আত্–তিবয়ান পাবলিকেশন্স কর্তৃক পরিবেশিত
মুসলিম ভূমিকে প্রতিরক্ষা করা
(ঈমান আনার পর প্রথম ফারদ্)||
- শহীদ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)||
এর থেকে = ৪র্থ পর্ব
==================================================
=====
ভূমিকা
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি এবং তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমরা তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আশ্রয় চাই আমাদের খারাপ আমল ও নফসের খারাবী থেকে। আল্লাহ তা’আলা যাকে হিদায়াত দান করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারে না। আর তিনি যাকে গোমরাহীর মধ্যে নিক্ষিপ্ত করেন কেউ তাকে হিদায়াত দান করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর দাস এবং রসূল।
হে আমার রব! কোন কিছুই সহজ নয় শুধুমাত্র আপনি যার জন্য তা সহজ করে দেন। এবং আপনি যখন চান তখন অন্ধকারের ভিতরে আলো দান করেন।
আমি যখন এই ফাতওয়াটি লিখি তখন এটি বর্তমানের আকারের চেয়ে আরো বড় ছিল। আমি এটিকে আমাদের সম্মানিত শাইখ আব্দুল আজিজ বিন বাজকে দেখাই। আমি তাঁর সামনে ফাতওয়াটি পড়ি; এবং তিনি পুরো ফাতওয়াটি শুনে এর সাথে একমত পোষণ করেন এবং বলেন, “এটি খুব ভাল”। তবে, তিনি আমাকে উপদেশ দেন ফাতওয়াটি আরো সংক্ষিপ্ত করার জন্য এবং এর শুরুতে একটি ভূমিকা দেয়ার জন্য যখন এটি প্রকাশনা করা হবে। পরবর্তীতে তিনি ব্যস্ত হয়ে পরেন কারণ তখন ছিল হজ্জের মৌসুম, তাই এটি আর দ্বিতীয় বারের মত তাকে দেখাতে পারিনি।
এরপর শাইখ বিন বাজ জেদ্দায় বিন লাদেনের মসজিদে এবং রিয়াদের একটি বড় মসজিদে খুতবা দেয়ার সময় ঘোষণা দেন যে বর্তমানে জিহাদ হচ্ছে প্রত্যেকের জন্য ফারদ্ আ’ইন। অতঃপর আমি এই ফাতওয়ার শেষের ছয়টি প্রশ্ন ছাড়া বিশিষ্ট শাইখ আবদুল্লাহ আল-ওয়ান, প্রভাষক সাঈদ হাউয়া, মুহাম্মাদ নাজীব আল-মুত’ঈী, ডঃ হাসান হামিদ হিসান এবং উমার সাঈফ প্রমূখদেরকে দেখাই। আমি তাদের সম্মুখে এটি পড়ে শুনাই এবং তাদের সবাই এতে একমত পোষণ করেন এবং এতে স্বাক্ষর করেন। এছাড়াও আমি শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফ্ফী, হাসান আইউব এবং ডঃ আহমেদ আল-আশাল এর সামনেও এটিকে পড়ে শুনিয়েছিলাম।
এরপর আমি হজ্জের মৌসুমে একটি খুতবা দেই সাধারণ পথনির্দেশনা সেন্টারের মধ্যে যা মিনায় অবস্থিত। সেখানে ইসলামী দেশগুলো থেকে প্রায় এক’শ -এর বেশি আলিমগণ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমি বলেছিলামঃ
“এ ব্যাপারে পূর্ববর্তী সত্যনিষ্ঠ আলিমগণ একমত পোষণ করেছেন এবং সকল যুগের মুহাদ্দিসগণ উপলব্ধি করেছেন যে, যদি মুসলিমদের ভূমির এক বিঘত পরিমাণের জায়গাও কুফ্ফাররা দখল করে নেয়, তখন প্রত্যেক মুসলিম নর ও নারীর উপর জিহাদ করা ফারদ্ আ’ইন (সবার জন্য ফরয) হয়ে যায়। ঐ মুহুর্তে জিহাদে বের হওয়ার জন্য সন্তানের প্রয়োজন হয় না তার পিতা-মাতার কাছ থেকে অনুমতি নেয়া এবং স্ত্রীরও তার স্বামীর কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয় না।”
আমি আমীরুল জিহাদ (সাইয়াফ)-এর অধীনে ৩ বছর সময় আফগানিস্তানের জিহাদে কাটিয়ে এসেছি এবং আমি সেখানে জনশক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। সুতরাং এ বিষয়ে যদি কোন মত পার্থক্য থেকে থাকে, ‘হে উলামা মাশায়েখগণ! তাহলে দাড়িয়ে যেতে পারেন।’ সেখানে একজনও দ্বিমত পোষণ করেননি। তার পরিবর্তে, ডঃ জাফর শাইখ ইদ্রিস উঠে বললেন, ‘হে আমার ভাই! আমাদের এ বিষয়ের উপর কোন দ্বিমত নেই।’”
সুতরাং, অবশেষে আমি এই ফাতওয়াটি প্রকাশনা করি। যেন আল্লাহ তা’আলা এই কিতাবটির মাধ্যমে এই দুনিয়ায় এবং আখিরাতের জন্য সমস্ত মুসলিমদের কল্যাণ এনে দিতে পারেন।
“ঈমান আনার পরে সর্ব প্রথম ফারদ্ কর্তব্য হচ্ছে আগ্রাসী শত্রু বাহিনীকে মুসলিম ভূমি থেকে বিতাড়িত করা, যারা মুসলিমদের দ্বীন এবং দুনিয়াবি কোন বিষয়ের উপর আক্রমণ চালায়।”
ডঃ আবদুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ্
১ম অধ্যায়ঃ ঈমান আনার পর প্রথম ফারদ্ দায়িত্ব
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি এবং তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমরা তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আশ্রয় চাই আমাদের খারাপ আমল ও নফসের খারাবী থেকে। আল্লাহ তা’আলা যাকে হিদায়াত দান করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারে না। আর তিনি যাকে গোমরাহীর মধ্যে নিক্ষিপ্ত করেন কেউ তাকে হিদায়াত দান করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি
আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর দাস এবং রসূল। আল্লাহ তাঁর উপর, তাঁর পরিবার ও সাহাবী (রদিআল্লাহু আনহুম) গণের উপর শান্তি বর্ষন করুন।
অতপর…
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা এই দ্বীন (ইসলাম)-কে সমস্ত বিশ্ববাসীর উপর দয়াস্বরূপ পছন্দ করেছেন। তিনি এই দ্বীনের জন্য সর্বশেষ নাবীকে পাঠিয়েছেন যিনি রসূলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী রহমত প্রাপ্ত। তাঁকে পাঠানো হয়েছে তীর ও বর্শার দ্বারা এই দ্বীনকে বিজয়ী করে তোলার জন্য; যখন এটি সবার নিকট সুস্পষ্ট দলিল ও যুক্তি দ্বারা পরিষ্কার হয়ে যায়। নাবী ﷺ বলেন,
“আমাকে উত্থিত করা হয়েছে কিয়ামতের আগে তলোয়ার সহকারে যতক্ষণ পর্যন্ত শিরকমুক্ত অবস্থায় এক আল্লাহর ইবাদাত করা হয়। তিনি আমার রিজিক রেখেছেন বর্শার ছায়ার নীচে এবং যারা আমার আদেশ প্রত্যাখ্যান করবে তাদের জন্য রয়েছে অবমাননা ও লাঞ্ছনা, যা নির্ধারিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ হতে। এবং যে তাদের (কাফিরদের) অনুসরণ করবে সে তাদের অন্তর্ভূক্ত।”
আল্লাহ তা’য়ালা মানবতার মুক্তির পথ রেখেছেন জিহাদের মধ্যে, কেননা তিনি বলেন,
وَلَوْلا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَفَسَدَتِ الْأَرْضُ وَلَكِنَّ اللَّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْعَالَمِينَ
“আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলদ্বারা অন্য দলকে প্রতিহত না করতেন তাহলে পৃথিবী বিপর্যস্ত হয়ে যেত। কিন্তুআল্লাহ জগতসমূহের প্রতি অনুগ্রহশীল।”
এভাবেই সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’আলা এই বিধানকে মানব জাতির উপরে অনুগ্রহ স্বরূপ দান করেছেন এবং এটিকে দ্ব্যর্থহীন করে দিয়েছেন। অন্য কথায়, মানবজাতির পুনর্গঠনের জন্যই সত্য-মিথ্যার এই দ্বন্দ্ব চলতে থাকবে, যেন সত্য সদা প্রবল হয় এবং যা কিছু উত্তম তা বিস্তার লাভ করে। এর আরও একটি উদ্দেশ্য হল মু’মিনদের আমল এবং ইবাদাতের স্থানগুলোকে নিরাপদে রাখা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা বলেন,
الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ إِلا أَنْ يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّهُ وَلَوْلا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَاتٌ وَمَسَاجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ كَثِيرًا وَلَيَنْصُرَنَّ اللَّهُ مَنْ يَنْصُرُهُ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ
“যদি আল্লাহ তা’আলা মানবজাতিরএকদলকে অপর দল দ্বারা শায়েস্তা না করতেন তাহলে দুনিয়ার বুক থেকে (খৃষ্টানসন্ন্যাসীদের) উপাসনালয় গির্জা সমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, ইহুদীদের ইবাদাতের স্থান এবং মুসলমানদের মসজিদ সমূহও যেখানে বেশী বেশীপরিমাণে আল্লাহর নাম নেয়া হয়। আল্লাহ তা’য়ালা অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন যেআল্লাহর (দ্বীনের) সাহায্য করেন, অবশ্যই আল্লাহ সর্বশক্তিমান ওপরাক্রমশালী।”
প্রতিরক্ষা অথবা জিহাদের বিধি-বিধান ও কৌশল সম্পর্কে আল্লাহর কিতাবের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে যাতে আমরা বুঝতে পারি যে, সত্যের নিজস্ব একটা শক্তি আছে যা দ্বারা সে নিজেকে টিকিয়ে রাখে। এখন প্রশ্ন হল যে, আর কতকাল এই সত্য (দ্বীন) পরাজিত হতে থাকবে এর বাহকদের অবহেলার কারণে? আর কত দিন মিথ্যা (অন্যান্য দ্বীনগুলো) বিজয়ী হবে এদের সাহায্যকারীদের উৎসর্গের কারণে?
জিহাদ দুটি প্রধান স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। আর তা হল ধৈর্য্য এবং মহত্ব। ধৈর্য্য এমন একটি গুণ যার দ্বারা আত্মার সাহসিকতা প্রকাশ পায় এবং মহত্ব কাউকে তার সম্পদ ও জানকে আত্মত্যাগ করতে শেখায়। আত্মত্যাগ যার মধ্যেই থাকুক না কেন এটি হচ্ছে একটি মহৎ গুণ যেমনটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রসূল ﷺ বলেছেন, “ঈমান হল ধৈর্য ও মহত্ব।”
ইবনে তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ্ বলেন,
“ধৈর্য্য ও মহত্ব ব্যতীত বনী আদমের দ্বীন এবং দুনিয়াবি বিষয়ে সংশোধন হবে না।”
আল্লাহ তা’আলা এই বিষয়টিকে আরো পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, যে কেউ জিহাদ ত্যাগ করবে তিনি তদস্থলে অন্য এমন কাউকে নিয়ে আসবেন, যারা এই কাজটি সম্পাদন করবে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেনঃ
إِلا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
“তোমরা যদি অগ্রসর না হও তাহলেতিনি তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেনএবং তোমরা তাঁর কোন অনিষ্ট করতে পারবে না কারণ তিনি যা ইচ্ছা তা করতেপারেন।”
নাবী ﷺ-ও দু’টি পাপের উৎসকে উল্লেখ করেছেন, “কৃপণতা ও কাপুরুষতা”। এই উৎস দুটি আত্মাকে কলুষিত করে এবং সমাজের নৈতিক অবনতি ঘটায়। সহীহ্ হাদীসে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, “মানুষের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিক হল কৃপণতা ও কাপুরুষতা।”
আমরা যদি অতীতের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো আমাদের পূর্ববর্তী আলিমগণ জিহাদের বিধানকে আঁকড়ে ছিলেন এবং মানব জাতিকে এরই মাধ্যমে শিক্ষা এবং নেতৃত্ব দান করেছিলেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَجَعَلْنَا مِنْهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا لَمَّا صَبَرُوا وَكَانُوا بِآَيَاتِنَا يُوقِنُونَ
“আর আমি তাদের মধ্য হতে নেতা মনোনীত করিয়াছিলাম, যাহারা আমার নির্দেশ অনুসারে পথ প্রদর্শন করত, যেহেতু তারা ধৈর্য্য ধারণ করেছিল। আর তারা ছিল আমার নিদর্শনাবলীতে দৃঢ় বিশ্বাসী।”
সহীহ হাদীস থেকে বর্ণিত, রসূল ﷺ বলেছেন, “আমার উম্মতের প্রথম অংশ ঈমানের দৃঢ়তা ও সংযমের দ্বারা গঠিত হয়েছিল আর শেষ অংশ কাপুরুষতা এবং কৃপণতার দ্বারা ধ্বংস প্রাপ্ত হবে।”
দূর্ভাগ্যবশতঃ এমন কিছু জাতি ছিল যারা মুসলমানদের উত্তরসূরি ছিল, তারা আল্লাহর বিধানকে অবহেলা করত। তারা তাদের রবকে ভুলে গিয়েছিল, তাই তাদের রবও তাদেরকে ভুলে গিয়েছিলেন এবং তারা ধ্বংস প্রাপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
মহামহিমান্বিত আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,
فَخَلَفَ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا
“তাদের পর (তাদের অপদার্থ) বংশধররা এলো, তারা নামায বরবাদ করে দিলো এবং (নানা) পাশবিক লালসার অনুসরণ করলো, অতএবঅচিরেই তারা (তাদের এ) গোমরাহীর (পরিণাম ফলের) সাক্ষাত পাবে।”
তারা তাদের নফসের অনুসরণ করত এবং তাদের আমলের খারাপগুলোকে তাদের নিকট শোভনীয় করে তোলা হয়েছিল। সহীহ হাদীস থেকে বর্ণিত, রসূল ﷺ বলেন,
“আল্লাহ তা’আলা অপছন্দ করেন প্রতিটি স্বার্থান্বেসী, উদ্ধত ব্যক্তিকে যে বাজারে লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেরায়; রাত্রিতে সে লাশের মত ঘুমিয়ে থাকে এবং দিনের বেলায় থাকে গর্দভের ন্যায় এবং দুনিয়াবি বিষয়ে জ্ঞানী আর আখিরাতের বিষয়ে একদম মূর্খ।”
হারিয়ে যাওয়া অবশ্যপালনীয় কর্তব্যের মধ্যে একটি কর্তব্য হল জিহাদ। কেননা এটি এখন আর মুসলিমদের মধ্যে দেখা যায় না; যেন তারা এখন বন্যার পানিতে ময়লার মত হয়ে গিয়েছে। যে রকমটা মুহাম্মাদ ﷺ বলেছিলেন, “এমন একটি সময় আসবে যখন জাতিগুলো একে অপরকে প্রতিটি অঞ্চল থেকে তোমাদের উপর আক্রমণ করার জন্য আহ্বান করতে থাকবে, যেভাবে একই পাত্রে রাতের খাবারের খাওয়ার জন্য একে অপরকে আহ্বান করা হয়ে থাকে। একজন ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল যে, ‘এটা কি এই কারণে যে আমরা তখন সংখ্যায় কম হবো?’ তিনি বললেন- ‘না, বরং তোমরা হবে বন্যার পানির ময়লার মতো। আল্লাহ তোমাদের অন্তরের মধ্যে ‘ওয়াহান’ ঢুকিয়ে দেবেন এবং তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে ভয়কে উঠিয়ে নিবেন।’ তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! ‘ওয়াহান’ কি?’ তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা আর মৃত্যুকে ঘৃণা করা (আল্লাহ পথে)।’ অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, “তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং জিহাদের প্রতি ঘৃণা’।”
আরও পড়ুন
Comment