আত্–তিবয়ান পাবলিকেশন্স কর্তৃক পরিবেশিত
মুসলিম ভূমিকে প্রতিরক্ষা করা
(ঈমান আনার পর প্রথম ফারদ্)||
- শহীদ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)||
এর থেকে = ৯ম পর্ব
==================================================
=====
মুসলিম ভূমিকে প্রতিরক্ষা করা
(ঈমান আনার পর প্রথম ফারদ্)||
- শহীদ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)||
এর থেকে = ৯ম পর্ব
==================================================
=====
৩য় অধ্যায়ঃ র্ফাদুল আ’ইন ও র্ফাদুল কিফায়া
لَوْ كَانَ عَرَضًا قَرِيبًا وَسَفَرًا قَاصِدًا لاتَّبَعُوكَ وَلَكِنْ بَعُدَتْ عَلَيْهِمُ الشُّقَّةُ وَسَيَحْلِفُونَ بِاللَّهِ لَوِ اسْتَطَعْنَا لَخَرَجْنَا مَعَكُمْ يُهْلِكُونَ أَنْفُسَهُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ
“(হে নাবী, এতে) যদি আশু কোন লাভথাকতো, হতো যদি (তাদের এ) সফর সহজ সুগম, তাহলে তারা অবশ্যই (এ অভিযানে)তোমার পিছনে পিছনে যেতো, কিন্তু তাদের জন্যে এ যাত্রাপথ অনেক দীর্ঘ (ওদুর্গম) ঠেকেছে; তারা অচিরেই আল্লাহর নামে (তোমার কাছে) কসম করে বলবে, আমরাযদি সক্ষম হতাম তাহলে অবশ্যই তোমার সাথে (অভিযানে) বের হতাম, (মিথ্যাঅজুহাতে) তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করছে, আল্লাহ তা’আলা জানেন, এরা হচ্ছেমিথ্যাবাদী।”
ফার্দুল আ’ইনঃ
এটি হচ্ছে র্ফাদ, যা প্রত্যেক মুসলিমের পালন করা বাধ্যতামূলক। যেমনঃ সলাত, সিয়াম।
ফার্দুল কিফায়াঃ
এটি এমন এক দায়িত্ব, যদি কিছু ব্যক্তি তা পালন করে তাহলে বাকি সবাই দায়িত্বমুক্ত হয়ে যায়। ফার্দুল কিফায়া মানে হচ্ছে, যদি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যক্তি এই দায়িত্ব পালন না করে তাহলে সবাই গুনাহগার হয়ে যাবে। যদি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যক্তি দায়িত্ব পালনে সাড়া দেয়, তাহলে বাকি সবাই দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। প্রাথমিক অবস্থায় ফার্দুল কিফায়ার দিকে আহবান এবং ফার্দুল আ’ইনের দিকে আহবানের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। পার্থক্য এতটুকুই যে, ফার্দুল কিফায়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যক্তি যোগাড় হয়ে গেলে বাকী সবাই দায়িত্বমুক্ত হয়ে যায় অথচ ফার্দুল আ’ইনের ক্ষেত্রে যত অধিক সংখ্যক ব্যক্তি সাড়া দিক না কেন বাকী সবাই দায়িত্বমুক্ত হয় না।
এজন্য ফাখর আর-রাজি ফার্দুল কিফায়ার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, “এই দায়িত্ব পালন করার সময় দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তির দিকে তাকানো হয় না।”
ইমাম আস-শাফেয়ী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “ফার্দুল কিফায়ার হুকুমটি প্রত্যেক ব্যক্তির দিকে লক্ষ্য করেই করা হয় অথচ প্রয়োজন হচ্ছে কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সাড়া দেয়া।”
অধিকাংশ আলিমগণ এই সংজ্ঞার উপর একমত পোষণ করেছেন ইবনে হাজিব, আল-আমদি এবং ইবনে আব্দুস সাকুর। তারা বলেছেন ফার্দুল কিফায়ার হুকুমটি প্রত্যেকের উপর করা হয়, কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক দায়িত্বটি পালন করলে বাকী সবাই দায়িত্ব মুক্ত হয়ে যায়। মানুষ বর্তমানে জিহাদের হুকুম নিয়ে তর্ক বিতর্ক করে, তারা মনে করে ইহা বর্তমানে ফার্দুল কিফায়া অর্থাৎ যদি কিছু ব্যক্তি দায়িত্বটি পালন করে তাহলে বাকি সবাই দায়িত্ব মুক্ত হয়ে যাবে। এই মত অনুসারে আফগানিস্তানে জিহাদ করা হচ্ছে ফার্দুল কিফায়া।
উপরন্তু, আফগানিস্তান থেকে রাশিয়ান ও কমিউনিস্টদের বের করা পৃথিবীর প্রতিটি মুসলিমের উপর বাধ্যতামূলক দায়িত্ব। যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রয়োজনীয় সংখ্যক মুসলিম সাড়া দেয়। কমিউনিস্টদেরকে সম্পূর্ণরূপে বহিষ্কার করার পরই এই দায়িত্ব পালন না করার গুনাহ থেকে সবাই মুক্ত হবে এটি এই কারণে যে, যখনই কাফিররা আক্রমণ করবে তখন ওদেরকে বহিষ্কার করা বাধ্যতামূলক। এবং এই কাফিরদের মুসলিম ভূমি থেকে বহিষ্কার করা পর্যন্ত এই দায়িত্ব বহাল থাকে।কিছু লোক অনেক দূর থেকে মন্তব্য করে, “আফগানিস্তানের জিহাদে শুধু টাকার প্রয়োজন মানুষের প্রয়োজন নাই।” এই কথাটি সত্য নয়, কারণ ছয় বছর ধরে আফগানিস্তানে রাশিয়ান আগ্রাসনের সময় দেশের বাইরে পঞ্চাশ লক্ষ শরণার্থী, দেশের ভেতরে সত্তর লক্ষ শরণার্থী এবং আরও কিছু ছিল পাহাড়ে ও জঙ্গলে। ওই ব্যক্তির কথার জবাবে এই পরিস্থিতি উল্লেখ করাই যথেষ্ট।
সাইয়াফ বলেছেন, “চৌদ্দটি দেশ যার মধ্যে সর্বপ্রথম হচ্ছে সোভিয়েত ইউনিয়ন, তারা সকলে মিলে ওয়ারসো (warsaw) চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক কমিউনিস্টদের অনুসরণ করছে, তারা একত্রিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে অথচ মুসলিম বিশ্ব এখনও তর্ক করছে যে, আফগানিস্তানে জিহাদ করা কি ফার্দুল আ’ইন নাকি ফার্দুল কিফায়া?”
সুতরাং প্রতিটি ব্যক্তি শহীদ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুসলিমরা অপেক্ষা করুক তখন তাদের বিশ্বাস হবে যে, জিহাদ করা ফার্দুল আ’ইন। অথচ তারা জানে যে, এখন পর্যন্ত ১৫ লক্ষ শহীদ হয়ে গেছে।
আফগানীরা বলে, “আমাদের মধ্যে একজন আরব থাকা এক মিলিয়ন ডলার থাকার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ।” শাইখ সাইয়াফ, জিহাদ ম্যাগাজিনে নবম পরিচ্ছেদে আলিম এবং দা’য়ীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেনঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সলাত এবং সালাম রসূলুল্লাহ ﷺ, তাঁর পরিবার, সাহাবী এবং যারা হিদায়াতের উপর আছে তাদের জন্য। আম্মাবা’দ:
আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপনারা জানতে পেরেছেন যে আফগানিস্তানে জিহাদ শুরু হয়েছে এবং চালু আছে। এই লক্ষ্য উপলব্ধি করার পর আমাদের এমন মুজাহিদীন দরকার যারা ইসলামকে সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছে এবং সত্যিকারের ইসলামী জিহাদ পরিচালনা করতে পারবে। উপরন্তু বিরামহীন ভাবে শিক্ষা এবং উপদেশ দেয়ার জন্য আমাদের দা’য়ী এবং আলিম প্রয়োজন। আপনাদের জানা উচিত যে, অনেক শিক্ষক এবং আলিম আফগানিস্তানের জিহাদের ময়দানে শহীদ হয়ে গিয়েছেন। এই জন্যই আমাদের যোগ্য শিক্ষক প্রয়োজন যারা মুজাহিদীনদের বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষাদান এবং পরিচালনা করতে পারবে এবং প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, শরণার্থী ক্যাম্প, সেনাবাহিনীকে শিক্ষাদান করবে যাতে লক্ষ্যে পৌছার জন্য আল্লাহর সাহায্য আসে। কোন উচ্চ পেশাজীবী অথবা বিশেষজ্ঞের চাইতে আমাদের আলিম এবং শিক্ষক প্রয়োজন। ইসলাম ও মুসলিমদেরকে উপকার করার জন্য আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন।
আপনাদের ভাই,
আব্দুর রাব্বির রসূল সাইয়াফ
পাকতিয়া, জামি
৩রা শাওয়াল, ১৪০৫ হিজরি।
অভিভাবক, স্বামী এবং ঋণদাতা থেকে অনুমতি প্রসঙ্গ
শত্রুর অবস্থার সাথে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত। শত্রুরা যদি তাদের নিজেদের দেশে অবস্থান করে, তারা মুসলিমদের সীমানায় এসে একত্রিত হয়নি, মুসলিম ভূমি হুমকির সম্মুখীন নয় এবং সীমান্তগুলিতে যথেষ্ট মুজাহিদীন আছে, অবস্থা যদি এরকম হয় সেক্ষেত্রে জিহাদ ফার্দুল কিফায়া এবং উল্লেখিত শ্রেণীগুলি থেকে অনুমতি নেওয়া আবশ্যক কারণ অভিভাবক এবং স্বামীর আনুগত্য হচ্ছে ফার্দুল আ’ইন আর উপরোক্ত পরিস্থিতিতে জিহাদ হচ্ছে ফার্দুল কিফায়া।
যদি শত্রুরা মুসলিমদের সীমানা আক্রমণ করে অথবা মুসলিমদের ভূমির যেকোন অংশে প্রবেশ করে, সেক্ষেত্রে আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি যে, সমগ্র দেশ এবং তার আশে পাশে যারা আছে তাদের সকলের উপর জিহাদ ফার্দুল আ’ইন হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে উপরোক্ত শ্রেণীগুলি থেকে অনুমতি নেওয়া আবশ্যক নয়। কোন ব্যক্তির জন্য অপরের নিকট থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি সন্তান তার অভিভাবকের নিকট থেকে, স্ত্রী তার স্বামীর নিকট থেকে, ঋণগ্রহীতা তার ঋণদাতার নিকট থেকে অনুমতি ব্যতীতই জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম ভূমি থেকে শত্রুদেরকে বহিষ্কার করা না হয় অথবা প্রয়োজনীয় সংখ্যক মুজাহিদীন সাড়া না দেয় ততক্ষণ পর্যন্ত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক নয়। এমন কি পৃথিবীর সমস্ত মুসলিমদের একত্রিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলে একত্রিত হতে হবে। যদিও অভিভাবকের আনুগত্য করা ফার্দুল আ’ইন তারপরও ইহার উপর ফার্দুল আ’ইন জিহাদ অগ্রাধিকার পাবে। কারণ জিহাদের মাধ্যমে সমগ্র দ্বীনকে রক্ষা করা হয় এবং অভিভাবকের আনুগত্যের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জন্য দায়িত্ব পালন করতে হয়। সুতরাং একজন ব্যক্তিকে রক্ষা করার চাইতে সমগ্র দ্বীনকে রক্ষা করা অগ্রাধিকার যোগ্য। উপরন্তু জিহাদের মাধ্যমে যদিও একজন মুজাহিদ ধ্বংস (শহীদ) হতে পারে, কিন্তু এর মাধ্যমে সমগ্র দ্বীন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া নিশ্চিত হয়। কিন্তু এটা নিশ্চিত নয় যে একজন ব্যক্তি জিহাদে চলে গেলে তার অভিভাবক ধ্বংস হয়ে যাবে। অনিশ্চিত বিষয়ের উপর নিশ্চিত বিষয় প্রাধান্য পায়।
ফার্দুল আ’ইন এবং ফার্দুল কিফায়ার একটি উদাহরণঃ
কিছু ব্যক্তি সমুদ্র সৈকতে হাঁটছে, তাদের মধ্যে একজন ভাল সাঁতারু বিদ্যমান। তারা দেখল একটি শিশু পানিতে ডুবে যাচ্ছে এবং চিৎকার করছে, ‘আমাকে বাঁচাও!’ ‘আমাকে বাঁচাও!!’ বলে; কিন্তু কেউ তার ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। একজন সাঁতারু তাকে উদ্ধার করার জন্য সামনে অগ্রসর হল কিন্তু তার পিতা তাকে নিষেধ করছে। বর্তমান সময়ের কোন আলিম কি এই কথা বলবে যে, উক্ত সাঁতারুর তার পিতার হুকুম পালন করা উচিত এবং বাচ্চাটি ডুবে যাক। বর্তমানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ঠিক এরকমই। সে সাহায্যের জন্য কাঁদছে, তার বাচ্চাদেরকে জবাই করা হচ্ছে, তার মেয়েদেরকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, নিরপরাধদেরকে হত্যা করা হচ্ছে এবং তাদের ফসল ধ্বংস করা হচ্ছে। যখনই কোন একনিষ্ঠ যুবক তাদেরকে মুক্ত করার জন্য সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে তখনই তাকে সমালোচনা করা হয় এবং দোষারোপ করে বলা হয়, “কিভাবে তুমি তোমার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া সেখানে যাও।”
ডুবন্ত শিশুকে উদ্ধার করা সমস্ত সাঁতারুর জন্য ছিল ফারদ। যে কোন একজন সাঁতারু অগ্রসর হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুটিকে মুক্ত করার দায়িত্বটি সকলের উপর ছিল। একজন যদি তাকে মুক্ত করার জন্য অগ্রসর হয় তখন অন্য সবাই গুনাহ থেকে দায় মুক্ত হয়ে যায়, কিন্তু কোন একজন অথবা যথেষ্ট সংখ্যক ব্যক্তি যদি শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য অগ্রসর না হয় তখন সকলেই গুনাহের অংশীদার হয়ে যায়।
যে কোন একজন অগ্রসর হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। এমনকি শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য কোন অভিভাবক যদি তার সন্তানকে নিষেধ করে তবে অবশ্যই সে অভিভাবককে অমান্য করতে হবে। এটি এই কারণে যে, প্রাথমিক অবস্থায় ফার্দুল কিফায়ার দিকে আহবান এবং ফার্দুল আইনের দিকে আহবানের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য এতটুকুই যে, ফার্দুল কিফায়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যক্তি যোগাড় হয়ে গেলে বাকী সবাই দায়িত্বমুক্ত হয়ে যায়। আর যদি কেউ সাড়া না দেয় তবে সবাই গুনাহগার।
ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ “যদি শত্রু আক্রমণ করে তখন তর্কের কোন অবকাশ নেই। প্রকৃতপক্ষে দ্বীন, জীবন এবং সমস্ত প্রিয় জিনিস রক্ষা করা ফারদ। এই ব্যাপারে সবাই একমত প্রকাশ করেছেন।
ফার্দুল কিফায়ার ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা এবং ফার্দুল আ’ইনের ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার অপ্রয়োজনীয়তার বিধান নেওয়া হয়েছে দু’টি হাদিসের মধ্যে সামঞ্জস্য করার মাধ্যমেঃ
প্রথম হাদিসঃ বুখারী কর্তৃক সংকলিত আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আ’স (রদিআল্লাহু আনহু) বলেছেনঃ “এক ব্যক্তি জিহাদে যাওয়ার অনুমতির জন্য রসূল ﷺ এর নিকট আসল। তিনি ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার পিতামাতা জীবিত আছে?’ ব্যক্তিটি উত্তর দিল, ‘হ্যাঁ’। তিনি ﷺ বললেন, ‘যাও তাদেরকে সেবা কর, তাদের মধ্যেই তোমার জিহাদ।’”
দ্বিতীয় হাদিসঃ ইবনে হিব্বান আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনা করেছেনঃ “এক ব্যক্তি রসূল ﷺ এর কাছে এসে সবচেয়ে উত্তম আমলের কথা জিজ্ঞেস করল। তিনি ﷺ উত্তর দিলেন, ‘সলাত’। লোকটি আবার প্রশ্ন করল, ‘অতঃপর কোনটি?’ তিনি ﷺ বললেন, ‘জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।’ লোকটি তখন বলল, ‘আমার দুজন পিতামাতা আছে।’ তিনি ﷺ তাকে বললেন, ‘আমি তোমাকে আদেশ করছি তাদের মাধ্যমে কল্যাণ অর্জন করতে।’ লোকটি উত্তর দিল, ‘যিনি আপনাকে সত্য সহ পাঠিয়েছেন তাঁর শপথ, আমি জিহাদ করবো এবং তাদেরকে পরিত্যাগ করবো।’ তিনি ﷺ বললেন, ‘তুমি ভাল জান।”
ইবনে হাজার (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ “এখানে বুঝতে হবে যে (দ্বিতীয় হাদীসে) জিহাদ ছিল ফার্দুল আ’ইন। এটিই এই দুই হাদিসের মধ্যে সামঞ্জস্য।”
আরও পড়ুন
৮ম পর্ব --------------------------------------------------------------------------------------------------- ১০ পর্ব
Comment