেখে নিলে ভালো হবে। মুজিব এবং মুজিববাদ সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা সম্ভবত ফোরামে দেখেছিলাম। আগ্রহী পাঠকদের জন্য ইনশাআল্লাহ সবগুলোকে একটি থ্রেডে একত্রিত করে দেব।
তবে একথা তো স্পষ্ট যে, হাসিনা সরকার আমাদের সন্তানদেরকে মুজিবের নোংরা আদর্শের সৈনিক বানাতে আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। বর্তমানে মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদ প্রায় একই জিনিস। তাই এই বর্তমান মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদ সম্পর্কে জেনে রাখা সময়ের দাবী।
সামনে আগাই। ৮৫ নম্বর পৃষ্ঠার নতুন একটি পাঠ: প্রতিযোগিতায় নাম লিখি।
নোমান স্যার বললেন, স্কুলে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তোমরা অংশ নিতে চাও? অনেকেই বললো, জি স্যার। স্যার জিজ্ঞেস করলেন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কী কী হয় জানো?
মিতু বলল, গানের প্রতিযোগিতা হয়। রাজু বলল, ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা হয়। ঝিমিত বলল, গল্প বলার প্রতিযোগিতাও হয়। নোমান স্যার বললেন, হ্যাঁ, এগুলো সব হয়।
ঝিমিত বলল, আমি গল্প বলায় অংশ নেবো। গল্প বলতে আমার ভালো লাগে। স্যার বললেন, খুব ভালো। চলো, এবার একটা ছক আঁকি। ছকটিতে নিজের ভালো লাগার কথা লিখি। - আমার বাংলা বই, তৃতীয় শ্রেণী, পৃষ্ঠা ৮৫।
প্রিয় পাঠক! দেখুন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কীসের প্রতিযোগিতা হয়। ছোট ছোট শিশুদেরকে, ছেলেমেয়েদের কী শেখানো হচ্ছে। তাদেরকে কীসে অভ্যস্ত করানো হচ্ছে? দেখুন, তারা গানের প্রতিযোগিতা করে। ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা করে। সামনে পরের পৃষ্ঠার একটি বিজ্ঞপ্তিতে তারা নাচেরও প্রতিযোগিতা করে। দেশের গান গায়। গাইতে গাইতে কখনো কখনো গেয়ে ফেলে বিদেশি গানের দু'এক কলি'ও।
এখানেও আমাদের প্রশ্ন একই। আমাদের দুশ্চিন্তা এক জায়গাতেই। আমাদের সকল আশঙ্কার কেন্দ্রবিন্দু একটিই। আর সেটি হলো, শিশুরা দ্বীন না শিখে গান শিখবে কেন? তেলাওয়াত না করে গান গাইবে কেন? ইলমী চর্চা না করে গান গাইবে কেন? শিশুদের জন্য শিশুদের মেধানুযায়ী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। কিন্তু কোনো গানের অনুষ্ঠান না, কোনো নাচের অনুষ্ঠান না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত না করে গান আবৃতি করবে কেন? একজন মুসলিম সংস্কৃতির নামে নাচানাচি করবে কেন? একটি শিশুকে এই হারাম কাজগুলো শেখানো হচ্ছে কেন? ছোটবেলা থেকেই এগুলোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কেন? কী উদ্দেশ্যে? আমাদের সংস্কৃতি কী? আমাদের ইতিহাস কী? আমাদের আনন্দ কীসে ? আমাদের ছেলেমেয়েরা কীভাবে খেলা করে এবং কীভাবে আনন্দ করে? আমাদের সংস্কৃতি কি আমরা ইসলাম থেকে নেব? নাকি হিন্দুদের থেকে নেব? আমাদের ধর্ম কি আমাদের কোনো সংস্কৃতি শেখায় না? সুস্থ সংস্কৃতি? সুস্থ সংস্কৃতি কোনটি? এভাবে নাচানাচি করা আর গান গাওয়া কি সুস্থ সংস্কৃতিরই অংশ ? নাকি এটাই মূলত অসুস্থ সংস্কৃতি? এটাই মূলত দ্বীনহীনতা এবং এটাই মূলত জাহান্নামে নেওয়ার মাধ্যম? এটা কি আল্লাহর বান্দাদের কাজ? নাকি আল্লাহর শত্রুদের কাজ?
ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল নোংরামি ও আমাদের মুসলিম সমাজের জ্ঞানদীনতা এবং অজ্ঞতার কারণে যখন শিশুরা জন্মের পর থেকেই গান ছবি মিউজিক কার্টুন ইত্যাদি ডুবে থাকে, তখন এই শিশুদেরকে বাঁচার জন্য, আসল মানুষ বানানোর জন্য একটি মাধ্যম মাত্র ছিল তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একি অবস্থা! যদি শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের কাছ থেকেই নাচ গান শিখে আসে? পাঠ্যপুস্তকেই নাচের আসর বসানো হয়? এই অধঃপতনের দায় কার? এর সমাধান কীভাবে? নাকি এর কোনো সমাধানের প্রয়োজন নেই?
হে মুসলিম! সহশিক্ষাকে বয়কট করুন। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে বয়কট করুন। হারাম ও নোংরা এই শিক্ষাব্যবস্থাকে বয়কট করুন। মুসলিম জাতিকে ও প্রজন্মকে উদ্ধার করুন। সঠিক শিক্ষার জন্য হক্কানী ওলামাদের শরণাপন্ন হোন। আজই হোন। অন্তত আপনার সন্তানদেরকে আজ থেকেই নিয়মিত মক্তবে পাঠান। আমাদের আখেরাতের ডাক কোনদিন চলে আসে, আমরা তা জানি না। হে আল্লাহ, আমাদেরকে ও আমাদের প্রজন্মকে শয়তানের নোংরা চক্রান্ত থেকে হেফাযত করুন। আমিন।
ধারাবাহিক চলবে......। আপনাদের মতামত জানাবেন। জাযাকুমুল্লাহ।
- তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা বইটিতে খুবই নোংরাভাবে শিশুদেরকে মানবধর্মে দীক্ষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
- বইতে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে আমাদের মুসলিমদেরকে হিন্দু ও বিজাতীয়দের সাথে ভাই ভাই দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
- ইসলামী শরীয়াহ' মতে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খৃষ্টান সহ দুনিয়াতে ইসলাম ব্যতিত যত ধর্ম বা মতবাদ আছে সব মিথ্যা হওয়ার কারণে দুনিয়াতে এসব ধর্মের প্রচার প্রচারণাও নিষিদ্ধ।
বিস্তারিত জানতে পড়ুন; সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০৬
https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/ফিতনা/196761
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা তুমুল ইসলাম বিদ্বেষের অপর এক নাম || সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০৮
https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/ফিতনা/197186
(বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও সরকারী পাঠ্যবই। তুমুল ইসলাম বিদ্বেষের অপর এক নাম। এই সিরিজের প্রতিটি পর্বে শিক্ষা কারিকুলাম ও সরকারী পাঠ্যবইগুলোর বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গতানুগতিক আলোচনার বাইরে গিয়ে বইগুলোর সঠিক-ভুল তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সবাই যেভাবে লেখে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি ইস্যু নিয়েই লেখা হয়নি। বরং বইয়ের যেই যেই বিষয়ই ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে সব বিষয়েই লেখা হচ্ছে। আল্লাহই একমাত্র তাওফীকদাতা। প্রিয় পাঠক! আপনার সার্বিক সহায়তা কামনা করি। সকলে যার যার স্থান থেকে সিরিজটিকে বেশি বেশি প্রচার করার চেষ্টা করি। হিন্দুত্ববাদের ভয়াবহ হুমকির মোকাবেলায় তাওহীদের সুমহান বাণী ছড়িয়ে দেই; বাংলার আনাচে কানাচে!)
প্রিয় পাঠক! আজ আমরা জানব নিকোলাস ডে সম্পর্কে। নিকোলাস ডে। এই নামে কোনো দিবস চেনেন আপনি? সম্ভবত না। কিন্তু না চিনলেও আপনাকে এখন চিনতে হবে। প্রয়োজন না থাকলেও আপনাকে এবিষয়ে জানতে হবে! কেন? কারণ, মানবজয়ের গল্প। এমন একটি গল্প এখানে কপি করতে চাচ্ছিলাম না। কারণ এতে প্রকৃতপক্ষে সেই গল্পেরই প্রচার হয়ে যায়। তবুও সম্মানিত পাঠকবর্গের বোঝার সুবিধার্থে কপি করে দিলাম। তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা বইয়ের ৬৮ নম্বর পৃষ্ঠা।
অনেক অনেক দিন আগের কথা। তুরস্কের একটি গ্রামের নাম ছিল পাতারা। সমুদ্রপারের সেই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন একটি শিশু। তাঁর নাম রাখা হয় নিকোলাস। নিকোলাস মানে মানব জয়। নিকোলাসের পিতামাতা ধনী ছিলেন। তিনি অল্প বয়েসেই পিতামাতাকে হারান। নিকোলাস বেড়ে ওঠেন এতিম হিসেবে। সেজন্য বাবা-মা ছাড়া বড়ো হওয়ার কষ্ট তিনি বুঝতেন। বড়ো হয়ে তিনি দয়ালু মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি তাঁর পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে শুরু করেন। তিনি শিশুদের উপহার দিতে পছন্দ করতেন। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াতেন। গরিব-দুঃখী মানুষের সন্ধান করতেন। যেখানেই গরিব মানুষ দেখতেন, তাদের সাহায্য করতেন। শিশুদের ভালবাসতেন। শিশুদের নানা উপহার দিতেন। তাঁর এই দানশীলতার কথা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সবাই তাঁকে ভালবাসতে শুরু করে। বিশেষ দিনে শিশুদের উপহার দেওয়ার রীতিও চালু হয়। ৬ই ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু দিবস। পৃথিবীর অনেক দেশ দিনটিকে ‘নিকোলাস ডে’ হিসেবে পালন করে। এ দিনে শিশুদের আনন্দের নানা আয়োজন হয়। উপহার দেওয়া হয়। শিশুদের নিয়ে মজার মজার খাবার খাওয়া হয়।
প্রিয় পাঠক! নিকোলাস ডে নামে এদেশের মানুষ কোনো দিবসকে চিনেনা। অথচ দেখুন এমন একটি অপ্রয়োজনীয় ও বিরক্তিকর দিবসকে কিভাবে সুকৌশলে পরিচিতি দেওয়া হচ্ছে! শিশুদের মনমগজে ঢুকিয়ে দিচ্ছে! আমরা সবাই জানি, শিশু ও বাল্যবয়সে যা পড়েছি; সেই পড়াগুলো সব মনে না থাকলেও সেগুলোর অর্তর্নিহীত মেসেজ আমাদের অন্তরে কিন্তু আজো গেঁথে আছে। ঠিক এই ব্যাপারটিই আপনার সন্তানদের ব্যাপারে কল্পনা করুন। এই ব্যাপারগুলো সামনে রেখে আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে একটু ভাবুন। তাদের অন্তরেও আজকের পাঠগুলো বসে যাবে, দীর্ঘদিনের জন্য । হয়তবা সারা জীবনেরও জন্য।
আজ আপনি হয়ত নিকোলাস ডে নামে ইউরোপে পালিত এই ব্যাপারটিকে তেমন একটা গুরুত্ব দিবেন না। কিন্তু আপনার সন্তান এবং পরবর্তী প্রজন্ম ঠিকই ইউরোপীয়দের মতো দিবসটিকে পালন করার জন্য এই দেশে আন্দোলন করবে। সেই সময়টির ব্যাপারে চিন্তা করুন।
বাংলাদেশে পাগলের অভাব পড়েছে নাকি পালন করার জন্য দিবসের অভাব পড়েছে? নতুন দিবস আমদানী করার মানে কী? যখন দেশে প্রতিটি মাসেই সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে নাম জানা-অজানা গড়ে ১০/১২ টি দিবস থাকেই; তখন দেশের মানুষকে নতুনভাবে বিরক্ত করার কী দরকার ? এই দিবস পালিত হওয়া কি খুবই জরুরি? তাহলে শুধু শুধু কেন শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠ্যবইতে এসব নিয়ে পাগলামি করা হচ্ছে?
একটা শিক্ষাব্যবস্থার বাৎসরিক ছুটি যখন তার বাৎসরিক কার্যদিবস থেকেও কম; তখন এই শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আমরা ভালো আর কী আশা করতে পারি?
কিন্তু এটিও মূল বিষয় নয়। এর চেয়েও জঘন্যতম বিষয় হলো, শিশুদেরকে দানশীলতার কথা শেখানোর জন্য কেন নিকোলাস নামক খৃষ্টান যাজককেই আনতে হলো? ইসলামের ইতিহাসে দানশীলতার অভাব পড়েছে নাকি? ইসলামের সোনালী ইতিহাসে এতো দয়া দানশীলতা রহমত সহমর্মীতা ও ত্যাগের সত্য-সত্য ঘটনাবলী থাকার পরও কেন ইউরোপীয়দের থেকেই দানশীলতা আমদানি করতে হয়? ইউরোপীয়রা কোনদিন থেকে দানশীল? ইউরোপীয়রা কোন-দিন থেকে সভ্য হলো? আরে তাদের ইতিহাসে একদিন যা সভ্যতা ছিল তা তো তাদেরকে আমরা মুসলিমরাই শিখিয়েছিলাম। তারা যে আজ বেঁচে আছে তা তো আমাদের মুসলিম সুলতান ও মুসলিম উম্মাহর দয়ার কারণে। আজ তাদের থেকেই আমাদের সভ্যতা, দয়া ও দানশীলতার পাঠ নিতে হবে? কতো বড়ো জুলুম এবং কী নিগুঢ় অন্ধত্ব এটা!
৮০০ বৎসর শাসন করার পরও কোনো ভূখণ্ডে বিরোধী মতালম্বীরা বেঁচে থাকতে পারে? ইউরোপের খৃষ্টানরা; তাদের জানমাল তো মুসলিমদের দয়ার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। হিন্দুস্তানের হিন্দুরা তাদের বেঁচে থাকা তো আমাদের করুণার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। তারপরও বিজাতিদের থেকেই আমাদের সভ্যতা শিখতে হবে? দয়া-দানশীলতা কাকে বলে শিখতে হবে? নিজেদের সোনালী অতীত ও সোনালী ইতিহাস ভুলে যাওয়ার চেয়ে ভয়ঙ্কর অধঃপতন কোনো জাতির জন্য আর কী হতে পারে?
আল্লাহ যাদেরকে অন্ধ করে দেন, তারা চোখ থেকেও দেখতে পায় না। কান থেকেও শুনতে পায় না । এবং অন্তর থাকা সত্বেও বুঝতে পারে না। এই বইগুলো যারা লিখেছে এবং এই শিক্ষাব্যবস্থা যারা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা কি আসলে অন্ধ? নাকি অন্ধত্বের ভান ধরেছে? এরকম অন্ধ কোনো ব্যক্তি বা অন্ধত্বে আক্রান্ত কোনো গোষ্ঠী একটি শিক্ষাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক কিভাবে হতে পারে? কিছু অন্ধ ব্যক্তি কিভাবে একটি শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? এই ভূমিতে কি চক্ষুষ্মান একজন ব্যক্তিও নেই?
ইসলামের ইতিহাসে দয়া দানশীলতা ও রহমত করুণার কিছু দাস্তান নিয়ে আমরা আলাদা পর্বে আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ।
আইন কিনা জানিনা । হয়ত ঘোষিত বা অঘোষিত এই ধরনের আইন থাকতে পারে। ইদানিং দেখতেছি প্রতিটি শ্রেণীর সরকারী পাঠ্যবইগুলোতে মুজিবের প্রশংসা, সাহস আর বাঙালির জন্য তার ত্যাগের(!) একটি পাঠ অবশ্যই থাকতেছে।
আসলে মুজিব আর মুজিবাবাদ সম্পর্কে কী আর বলব। এবিষয়ে নতুন করে আর কিছু বলার ইচ্ছা নেই। শুধু পাঠকদের বলব, youtuve চ্যানেল REALITY CHECK BD থেকে মুজিবের প্লেলিস্টের ডকুমেন্টারি ভিডিওগুলো দেখে নিলে ভালো হবে। মুজিব এবং মুজিববাদ সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা সম্ভবত ফোরামে দেখেছিলাম। আগ্রহী পাঠকদের জন্য ইনশাআল্লাহ সবগুলোকে একটি থ্রেডে একত্রিত করে দেব।
তবে একথা তো স্পষ্ট যে, হাসিনা সরকার আমাদের সন্তানদেরকে মুজিবের নোংরা আদর্শের সৈনিক বানাতে আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। বর্তমানে মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদ প্রায় একই জিনিস। তাই এই বর্তমান মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদ সম্পর্কে জেনে রাখা সময়ের দাবী।
সামনে আগাই। ৮৫ নম্বর পৃষ্ঠার নতুন একটি পাঠ: প্রতিযোগিতায় নাম লিখি।
নোমান স্যার বললেন, স্কুলে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তোমরা অংশ নিতে চাও? অনেকেই বললো, জি স্যার। স্যার জিজ্ঞেস করলেন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কী কী হয় জানো?
মিতু বলল, গানের প্রতিযোগিতা হয়। রাজু বলল, ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা হয়। ঝিমিত বলল, গল্প বলার প্রতিযোগিতাও হয়। নোমান স্যার বললেন, হ্যাঁ, এগুলো সব হয়।
ঝিমিত বলল, আমি গল্প বলায় অংশ নেবো। গল্প বলতে আমার ভালো লাগে। স্যার বললেন, খুব ভালো। চলো, এবার একটা ছক আঁকি। ছকটিতে নিজের ভালো লাগার কথা লিখি। - আমার বাংলা বই, তৃতীয় শ্রেণী, পৃষ্ঠা ৮৫।
প্রিয় পাঠক! দেখুন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কীসের প্রতিযোগিতা হয়। ছোট ছোট শিশুদেরকে, ছেলেমেয়েদের কী শেখানো হচ্ছে। তাদেরকে কীসে অভ্যস্ত করানো হচ্ছে? দেখুন, তারা গানের প্রতিযোগিতা করে। ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা করে। সামনে পরের পৃষ্ঠার একটি বিজ্ঞপ্তিতে তারা নাচেরও প্রতিযোগিতা করে। দেশের গান গায়। গাইতে গাইতে কখনো কখনো গেয়ে ফেলে বিদেশি গানের দু'এক কলি'ও।
এখানেও আমাদের প্রশ্ন একই। আমাদের দুশ্চিন্তা এক জায়গাতেই। আমাদের সকল আশঙ্কার কেন্দ্রবিন্দু একটিই। আর সেটি হলো, শিশুরা দ্বীন না শিখে গান শিখবে কেন? তেলাওয়াত না করে গান গাইবে কেন? ইলমী চর্চা না করে গান গাইবে কেন? শিশুদের জন্য শিশুদের মেধানুযায়ী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। কিন্তু কোনো গানের অনুষ্ঠান না, কোনো নাচের অনুষ্ঠান না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত না করে গান আবৃতি করবে কেন? একজন মুসলিম সংস্কৃতির নামে নাচানাচি করবে কেন? একটি শিশুকে এই হারাম কাজগুলো শেখানো হচ্ছে কেন? ছোটবেলা থেকেই এগুলোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কেন? কী উদ্দেশ্যে? আমাদের সংস্কৃতি কী? আমাদের ইতিহাস কী? আমাদের আনন্দ কীসে ? আমাদের ছেলেমেয়েরা কীভাবে খেলা করে এবং কীভাবে আনন্দ করে? আমাদের সংস্কৃতি কি আমরা ইসলাম থেকে নেব? নাকি হিন্দুদের থেকে নেব? আমাদের ধর্ম কি আমাদের কোনো সংস্কৃতি শেখায় না? সুস্থ সংস্কৃতি? সুস্থ সংস্কৃতি কোনটি? এভাবে নাচানাচি করা আর গান গাওয়া কি সুস্থ সংস্কৃতিরই অংশ ? নাকি এটাই মূলত অসুস্থ সংস্কৃতি? এটাই মূলত দ্বীনহীনতা এবং এটাই মূলত জাহান্নামে নেওয়ার মাধ্যম? এটা কি আল্লাহর বান্দাদের কাজ? নাকি আল্লাহর শত্রুদের কাজ?
ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল নোংরামি ও আমাদের মুসলিম সমাজের জ্ঞানদীনতা এবং অজ্ঞতার কারণে যখন শিশুরা জন্মের পর থেকেই গান ছবি মিউজিক কার্টুন ইত্যাদি ডুবে থাকে, তখন এই শিশুদেরকে বাঁচার জন্য, আসল মানুষ বানানোর জন্য একটি মাধ্যম মাত্র ছিল তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একি অবস্থা! যদি শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের কাছ থেকেই নাচ গান শিখে আসে? পাঠ্যপুস্তকেই নাচের আসর বসানো হয়? এই অধঃপতনের দায় কার? এর সমাধান কীভাবে? নাকি এর কোনো সমাধানের প্রয়োজন নেই?
হে মুসলিম! সহশিক্ষাকে বয়কট করুন। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে বয়কট করুন। হারাম ও নোংরা এই শিক্ষাব্যবস্থাকে বয়কট করুন। মুসলিম জাতিকে ও প্রজন্মকে উদ্ধার করুন। সঠিক শিক্ষার জন্য হক্কানী ওলামাদের শরণাপন্ন হোন। আজই হোন। অন্তত আপনার সন্তানদেরকে আজ থেকেই নিয়মিত মক্তবে পাঠান। আমাদের আখেরাতের ডাক কোনদিন চলে আসে, আমরা তা জানি না। হে আল্লাহ, আমাদেরকে ও আমাদের প্রজন্মকে শয়তানের নোংরা চক্রান্ত থেকে হেফাযত করুন। আমিন।
ধারাবাহিক চলবে......। আপনাদের মতামত জানাবেন। জাযাকুমুল্লাহ।
- তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা বইটিতে খুবই নোংরাভাবে শিশুদেরকে মানবধর্মে দীক্ষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
- বইতে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে আমাদের মুসলিমদেরকে হিন্দু ও বিজাতীয়দের সাথে ভাই ভাই দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
- ইসলামী শরীয়াহ' মতে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খৃষ্টান সহ দুনিয়াতে ইসলাম ব্যতিত যত ধর্ম বা মতবাদ আছে সব মিথ্যা হওয়ার কারণে দুনিয়াতে এসব ধর্মের প্রচার প্রচারণাও নিষিদ্ধ।
বিস্তারিত জানতে পড়ুন; সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০৬
https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/ফিতনা/196761
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা তুমুল ইসলাম বিদ্বেষের অপর এক নাম || সরকারী পাঠ্যবই ও ইসলাম । পর্ব - ০৮
https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/ফিতনা/197186
Comment