আন নাসর মিডিয়াপরিবেশিত
“আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা” ।।
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ১৫তম পর্ব
===================
“আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা” ।।
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ১৫তম পর্ব
===================
০২. শাসকগোষ্ঠীর সহযোগী: সরকারি আলেম, সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মী, লেখক, বুদ্ধিজীবী সরকারি গং চাকুরেরা বাতিলকে সাহায্য করা, একে শোভনীয়রূপে ফুটিয়ে তোলা এবং তাদের পক্ষাবলম্বন করার বিনিময়ে বেতন ভোগ করে-
এ গোষ্ঠীটি ইসলামী ভূখণ্ডে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত শাসকশ্রেণী, ক্রুসেডার বাহিনী বা (তাদের প্রতারণা মতে) জিম্মিদের (!) সাথে বন্ধুত্ব করার ব্যাপারে সবচেয়ে জোরালো ভূমিকা পালনকারী।
কিন্তু আফসোস তারা স্পর্শকাতর একটি প্রশ্ন থেকে পালিয়ে বেড়ায় যে, (যদি তারা জিম্মি হয়ে থাকে তবে) কে কাকে জিযিয়া দেয়?
এ গোষ্ঠীটি বিভিন্ন ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র পূর্ববর্তী-পরবর্তী সকল ইমামগণের স্থিরকৃত আকীদা থেকে বিচ্যুত প্রতারণাপূর্ণ এক পদ্ধতিকে অনুসরণ করে।
এ গোষ্ঠীটি নিজেদের মাঝে সন্নিবেশ ঘটিয়েছে:
০১. মুরজিয়াদের আকীদা- সর্বনিকৃষ্ট পন্থার শৈথিল্য, তাঁবেদারি, ফাসাদ ও মুরতাদ সরকারের সংগঠনগুলো কর্তৃক লুণ্ঠনকে অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে শরীয়াহর গণ্ডিতে ঢুকিয়ে পূর্ণমাত্রায় ছাড় দেয় এরা।
০২. খারেজীদের আকীদা- তারা ইসলামের পথে জীবন উৎসর্গকারী মুজাহিদীনের রক্ত ও ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, তাঁদেরকে কাফের, ফাসিক ও বেদআতী আখ্যা দেওয়ার ব্যাপারে খারেজীদের মতো বাড়াবাড়ি করে।
অতএব, মিশরের রাষ্ট্রীয় মুফতী- যিনি মিশর সরকারের চাকুরে, তিনি বেতনের বিনিময়ে তাকে যে কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; সে কাজ নিষ্ঠার সাথে আঞ্জাম দেন। তার কাজ হলো, মুসলমানবিদ্বেষী ইয়াহুদীবান্ধব ধর্মনিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থাকে এমন এক বাড়াবাড়ির মাধ্যমে শরীয়াহর আলোকে বৈধতাপ্রদান করা, যা প্রথম যুগের মুরজিয়াদেরকেও হার মানায়। তিনিই আবার ধর্মনিরপেক্ষ সামরিক আদালতকে ইসলামের সিংহ পাঁচ মিশরী মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলানোর পক্ষে ফতোয়া দেন। সে সকল মুজাহিদগণ হলেন যথাক্রমে মুহাম্মাদ আব্দুস সালাম ফারজ, আব্দুল হামীদ আব্দুস সালাম, খালীদ ইসলামবুলী, হুসাইন আব্বাস ও আতা তায়িল রহ.। তারা সেই আনোয়ার সাদাতকে হত্যা করেছিলেন, যে ইসরাইলের সাথে চারটি চুক্তি সম্পন্ন করেছিল। যাতে আছে:
ক. ইসরাইল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি প্রদান।
খ. ফিলিস্তিনে তাদের দখলদারিত্ব মেনে নেওয়া।
গ. ইসরাইলে আক্রমণ না করা।
ঘ. ইসরাইল কর্তৃক সীমালঙ্ঘন হয় এমন কোনো রাষ্ট্রকে সাহায্য না করা। সিনাই প্রদেশকে অস্ত্রমুক্ত করে ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অনেক গোপন চুক্তি সে-ই করেছিল।
এসব চুক্তিই ইসরাইলের সাথে ১৯৭৯ সালে মিশরের ‘শান্তিচুক্তি’ নামে প্রসিদ্ধ, যার ফলে মিশর-ইসরাইল যুদ্ধ চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ইসরাইলের সাথে যুদ্ধরত কোনো রাষ্ট্রকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা মিশরের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়; বরং সর্বক্ষেত্রে ইসরাইলের সাথে রাজনীতি, অর্থনীতি ও কূটনীতি সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে হয়। অতঃপর জামিয়া আজহার সেই চুক্তিকে মোবারকবাদ জানিয়ে একটি আহামরি ফতোয়া বের করে এবং এটিকে সম্পূর্ণ শরীয়াহসম্মত ঘোষণা দেয়!!!
আরেক শ্রেণীর মুফতী আছে, যারা উলুল আমরকে (শাসকগোষ্ঠীর) আনুগত্য করার আহ্বান করে। সাথে সাথে মুজাহিদীনকে ফেতনাবাজ বলে আখ্যা দেয়। তারা আমেরিকা এবং আদিগন্ত ধ্বংসস্তুপে পরিণতকারী তাদের জালিম সেনাবাহিনী, সাগরপথ সংকীর্ণকারী তাদের অহংকারী নৌবাহিনী, নিরাপত্তা আশ্রয়ী যুদ্ধবাজ সেই লক্ষ লক্ষ সৈন্যকে সাহায্য করার অনুমতি ও বৈধতা প্রদান করে।
আমাদের বুঝে আসে না যে, এখানে কে কাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে?? তারা একত্রে ফতোয়া প্রকাশ করে যে, অনিবার্য কারণে ইরাকী বার্থ পার্টির মোকাবেলায় আমেরিকাকে সাহায্য করা বৈধ। এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র স্থান হারামাইনের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধবাজ কাফের সেনাবাহিনীর উপস্থিতিকে শরীয়াহসম্মত বলে ঘোষণা দেওয়া হয়!! ইরাক আগ্রাসনের পর আজ বারো বছর[1] পর্যন্ত তারা এখানে উপস্থিত। এরাই তো অবরোধ আরোপ করে প্রায় দেড় মিলিয়ন ইরাকী শিশুকে হত্যা করেছে। কিন্তু তথাকথিত এই মুফতীগুলো এ ব্যাপারে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করল না।
বিষয়টা সাদ্দামের বার্থ পার্টির বিরুদ্ধে কাফের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং তা জাযিরাতুল আরবের তেলখনিগুলো জবরদখল করা পর্যন্ত গড়িয়েছে। না হলে আমেরিকার উপস্থিতির কোনো প্রয়োজন এখানে ছিল না। কারণ, কুয়েত স্বাধীন করা এবং তাকে সহায়তা করার জন্য আরববিশ্ব ও মুসলিম দেশসমূহের সেনাবাহিনীই যথেষ্ট ছিল।
কিন্তু এতে এসব শাসকগোষ্ঠীর কোনো আগ্রহ নেই; বরং তারা ব্রিটিশদের বেঁধে দেওয়া সীমানা এবং নির্ধারিত সিংহাসনের গোলাম। এরপর ব্রিটিশের উত্তরাধিকারী হলো আমেরিকা। জাযিরাতুল আরবসহ সমস্ত আরববিশ্বে এখন তাদেরই আধিপত্য ও দাপট।
ফলে এখন অনেক রাজা-বাদশাহ তাদের বিষয়-সম্পদ উদ্ধারে এগিয়ে এল। অথচ জাযিরাতুল আরবের নিরাপত্তাদান ও প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে এসব শাইখ ও রাজার কোনো অবস্থানই নেই।
এখন ইরাক দখল করার পর, তার অর্ধেক ভূমিতে আকাশ সীমায় চলাচল নিষিদ্ধকরণ, বাগদাদ প্রশাসন থেকে উত্তর কুর্দিস্তান স্বাধীনকরণ, সেখানে পর্যবেক্ষক দল প্রেরণ, তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান- এসবের পরও জাযিরাতুল আরবে ক্রুসেডার বাহিনীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বরং তারা ইরাকে ফের নতুনভাবে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা অপেক্ষায় আছে, কবে লাখ লাখ মুসলমানকে হত্যা করে ইরাকের তেলক্ষেত্রগুলো দখলে নিতে পারবে?
এরপর তারা সৌদি আরবকে ভাগ করার দিকে মনোনিবেশ করবে, যেমনটি কংগ্রেসে স্পষ্ট বলা হয়েছে। এরপর মিশরের দিকে। তাদের মতে এটিই তাদের জন্য মহাপুরস্কার!
এখন ব্যাপারটি আর সহযোগিতার ব্যাপার নেই; বরং তা পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ভূমিতে মুসলমানদেরকে ক্রুসেডারদের দ্বারা দখলকরণ, অপহরণ, লুণ্ঠন, জুলুম ইত্যাদির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেন এসব শাসক আমেরিকার অস্তিত্বের দেয়ালে এক বিবর্ণ পালিশ। এরপর সরকারি উলামায়ে কেরাম উপর থেকে পাঠানো ফতোয়ায় স্বাক্ষর করতে আসেন, যে ফতোয়ায় এ দখলদারিত্ব, লুণ্ঠন, ক্রুসেডীয় কর্তৃত্ব নয় শুধু, ইরাকে মুসলমানদের রক্ত প্রবাহিত করাকে পর্যন্ত জায়েয করে দেওয়া হয়েছে।
এরপর সৌদি সরকারের প্রধান মুফতী ফতোয়া প্রদান করবে যে, ইসরাইলের সাথে চুক্তি বৈধ। কারণ, তাদের সাথে চুক্তিকারী ‘ইয়াসির আরাফাত’ মুসলমানদের নেতা ছিলেন!
মুজাহিদগণ যখন ফায়লকায় আমেরিকানদের হত্যা করল, তখন কুয়েতের কিছু তথাকথিত দাঈ চিৎকার করে ওঠল। যাদেরকে এসব দাঈগণ জিম্মি নাম দিয়েছিল। সে সব ক্রুসেডারদের উপর জুলুমবাজির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তবে তারা ভুলে গেলেন যে, জিম্মিরা মুসলিম সরকারের ছায়ায় বসবাস করে এবং জিযিয়া প্রদান করে, তাদের উপর ইসলামের বিধানাবলি বলবৎ হয়। অথচ এখানে এসব শাইখ ও আমিরগণ ক্রুসেডারদের অস্ত্রের ছায়া ও কর্তৃত্বে বসবাস করেন, তাদের কাছে সাহায্য কামনা করেন এবং তাদেরকে সময়ে-অসময়ে প্রচুর সম্পদ দিয়ে তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন, তাদের চুল পরিমাণ বিরোধিতা করার সাহসও তাদের কারো নেই। সুতরাং কে কাকে জিযিয়া দেয়!? কে কার জিম্মায় আছে!? কে কার কর্তৃত্বে আছে!?
তারা এ কথাও ভুলে যান যে, কুয়েত জাযিরাতুল আরবের অন্তর্ভুক্ত এবং তাতে ইয়াহুদী-খৃষ্টানের অবস্থান মোটেও জায়েয নেই।
আল্লাহর পথে বাধাদানকারী এ শ্রেণীটি মানুষকে ফরয জিহাদ ছেড়ে শরীয়াহ থেকে বিচ্যুত শাসকদের আনুগত্য করার হুকুম দেয়। ফলে তারা কয়েকটি বিপদের সম্মুখীন হয়।
ক. মুসলিম রাষ্ট্রসমূহে কাফেরদের দখলদারিত্ব স্থায়িত্বে সাহায্য করা।
খ. মুসলমানদের উপর ফরযে আইন জিহাদ থেকে তাদেরকে বিরত রাখা।
গ. শরীয়াহ বহির্ভূত বাতিল শাসনকে শরীয়াহর রঙে রঙিন করা।
ঘ. মুজাহিদীনকে গালি দেওয়া এবং তাদেরকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া।
তাদের অন্যতম একটি কৌশল হলো, তারা বলে- জিহাদ ফরয ও প্রমাণিত। সেটিই মুক্তির পথ। তবে এখনো সময় হয়নি। এখন প্রস্তুতির সময়। এখন দাওয়াত দেওয়ার সময়।
এ নিয়ে তারা কঠিন ঝগড়া করবে। তবে একটি কঠিন প্রশ্ন থেকে তারা পালিয়ে বেড়ায়। এক শতাব্দী লাঞ্ছনার পরও কেন কোনো ধরনের প্রস্তুতি হয়নি!? এ প্রস্তুতি কখন শেষ হবে!? তাদের কাছে কোনো জবাব নেই। কারণ, তাদের এ প্রস্তুতির কোনো শেষ নেই। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-
وَلَوْ أَرَادُوا الْخُرُوجَ لَأَعَدُّوا لَهُ عُدَّةً ﴿التوبة: ٤٦﴾
“আর যদি তারা বের হবার সংকল্প করত; তবে অবশ্যই কিছু সরঞ্জাম প্রস্তুত করত।” (সূরা তাওবা: ৪৬)
তাদের দায়িত্ব ছিল, মানুষের আকীদা শুদ্ধ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর যেভাবে বিশুদ্ধ তাওহীদ অবতীর্ণ হয়েছে এবং যেভাবে সালাফগণ বর্ণনা করেছেন, সেভাবে বর্ণনা দেওয়া। কিন্তু আফসোস! তারা কিছু বলে আর কিছু গোপন করে।
তাওহীদ বিষয়ে সাধারণ মানুষ ও দুর্বলদের সংক্রান্ত অংশই থাকে তাদের আলোচনাজুড়ে। তাগুত শাসকদের ইসলাম থেকে বের হওয়া, ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদের সাথে তাদের সখ্যতা ইত্যাদি তাদের আলোচনায় আসে না।
আশ্চর্য কথা হলো, গত এক শতাব্দীকাল মুসলিমবিশ্ব ভিনদেশী আগ্রাসনের স্বীকার। ক্রুসেডারদের এ সামরিক উপস্থিতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে হঠাৎ কিংবা তাৎক্ষণিক ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়; বরং তা একশ’ বছরেরও বেশি সময়ের নিরবিচ্ছিন্ন গোলামির ফল। তবুও আমরা এসব বুদ্ধিজীবী থেকে বিরল দু’একটি ইঙ্গিত-ইশারা ব্যতীত এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিক্রিয়া পাই না।
তারা মাঝে মধ্যে অভিযোগ তোলেন যে, “মুজাহিদগণ জাতিকে কল্যাণকর কিছুই দিতে পারে না। তাদের কল্যাণের তুলনায় তাদের অনিষ্টতার পাল্লাই ভারী।” তবে তারা একটি প্রশ্নের উত্তর দেয় না- ভালো কথা! তো তোমাদের প্রস্তাবিত জিহাদের পদ্ধতি কোনটি? যেখানে ক্ষতি নেই, লাভই লাভ!!
তাদের জবাব হবে, জিহাদ ছেড়ে দাও।
আপনি যখন তাদেরকে প্রশ্ন করবেন, আচ্ছা! আমরা ধরে নিলাম, মুজাহিদগণ জিহাদ থেকে বিরত থাকল, আপনাদের মতো জিহাদ না করে বসে থাকল; তাহলে কি ইসলামের শত্রুরা মুসলিম উম্মাহর উপর সীমালঙ্ঘন করা থেকে বিরত থাকবে?
ফেতনা-ফাসাদ কি উধাও হয়ে যাবে?
ইয়াহুদীরা কি ফিলিস্তিন ছেড়ে চলে যাবে?
ইসরাইল কি ফিলিস্তিনকে ইয়াহুদীকরণ, মসজিদে আকসা ধ্বংসকরণ, গ্রেট ইসরাইল প্রতিষ্ঠাকরণ বন্ধ করবে?
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা কি তাদের ভ্রষ্টতা থেকে ফিরে আসবে?
অশ্লীলতার প্রচারকারীরা কি তাওবা করে ভালো মানুষ হয়ে যাবে?
তাগুত শাসকরা কি গদি ছেড়ে দেবে? জেলখানার দরজা খুলে দেবে? তার
জল্লাদগুলোকে কি মানুষ হত্যা থেকে বিরত রাখবে??
তারা কি কিছু করবে? কিছুই কি তারা করবে?? করবে কি তারা কিছুই???
অতঃপর এসব প্রশ্নে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে যুবকদেরকে তারা বলে, কেন তোমরা পড়ালেখায় মনোযোগ দিচ্ছ না?
কেন তোমরা কাফেরদের সাথে তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনা করছ না?
কেন তোমরা মাদরাসা, ইয়াতীমখানা ও হাসপাতাল নির্মাণে ব্রতী হচ্ছ না?
কেনো তোমরা সহীহ আকীদার দাওয়াত দিচ্ছ না?
মনে হবে, তারা আমাদেরকে আকীদাশুদ্ধির দাওয়াত দিচ্ছে। আসলে তাদের দাওয়াতের সারকথা হলো, তোমরা কেন জিহাদ থেকে বিরত থাকছ না???
এটি একটি আকীদাগত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রোগ বিশেষ। এটিকে বেশি ভয় করতে হবে। কারণ, এর পরিণাম হলো শুধু হারানো, ক্ষতি, লাঞ্ছনা ও আত্মসমর্পণ।
তাদের দাওয়াতের সারকথা হলো, মুজাহিদীনকে জিহাদ থেকে বিরত রাখা, ময়দানকে মুজাহিদ শার্দুলদের থেকে মুক্ত রাখা; যাতে হানাদার বাহিনী নিরাপদ থাকতে পারে, তাদের গায়ে একটি কাঁটাও যেন না বিঁধে। তাই তো ইসলামের শত্রুরা এ শ্রেণীকে সুনজরে দেখে এবং সরকারকে তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে ইঙ্গিত দেয়।
[1] শাইখের এই রচনাটি ১৪২৩ হিজরীর। বর্তমানে ১৪৪১ হিজরী চলছে।
আরও পড়ুন
Comment