আল হিকমাহ মিডিয়া পরিবেশিত
“আল আকসা পুনরুদ্ধারের ফরয আদায় করুন ” ।।
মুঈনুদ্দীন শামী হাফিযাহুল্লাহ||
এর থেকে শেষপর্ব
===================
“আল আকসা পুনরুদ্ধারের ফরয আদায় করুন ” ।।
মুঈনুদ্দীন শামী হাফিযাহুল্লাহ||
এর থেকে শেষপর্ব
===================
মুসলিম শাসকদের প্রতি
বিশ্বব্যাপী মুসলিম দেশের শাসকদের আচরণ সবার খুব ভালোই জানা আছে। তাদের অপরাধ আমেরিকা ও ইসরাঈলের চেয়ে বেশি না হলেও তাদের থেকে কম নয়, বরং কমপক্ষে সমান সমান হবে। পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, তুরস্ক, আরব আমিরাত, মিশর এবং সুদানের শাসকরা সবাই আমেরিকার সরাসরি পূজারী ও বন্ধু। তাদের অনেকেরই আজ ইসরাঈলের সাথে গভীর ও মধুর সম্পর্ক রয়েছে। যদি তাদের মাঝে বিন্দুমাত্রও ইসলামের প্রতি সমর্থন এবং ঈমানী চেতনা থাকে, বরং সরষে দানা পরিমাণও ঈমান ও ইসলাম বাকি থাকে, তবে এই হাদীসগুলোতে তাদের জন্য অনেক বড় শিক্ষা রয়েছে:
جَاءَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، مِنْ بَنِي الْخَزْرَجِ، إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لِي مَوَالِي مَنْ يَهُودٍ كَثِيرٌ عَدَدُهُمْ، وَإِنِّي أَبْرَأُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ مِنْ وَلَايَةِ يَهُودٍ، وَأَتَوَلَّى اللَّهَ وَرَسُولَهُ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ: إِنِّي رَجُلٌ أَخَافُ الدَّوَائِرَ، لَا أَبْرَأُ مِنْ وِلَايَةِ مَوَالِي. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ: "يَا أَبَا الحُباب، مَا بَخِلْتَ بِهِ مِنْ وَلَايَةِ يَهُودَ عَلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَهُوَ لَكَ دُونَهُ". قَالَ: قَدْ قَبِلْتُ! فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: )يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ (51) فَتَرَى الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ يُسَارِعُونَ فِيهِمْ يَقُولُونَ نَخْشَى أَنْ تُصِيبَنَا دَائِرَةٌ فَعَسَى اللَّهُ أَنْ يَأْتِيَ بِالْفَتْحِ أَوْ أَمْرٍ مِنْ عِنْدِهِ فَيُصْبِحُوا عَلَى مَا أَسَرُّوا فِي أَنْفُسِهِمْ نَادِمِينَ(تفسير ابن كثير (
“খাযরাজ গোত্রের হজরত উবাদাহ বিন সামিত রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল, আমি অনেক ইহুদীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছি, কিন্তু আমি তাদের সবার বন্ধুত্ব ছিন্ন করি। আমার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বন্ধুত্বই যথেষ্ট। এতে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই (সেও খাযরাজ গোত্রের ছিল) বললো, আমি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, আমি দূর চিন্তা করতে অভ্যস্ত, আমি এটা করতে পারবো না, আমি জানি না কখন কি সুযোগ আসবে?।" রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবদুল্লাহ! তুমি উবাদার তুলনায় খুবই দুর্বল। তখন এই আয়াত নাযিল হয়: ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই একজন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়াত দেন না। সুতরাং যাদের অন্তরে ব্যাধি (নিফাক) রয়েছে আপনি তাদের দেখতে পাবেন তারা প্রতিযোগিতা করে তাদের (ইহুদীদের) দিকে ছুটে চলে, তারা বলে, আমরা ভয় করি যে, আমাদের উপর কোনো বিপদ আসবে। কিন্তু সেই সময় বেশি দূরে নয় যে, আল্লাহ (মুসলিমদের) বিজয় দান করবেন কিংবা তাঁর পক্ষ থেকে অন্য কিছু প্রকাশ করবেন, আর সেই সময় এই লোকেরা তাদের অন্তরে যা লুকিয়ে রেখেছিল তার জন্য অনুতপ্ত হবে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর, সূরা মায়েদা ০৫: ৫১-৫২)
তাফসীরে ইবনে কাসীর ও তাফসীরে তাবারীতেও এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে:
মুসলমানরা যখন ইহুদীদের এই গোত্রের (বনু কাইনুকার) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল এবং আল্লাহর রহমতে তারা বিজয়ী হয়েছিল, তখন আবদুল্লাহ ইবনে উবাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললো, হে মুহাম্মদ! আমার বন্ধুদের ব্যাপারে আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন। এই লোকটি খাযরাজের সঙ্গী ছিল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কিছু বলেননি। অতঃপর সে আবারও বললো, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখ ফিরিয়ে নেন। তখন সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আস্তিন চেপে ধরে। অন্য রেওয়ায়েতে আছে, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বরকতময় ঘাড় চেপে ধরে, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হয়ে বললেন, ছেড়ে দাও। সে বললো, না! আপনি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা ছাড়া আমি ছাড়বো না, তাদের একটি বড় দল আছে এবং আজ পর্যন্ত এই লোকেরা আমার সমর্থক এবং একদিনে তারা সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে! আমি ভবিষ্যতের মুসীবতের ভয় করছি। অবশেষে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যাও সব তোমার জন্য।
একটি বর্ণনায় আছে, “যখন বনু কায়নুকার ইহুদীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং আল্লাহ তাদের ধ্বংস করেন, তখন আবদুল্লাহ ইবনে উবাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনেই তাদের সমর্থন করতে শুরু করে। অথচ হযরত উবাদাহ বিন সামিত রাযিয়াল্লাহু আনহুও তাদের মিত্র থাকা সত্ত্বেও তিনি তাদের থেকে স্পষ্টভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
অনুরূপভাবে সুনানে আবু দাউদ এবং অন্যান্য তাফসীর ও হাদীসের গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে: (সারমর্ম) যখন আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এর শেষ সময় এল তখন সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাক্ষাৎ কামনা করলো, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে এলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার শেষ মুহূর্তেও তাকে বললেন:
قَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ حُبِّ يَهُودَ
‘আমি তোমাকে ইহুদীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করতাম।’ (আবু দাউদ: 3094, আহমাদ: 21758)
উলামায়ে কেরাম বলেন, ইহুদীদের সাথে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার কারণেই মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর কুফরের উপর মৃত্যু হয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য ক্ষমা চাইলেন এবং তার জানাযা আদায় করলেন, কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্ষমা চাওয়াও তার কোনো কাজে আসেনি, তার শেষ পরিণতি খারাপই হল। আল্লাহ তাআলা বলেন, আপনি যদি তার জন্য সত্তর বারও ক্ষমা চান তবুও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না।
إِن تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَن يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ ۚ ﴿٨٠﴾
“যদি আপনি তাদের জন্য সত্তর বারও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, তথাপি কখনোই তাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না।” (সূরা তাওবা ০৯: ৮০)
সুতরাং, আজ যদি ইবনে সালমান, ইবনে জায়েদ, সিসি, তামিম এবং তাদের সাথে সম্পৃক্ত আসিম মুনীর[1]সহ মুসলিম দেশের শাসকদের সত্যিকার অর্থে ঈমান থাকে, তাহলে তাদের উচিত ইহুদী ও খ্রিস্টানদের সাথে সম্পর্ক পরিত্যাগের ক্ষেত্রে শরীয়তের নীতি আঁকড়ে ধরা। প্রকৃতপক্ষে ইহুদীদের সাথে বন্ধুত্ব একটি বড় ক্ষতির ব্যবসা এবং এর শেষ পরিণতি খারাপই হয়।
এখন লক্ষ্যবস্তু নিয়ে আলোচনা তুলে ধরবো
তথাকথিত ইসরাঈল রাষ্ট্রের উপর হামলার পর ইহুদী নেতানিয়াহু বলেছিল যে, আমরা মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র পাল্টে দেবো। কিন্তু এই ইহুদী ফিতনাবাজের জানা উচিত যে, মধ্যপ্রাচ্যের নয়, বরং তার নিজ দেশের সমগ্র মানচিত্র বদলের সময় এসেছে। আজ উম্মাহর বিজয়ের স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদানকারী আল্লামা ইকবাল রহিমাহুল্লাহ জীবিত নেই, কিন্তু শত বছর আগে তিনি যে দৃশ্যের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন আজ তা আমরা নিজের চোখেই দেখছি:
“সাহারার মরু অঞ্চল থেকে বেরিয়ে রুমের রাজত্ব উৎখাত করেছে যারা,
শুনেছি আমি কুদসবাসীদের থেকে আবার জেগেছে সেই সিংহ তারা।”
সত্যিই সেই সিংহ জেগে উঠেছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় এই সিংহের গর্জনে পুরো মুসলিম উম্মাহ জেগে উঠবে! মুসলমানদের বিজয় ও উত্থানের সময় এবং খিলাফাহ আলা মিনহাজিন নবুওয়্যাহ প্রতিষ্ঠার সময় অতি নিকটে। কে ভেবেছিল গাজা উপত্যকা থেকে মুষ্টিমেয় মুজাহিদীনের উত্থান ঘটবে এবং এই গুটিকয়েক মুজাহিদীন, সম্ভবত এক হাজার কিংবা তার কিছু কম-বেশি, পৃথিবীর সমস্ত পরাশক্তিকে ‘তুফানুল আকসা’র ঝড়ে আক্রান্ত করবে। পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম থেকে আওয়াজ আসছে:
“ওহে ঘুমন্ত বীর! জেগে ওঠো, এবার সময় এসেছে তোমার,
সময় হয়েছে ভেঙ্গে ফেলার সিংহাসন, আর মুকুট ছুঁড়ে ফেলার।
এখন ভেঙ্গে পড়বে কারার প্রাচীর, কারারক্ষীর কোনো উপায় নাই,
যে দরিয়ায় উঠেছে জোয়ার, খড়কুটায় তা বাধিবে না বাধ।
এগিয়ে চল, কাটতে থাকো সামনে যত বাহু ও শির,
চলতে থাক তোমরা সবে লক্ষ্যবস্তু তোমার সামনে স্থির।”
সময় হয়েছে ভেঙ্গে ফেলার সিংহাসন, আর মুকুট ছুঁড়ে ফেলার।
এখন ভেঙ্গে পড়বে কারার প্রাচীর, কারারক্ষীর কোনো উপায় নাই,
যে দরিয়ায় উঠেছে জোয়ার, খড়কুটায় তা বাধিবে না বাধ।
এগিয়ে চল, কাটতে থাকো সামনে যত বাহু ও শির,
চলতে থাক তোমরা সবে লক্ষ্যবস্তু তোমার সামনে স্থির।”
হে কুদস! তোমার মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে তোমার রক্ষীরা কাশগড় থেকে নীল নদ পর্যন্ত লড়াই করছে। অচিরেই তোমার এই জানবাজ রক্ষীরা তোমার শহরের মসজিদে, যেই মসজিদে আল্লাহর প্রিয় হাবীব দোজাহানের সরদার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালামের ইমামতি করেছিলেন, সেই মসজিদে আকসার প্রাঙ্গনে জড়ো হবে। ইনশাআল্লাহ!
اللهم وفقنا لما تحب وترضى وجذ من دمائنا حتى ترضى. اللهم زدنا ولا تنقصنا وأكرمنا ولا تهنا وأعطنا ولا تحرمنا وآثرنا ولا تؤثر علينا وأرضنا وارض عنا. اللهم إنا نسئلك الثبات في الأمر ونسئلك عزيمة الرشد ونسئلك شكر نعمتك وحسن عبادتك. اللهم انصر من نصر دين محمد صلى الله عليه وسلم واجعلنا منهم واخذل من خذل دين محمد صلى الله عليه وسلم ولا تجعلنا منهم، آمين يا رب العالمين!
“হে আল্লাহ, আপনি আমাদের এমন কাজে তাওফীক দান করুন, যা আপনাকে সন্তুষ্ট করবে। এবং আপনার সন্তুষ্টির পথে আমাদের রক্তগুলোকে কবুল করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য নেয়ামতকে বাড়িয়ে দিন, কমিয়ে দিবেন না। আমাদের সম্মানিত করুন, লাঞ্ছিত করবেন না। আমাদেরকে দান করুন, বঞ্চিত করবেন না। আমাদেরকে বিজয় দান করুন, আমাদের উপর কাউকে কর্তৃত্ব দিবেন না। আমাদেরকে সন্তুষ্ট করুন, আমাদের উপর আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যান। হে আল্লাহ, আমরা আপনার কাছে সকল ক্ষেত্রে দৃঢ়তা এবং সঠিক পথের অবিচলতা কামনা করি। আর আমরা আপনার কাছে তাওফীক চাই- নেয়ামতের শোকর আদায়ের, উত্তম ইবাদাতের। হে আল্লাহ, আপনি সাহায্য করুন, যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীনকে সাহায্য করবে; আর আমাদেরও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি লাঞ্ছিত করুন, যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীনকে লাঞ্ছিত করবে; আপনি আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করবেন না।” আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
[যোহরের পূর্বে, পহেলা রবিউল আখির ১৪৪৫ হিজরী মোতাবেক ১৬ ই অক্টোবর ২০২৩ ঈসায়ী]
[1] কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীর আরবের মরুভূমিতে একটি তাঁবুতে ইবনে সালমানের সঙ্গে দেখা করেন। কথিত আছে যে, আরবরা যখন বিশেষভাবে কারও সাথে দেখা করতে চায়, তখন তাকে মরুভূমির তাঁবুতে দাওয়াত দেয়। আরব সাংবাদিক সামী হামদীর ভাষ্য মতে, (লেখকের শব্দে) “ইবনে যায়েদ যেভাবে ইসরাঈলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করণের প্রক্রিয়ার সময় বাহরাইন ও সুদানের শাসকদেরকে ইসরাঈলের সেবায় নিয়ে গিয়েছিল, বিন সালমানও পাকিস্তানের শাসকদেরকে (সেনাবাহিনীরাই মূলত পাকিস্তানের শাসক) ইসরাঈলের চারণভূমিতে নিয়ে যাবে এবং মরুভূমির তাবুতে ইবনে সালমান ও আসিম মুনীরের এই বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।
আলহামদু লিল্লাহ, আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনের মুজাহিদদেরকে উত্তম বিনিময় দিয়ে দুনিয়া ও আখিরাতে পুরস্কৃত করুন, তাদেরকে রক্ষা করুন এবং তাদেরকে বিজয় ও সফলতার সাথে আলিঙ্গাবদ্ধ করুন। কারণ, তারাই ইবনে সালমানের ইসরাঈলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের রাজনীতিকে মূলোৎপাটন করেছেন।
Comment