আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ
কর্তৃক প্রকাশিত
আচরণবিধি
আল-কায়েদা উপমহাদেশ.
এর থেকে
পর্ব- ০৩
==================================================
===============================
কর্তৃক প্রকাশিত
আচরণবিধি
আল-কায়েদা উপমহাদেশ.
এর থেকে
পর্ব- ০৩
==================================================
===============================
তৃতীয় অনুচ্ছেদঃ
ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক
ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক
১। জামাআত কায়েদাতুল জিহাদের প্রতিষ্ঠাতা, শায়খ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ), শ্রদ্ধাস্পদ আমীরুল মু’মিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমর (রহিমাহুল্লাহ)-এর হাতে বাইআত দিয়েছিলেন। উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ)-এর শাহাদাতের পর শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরি (হাফিযাহুল্লাহ) এই বাইআতের নবায়ন করেন এবং আমীরুল মু’মিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমর (রহিমাহুল্লাহ)-এর ওফাতের পর আমীরুল মু’মিনীন মোল্লা আখতার মানসুর (রহিমাহুল্লাহ) এবং উনার পর আমীরুল মু’মিনীন শায়খ হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফিযাহুল্লাহ)-এর কাছে বাইআত প্রদান করেন।
২। জামাআত আল-কায়েদা উপমহাদেশের আমীর মাওলানা আসেম উমর (হাফিযাহুল্লাহ) শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরি (হাফিযাহুল্লাহ)-এর মাধ্যমে ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের বর্তমান আমীর শ্রদ্ধাস্পদ আমীরুল মু’মিনীন, শায়খ হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (নাসারাহুল্লাহ)-এর কাছে বাইআত প্রদান করেন। আল-কায়েদা উপমহাদেশ এই বাইআতের অধীনে পুরো ভারত উপমহাদেশে শরীয়ত প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টারত।
৩। জামাআত আল-কায়েদা উপমহাদেশের লক্ষ্যসমূহের মধ্যে একটি বড় লক্ষ্য হলো, ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানকে শক্তিশালী করা এবং তার প্রতিরক্ষা ও স্থায়ীত্বের ভিত মজবুত করা। এ লক্ষ্যে জামাআত, আফগানিস্তানের বাইরে যেখানে ইসলামী ইমারাতের শত্রু আছে, সেখানে লড়াই করে এবং আফগানিস্তানের ভেতরেও ইমারাতের সাথে মিলে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভারত উপমাহদেশের মুসলমানদেরকে ইসলামী ইমারাতের বাইয়াত ও নুসরাতের দাওয়াত দেয়।
চতুর্থ অনুচ্ছেদঃ
উম্মতে মুসলিমার সঙ্গে আমাদের আচরণবিধি
১। মুসলমান জনসাধারণ আমাদের ভাই। তাদের জান, মাল, ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতকে আমরা আমাদের উপর ফরজ মনে করি। তাদের নেককার ও গোনাহগার সকলের ইজ্জত, আব্রু, জান, মাল ও ধনসম্পদ আমরা আমাদের জন্য হারাম মনে করি। তাদের সবার পরিপূর্ণ হক্ব আদায়ের ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর ইনশাআল্লাহ।
২। আমাদের কোনো সাথীর পক্ষ থেকে, আল্লাহ না করুন, যদি কোনো মুসলমানের উপর অবিচার হয়ে যায়, এক্ষেত্রে আমরা নিজেদেরকে শরঈ ফায়সালার সম্পূর্ণ অধীন মনে করি।
৩। ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে সরকারি ও বেসরকারি জালেমদের হাত থেকে রক্ষা করা আমরা আমাদের দায়িত্ব মনে করি এবং মুজাহিদদেরকে সাধ্যমত এই দায়িত্ব পূরণ করার তাগিদ দেই।
৪। মুসলিম জনসাধারণের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের। দাওয়াত, ইসলাহ, আমর বিল মা’রুফ ও নাহি-আনিল মুনকারের মাধ্যমে আমরা তাদেরকে দ্বীনের পথে আগ্রহী করতে চেষ্টা করি। তাদের মাঝে বিদ্যমান শরীয়ত বিরোধী বিষয়গুলোর সংশোধন এবং তাদেরকে জিহাদি কাফেলার সাথে যুক্ত করার জন্যও আমরা সচেষ্ট।
৫। যেহেতু উলামায়ে কেরাম এই উম্মতের প্রকৃত ইমাম ও রাহবার, তাঁদের মাধ্যমেই সমাজের ইসলাহ ও সংশোধন, তা’লীম ও তারবিয়তের কাজ সম্পাদিত হয়, এজন্য তাঁদের চারপাশে জনসাধারণকে জড়ো করার মাধ্যমে আমরা সমাজে উলামায়ে কেরামের সম্মান ও গুরুত্ব বৃদ্ধি এবং তাঁদের ভূমিকাকে আরও কার্যকর করতে চাই।
৬। আমাদের প্রচেষ্টা হলো, থানা ও কোর্টের ফাসাদ এবং কুফরি ও অত্যাচারী শাসনব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে, মুসলিম জনসাধারণকে মসজিদ ও দারুল ইফতা এবং হক্বপন্থী আলেমদের সাথে সম্পৃক্ত করা এবং এখান থেকেই তাদের যাবতীয় সমস্যার সমাধানে উৎসাহিত করা।
৭। আমরা পাকিস্তান সীমান্তের কবিলাভুক্ত তথা গোত্রীয় শাসনাধীন জনপদকে, অত্যাচারী কালাকানুন এবং গণতান্ত্রিক কুফরি শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্ত করে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনিত নিরাপদ ও ন্যায়পরায়ণ শাসনব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। এজন্য আমরা কাবায়েলী আলেম ও সর্দারদেরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করি এবং তাঁদের মাধ্যমে এই জনপদের গোত্রগুলোকে ইসলামী বসন্তে নিয়ে আসার পদ্ধতিকেই উপযুক্ত মনে করি।
৮। احب الناس الى الله انفعهم للناس অর্থাৎ ‘মানবজাতির মাঝে আল্লাহর কাছে তাঁরাই সবচেয়ে প্রিয়, যারা মানবজাতির জন্য সবচেয়ে উপকারী’ এই নীতির ভিত্তিতে যেখানেই আল্লাহ আমাদের সামর্থ্য দেন, সেখানেই আমরা এমন সকল কাজে অংশগ্রহণের চেষ্টা করি, যাতে মুসলমানদের দ্বীনি ও দুনিয়াবি ফায়দা হয়।
৯। আল্লাহর দিকে আহ্বান, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের ক্ষেত্রে আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের প্রতি পূর্ণ লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করি, যেন জনসাধারণকে দ্বীনের সাথে যুক্ত করা যায়। আমরা মনে করি এর মাধ্যমেই সকল ন্যায় ও কল্যাণের প্রসার এবং সকল অন্যায় ও পাপকাজের পথ বন্ধ হবে।
১০। জনসাধারণের কোনো দল বা গোত্র মুজাহিদদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলে, আমরা নিজেদেরকে নিম্নবর্ণিত নীতিতে সীমাবদ্ধ রাখিঃ
- প্রথমে দাওয়াত ও আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে তাদেরকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখার সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা চালাই। কারণ মূল যুদ্ধ ছেড়ে পার্শ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়া কুফরি শাসনব্যবস্থাকেই উপকৃত করে।
- যদি দাওয়াত ও আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে তাদেরকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কেবল ততটুকুই শক্তি প্রয়োগ করি, যতটুকুতে তাদের জুলুম থেকে মুজাহিদদেরকে রক্ষা করা যায়।
- উপরোল্লেখিত কোনো দলের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের সময়, তাদের মাঝে যারা সরাসরি লড়াইয়ে জড়িত এবং যারা জড়িত নয়, তাদের মাঝে পার্থক্য করাকে জরুরী মনে করি। আর তাদের অর্থ-সম্পদের মীমাংসার দায়িত্ব জামাআতের শরীয়াহ বিভাগের উপর অর্পণ করি।
আরও পড়ুন
Comment