Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ১৫ || আল কুদসের প্রহরী ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ || ২য় পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ১৫ || আল কুদসের প্রহরী ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ || ২য় পর্ব

    আন নাসর মিডিয়াপরিবেশিত
    আল কুদসের প্রহরী ।।
    উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ
    এর থেকে || ২য় পর্ব


    ========================================
    ===============






    ভাইয়েরা আমার!

    আজ যে ফিলিস্তিন আমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরুপ, সেই একই ফিলিস্তিন দ্বারা বনী ইসরাইলকেও পরীক্ষা করা হয়েছিল। হযরত মূসা (আঃ) এর সময়ে এই ফিলিস্তিনের উপর মুশরিকদের আধিপত্য ছিল। আর আল্লাহ তায়ালা হযরত মূসা (আঃ) এর যবানের মাধ্যমে এই ভূমিকে কাফিরদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার আদেশ বনী ইসরাইলকে দিয়েছিলেন, হযরত মূসা (আঃ) বললেন-

    يَاقَوْمِ ادْخُلُوا الْأَرْضَ الْمُقَدَّسَةَ الَّتِي كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَرْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِكُمْ فَتَنْقَلِبُوا خَاسِرِينَ






    অনুবাদ: “হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভূমি নির্দিষ্ট করেছেন তাতে তোমরা প্রবেশ কর এবং পশ্চাদপসরণ কর না, করলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে” (সূরা মায়েদা : ২১)

    উত্তরে তাঁর সম্প্রদায় বলল-

    قَالُوا يَامُوسَى إِنَّ فِيهَا قَوْمًا جَبَّارِينَ وَإِنَّا لَنْ نَدْخُلَهَا حَتَّى يَخْرُجُوا مِنْهَا فَإِنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا فَإِنَّا دَاخِلُونَ.




    অনুবাদঃ “তারা বলল, হে মূসা! সেখানে এক দুর্দান্ত সম্প্রদায় রয়েছে এবং তারা সেই স্থান হতে বাহির হওয়া পর্যন্ত আমরা কখনোই সেখানে কিছুতেই প্রবেশ করব না; তারা সেই স্থান হতে বাহির হয়ে গেলেই আমরা প্রবেশ করব”’ (সূরা মায়েদা : ২২)


    এমনিভাবে মূসা (আঃ) কে আরো বলা হয়েছে

    فَاذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ





    অনুবাদ: “সুতরাং তুমি আর তোমার প্রতিপালক যাও এবং যুদ্ধ কর, আমরা এখানেই বসে থাকব” (সূরা মায়েদা : ২৪)

    এটা তাদের জিহাদ ও কিতাল থেকে অস্বীকার ছিল। তাই তাদের উপর আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টি নাযিল হয়-


    فَإِنَّهَا مُحَرَّمَةٌ عَلَيْهِمْ أَرْبَعِينَ سَنَةً يَتِيهُونَ فِي الْأَرْضِ فَلَا تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْفَاسِقِين






    অনুবাদ: “তবে তা চল্লিশ বছর তাদের জন্য নিষিদ্ধ রইল, তারা পৃথিবীতে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে, সুতরাং তুমি সত্যত্যাগী সম্প্রদায়ের জন্য দুঃখ করো না”(সূরা মায়েদা : ২৬)


    আল্লামা ইবনে কাসির রহ. বলেন: ‘বনী ইসরাইল যখনই আল্লাহ তায়ালার হুকুমের বিরোধিতা করল, তখনই আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে তীহ প্রান্তরে ঠেলে দিলেন। তাদের থেকে গন্তব্যে পৌঁছার সক্ষমতা কেড়ে নিলেন, ফলে চল্লিশ বছর পর্যন্ত হোঁচট খেতে লাগল”

    তাফসীরে সাদীতে বলা হয়েছে-


    لا يهتدون إلى طريق و لا يبقون مطمئنين





    অর্থাৎ “তারা কোন রাস্তা খুজেঁ পেত না এবং প্রশান্তিতেও থাকতে পারত না”



    মুসলমান ভাইয়েরা আমার!


    আজও আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করাকে আত্মহত্যা বলা হয়। আরো বলা হয়; তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বোকামী। শান্তি প্রক্রিয়া ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টাই একমাত্র সমাধান। অত:পর রাষ্ট্র ব্যতীত জিহাদ তো জায়েজ-ই না। জিহাদ তো শুধু রাষ্ট্র ও রাষ্টের সৈন্যদের দায়িত্ব! এই বুদ্ধিজীবীরা কোন রাষ্ট্র ও শাসকদের ব্যাপারে বলে না যে এ দায়িত্ব তাদের? ইস্তাম্বুলে একত্রিত হওয়া সে লোকগুলোর? যারা যুগের ভাষায় এ ঘোষণা করেছে যে, আমেরিকা ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আরো আশ্চর্যের বিষয় হল, এখন প্রশ্ন হলো কুদসের পুরো ভূমি থেকে ইয়াহুদীদেরকে বের করে দেওয়া, নাকি পূর্ব-পশ্চিমের পুরো বাইতুল মুকাদ্দাস এবং পুরো ফিলিস্তিনকে তাদের নাপাকী থেকে পাক করার প্রশ্ন আজ? কিন্তু এখানে.... তাদের এই বাস্তবে দখল করে নেয়া ও নির্লজ্জ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব বাইতুল মুকাদ্দাসে শুধু নামকাওয়াস্তে তাদের দুতাবাস খোলার ঘোষনা দিয়েছে। কেহ-ই আমেরিকার সাথে নিজেদের সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। তারা নিজেদের দেশের মাঝে বিদ্যমান আমেরিকার চৌকি এবং সৈন্যদেরকে বের করে দেওয়ার সুসংবাদ দিতে পারেনি। এ সমস্ত শাসক ও সেনাপ্রধানরা আমেরিকার সাথে জোটবদ্ধ। কেউ ন্যাটোর সাথে জোটবদ্ধ বা ন্যাটো ছাড়া অন্য কারো সাথে জোটবদ্ধ... কেউ সহযোগিতার নামে এই ক্রুসেডার বাহিনীরই অংশ। আবার কেউ সিরিয়া ও ইরাকে আহলুস সুন্নাহ অনুসারীদের হত্যা করার ক্ষেত্রে আমেরিকা ও রাশিয়ার সাথে অংশিদার। তাদেরকে অনেক তিরস্কার করা হয়েছে, আবার আশা-ভরসাও দেয়া হয়েছে। তথাপিও তারা কেউ-ই আমেরিকার সৈন্যদের সঙ্গ ছাড়তে এবং তাদের গোলামী থেকে বের হয়ে আসার ঘোষনা দিতে প্রস্তুত হয়নি। কিন্তু কেন!? তা এ জন্য যে, إِنَّ فِيهَا قَوْمًا جَبَّارِينَ !! সেই বনী ইসরাইলের হুবহু জবাব। আমেরিকা শক্তিশালী রাষ্ট্র। বিষয়টা যেন এমন, নাউজুবিল্লাহ আল্লাহ অসন্তুষ্ট হলে হোক কিন্তু আমেরিকাকে অসন্তুষ্ট করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।


    অত:পর আজ স্বয়ং আমেরিকা যখন তাদের অভিনয়ের কোন প্রকার ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়, তাই এখন তাদেরকে নতুন কোন সাহায্যকারী তালাশের কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে রাশিয়ার সাহায্য নাও। এখন আমেরিকার বিরুদ্ধে রাশিয়ার সাথে সখ্যতা গড়ে তোল। বিষয়টা যেন এমন আফগানিস্তানে বিশ লাখ মুসলমানদের হত্যাকারী, সিরিয়াতে লাখো মুসলমানের রক্ত প্রবাহিতকারী, শীশানের মুসলমানদেরকে জবাহকারী এই রাশিয়া আজ আমাদের বাইতুল মুকাদ্দাস আমাদেরকে ফিরিয়ে দিবে! মুসলমানদের তুর্কিস্তান জবর দখলকারী এই কাফিররা আমাদের বাইতুল মুকাদ্দাস আমাদেরকে সোপর্দ করে দিবে! আর যে চীন, তুর্কিস্তানের মুসলমানদের কুরআন, নিকাব ও দাঁড়ির দুশমন এবং বার্মার মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়া জুলুমের প্রত্যেকটিতে সাহায্যকারীর ভূমিকা পালন করছে, সেই চীন আজ আমাদেরকে ইয়াহুদীদের জুলুম থেকে মুক্তি দিবে!?



    ঐ সমস্ত শয়তানদের প্রচেষ্টা হল: উম্মতকে মিথ্যা আশা দিয়ে রাখা। তারা এমন আশা দেয় যে, তাতে উম্মাত গোলক ধাঁধাঁয় পড়ে উদ্ভ্রান্তের মত ঘোরবে, বিপথগামী হবে, কাপুরুষ হবে কিন্তু তারা এমন রাস্তায় চলবে না, যে রাস্তায় চলে তারা গোলমীর জিঞ্জির ভেঙ্গে ফেলতে পারে!


    কবিতা:

    ؏بتوں سے تجھ کو امیدیں، خدا سے نومیدی

    مجھے بتا تو سہی اور کافری کیا ہے؟


    “তুমি প্রতীমার কাছে আশাবাদী, প্রভুর তরে নয়

    তুমি বল এর চাইতে বড় কুফরী কি আর হয়?







    আরও পড়ুন​
    ১ম পর্ব ------------------------------------------------------------------------------------------------ শেষ পর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 05-18-2024, 08:24 PM.

  • #2
    আজও আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করাকে আত্মহত্যা বলা হয়। আরো বলা হয়; তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বোকামী। শান্তি প্রক্রিয়া ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টাই একমাত্র সমাধান। অত:পর রাষ্ট্র ব্যতীত জিহাদ তো জায়েজ-ই না। জিহাদ তো শুধু রাষ্ট্র ও রাষ্টের সৈন্যদের দায়িত্ব! এই বুদ্ধিজীবীরা কোন রাষ্ট্র ও শাসকদের ব্যাপারে বলে না যে এ দায়িত্ব তাদের?
    ঐ সমস্ত শয়তানদের প্রচেষ্টা হল: উম্মতকে মিথ্যা আশা দিয়ে রাখা। তারা এমন আশা দেয় যে, তাতে উম্মাত গোলক ধাঁধাঁয় পড়ে উদ্ভ্রান্তের মত ঘোরবে, বিপথগামী হবে, কাপুরুষ হবে কিন্তু তারা এমন রাস্তায় চলবে না, যে রাস্তায় চলে তারা গোলমীর জিঞ্জির ভেঙ্গে ফেলতে পারে!
    এসকল গাদ্দারগোষ্ঠী থেকে আল্লাহ্‌ মুসলিমদের রক্ষা করুন

    Comment


    • #3
      মুসলিমদের জন্য/ বিশেষ করে আলিমদের জন্য অপরিহার্য ছিলো ইয়াহুদী ও আমেরিকার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া। যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করতে হবে এ-ই নীতি গ্রহন করা। আজ আমরা হামাসকে একা ছেড়ে দিয়েছি। এটা আমাদের নিজেদের সাথে ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত।

      Comment

      Working...
      X