Announcement

Collapse
No announcement yet.

পিডিএফ/ওয়ার্ড || তেল আবিবও মুসলমানদের ভূমি - হাকিমুল উম্মাহ শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পিডিএফ/ওয়ার্ড || তেল আবিবও মুসলমানদের ভূমি - হাকিমুল উম্মাহ শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

    তেল আবিবও মুসলমানদের ভূমি
    (বিজয়ী উম্মাহর প্রতি সংক্ষিপ্ত বার্তা -৯)

    হাকিমুল উম্মাহ শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

    আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনুদিত ও প্রকাশিত



    অনলাইনে পড়ুন




    ডাউনলোড করুন


    pdf





    word



    https://www.sendspace.com/file/6c7pu6

    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

  • #2
    জাযাকাল্লাহ আখি।
    وَلَوْ أَرَادُوا الْخُرُوجَ لَأَعَدُّوا لَهُ عُدَّةً وَلَٰكِن كَرِهَ اللَّهُ انبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيلَ اقْعُدُوا مَعَ الْقَاعِدِينَ
    سورة توبة ٤٦

    Comment


    • #3
      শাইখের বার্তাটি ভাইয়েরা নিজস্ব পরিসরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিন...

      Comment


      • #4


        তেল আবিবও মুসলমানদের ভূমি

        (বিজয়ী উম্মাহর প্রতি সংক্ষিপ্ত বার্তা -৯)

        হাকিমুল উম্মাহ শাইখ

        আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ


        بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وصحبه ومن والاه

        সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবায়ে কেরামের উপর।

        হামদ ও সালামে পর-

        সারা বিশ্বে অবস্থানরত আমার মুসলমান ভাইয়েরা! আস সালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ

        পূর্ব জেরুজালেমের তেল আবিব থেকে আমেরিকার দূতাবাস স্থানান্তর করার বিরুদ্ধে একটি বড় আন্দোলন/ক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের বিক্রেতারা ও আমেরিকার উকিল ও চাকর রাষ্ট্রগুলো এটাকে দাম্ভিকদের লিডারদের সিদ্ধান্ত ও ঐক্যমত্যের বিরোধিতা বলে ঘোষণা করছে।

        আমি ফিলিস্তিনের বিক্রেতাদের সম্বোধন করবো না, এবং ওই রাষ্ট্রগুলোকেও সম্ভোধন করবো না, যারা নিজেদেরকে মুসলমানদের আকিদা-বিশ্বাসের সাহায্যকারী ও তাঁদের প্রতিরক্ষাকারী দাবি করে, অথচ তারা হচ্ছে মুসলমানদের শত্রুদের চাকর। কিন্তু আমি প্রত্যেক স্বাধীন ও সম্ভ্রান্ত মুসলিমকে সম্বোধন করবো-

        আমি তাঁদেরকে বলবো: আপনাদের জন্য আবশ্যক হল- সশস্ত্র লড়াইয়ের পূর্বে জনসচেতনতার ময়দান তৈরিতে মনোনিবেশ করা। এমনিভাবে আমাদের নিজেদের আজাদির কাল্পনিক পদক্ষেপসমূহ থেকে মুক্ত থাকা আবশ্যক। আমাদের জন্য জরুরী হল শত্রু-বন্ধু চিনতে ভুল না করা। শত্রুদের পদক্ষেপসমূহের ব্যাপারে সদা জাগ্রত থাকা। তাদের সামনে প্রত্যাবর্তন না করা।

        আমি আমার মুসলমান ভাই, মুজাহিদিন ও সত্যবাদী আলিমদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে এই বিষয়টা স্পষ্ট করতে চাই যে- মুসলিম বিশ্বের প্রত্যেকটি রাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য, যারা জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কেননা জাতিসংঘ এমন একটি শক্তি যা ইসরায়েলসহ তার প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আর তারা –খোদ স্বাক্ষর করার দ্বারাই- আল্লাহর শরীয়ত দ্বারা বিচার ফায়সালা করা না করার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এবং নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তেই বিচার ফায়সালা করার ব্যাপারে সন্তুষ্ট হয়ে গেছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিনকে বণ্টন করার সিদ্ধান্ত এবং ২৪২ এর সিদ্ধান্ত (২২ নভেম্বর ১৯৬৭ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক ২৪২ নামক একটি সিদ্ধান্ত) এবং ধারাবাহিক পরাজয় ও আত্মসমর্পণের আরও অনেক সিদ্ধান্ত। এবং তাদের অধিকাংশ-ই ইসরাইলের সাথে প্রকাশ্যে ও গোপনে সম্পর্ক কায়েম করেছে।

        তারা সন্তুষ্টচিত্তে পশ্চিম জেরুজালেম ও তেল আবীবকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণাকে মেনে নিয়েছে। অথচ তেল আবিবও একটি মুসলমানদের ভূখণ্ড, সেখানেও ইহুদিদের বাড়াবাড়ি মেনে নেওয়া যায় না।

        আর শরীয়তের শাসনকে এড়িয়ে যাওয়া এবং পশ্চিমাদের খুশি করানোর রাজনীতির ফলাফল দুনিয়া ও আখিরাত ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ছাড়া আর কি ই বা হতে পারে?

        হে আমার মুসলিম ভাইয়েরা!

        সন্ত্রাসীদের লিডার ট্রাম্প পরিষ্কার ও স্পষ্ট ভাষায় এ যুগের ক্রুসেডারদের প্রকৃত চেহারা উন্মোচন করে দিয়েছে। সুতরাং তাদের সঙ্গে কোন ধরণের পশ্চাদপসরণ এবং অসন্তুষ্টি-জনক মৌখিক আন্দোলন করা কোন লাভজনক ফলাফল বয়ে আনবে না। বরং তাদের মোকাবেলা কেবল জিহাদ ও কিতালের মাধ্যমেই হতে পারে।

        আর এ বাস্তবতা জিহাদের অগ্রদূতেরা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাইতো শাইখ উসামা রহ. ঘোষণ করেছেন, “আমেরিকা হচ্ছে যুগের হুবাল। এবং মুসলমানদের প্রধান শত্রু”। আর শাইখ কসম করে বলেছিলেন, “তারা ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের দেশে নিরাপদে থাকতে পারবে না যতক্ষণ না আমরা ফিলিস্তিনে নিরাপদে বসবাস করি। এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামের ভূমি থেকে সকল কাফের সেনাদেরকে বের করে নেওয়া হয়”।

        সুতরাং এটাই হচ্ছে ফিলিস্তিন ও সমস্ত মুসলিম ভূখণ্ড মুক্ত করার পথ, খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা ও শরীয়ত বাস্তবায়নের একমাত্র পথ। এটাই হচ্ছে শরীয়তের শাসনের প্রতি দাওয়াতের পথ। তাওহীদের কালেমার পাশে একতাবদ্ধ হওয়া ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর পথ।

        এছাড়া আর অন্য যে সব পথ তুচ্ছ কামাইয়ের লোভে অথবা শ্রেণী-বিভাগের ভয়ে অপরাধীদের লিডারদের সামনে আত্মসমর্পণ করায়, সেগুলো হচ্ছে দুনিয়া ও আখেরাতের বরবাদির পথ।

        আর যখন আমরা ফিলিস্তিনসহ সমস্ত মুসলিম ভূখণ্ড মুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি, তখন আমাদের জন্য আবশ্যক হল এই অপরাধী রাষ্ট্রীয় তাগুতী শাসনব্যবস্থাকে অস্বীকার করা। তাওহীদের কালেমার পাশে একতাবদ্ধ হওয়া। বিভিন্ন ফ্রন্টে এক উম্মাহর ন্যায় দাওয়াত ও জিহাদের রণাঙ্গনে মনোনিবেশ করা। ওই সকল বিচ্ছিন্ন জামাআতগুলোর মত নয়, যারা অপরাধীদের লিডারদের ইচ্ছার সামনে প্রত্যাবর্তন করে।

        وآخرُ دعوانا أنِ الحمدُ للهِ ربِ العالمين، وصلى اللهُ على سيدِنا محمدٍ وآلِه وصحبِه وسلم. والسلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه


        সুবহানআল্লাহ্‌, শাইখ কতোইনা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
        একজন মুসলিম কখনোই তথাকথিত
        টু স্টেইট সলুশনে বিশ্বাস করতে পারে না।
        অনলি ওয়ান স্টেইট - নবুয়তের আদলে খিলাফত
        Last edited by Rakibul Hassan; 16 hours ago.
        বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

        Comment

        Working...
        X