Announcement

Collapse
No announcement yet.

আসছে মাহে রামাদান আপনি প্রস্তুত তো?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আসছে মাহে রামাদান আপনি প্রস্তুত তো?

    আসছে মাহে রামাদান আপনি প্রস্তুত তো?

    দেখতে দেখতে জীবন থেকে হারিয়েগেল আরো একটি বছর, সময়ের পথ পরিক্রমায় অাবারাও দরজয়া কড়া নাড়ছে পবিত্র মাহে রামাদান, এই বার মাসে আমাদের চোখের সামনেই হারিয়ে গেছে অনেক মুসলিম ভাই বোন,গত রমাদান পেয়ে ছিল কিন্তু এই রমাদান পাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি এরি মধ্যে তারা মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন না ফিরার দেশে, আল্লাহ সকল মুমিন ভাই বোনকে ক্ষমা করুন, তাদের জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন।
    প্রিয় ভাই ও বোন! রহমতের রমাদান আমাদের সামনে উপস্থিত আল্লাহ রব্বুল আলমিনের দরবারে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদের হয়াতে বরকত দেন আমরা যেন বার বার রমাদানের এই অমূল্য নেয়ামত পেয়ে সৌভাগ্য বান্দাদের কাতাঁরে শামিল হতে পারি, রমাদান এক মহামান্বিত মাস যে একবার এই মাস পেয়েছে সে আবার পেতে চায় যে আবার পেয়েছে সে বার বার পেতে চায়, রমাদান কে কেন্দ্র করেই একজন মুমিন ঘুরে দাড়াঁনোর চেষ্টা করে নিজের অগুছালো জীবনকে একটু গুছিয়ে নেয়ার প্রয়াস পায়। অবহেলা ও গাফলতিতে ভরা গতানুগতিক জীবনকে ঢেলে সাজানোর মোবারক উদ্যেগ গ্রহণ করে।
    প্রিয় ভাই! এই মহিমান্বিত মাস আজ কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে আপনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন তো? প্রিয় ভাই! আল্লাহর অসীম রহমত ও অন্তিম ফজিলতে ঘেরা এই রমাদান। পবিত্র কুরআন নাজিলের জন্য আল্লাহ রব্বুল আলামিন এই মাসকেই বাছাই করেছেন আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    شَهْرُرَمَضَانَ الَّذِیٓ أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْءَانُ هَدًی لِّلنَّسِ وَبَيِّنَٰتٍ مِّنَ الْهُدَیٰ وَالْفُرْقَانِۚ
    " এই রামাদান মাসেই নাজিল করা হয়েছে পবিত্র কুরআন-যা মানুষের জন্য হেদায়াত, সুস্পষ্ট পথনির্দেশ এবং ন্যায়-অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।'( সূরা বাকারাহ, ২:১৮৫)
    রমাদানের প্রথম রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় আসমানি রহমতের অবিরল বর্ষণ সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন ,
    إِذَا جَاءَ رَمَضانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنّةِ٭ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ٭ وَصُفِّدَتِ الشّيَاطِينُ
    " যখন রামাদান মাস আসে জান্নাতের দরোজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরোজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শিকলে বন্দি করা হয়। '( সহিহুল বুখারি: ১৮৯৮: সহিহ মুসলিম : ১০৭৯)
    প্রিয় ভাই! রমাদান সিয়াম সাধনার মাস, রমাদান তাকওয়া অর্জনের মাস এই মাসেই মুমিন সবরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    يَٰأَيُّهََا الَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَی الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُم تَتَّقُونَ
    " হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।' (সূরা বাকারা, ২:১৮৩)
    রমাদান তাওবার মাস গুনাহ মাফের মাস আল্লাহর কাছে গুণাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার মাস রমাদান কিয়ামূল-লাইলের মাস সহিহ বুখারিতে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    مَنْ قَامَ رَمَضانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا٭غُفِرَلَهُ مَاتَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
    "যে ব্যক্তি রামাদানে ইমানের সাথে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।' ( সহিহুল বুখারি : ৩৭)
    সহিহ বুখারীতে বর্ণিত অপর এক হাদিসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَلَهُ مَاتَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
    " যে ব্যাক্তি ইমানের সাথে সওয়াবের আশায় রামাদানের সওম পালন করে, তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।' (সহিহুল বুখারি: ৩৮)
    রমাদান মহিমান্বিত রাজ, লাইলাতুল কদরের মাস এই রাতেই নাজিল হয় পবিত্র কুরআন আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرُمِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
    " লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।'( সূরা কদর, ৯৭:৩)
    সুনানে ইবনে মাজাহ বর্ণিত একটি সহিহ হাদিসে এসেছে রমাদান মাস শুরু হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন,
    إِنَّ هَذَا الشَّهْرَ قَظْ حَضَرَكُمْ٭ وَفِيهِ لَيْلَةُ خَيْرُ مِنْ أَلْفِ شَهْرِ٭ مَنْ حُرِمَهَا فَقَدْ حُرِمَ الْخَيْرَ كُلَّهُ٭ وَلَا يُحْرَمُ خَيْرَهَا إِلَّامَحْرُومُ
    " এই যে রামাদান মাস তোমাদের সামনে উপস্থিত। এতে রয়েছে এমন এক রাত যেটি এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এই রাত থেকে বঞ্ছিত হলো সে সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্ছিত হলো। কেবল হতভাগা ব্যক্তিই এই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্ছিত হয়।' (সুনানু ইবনে মাজাহ: ১৬৪৪)
    কেবল হতভাগ ব্যক্তিই এই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্ছিত হয়, সহিহ বুখারিতে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    مَنْ قَامَ لَيْلَةَ القَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا٭ غُفِرَلَهُ مَاتَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
    " যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমানের সাথে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। '( সহিহুল বুখারি: ১৯০১: সহিহুল মুসলিম: ৭৬০)
    রমাদান জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস সুনানে তিরমিযিতে বর্ণিত একটি সহিহ হাদিসে এসেছে, রমাদানের প্রথম রাত যখন শুরু হয় তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা করেন,
    يَا بَاغِيَ الخَيْرِ أَقْبِلْ٭ وَيَا بَاغِيَ اشَّرِّ أَقْصِرْ٭ وَلِلّهِ عُتَقَاءُ مِنَالنَّارِ
    " হে কল্যাণ প্রত্যাশী! কল্যাণের দিকে অগ্রসর হও! হে গুনাহের ইচ্ছা পোষণকারী! গুনাহ থেকে বিরত হও! আর আল্লাহর পক্ষ থেকে এই মাসে জাহান্নাম থেকে বহু লোককে মুক্তি দেয়া হয়।
    ( সুনানে তিরমিযি: ৬৮২ সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৬৪২)
    প্রিয় ভাই! প্রতিটি মুমিনের জীবনে রমাদান আসে সৌভাগ্য ও কল্যানের বার্তা নিয়ে জীবনকে নতুন করে ঢেলে সাজাবার আসমানি পয়গাম নিয়ে তাওবা ও আল্লাহর দিকে প্রত্যার্বতনের মোবারক আহবান নিয়ে।
    প্রিয় ভাই! রমাদান পেয়েও যারা নিজেদের গুণাহ মাফ করাতে পারেনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে লা'নত করেছেন, তাই আসন্ন রমাদানকে কাজে লাগানোর জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে রমাদানের একটি মূহুর্ত যেন হেলায় নষ্ট হতে না পারে, ব্যস্তাগুলো রমাদানের আগেই সেরে ফেলতে হবে, এখন থেকে অল্প অল্প করে তিলাওয়াত কিয়ামূল-লাইল ইত্যাদির মাধ্যেমে রমাদানের ইবাদতের প্রস্তুতি নিতে হবে সৌভাগ্যবান বান্দারা বহু আগথেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন এখনো যদি শুরু না করে থাকেন আপনিও শুরু করে দিন। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে রামাদানের ফজিলত অর্জনের তাওফিক দিন আমিন, ইয়া রব্বাল আলামিন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,
Working...
X