কুফরি করার শর্ত ছাড়া কি আপনাকে সংসদীয় নির্বাচনের নমিনেশন দিবেঃ
যারা ইসলামের নাম নিয়েই সংসদীয় নির্বাচনে যান প্রার্থী হয়। এবং তারা এটা যতই বলুকনা কেন, আমরা ইসলামের জন্যই যাচ্ছি, আমরা তো গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যাচ্ছিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং তারা যতই বলুকনা কেন গনতন্ত্র আর নির্বাচন তো এক নয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
বিষয়টি হলো তিনি ইসলামের নাম দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় 'সংসদীয় নির্বাচনের প্রার্থী হলেন, এটাকে জায়েজ প্রমাণের জন্য তিনি 'বলতে লাগলেন "নির্বাচন আর গনতন্ত্র এক নয়"
কিন্তু প্রশ্ন হলো 'গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সংসদীয় নির্বাচন কী অন্যান্য সাধারণ নির্বাচনের মত?[সাধারণ নির্বাচন বলতে, ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচন, অধিনয়াক নির্বাচন, ইত্যাদি]
আপনি যখন সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য প্রার্থী হিসেবে দাড়াচ্ছেন,, তখন আপনাকে কোন কোন পেপারে সাইন দিতে হয় তাকি জানেন?
১। সংবিধানের সকল বিধানকে আমি মানলাম
২। এবং তা বাস্তবয়ান করবো,
৩। এবং আমরা সংসদের গিয়ে বিধান বানাবো।
দেখুন, আপনার মনে কি আছে বা না আছে সেটা পরে, আগে এটা বুঝুন যে, মৌলিক এই কয়েকটি বিষয়ের উপর সাক্ষর দেয়া ছাড়া আপনাকে নমিনেশনই দিবেনা।
এখন বলুন উপরের তিনটির কোনটি কুফর নয়?
তাহলে আপনি স্পষ্ট কুফরির উপরই সম্মতির সাক্ষর দিচ্ছেন এটা তো স্পষ্ট। বাকি রইলো আপনার অজুহাত-
১। আমরা তো ভালো নিয়তেই করছিঃ
জওয়াবে আমরা বলবো 'ভালো নিয়তে কুঔর করা বৈধ, এমন কোন দলিল আমরা পাইনি [আপনাদের থাকলে কোন দলিল দিয়ে উপকৃত করবেন]
২। আমরা তো অন্তরে তা মেনে নেই নাই, বরং ওখানে যাওয়ার জন্য একটি পলিসি গ্রহন করেছি মাত্র।
আমরা বলি- এটা তো মুরজিয়াদের মাজহাব।
নতুবা হাতে, জবানে কিংবা কোন আমলে কুফর করলেই যথেষ্ট, এটা অন্তর দিয়ে করা জরুরী নয়, [যেমন কেউ মুর্তির সিজদা করলেই সে কুফরি করলো, অন্তরে তা না মেনে নিলেও সে কুফরিই করলো।
আর "অন্তর দিয়ে তো এটা মেনে নিচ্ছিনা" এই অজুহাতে শুধুমাত্র একটি স্থানেই কুফর করা বৈধ, আর সেটি হলো
যদি আমাকে বাধ্য করা হয় কুফরি করতে।
কিন্তু আমাকে জোর করে, হত্যার হুমকি দিয়ে বাধ্য করা ব্যাতিত সজ্ঞানে কুফরি করাটা কুফর বলেই বিবেচিত হবে। [কুফর সংক্রান্ত যতগুলো কথা বললাম প্রতিটি কথার রেফারেন্স ইকফারুল মুলহিদিন, সহ কুফর সংক্রান্ত পর্যাপ্ত আলোচনা রয়েছে, এমন যে কোন কিতাবে নজর দিলেই আপনি পাবেন]
অতএব যারা সংসদীয় নির্বাচনের জন্য নমিনেশন নিতে গিয়ে সাক্ষর দিচ্ছেন, তখন থেকেই তাদের কুফর শুরু হয়েছে। [এক্ষেত্রে ইসলামপন্থী ও সেকুলার দলগুলোর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই]
সতর্কতাঃ এই আর্টিকেল দ্বারা উদ্দেশ্য, ইসলামপন্থিদের কাজের খন্ডন, এটা দ্বারা তাদেরকে তাকফির করা উদ্দেশ্য নয়।
আমরা এটা দেখালাম কাজটি কুফর ও বাতিল, তা যে কোন ব্যখায়ইই যাওয়া হোকনা কেন, কিন্তু তাকফির করাটা ভিন্ন বিষয়।
ওলামাগন তাদেরকে খন্ডন করেছেন, কিন্ত ভুল ব্যখ্যার কারণে তাদেরকে কাফের বলেননা।
সুতরাং আমার লিখনিটি পড়ে আপনারা শালীনতার সাথে, উত্তমভাবে তাদের খন্ডন করুন তাদেরকে বুঝান নাসীহাহ করুন,
কিন্তু সাবধান এটা পড়ে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দ্বীন কায়েমে নিয়জিত ভাইদেরকে কাফের বলবেননা।
যদি কেউ কাফের আখ্যা দেন তাহলে সেটা থেকে আমি মুক্ত।
Comment