শীঘ্রই আসছে...শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ’র সাড়া জাগানো কিতাব
‘আল কিতাব ওয়াস সুলতান – ইত্তিফাক ওয়া ইফতিরাক’ এর বঙ্গানুবাদ
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه ومن والاه، أما بعد
‘আল কিতাব ওয়াস সুলতান – ইত্তিফাক ওয়া ইফতিরাক’ এর বঙ্গানুবাদ
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه ومن والاه، أما بعد
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.
সম্মানিত দ্বীনি ভাইয়েরা আমার! আশা করি আল্লাহ তা‘আলার রহমতে সবাই ভালো আছেন।
আলহামদু লিল্লাহ, আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকেও আপনাদের নেক দু‘আয় ভালো রেখেছেন।
পর কথা হলো:
আজ আপনাদের সাথে অনেক আনন্দের একটি বার্তা শেয়ার করার জন্য লিখতে বসেছি। আর তা হলো- আপনারা জানেন যে, বিগত বছরের শেষ দিকে আমাদের সবার প্রিয় মুরব্বী, রাহবার, হাকীমুল উম্মত শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ’র একটি সাড়া জাগানো আরবী কিতাব প্রকাশিত হয়েছিল। যার নাম: ‘আল কিতাব ওয়াস সুলতান – ইত্তিফাক ওয়া ইফতিরাক’।
কিতাবটি প্রকাশিত হওয়ার পর পরই আমরা এটি অনুবাদের উদ্যোগ গ্রহন করেছিলাম এবং এই কিতাবের অনুবাদ কর্মে অংশ নিতে আগ্রহী অনুবাদক ভাইদের সহায়তা চেয়ে ফোরামে পোস্ট দিয়েছিলাম।
সেই পোস্টটি দেখতে নিচের লিঙ্কে যান-
https://82.221.139.217/forum/adminis...87%E0%A7%9F-25
তারপর অনেকদিন পেরিয়ে গেল...অত্যন্ত দুঃখের সাথেই বলতে হয়- এই সময়ের মাঝে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অনুবাদক ভাই আমরা পাইনি। যার কারণে কিতাবটির বঙ্গানুবাদ আপনাদের সামনে এখনো পেশ করা যায়নি। আমরা আন্তরিকভাবে সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি দু‘আও চাচ্ছি- আল্লাহ যেন এই সুবিশাল কিতাবটির অনুবাদ পূর্ণাঙ্গ করার সুব্যবস্থা করে দেন। তাওফীক দান করেন।
অবশ্য আশার কথা হলো- অনুবাদক সংকটের কারণে আমরা থেমে থাকেনি। স্বল্প সংখ্যক অনুবাদক ভাইদের সহায়তায় ধীরে ধীরে আগাতে থাকি। ফলশ্রুতিতে কিতাবের শুরু থেকে নিয়ে বেশকিছু পৃষ্ঠা অনূদিত হয়ে আমাদের কাছে জমা হয়েছে, আলহামদু লিল্লাহ।
তো পুরো কিতাবটির অনুবাদ শেষ করা সময়সাপক্ষে একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই মুহূর্তে আমরা চাচ্ছি- যতটুকু অনুবাদ হয়েছে, ততটুকুই পাঠকদের সামনে পেশ করি। যাতে আমভাবে সকলেই উপকৃত হতে পারেন। আল্লাহ তা‘আলার তাওফীক শামিলে হাল হলে পরবর্তীতে এই পুরো কিতাবটির পরিমার্জিত সংস্করণ কোন মিডিয়া থেকে প্রকাশিত হবে, ইন শা আল্লাহ।
এখন সম্মানিত পাঠকবৃন্দের কাছে কয়েকটি বিনীত নিবেদন পেশ করছি-
১. বর্তমানে যাদের সময়-সুযোগ আছে বা সামনে সালানা ইমতিহান (বার্ষিক পরীক্ষা) সমাপ্তির পর মাদরাসার ফারেগীন তালিবুল ইলম ভাইয়েরা আগামী বছরের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত অনেক লম্বা একটি অবসর সময় পাবেন। তো আপনাদের মূল্যবান অবসর সময়কে গনীমত মনে করে এই মহতি কাজে অংশগ্রহনের মাধ্যমে ব্যয় করতে পারেন। যা থেকে উম্মাহ ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে থাকবে এবং আপনি সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব পেতে থাকবেন।
২. এমনিভাবে যে সমস্ত উলামায়ে কেরাম সারা বছর দরস-তাদরীস বা অন্য কোন দ্বীনি কর্মশালা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, উনারাও এই সময়টাতে অনেকটা অবসর সময় পান। যার দরুন এ জাতীয় অনুবাদের কাজে অংশগ্রহন করা আপনাদের জন্য অনেক সহজ হবে। আশা করি আপনারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই মহতি কর্মে অংশ গ্রহন করবেন।
৩. পাশাপাশি আমরা যারা সাধারণ ভিজিটর আছি; যারা আরবী ভাষা পারি না বা বুঝি না, তারাও বসে থাকব না। নিজেদের পরিচিত ও বিশ্বস্ত সম্মানিত আলিম/তালিবুল ইলমদের কাছে এই দাওয়াত পৌঁছে দিব। যদি আপনার দাওয়াতের মাধ্যমে কোন একজন মুহতারাম আলিম/তালিবুল ইলম ভাইও এই কাজের জন্য প্রস্তুত হয়, তাহলে তিনি কাজ করে যে পরিমাণ আজর-সওয়াব পাবেন, সমপরিমাণ আজর-সওয়াব আপনিও পেয়ে যাবেন, ইন শা আল্লাহ। তাই আপনাদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। শুধু দরকার নেক নিয়্যতে নিজেদের সাধ্যের সবটুকু ব্যয় করে দাওয়াতের ময়দানে আপ্রাণ প্রয়াস অব্যাহত রাখা।
৪. এখন থেকে অল্প অল্প করে হলেও বিরতি দিয়ে দিয়ে এই আইডি থেকে পর্ব আকারে এই সুবিশাল কিতাবটির বঙ্গানুবাদ প্রকাশ করা হবে, ইন শা আল্লাহ।
তো আপনাদের কাছে আব্দার থাকবে- তা থেকে নিজেরা উপকৃত হবেন এবং অন্য ভাইদের উপকৃত করার মানসে ব্যাপক শেয়ার করবেন। নিজেরা বারবার অধ্যয়নের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার হাকিমিয়্যাতের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা লাভ করবেন। হৃদয়ঙ্গম করবেন। নিজেদের অন্তরে এই কথা বদ্ধমূল করে নিবেন যে, হাকিম হওয়ার একমাত্র হকদার হলেন- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা। কারণ, দুনিয়াতে আল্লাহর হাকিমিয়্যাতকে অস্বীকার করার চাইতে আর বড় কোন কুফর হতে পারে না। বরং এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের জঘন্য কুফর। অথচ অনেক নামদারী মুসলিম এটাতেই লিপ্ত আছে! আর নিজেকে অনেক বড় বুযুর্গ বা উচু স্তরের মুসলিম মনে করছে!! নাউযুবিল্লাহ
আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করে বলতে পারি যে, মুহতারাম শাইখের এই অনবদ্য কিতাবটি যথাযথ গুরুত্বের সাথে ও গভীর মনোযোগের সাথে অধ্যয়নের মাধ্যমে এই বিষয়টি দলীলের আলোকে আপনাদের সামনে দ্বিবালোকের ন্যায় পরিস্কার হয়ে যাবে। আল্লাহ চাইলে এ ব্যাপারে আর কোন ধরনের সন্দেহ-সংশয় বাকি থাকবে না। এটা কেবল আমার দাবি বা কথার ফুলঝুরি না। বরং বাস্তবতাই এমন। যা অধ্যয়নের পর পাঠক নিজেই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন, ইন শা আল্লাহ।
৫. যাদের অক্লান্ত মেহনত-মুজাহাদার মাধ্যমে এই কিতাবটির অনুবাদ পাঠকদের সামনে আলোর মুখ দেখতেছে, তাদের সকলের জন্য দু‘আ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আল্লাহ যেন তাদের সকলকে তাঁর শান মোতাবেক আজরে আযীম (সুমহান প্রতিদান) দান করেন। সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব জারি রাখেন। ইহকালে কল্যাণ ও পরকালে নাজাতের উসীলা বানান।
পাশাপাশি মূল কিতাবটির মত বঙ্গানুবাদটিও যেন আল্লাহর দরবারে কবুল এবং পাঠকদের মাঝে মাকবুল হয়, সেই জন্য মহান রবের শাহী দরবারে সকতার প্রার্থনা জারি রাখবেন।
পরিশেষে আর একটি কথা বলেই লেখার ইতি টানছি। তা হলো-
যারা নতুন করে অনুবাদ কর্মে অংশ নিতে চান, তারা ফোরামের একক মাশোয়ারা ক্যাটাগরিতে নক করলে ভাল হয়।
সর্বোপরি এই ব্যাপারে কারো কোন নেক পরামর্শ থাকলে এই পোস্টের কমেন্টে বা একক মাশোয়ারাতে জানানোর বিনীত অনুরোধ করছি।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে মিডিয়া জিহাদের গুরুত্ব অনুধাবন করে এতে অংশগ্রহন করার তাওফীক দান করুন। সদকায়ে জারিয়ার কাজে শরীক হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান আহসানাল জাযা।
ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.
*****
“আমি আবেগী হতে পারি, তবে নই বাস্তবতায় বিমুখ, জানি কারাগার কেড়ে নিতে পারে মোর জীবনের সব সুখ।
জেনে বুঝেই আমি বেছে নিয়েছি শত কষ্টের এই পথ, যে পথ নিয়ে যাবে জান্নাতে, সে পথে অটল থাকার করেছি শপথ।”