“আরব বিশ্বে ইসরাইলের আগ্রাসী নীল নকশা
।।মাহমুদ শীছ খাত্তাব ||
এর থেকে– ৮ম পর্ব
।।মাহমুদ শীছ খাত্তাব ||
এর থেকে– ৮ম পর্ব
২. সামরিক কারণ
এটা মোটেই বিস্ময়ের ব্যাপার নয় যে, ইসরাঈল তার সমস্যার সামরিক দিকটির ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেবে। কেননা ইসরাঈলের আগ্রাসী ও সম্প্রসারণবাদী লক্ষ্য রয়েছে (এবং তারা ভাল করেই জানে যে, আরবরা তাদের ভূমি, মর্যাদা ও সম্প্রদায়ের পক্ষে অবশ্যই মাথা তুলে দাঁড়াবে এবং তারা অবশ্যই তাদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে অধিকৃত আরব ভূমি ফিরে পাবে।
ইসরাঈলী, সীমানাসমূহের প্রকৃতি, অধিকৃত ভূমির আয়তন, জনসংখ্যা বণ্টন, পূর্ব পুরুষদের ভূমি পুনঃ দখলের জন্য ইসরাঈলের প্রবল আকাঙ্ক্ষা এবং শত্রু ভাবাপন্ন আরব দেশগুলোর মাঝখানে অন্যায়ভাবে আরব ভূমি দখল করে রাখা প্রভৃতি কারণে ইসরাঈল সামরিক বিষয়টিকে অন্যতম অপরিহার্য বিষয় বলে মনে করে।
ইসরাঈলের সামরিক নীতি-কৌশলের সমালোচনা করার অপরাধে আদালতে জনৈক ইসরাঈলী লেখকের বিচার হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনে উক্ত গ্রন্থকার আদালতকে বলেন :
আমি দেখেছি যে, রাষ্ট্র একদল অত্যন্ত গোঁড়া ধর্মান্ধ যুবদল সৃষ্টি করার জন্য তার পূর্ণ প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। যারা সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করবে এবং অবশেষে নিজেদেরকে সরাসরি যুদ্ধ এবং আগ্রাসী লক্ষ্যসমূহ অর্জনের প্রতি নিয়োজিত করবে। এই সংকীর্ণ ও গোঁড়া সামরিক শিক্ষা, যা তারা লাভ করেছে, মোটেই পৃথক নয় ঐ সমস্ত শিক্ষা থেকে যা দেশে দেশে সামরিক শাসনের অধীনে দেওয়া হয়ে থাকে। জাগানী ও নাৎসীদের ন্যায় এরাও একটি বিশেষ আদর্শে সৈন্যদের গড়ে তুলবার মানসে দেশের যুব সমাজকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে প্রলুদ্ধ করছে। এমনকি তারা ছোট শিশুদেরকেও সামরিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে কসুর করছে না। তারা সামরিক চেতনায় দেশের সবকিছুতেই ছাপ রাখতে চায়, যে ছাপ তারা মারতে চায়, সে ছাপ হলো আক্রমণ-অভিযানের এবং কলোনী স্থাপনের।[1]
যাবতীয় বস্তুগত ও নৈতিক সম্ভাবনাসহ সমস্ত ইসরাঈলকে একটি বিরাট সৈন্য শিবির বলা যায়। কোন য়াহূ দী ছেলে ১২ বৎসর বয়সে পা দিলেই তার নিয়মিত সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যায়। ১৮ বৎসর পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে। তারপর তাকে নিয়মিত বাহিনীতে যোগ দিতে হয় একটি বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ সময়কাল শেষ করবার জন্য। প্রশিক্ষণ শেষে উক্ত সৈনিক সেনাবাহিনীর রিজার্ভ সেকশনের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং সে তার ৩৯ বৎসর বয়সের পূর্বে প্রয়োজনমত যে কোন সময়ে যে কোন সামরিক কাজে নিয়োজিত হ'তে বাধ্য থাকবে। ৩৯ বৎসরের পরে সে বিভিন্ন কলোনীতে ন্যাশনাল গার্ড সার্ভিসে যোগ দেবে এবং যতদিন পর্যন্ত সে অস্ত্রবহনের ক্ষমতা রাখবে ততদিন সে উক্ত চাকুরীতে বহাল থাকবে। এইভাবে ইসরাঈলে সামরিক চাকুরী শুরু হয় শিশুকাল থেকেই এবং তা শেষ হয় তার মৃত্যুর পরে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাঈল তার মোট জনসংখ্যার ১১% শতাংশকে সক্রিয় সামরিক কাজে লাগাতে সমর্থ হয়। প্রকৃত প্রস্তাবে নিয়মিত সেনা- বাহিনীর বাইরে অস্ত্র বহন ক্ষম প্রতিটি ইসরাঈলীকে দেশ রক্ষার জন্য রিক্রট করা হয়।
অন্যদিকে আরবরা মাত্র ৩,০০০ সৈন্য এদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পেরেছিল।
ইসরাঈল তার সমস্ত নৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অথচ আরবরা কি করেছিল? ইসরাঈলের এই সামরিক কারণের পশ্চাতে উদ্দেশ্যগুলো নিম্নরূপঃ
(ক) নৈতিক সমর্থন । ইসরাঈল সর্বদা তার যুদ্ধরত সেনাবাহিনী ও জনগণের মনোবল উঁচু রাখতে চায়। অন্যদিকে সে আরবশক্তি ও আরব জনগণকে ধ্বংস করতে চায়।[2]
একটি উচ্চ মনোবলসম্পন্ন সেনাবাহিনী যুদ্ধে নিশ্চিতভাবে জয়লাভ করে। ইসরাঈলী সেনাবাহিনীকে তার পরিচালনা, সংগঠন, অস্ত্রসজ্জা, প্রশিক্ষণ প্রভৃতির মাধ্যমে বস্তুগতভাবে এবং য়াহূদী ধর্মের আইন-কানুন ও নীতি- শিক্ষাসমূহ গভীরভাবে অনুধাবন ও য়াহূ দী উত্তরাধিকার ও হিব্রু ভাষার প্রতি গভীর সম্মান প্রদর্শনের আহ্বানের মাধ্যমে নৈতিকভাবে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হয়। শুধু সেনাবাহিনী নয়, বরং ইসরাঈল ও ইসরাঈলের বাইরে বিশ্বের সকল প্রান্তের য়াহূদী জনগোষ্ঠীর মনোবল এর দ্বারা উন্নত হবে। প্রকৃত প্রস্তাবে বহু বৎসরের অপমান ও নিগ্রহ ভোগের প্রেক্ষাপটে ইসরাঈল বা য়াহূদীরা এখন সবচাইতে প্রয়োজন উপলব্ধি করছে তাদের নৈতিক উন্নতির।
য়াহূদীরা সত্য ও ন্যায়ের পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। তারা মিথ্যা প্রতিমাসমুহের পূজা করতো[3] এবং আল্লাহর পথ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তারা অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়ে অন্যের উপর অত্যাচার করতো এবং তাদের নিজেদের গোত্রীয় নবীদেরকে অন্যায় ভাবে হত্যা করেছিল। আল্লাহ্ তাদের শত্রুদের তাদের বিরুদ্ধে উৎসাহিত করেন এবং আসীরিয়রা খৃ. পূ. ৭২১ সালে ইসরাঈলের রাজত্বকে ও ব্যবিলনীয়রা খৃ. পূ. ৫৮৭ সালে য়াহূ দার রাজত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। তাদের ধর্মমন্দির বিধ্বস্ত হয় এবং জীবিত সকলেই বন্দী হয়। য়াহূ দীরা বন্দী জীবনে দারুণ নির্যাতন ভোগ করে যতদিন না ফরাসীরা তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে এবং তাদের মধ্যে ইচ্ছুক ব্যক্তিদেরকে খৃ. পূ. ৫৩৮ সালে জেরুজালেমে প্রত্যবসিত করে।
যাহূ দীরা তাদের বিগত ঘটনাবলী থেকে শিক্ষা গ্রহণ কিংবা তাদের নবীদের হুশিয়ারী ও উপদেশসমূহের প্রতি কোনরূপ মনোযোগ দেয় বলে মনে হয় না। রোমকরা তাদেরকে দু'বার পর্যুদস্ত করেছে।
একবার খৃ. পূ. ৭০ সালে সম্রাট তিতাস ফ্লাভিয়াসের আমলে যিনি জেরুজালেম নগরীকে ধ্বংস করেন এবং এর উপসনালয়কে জ্বালিয়ে দেন। দ্বিতীয়বার খৃ. পৃ. ১৩৫ সালে সম্রাট ইলিয়াস হাদিয়ানুসের হাতে, যিনি জেরুজালেম নগরীকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করে দেন এবং মহান ইলিয়ার নামানুসারে এর নাম রাখেন 'ইলিয়া কাপিতুলুনা' (Elia Kapituluna ) তিনি এই নগরীর বাসিন্দাকে উৎখাত করে চারিদিকে ছড়িয়ে দেন।
খৃস্টাব্দ চতুর্থ শতাব্দীতে রোমানরা যখন খৃস্টধর্ম গ্রহণ করলো তখন তাদের প্রভু যীশুর সাথে, (তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক) দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ হিসেবে তারা য়াহূ দীদের উপরে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিল। জেরুজালেম নগরীতে য়াহূ দীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো এবং শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সমস্ত ময়লা-আবর্জনা উপাসনালয়ের পাশে স্তূপীকৃত করা হলো।
৬৩৮ খৃস্টাব্দে ১৭ হিজরীতে মুসলমানগণ এই পবিত্র নগরী অধিকার করেন এবং য়াহূদীদের জন্য একটি নবজীবনের সূত্রপাত ঘটে--যে জীবন মর্যাদার এবং সম্মানের। যা তারা ইতিপূর্বে কখনোই উপলদ্ধি করতে সক্ষম হয়নি।
মুসলিম খলীফা হযরত ওমর (রা.) ইসরাঈলী সন্তানদের বিরোধিতায় রোমানদের দ্বারা স্তূপীকৃত ময়লা-আবর্জনাসমূহকে উপাসনালয়ের উপর থেকে নিজহাতে অপসারণ করেন। তিনি তাঁর ঢিলা বড় জামা বিছিয়ে তাই দিয়ে আবর্জনা মুছতে থাকেন এবং মুসলমানদের এ কাজে সহায়তার জন্য আহ্বান করেন।[4]
মুসলমানগণ তখন তাদের মনোযোগ নিবদ্ধ করেন নবীদের সমাধি- গুলোর দিকে এবং শুরু করেন সর্ব প্রথম হযরত ইব্রাহিম (আ.) থেকে, যিনি সর্বপ্রথমে জেরুজালেমে সমাহিত হয়েছেন। মুসলমানরা এগুলোকে সাজিয়ে তোলেন' এবং এ সবের পবিত্রতা, লাবণ্য ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনেন। রোমান, প্যাগান ও খৃস্টানদের দীর্ঘ রাজত্বকালে চিরদিনের জন্য অধিকার বঞ্চিত য়াহূ দীরা পুনরায় ফিরে আসতে থাকে। মুসলমান শাসনামলে প্রথমত শুধুমাত্র দেখবার জন্য, তারপর কাজের জন্য এবং তারপর ক্রমে উপাসনা ও বসবাসের জন্য।[5]
আরব এবং মুসলমানগণ য়াহূ দীদের সংগে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করেন—যার সাক্ষ্য য়াহূ দীরাই দিয়ে থাকেন কিন্তু ১৯৪৮ সালে যখন তারা একটি সম্মানজনক অবস্থায় উপনীত হলো, তখন আরবদের সংগে তাদের ব্যবহার অত্যন্ত অকৃতজ্ঞতাপূর্ণ প্রমাণিত হলো।
ব্যাবিলনের রাজা নেবুচাদনেবার যিনি খৃ. পূ. ৫৮৭ সালে য়াহূদীদেরকে বন্দী করেন, তখন থেকেই য়াহূ দীরা ছিল ঘূর্ণিত ও অবজ্ঞার পাত্র। তাদের ছিল না কোন শান্তি, না ছিল কোন অস্তিত্ব। কিন্তু এই সুদীর্ঘ দিনের ভবঘুরেমি ও উদ্ধাস্তু অবস্থাশেষে যেইমাত্র তারা একটি রাষ্ট্র পেল, পেল একটি পতাকা, একটি সরকার এবং পেল দুনিয়ার বুকে একটি সম্মানজনক অবস্থান, অমনি তারা ভুলে গেল সেই বাস্তব সত্য কথাটি যে, তাদের রাষ্ট্রের কখনো কোন অস্তিত্ব ছিল না এবং এই ফিলিস্তিন কখনোই কোন উপনিবেশবাদীদের জন্য ছিল না। তারা ভূলে গেল এ কথাও যে, তাদের কৃত্রিম সত্তা কখনোই স্থায়ী ছিল না এবং তাদের এখনকার এই বাস্তবতা কখনোই আরবদের দুর্বলতা ও মতবিরোধের কারণে ছিল না। সর্বোপরি তারা এ সত্য ভুলে বসলো যে, তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় তাদের রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয় নি। বরং তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উপনিবেশিক শক্তির সহায়তায় বেয়নেটের মুখে।
সুদীর্ঘ ছাব্বিশ শতাব্দীকালের অপমান, বঞ্চনা ও গ্লানিকর অবস্থার ফলে সৃষ্ট হীনমন্যতা ও দুর্বলতা--- যা তাদের মন-মস্তিষ্ক ও রগ-রেশায় ঢুকে গিয়েছিল, তা কাটিয়ে উঠবার জন্য তারা একটি সামরিক রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে, যা কেবলমাত্র শক্তির উপরে বিশ্বাস রাখে এবং তাদের সন্তানদেরকে উৎসাহিত করে প্রলুব্ধকারী সামরিক আকৃতি-প্রকৃতিকে প্রশংসনীয় করবার জন্য—যা একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করে এবং তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা কেন্দ্রীভূত করে তাকে আরও শক্তিশালী ও উন্নতকরণের জন্য। যা তাদের সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনকে সংগঠিত করে এবং সাধারণ নাগরিকদেরকে অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ দেয়।
১৯৪৮ সালে ইসরাঈল রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই য়াহূ দীরা সারা বিশ্বকে সর্বদা এই ধারণা দেবার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে যে, আরবদের তুলনায় তারা শ্রেষ্ঠ। যে কোন ধরনের প্রোপাগাণ্ডা ও কুটনীতির মাধ্যমে নিজেদের অপরাজেয় মনোভাবকে সাড়ম্বরে প্রদর্শন করবার কোনরাগ প্রচেষ্টা তারা বাদ দেয়নি। ইসরাঈল এটা করে থাকে বিশেষ করে তার জনগণ এবং বিশ্বের অন্যান্য এলাকার য়াহূ দীদের মাঝে গভীরভাবে বদ্ধমূল দীর্ঘ দিনের লালিত হীনমন্যতা দূর করার প্রচেষ্টা হিসেবে।
ইসরাঈলী সেনানায়কগণ তাদের অহমিকা ও আত্ম অহংকারে সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর বিদেশী সাংবাদিকগণ, যারা সরকারী কিংবা সামাজিক কাজের অজুহাতে তাদের নিকট সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন—বলেছেন যে, ইসরাঈলীরা তাদের সংগে খোদায়ী মেজাজে ব্যবহার করেছে।
১৯৪৮ সাল থেকেই ইসরাঈল আরবদের বিরুদ্ধে আক্রমণ ও আগ্রাসনের কৌশল অনুসরণ করে চলেছে তার সেনাবাহিনী ও জনগণের নৈতিক মান উঁচু রাখবার জন্য। সে প্রতিটি আরব সামরিক তৎপরতার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সর্বদা নিশ্চিতভাবে প্রস্তুত থাকে -- এই ভয়ে যে, পাছে লোকে তাদেরকে দুর্বল বলে ব্যাংগ করে। অধিকন্ত সে তার জনগণের মনোবল উঁচু রাখার জন্য তাদের ঐতিহাসিক সামগ্রিক দলিলসমূহ মিথ্যাভাবে প্রকাশ করে।
ইসরাঈলী নেতারা আশংকা করে থাকে যে, সেনাবাহিনী ও জনগণের নীচু মনোবল তাদেরকে এক স্নায়ুবিক পতনের দিকে ঠেলে দিতে পারে। সে কারণে তারা তাদের সামরিক বিজয়সমূহকে অনেক বাড়িয়ে বাড়িয়ে প্রচার করে জনগণের ও সেনাবাহিনীর একেবারে ভেংগে পড়ার মত অবস্থা রোধ করবার জন্য ।
এটা স্পষ্ট যে, ১৯৪৮-এর পর থেকে আরবদের উপর বিভিন্ন বিজয়ের কারণে ইসরাঈলীদের মনোবল এখন অনেক উঁচুতে রয়েছে। তবে এটা সুনিশ্চিত যে, মাত্র একটি পরাজয়ের ঘটনা ঘটলেই তাদের সমস্ত মনোবল ভেস্তে যাবে। যে কোন একটি পরাজয় তাদেরকে নৈরাশ্য ও ক্রমবিপর্যয়ের দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে। এমনকি সমুদ্র ও তখন তাদেরকে বাঁচাতে পারবে না। আল্লাহর ইচ্ছায় অদূর ভবিষ্যতে এটা অবশ্যই তাদের জন্য ঘটবে।
[1]. In the Tel-Aviv court on 19.4.1951. See the book entitled The road to victory in the Battle of revenge’, P. 128
[2]. The Arab Military unaity, Beirut 1969, P. 132.
[3]. তারাসিডনীদের (Sidonites) দেবতা‘আস্তারাউত’ (Ashtarout) এবংএমোনিয়দের ( Anomites)দেবতা ‘ম্যালকমের’ (Malcom) পূজাকরতো।দেখুন Kings 18th 11 : 6 and 23
[4]. Aluns Al-jahil Mujier el Dine el Hanbaly, Cairo 1283 A. H. 11 : 153, 227. মূলবইয়ে `Last’ কথাটিলেখাআছে। - অনুবাদক
[5]. The position of Jerusalem in Islam. Dr. Ishak Moussa el Hosseini, Cairo 1969, P. 58-59