Announcement

Collapse
No announcement yet.

যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- শেষ পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যেসব কারণে একজন মুসলিম হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- শেষ পর্ব

    শেষকথা
    বর্তমান মুসলিম সমাজের একটি ভুল ধারণার খণ্ডনে লেখাটি শুরু হয়েছিল। তাগুত শ্রেণী ও তাদের দালাল দরবারি মোল্লাদের অপপ্রচার-অপব্যাখ্যার ফলে মুসলিম সমাজে আজ ব্যাপকভাবে এ ধারণা গেঁড়ে বসেছে যে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কাউকে হত্যা করা ইসলাম পছন্দ করে না।

    এ মহা ভ্রান্তি দূরীকরণের প্রচেষ্টারূপেই এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। কি কি কারণে একজন মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ বা আবশ্যক হয়ে পড়ে দলীল-প্রমাণসহ সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এখানে যেসব সূরত উল্লেখ করা হয়েছে হত্যার গণ্ডি এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ নয়। আরও বিভিন্ন সূরত ও কারণ আছে। সকল সূরত একত্রে জমা করা উদ্দেশ্য নয়। মোটামুটি ইজমালি ও উসূলী ধারণা দেয়া উদ্দেশ্য। আশাকরি আল্লাহ তাআলার তাওফিকে এ কাজটি হয়েছে। আরো বিস্তারিত ফিকহ ফাতাওয়ার কিতাবাদিতে এবং উলামায়ে কেরামের কাছ থেকে জেনে নেয়া যেতে পারে।

    যে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য এ প্রয়াস শুরু হয়েছিল, এ লেখার দ্বারা আল্লাহ তাআলা যদি তার কিছুটাও দূর করে দেন তাহলেও আমি সার্থক। আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা তিনি যেন এ ক্ষুদ্র প্রয়াস কবুল করেন। একে আমার গুনাহ মাফ ও নাজাতের উসিলা বানান। আমীন।
    ***

    এক নজরে রিসালার সারমর্ম


    # ইসলাম কাউকে হত্যার অনুমতি দেয় না কথাটা ভুল। মুসলিম সমাজের দ্বীনি ও দুনিয়াবি মাসআলাহাত রক্ষার্থে শরীয়ত অনেককেই হত্যার অনুমতি দিয়েছে, বরং অনেককে হত্যা করা বাধ্যতামূলক করেছে।

    # হত্যা শুধু ঐ তিন ব্যক্তির মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, যাদের কথা এ হাদিসে এসেছে,
    لا يحل دم امرئ مسلم يشهد أن لا إله إلا الله وأني رسول الله إلا بإحدى ثلاث النفس بالنفس والثيب الزاني والمارق من الدين التارك للجماعة.
    “যে মুসলমান স্বাক্ষী দেয়- আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং আমি আল্লাহর রাসূল; তিন কারণের কোন একটা ব্যতীত তার রক্ত হালাল নয়: জানের বদলায় জান, বিবাহিত যিনাকার এবং মুসলমানদের জামাআত পরিত্যাগকারী দ্বীনত্যাগী (মুরতাদ)।” (সহীহ বুখারী: হাদিস নং ৬৪৮৪ , সহীহ মুসলিম: হাদিস নং ৪৪৬৮)

    এ তিন ব্যক্তি ছাড়াও কুরআন হাদিসে আরো অনেককে হত্যার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ হাদিসে যে তিনজনের কথা বলা হয়েছে তাদেরকে বিআইনিহি হত্যা করা জরুরী।

    # অস্ত্র প্রয়োগ ইসলামী সমাজের স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃংখলা বজার রাখার জন্য জরুরী। প্রয়োজনে শরয়ী সীমারেখার মধ্যে থেকে জনসাধারণও অস্ত্র প্রয়োগ ও হত্যা করতে পারবে।

    # আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকার ফরযে কিফায়া। সামরিক বেসামরিক সকল মুসলমানের উপর তা ফরয।

    # মৌলিকভাবে মুসলিম হত্যাকে চার শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়,
    ১. হদরূপে হত্যা।
    ২. কেসাসরূপে হত্যা।
    ৩. دفع الصائلতথা জান-মাল ও ইজ্জত-আব্রু রক্ষার্থে হত্যা।
    ৪. সিয়াসত ও তা’যিররূপে হত্যা।

    # নিম্নোক্ত মুসলিমদের উপযুক্ত শর্ত পাওয়া গেলে হদরূপে হত্যা করা হবে,
    ১. বিবাহিত যিনাকারী পুরুষ বা মহিলা
    ২. ডাকাত ও রাহজান
    ৩. সমকামি
    ৪. নামায তরককারী
    ৫. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটুক্তিকারী
    প্রথম দুই শ্রেণীতে সকলে একমত। শেষের তিন শ্রেণী মতভেদপূর্ণ।

    # নিরপরাধ কোনো মুসলিমকে অন্য কোনো মুসলিম ইচ্ছাকৃত হত্যা করলে হত্যার বদলে তাকেও কিসাসরূপে হত্যা করা হবে।

    # কোনো মুসলিম অন্য কোনো মুসলিমের জান, মাল বা ইজ্জত আব্রুর উপর আঘাত হানলে এবং তাকে হত্যা করা ছাড়া জান, মাল বা ইজ্জত আব্রু রক্ষার উপায় না থাকলে তাকে হত্যা করে দেয়া হবে।

    # মুফসিদ ফিল আরদ তথা যে ব্যক্তি যে দুনিয়াতে ফাসাদ করে বেড়াচ্ছে, হত্যা ছাড়া তার অনিষ্ট দমন সম্ভব না হলে সিয়াসতরূপে তাকে হত্যা করে দেয়া হবে। উক্ত ফাসাদ দ্বীনি দুনিয়াবি যা-ই হোক বিধান সমান।

    নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের ফাসাদের কারণে হত্যা করা হবে,
    ১. যাদুকর: পুরুষ হোক মহিলা হোক। ধৃত হওয়ার পর তাওবা করলেও হত্যা করা হবে।
    ২. বিদআতিদের গুরু, যখন তাকে হত্যা করা ছাড়া অনিষ্ট দমন সম্ভব নয়।
    ৩. যিন্দিক; যে বাহ্যত মুসলমান, ভিতরে ভিতরে কাফের। ধৃত হওয়ার পর তাওবা করলেও হত্যা করা হবে।
    ৪. সমকামী, যখন সে তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।
    ৫. পশুর সাথে সঙ্গমকারী, যখন সে তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।
    ৬. যে ব্যক্তি তার মাহরাম মহিলার সাথে সঙ্গম করে।
    ৭. চোর, যদি বার বার চুরি করতে থাকে।
    ৮. শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যাকারী বা ভারী বস্তু (যেমন পাথর ইত্যাদি) দিয়ে হত্যাকারী, যেগুলোতে কিসাস আসে না; যখন এমন হত্যাকাণ্ড একাধিকবার ঘটাবে।
    ৯. যে ব্যক্তি শাসকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে লোকজনকে হত্যা করায়।
    ১০. একজন খলিফা বিদ্যমান থাকাবস্থায় বা একজনের হাতে খেলাফতের বাইয়াত হয়ে যাওয়ার পর অন্য ব্যক্তি নিজেকে খলিফা দাবি করলে এবং এ দাবি থেকে সরে না আসলে।
    الحمد لله الذي بنعمته تتم الصالحات
    وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين



  • #2
    আল্লাহ তা‘আলা আপনার মেহনত ও খেদমতকে কবুল ও মাকবুল করুন। আমীন
    সকল ভাইদের সুবিধার্থে সবগুলো পর্ব একসাথে পিডিএফ আকারে দিলে মনে হয় ভাল হবে।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      ক্ষুদ্র একটি প্রশ্ন, কিন্তু জরুরী!!!

      পুরুষদের জন্য মহিলাদের দেখা পর্দার খেলাফ ও যিনা হয়ে থাকে। এ কারণে দেখা যায় ভাইয়েরা ভিডিও করার সময় কোনো মহিলাকে তার ভিতর আনতে হলে চেহারাটা ঢেকে দেন। কিন্তু মহিলাদের জন্য পুরুষদের দেখা বে-পর্দা ও যিনা হয়না?
      পর্দা কি শুধু পুরুষদের জন্য মহিলাদের উপর নাকি সকলের জন্য সকলের উপর???????
      জানতে আগ্রহী!! আশা করি অবগত করবেন ইনশাআল্লাহ......
      হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনো,
      ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনো না।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন ৷ আমিন
        "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

        Comment


        • #5
          আলহামদুলিল্লাহ্ ইলম ও জিহাদ ভায়ের পোষ্টগুলো মণিমুক্তর চেয়েও দামি,আল্লাহ্ ভায়ের ইলমে ভরপুর বারাকা দান করুন,সম্মানিত ভায়ের ইজ্জত আরো বাড়িয়ে দিন,ভাইকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন,দ্বীদের খেদমতে ভায়ের দরদমাখা পোষ্টগুলো কবুল করুন,, সম্মানিত মিডিয়ার ভাইদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন আমিন।

          Comment


          • #6
            ভায়ের কাছে অনুরোধ সব পোষ্টগুলো যদি pdf আকারে দিতেন খুবই ভালোহতো।

            Comment


            • #7
              আখি, এ সিরিজের সবগুলো পোস্ট বই আকারে পিডিএফ দেওয়ার অনুরোধ

              Comment


              • #8
                আল্লাহ তাআলা আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন ও আমাদেরেক এর থেকে ফাইদা হাসিল করার তাওফীক দান করুন আমীন।
                মুহতারাম ভাই! সবপর্বগুলি একসাথে পিডিএফ করে দিলে উপকার হতো!
                কারণ সবগুলি পর্ব পড়া হয়নি, আবার লিংকও রাখা হয়নি।
                মুমিনদেরকে ক্বিতালের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by উম্মে আয়শা View Post
                  পুরুষদের জন্য মহিলাদের দেখা পর্দার খেলাফ ও যিনা হয়ে থাকে। এ কারণে দেখা যায় ভাইয়েরা ভিডিও করার সময় কোনো মহিলাকে তার ভিতর আনতে হলে চেহারাটা ঢেকে দেন। কিন্তু মহিলাদের জন্য পুরুষদের দেখা বে-পর্দা ও যিনা হয়না?
                  পর্দা কি শুধু পুরুষদের জন্য মহিলাদের উপর নাকি সকলের জন্য সকলের উপর???????
                  জানতে আগ্রহী!! আশা করি অবগত করবেন ইনশাআল্লাহ......
                  আপনার প্রশ্নের জবাব দিয়ে "আদনান মারুফ" ভাই আলাদা থ্রেডে পোষ্ট করেছেন। পড়ে নিলে ভাল হয়।
                  বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
                  কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

                  Comment


                  • #10
                    মাশাআল্লাহ।
                    আল্লাহ তায়ালা আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment


                    • #11
                      ৫. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটুক্তিকারী
                      - একে উম্মাহর যে কেউ যে কোন জায়গায় পাবে কতল করে দিবে - এতটুকু জানি ।

                      লিস্টের বাকি কোন প্রকার আছে কি যাদের কে উম্মাহর যে কেউ যে কোন অবস্হায় পাবে তাদের কতল করে দেয়া জরুরী- অনুগ্রহ করে জানাবেন।

                      এ পাপিষ্ঠদের পাদচারণায় আমার প্রতিটা নিশ্বাস ভারি হয়ে যাচ্ছে।
                      দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যাক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

                      Comment

                      Working...
                      X