الحمد لله، الحمد لله الذي هدانا لهٰذا الدين وما كنا لنهتدي لولا أن هدانا الله.
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য যিনি আমাদেরকে এই দ্বীনের প্রতি হিদায়াত দান করেছেন। তিনি যদি আমাদের হিদায়াত না করতেন তাহলে আমরা কখনও হিদায়াত প্রাপ্ত হতাম না।সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য যিনি তাঁর রাস্তায় জিহাদ করার মতো বিশাল নেয়ামতের দ্বারা আমাদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। যেই জিহাদ হলো ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়া। যেই জিহাদকে মানুষ এই যুগে ভুলে বসেছিল। জিহাদ ছেড়ে দেওয়ার দীর্ঘ সময় পরে হলেও তিনি আমাদেরকে এই ফরজ পালনের তৌফিক দিয়ে আমাদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। (যেই জিহাদ ছেড়ে দেওয়ার পর) মুসলমানদের পবিত্র স্থানগুলো দখল করে নেওয়া হয়েছিল। মুসলমান মেয়েদেরকে বন্দি করা হয়েছিল। তাদের জমিন ও সম্ভ্রম নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। আল্লাহর অনুগ্রহ যে, এখন এই পতাকা সবকিছুর ওপরে পতপত করে উড়ছে, যেভাবে রাসুল সা. উঁচু করে রেখে গিয়েছিলেন। আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ যে, আমরা এখন আমাদের অতীতের লাঞ্চনা ও গ্লানি মুছে ফেলে জিহাদের মাধ্যমে এই দ্বীনকে সাহায্য করে আমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমার সুযোগ পাবো।
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য যিনি আমাদেরকে তার পথে আফগান জিহাদে অংশগ্রহণের তৌফিক দান করেছেন। যেভাবে সর্বশ্রেষ্ট মানব আমাদের রাসুল সা. এর ওপর অনুগ্রহ করেছিলেন। এই দ্বীনের জন্য কীভাবে একজন মুসলমান নিজেকে কুরবান করে দেবে সেই শিক্ষক রূপে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। সুতরাং এই দ্বীনকে রক্ষা করার জন্য তিনি নিজে ওহুদ যুদ্ধে বের হয়েছিলেন। তাতে তাঁর চেহারা মোবারক রক্তাক্ত হয়েছিল। তার সামনের দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছিল (এইগুলো তিনি করেছিলেন শুধু) এই দ্বীনের প্রচার-প্রসারের জন্য। তেমনিভাবে তিনি তাবুকের যুদ্ধের দিন প্রচন্ড রৌদ্র ও গরমের মধ্যেও শুধু এই দ্বীনের জন্য বের হয়ে পড়েছিলেন।
আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদের এই বিশাল মর্যাদার কারণেই রাসুল সা. তার পিতা-মাতাকে মুজাহিদের ওপর কুরবান হওয়ার অভব্যাক্তি ব্যাক্ত করেছেন। তিনি যুদ্ধের দিন ইরশাদ করেন: ارم يا سعد فداك أبي وأمي হে সা’দ! তুমি তীর নিক্ষেপ করো। তোমার ওপর আমার পিতা-মাতা কুরবান হোক। সকল উত্তম প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা’আলার জন্যই।
আল্লাহর অনুগ্রহে ১৩৯৯ হিজরীতে একদিন আমরা মুসলিম ভূমিতে রাশিয়ানদের প্রবেশের কথা জানতে পারলাম, একদিন আমরা শোনতে পেলাম যে, রাশিয়ানরা মুসলমানদের ভূমিতে প্রবেশ করেছে। আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহ ও দয়া যে, তিনি আমাদেরকে আফগানিস্তানে আমাদের ভাইদের সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য এবং আল্লাহ আমাদের ওপর অনুগ্রহ করে যে হুকুম ওয়াজিব করে দিয়েছেন তা পালন করার জন্য তাদের কাছে বের করে নিয়ে এসেছেন।
এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ঘটনা ঘটতে থাকে। তারপর আফগানিস্তানে ১৪০৪ হি. সালে আমরা সর্বপ্রথম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এরপর যখন আমরা সেখানকার মুজাহিদদের দূর্বলতা ও কৌশলগত কমতি দেখতে পাই তখন আমরা নিজেদের ওপর এই বলে তিরষ্কার করি যে, এত দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কেন আমরা আমাদের মুসলমান ভাইদের সাহায্য-সহযোগিতা করা থেকে পিছিয়ে ছিলাম?
শেষ পর্যন্ত অনুভব করতে পারল যে, আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হওয়া থেকে উত্তম আশ্রয়স্থল আর কোনোটি নেই। এবং নিজের মুজাহিদ ভাইদের পেছনে রাখা এবং অবহেলার ক্ষতিপূরণ হবে।
পূর্ব পশ্চিমের সকল মুসলমান ভাইবোনদের প্রতি আমার কিছু নসিহত রয়েছে। আমি তাদেরকে নসিহত করবো, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ঝান্ডাকে সমুন্নত করার জন্য তাঁর সাহায্যে তারা যেন দ্রুত অগ্রসর হয় এবং কাফেলা ধরে। কেননা এটাই হলো সর্ব শ্রেষ্ট ঝান্ডা। এই উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট মানুষ হলো মুজাহিদগণ। সর্বশ্রেষ্ট মানুষ হলেন বদর, ওহুদ, হুদায়বিয়ায় অংশগ্রহণকারীগণ। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে এই বিশাল মর্যাদার ও স্থানের মাধ্যমে শ্রেষ্টত্ব দান করেছেন। তিনি আল্লাহর রাস্তায় মুমিন মুজাহিদ মুহাজিরদেরকে সর্বোত্তম গুণ ঈমানের গুণের দ্বারা বিশেষায়িত করেছেন। এটা সবচেয়ে বড় ও উত্তম নেয়ামত। প্রকৃত ঈমানের গুণের দ্বারা তিনি আল্লাহর পথের মুজাহিদদেরকেই গুনান্বিত করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন:
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَهَاجَرُواْ وَجَٰهَدُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلَّذِينَ ءَاوَواْ وَّنَصَرُوٓاْ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ حَقّٗاۚ لَّهُم مَّغۡفِرَةٞ وَرِزۡقٞ كَرِيمٞ. سورة الأنفال. الآية 74
অর্থ: আর যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেচে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে আর যারা (তাদেরকে) আশ্রয় দিয়েছে ও (তাদের) সাহায্য করেছে, তারাই প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্য রয়েছৈ মাগফিরাত ও (জান্নাতের) সম্মানজনক রিজিক।সুতরাং প্রকৃত ঈমানের গুণ আল্লাহ তা’আলা তার রাস্তার মুজাহিদদের জন্যই নির্ধারণ করেছেন। আর যারা আল্লাহর নিকট (যে নেয়ামত) রয়েছে তা তালাশ করার জন্য বের হয়, এবং আল্লাহর দ্বীনের সাহায্য করার জন্য বের হয় তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। কেননা মুসলমানগণ যখন একজন মুসলিম শহীদ হওয়ার সংবাদ শোনতে পেলেন তখন তারা সকলে হুদায়বিয়ার দিন আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য রাসুল সা. এর হাতে বাইআত গ্রহণ করার জন্য হাত বাড়িয়েছিলেন। এবং একজন মুসলমানের রক্তের বদলা নিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। তখন আল্লাহ তা’আলা সপ্তম আকাশের ওপর থেকে তাদের প্রতি সন্তুষ্টির কথা বর্ণনা দেন। এবং সন্তুষ্টির বর্ণনা দেন তাদের প্রতি যারা হকের কালিমাকে সমুন্নত করার জন্য জিহাদ করে এবং এবং একজন মুসলমানের বদলা নিতে প্রস্তুত হয়। এই সস্পর্কে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন:
لَّقَدۡ رَضِيَ ٱللَّهُ عَنِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذۡ يُبَايِعُونَكَ تَحۡتَ ٱلشَّجَرَةِ سورة الفتح. الآية 18
অর্থ: নিশ্চই আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে তোমার কাছে বাইআত গ্রহণ করছিল।সুতরাং কোন মুসলমানকে শহীদ করা হয়েছে অথবা বন্দি করা হয়েছে, তার দ্বীনের ব্যপারে সীমালঙ্ঘন করা হয়েছে এই কথা শোনে অন্য কোনো মুসলমান হাত গুটিয়ে মহিলা, শিশু ও মুনাফেকেদর মতো বসে থাকতে পারে না। লা-হাউলা ওয়া-লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
এই মহান গুণ যার দ্বারা আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টির শ্রেষ্ট মানব হজরত মুহাম্মদ সা. ও তার সাহাবায়ে কেরামের প্রশংসা করেছেন। তার যুগের মুনাফিক যারা জিহাদ থেকে পিছিয়ে থাকত তাদেরকে তিরষ্কার করার পর। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন:
رَضُواْ بِأَن يَكُونُواْ مَعَ ٱلۡخَوَالِفِ وَطُبِعَ عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ فَهُمۡ لَا يَفۡقَهُونَ 87 لَٰكِنِ ٱلرَّسُولُ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَعَهُۥ جَٰهَدُواْ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱلۡخَيۡرَٰتُۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ 88 سورة التوبة. الآية 87 و 88
অর্থ: তারা পেছনে থেকে যাওয়া (নারীদের) সঙ্গে থাকাতেই আনন্দ বোধ করে। তাদের অন্তরে মোহর করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা অনুধাবন করে না। (যে তারা আসলে কী করছে!) কিন্তু রাসুল এবং যে সকল লোক তার সঙ্গে ঈমান এনেছে, তারা নিজেদের জান-মাল দ্বারা জিহাদ করেছে। তাদেরই জন্য সর্বপ্রকার কল্যাণ এবং তারাই কৃতকার্য ও সফলকাম।এখানে আল্লাহ তা’আলা শ্রেষ্টমানবকে ঈমান ও জিহাদের কারণে প্রশংসা করেছেন। আর এই দুটি গুণ ঈমান ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা এই দ্বীনের মহান দুটি সিফাত। এবং পেছনে থাকা মুনাফিকদের থেকে এই গুণকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের থেকে বুঝ-কেও প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেননা আল্লাহর রাস্তায় বের হলে তাদের জন্য আল্লাহ তা’আলা তাদের জন্য কী প্রস্তুত করে রেখেছেন তা তারা জানে না। যদি তারা জানত তাহলে তো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করত।
সুতরাং আমি আমার মুসলমান ভাইদেরকে যাকিছু গত হয়ে গেছে তার প্রতিকারের আহবান জানাই। আর জিহাদ ও ইসলামের ঝান্ডাকে সমুন্নত করার জন্য জিহাদের পথ ছাড়া সহজ ও দ্রুতগতির কোনো পথ নেই। আর আল্লাহ তা’আলা বর্ণিত সুস্পস্ট আয়াতে বর্ণিত পদ্ধতি ব্যতীত কাফেরদের শক্তি-সামর্থ খর্ব করা সম্ভব নয়। জিহাদ কাফেরদের শক্তি-সামর্থ খর্ব করে দেয় এই বিষয় বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন:
وَحَرِّضِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۖ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَكُفَّ بَأۡسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْۚ وَٱللَّهُ أَشَدُّ بَأۡسٗا وَأَشَدُّ تَنكِيلٗا 84 سورة النساء 84
অর্থ: আর আপনি মুমিনদেরকে উৎসাহিত করতে থাকুন। শীঘ্রই আল্লাহ তা’আলা কাফেরদের শক্তি-সামর্থ খর্ব করে দেবেন। আর আল্লাহ শক্তি সামর্থের দিক দিয়ে অত্যন্ত কঠোর এবং কঠিন শাস্তি দাতা।সুতরাং মুসলমানদের জন্য লজ্জা হিসেবে এটুকুই যথেষ্ট (জিহাদে অংশগ্রহণ না করা) অথচ জিহাদের ঝান্ডা গত নয় বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুজাহিদিনগণ আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহে বিজয়ের পর বিজয় অর্জন করছেন। সুতরাং যার যে সময় ছুটে গেছে তা তো গেছেই বাকিটুকুর নাগাল যেন পেয়ে যাই।
আজকের এই জিহাদে কম অংশগ্রহণকারীদের সময়ে যারা জিহাদ ও তাওহিদের পতাকার পাশে দাঁড়াবে নিঃসন্দেহে অধিক মানুষ এই ঝান্ডার পাশে দাঁড়ানোর সময়ে যারা আসবে তাদের তুলনায় তারা বেশি সওয়াব ও প্রতিদানের ভাগিদার হবে। হজরত হাতেব বিন আবু বালতাআ র. যিনি ছিলেন প্রথম দিক কার তাওহিদের পতাকা তলে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের একজন। তিনি বদদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। রাসুল সা. এর ভাষ্যমতে তারা হলেন সর্বোত্তম মানুষ। তারপর একবার তিনি রাসুল সা. এর গোপন বিষয় মক্কার মুশরিকদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আর এটা হলো কবিরা গুনাহ। তখন হজরত ওমর রা. বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! হাতেব মুনাফেক হয়ে গেছে। আমাকে অনুমতি দিন আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। তখন রাসুল সা. বলেন, সে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। আর তোমার হয়ত জানা নেই, আল্লাহ তা’আলা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপারে অবগত আছেন। তাই তিনি তাদেরকে বলেছেন, তোমরা যা ইচ্ছা আমর করো। আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৩০০৭)
সুতরাং এই ঝান্ডার নিচে কম অবস্থানকারী থাকাকালীন যারা তার পশে দাঁড়াবে তারা বিশাল বড় প্রতিদান পাবে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা তার বড় বড় গুনাহ ও অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।
সমগ্র ইসলামি বিশ্বের প্রতি লক্ষ্য করলে বুঝা যায়, যারা বর্তমানে জিহাদে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সংখ্যা যারা অংশগ্রহণ করেনি তাদের তুলনায় এখনও অনেক কম। সুতরাং আমি আমার ভাইদের নিকট প্রত্যাশা করবো তারা যেন তাদের কাপড়-চোপড় গুটিয়ে নিয়ে আল্লাহর পথে বের হয়ে যায়। যেমনটি আল্লাহ তা’আলা আদেশ করেছেন, তিনি ইরশাদ করেন:
ٱنفِرُواْ خِفَافٗا وَثِقَالٗا سورة التوبة. الآية 41
অর্থ: তোমরা (জিহাদের জন্য) বের হয়ে পড়ো। স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সঙ্গে।যাতে তারা এই বিশাল প্রতিদান লাভ করতে পারে। আর শহীদ ও শাহাদাতের মর্যাদা ও শ্রেষ্টত্ব সম্পর্কে রাসুল সা. এর এই সহিহ হাদিসটিই দৃষ্টান্ত ও সুসংবাদ হিসেবে যথেষ্ট। যার ওপর আমাদের পিতা-মাতা কুরবান হোক, যার ইন্তেকালের মাধ্যমে ওহির দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, তিনিও শহীদ হওয়ার আকাঙ্খা পোষণ করতেন। এবং তিনি আমাদেরকে শাহাদাতের মর্যাদা শিক্ষা দিয়েছেন। সহিহাইনে বর্ণিত আছে রাসুল সা. ইরশাদ করেন: ঐ সত্বার শপথ যার হাতে মুহাম্মদ সা. এর প্রাণ! আমি পছন্দ করি আমাকে যেন আল্লাহর রাস্তায় শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয়, অতঃপর শহীদ করা হয়, আবার জীবিত করা হয়, পুনরায় শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয় আবার শহীদ করা হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২৭৯৭, সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ৪৭৫৩)
আল্লাহ আমার এবং আপনাদের ওপর দয়া করুন, আপনারা এই দ্বীনের সহযোগিতার জন্য আল্লাহ ও তার রাসুলের হুকুম পালনার্থে বেড়িয়ে পড়ুন। সাহাবায়ে কেরামের কুরআনুল কারিম হিফজ করা, ফিকহ অর্জন করা এবং দ্বীনের বিষয়াদী সম্পর্কে জানার পর সর্বপ্রথম যে গুণটির কথা উল্লেখ করা হতো তা হলো, তিনি বদরি অর্থাৎ তিনি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। অথবা তিনি সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। এই কাজের মর্যাদা অনেক বেশি হওয়ায় সাহাবায়ে কেরাম তাদের জান কুরবান করে দিয়েছেন। এজন্যই আল্লাহ তা’আলা তাদের জন্য প্রশংসনিয় সকল গুণাবলি তাদের জন্য সাব্যস্ত করেছেন। যেমন সফলতা, আল্লাহর সন্তুষ্টির সুসংবাদ, সম্মানিত রিজিক, মুহাব্বত ইত্যাদি। যেমন আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন:
إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلَّذِينَ يُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِهِۦ صَفّٗا كَأَنَّهُم بُنۡيَٰنٞ مَّرۡصُوصٞ 4 سورة الصف. الآية 4
অর্থ: আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাঢালা প্রাচীর।আমি আশা করি আল্লাহ যেন আমাদের এবং আপনাদের সবাইকে কবুল করে নেন। এবং কাফেরদের যুদ্ধকে প্রতিহত করার জন্য মুমিনদেরকে যেন জিহাদের প্রতি উদ্ধুদ্ধ করতে পারি। এবং আল্লাহর হুকুমে আমরা যেন সত্যবাদীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাই।
وصل اللهم وبارك على محمد وآله وصحبه أجمعين. سبحانك اللهم وبحمدك، أشهد أن لا إله إلا أنت، أستغفرك وأتوب إليك
ترجمة من مجموع رسائل وتوجيهات الشيخ أسامة بن لادن رحمه الله تعالى (ص2 - 4) .
ترجمة من مجموع رسائل وتوجيهات الشيخ أسامة بن لادن رحمه الله تعالى (ص2 - 4) .