Announcement

Collapse
No announcement yet.

Bengali Translation || AQAP || “গাজা মুখোশ উন্মোচনকারী” || ৩রা মহররম ১৪৪৭ হিজরি | ২৮ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Bengali Translation || AQAP || “গাজা মুখোশ উন্মোচনকারী” || ৩রা মহররম ১৪৪৭ হিজরি | ২৮ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ



    مؤسسة الحكمة
    আল হিকমাহ মিডিয়া
    Al Hikmah Media

    تـُــقدم
    পরিবেশিত
    Presents

    الترجمة البنغالية
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation

    بعنوان:
    শিরোনাম:
    Titled:



    تنظيم قاعدة الجهاد في جزيرة العرب
    غزة كاشفة الأقنعة

    তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব
    “গাজা মুখোশ উন্মোচনকারী”

    ৩রা মহররম ১৪৪৭ হিজরি | ২৮ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ


    Al-Qaeda in the Arabian Peninsula
    "The Unmasker of Gaza"







    روابط بي دي اف
    PDF (377 KB)
    পিডিএফ [৩৭৭ কিলোবাইট]









    روابط وورد
    Word (378 KB)
    ওয়ার্ড [৩৭৮ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/bZtjAb4C#bYQvi4XX3X3OoOPVXcoUEZNTO_WkfngoBwNJHBpqy 6s


    روابط البانر
    Banner (331 KB)
    ব্যানার [৩৩১ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/7BkkkAwA#ayvSYIcbLPVEshTvlKftQnLCErQJETW378YG4dGt7 oc

    *****
    তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব
    “গাজা মুখোশ উন্মোচনকারী”

    ৩রা মহররম ১৪৪৭ হিজরি | ২৮ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

    সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জিহাদকে নির্বাচিতদের পথ সাব্যস্ত করেছেন এবং ধর্মের জন্য আত্মোৎসর্গকারীদের জন্য বিজয়ের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন.. যিনি অস্থায়ী ও ধ্বংসশীল দুনিয়ার ওপর চিরস্থায়ী ঐশী প্রতিদান ও আখেরাতকে প্রাধান্য দেয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর দ্বীনকে সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন!
    তিনি তাঁর সুস্পষ্ট কিতাবে বলেন:
    فَلْيُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يَشْرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالْآخِرَةِ
    অতএব, যারা পার্থিব জীবনের পরিবর্তে পরকালের সন্ধান করে (আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবনকে বিক্রি করে দেয়), তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করুক।” —[সূরা আন-নিসা (৪:৭৪)]
    দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর প্রতি, যিনি বদরের যুদ্ধে লড়েছেন সহচরসংখ্যার তোয়াক্কা না করে, উহুদের যুদ্ধে লড়েছেন বাহিনীর সাহায্য ছাড়াই ও খন্দকের যুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন—এই কথা বলতে বলতে:
    اللهم لا عيش إلا عيش الآخرة
    হে আল্লাহ! প্রকৃত জীবন তো কেবল আখিরাতেরই জীবন।
    আমরা গাজার মর্যাদাপূর্ণ ভূমির ওপর চাপিয়ে দেওয়া অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে যাত্রা করা “স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের কাফেলা” বা “অটলতার কাফেলা”র (Soumoud Convoy) সংবাদ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি—যা এমন মানুষদের নিয়ে গঠিত, যাদের অন্তর নাড়িয়ে দিয়েছে গাজায় আমাদের নির্যাতিত ভাইদের করুণ দৃশ্য, যারা প্রতিদিন হত্যা ও ক্ষুধার শিকার হচ্ছে। কিন্তু কাফেলাটি যখন অগ্রসর হচ্ছিল, তখনই তাগুতের (অত্যাচারী শাসকদের) সৈন্যরা তাদের সামনে গড়ে তোলে একটি দুর্ভেদ্য প্রাচীর ও শক্ত ঘাঁটি—যা ইহুদি দখলদারদের দেওয়ালে পৌঁছানোর আগেই কাফেলা রুখে দেয়। এ দৃশ্য প্রকৃতপক্ষে প্রমাণ করে যে, মুজাহিদরা যাদের অপসারণের আহ্বান জানিয়ে এসেছে এতকাল ধরে—সেই শাসক ও তাদের সেনাবাহিনীই হলো মূল বাধা; তারাই মুসলিমদের ভূমি ও পবিত্র স্থান মুক্ত করার পথে সবচেয়ে বড় কাঁটা এবং বিষাক্ত খঞ্জর।
    আজকের এই পরিস্থিতি যেন অতীতেরই পুনরাবৃত্তি। তাগুতরা যেসব সৈন্যদেরকে মুজাহিদদের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছিল হত্যা, বন্দি ও নিপীড়নের জন্য, তারাই আজ কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিন ভূমির দখলদার ইহুদিদের পাহারা দিচ্ছে এবং গাজায় আমাদের ভাইদেরকে অমানবিক নির্যাতনে জর্জরিত করছে। তারা হলো আধুনিক ফেরাউনের সেনাদল, যারা বারবার ফিরে আসে ইতিহাসের প্রতি যুগে—যখনই সত্য ও মিথ্যার মধ্যে সংঘাত হয়। তারাই হলো তাগুতের শাসনকে রক্ষাকারী সৈন্য, যারা জনগণকে তাদের অত্যাচারের নিচে পিষ্ট করে রেখেছে। তারা এই যুগের ফেরাউনদের বাহিনী এবং তাদের সঙ্গে রয়েছে বিশ্বাসঘাতক শাসকরা—যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা সত্য বলেছেন:
    وَاسْتَكْبَرَ هُوَ وَجُنُودُهُ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَظَنُّوا أَنَّهُمْ إِلَيْنَا لَا يُرْجَعُونَ (۳۹) فَأَخَذْنَاهُ وَجُنُودَهُ فَنَبَذْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الظَّالِمِينَ
    আর ফেরাউন ও তার সৈন্যরা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনা হবে না। অতঃপর আমি তাকে ও তার সৈন্যদের পাকড়াও করলাম এবং তাদের সাগরে নিক্ষেপ করলাম। দেখো, জালিমদের পরিণাম কেমন হয়েছে।” — সূরা আল-কাসাস (২৮:৩৯-৪০)
    এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা বলতে চাই:
    ধন্যবাদ সেই সব সাহসী অংশগ্রহণকারীদের, যারা এই কাফেলায় শামিল হয়েছেন এবং তাদেরকে যারা সমর্থন ও সহানুভূতি দেখিয়েছেন—বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা স্বাধীনচেতা সেই মানুষদেরকে জানাই মোবারকবাদ। আমরা খোলাখুলিভাবে বলছি—এটি নিঃসন্দেহে এক সাহসী ও ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ.. এমন এক সময়ে, যখন অর্থ বা শারীরিক সহায়তার মাধ্যমে মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর দৃশ্যপট প্রায় নিভে যেতে বসেছে।
    আল্লাহর কসম! আপনারা উভয় মাধ্যম—অর্থ ও প্রাণ—দিয়ে সহায়তার এক উঁচু মর্যাদায় পৌঁছে গেছেন। গর্বিত গাজার ভূমিতে নির্যাতিত আপনাদের ভাইদের জীবন রক্ষার প্রয়াসে এটি এক মহান ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গ। বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে—আপনাদেরকে কীভাবে পথরোধ করেছে ইহুদি রাষ্ট্রের দোসর ও এজেন্টরা। অতএব, আপনাদের প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা ও সালাম—কারণ, যে মানুষের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না, সে আসলে আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করে না।
    এরপর আমরা কাফেলায় মুসলিম অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলতে চাই:
    আপনারা যে গাজাকে সাহায্য করতে চেয়েছেন, সেই পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে কিছু দুর্ভেদ্য দেয়াল। এগুলো হলো বিশ্বাসঘাতকতা ও দাসত্বের দেয়াল, নাস্তিকতা ও মুরতাদদের প্রাচীর—যারা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের দ্বন্দ্বযুদ্ধের দাঁত বের করে রেখেছে, যারা দিনরাত নিজেদের জনগণকে লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত করছে, যেন তারা বিশ্বব্যাপী তাগুত শক্তির দাসত্বে বন্দী থাকে।
    তবে মনে রাখবেন—লোহা ভাঙে লোহার ঘায়ে, আর এই বিশ্বাসঘাতকতার প্রাচীর ভাঙতে হলে প্রয়োজন ইমানি হাতুড়ির আঘাত, মজবুত বাহু আর অদম্য সাহসের।
    জেনে রাখুন, গাজার পথে অগ্রসর হতে কোনো ফেরাউনের অনুমতির প্রয়োজন নেই—এই পথ কেবল তলোয়ারের ধার দিয়েই খোলা যায়। যে মনে করে, শান্তিবাদী কাফেলা দিয়েই আল-কুদস মুক্ত হবে, সে আসলে সম্মান চাচ্ছে কাঁটার ভয় ছাড়া—এটা অসম্ভব। সম্মান আসে কেবল শক্তির অবস্থান থেকে, কোনো দুর্বলতা ও আত্মসমর্পণের স্থান থেকে নয়।
    আপনাদের কাফেলা এমন জমিন অতিক্রম করেছে, সেসব ভূমি যদি মুখ খুলে কথা বলতে পারতো, তাহলে বলতো:
    আমার ওপর দিয়ে এর আগেও জিহাদের অশ্বারোহীরা পেরিয়ে গেছে, কিন্তু তাদের জন্য দরজা খোলা হয়েছিল কেবল বলপ্রয়োগে—তাহলে আজ কীভাবে পথ খোলা হবে এমন কাফেলার জন্য, যাদের হাতে নেই কোনো তলোয়ার?
    হে কাফেলার গাড়িবহর!
    গাজা কখনো এভাবে বিজয়ের স্বাদ পায়নি। তাওহীদের বৃক্ষকে এভাবে সেচ দেওয়া হয় না। মুতা, খায়বার বা ইয়ারমূকের প্রান্তরে মুসলিম জাতির বিজয়ঘোষণা কখনো এভাবে আসেনি।
    আজকের মিসর এবং তথাকথিত ‘প্রতিবেশী দেশগুলো’ — এদের ভগ্নপ্রায় শাসনব্যবস্থা আসলে এক প্রতারণার দরজা, যার চাবি পড়ে আছে বিভিন্ন দূতাবাসে, আর যার হৃদয় বাঁধা আছে হোয়াইট হাউসের সাথে। যদি তোমরা আরব তাগুতদের কাছে অনুমতি চাও, তাহলে তোমাদের সামনে খুলে যাবে কেবল অপমান, ব্যঙ্গ, কারাবরণ এবং গুম হওয়ার দরজা।
    তোমরা যে শাসকের দরজায় দাঁড়াতে চাইছো—সে তো রাফাহ সীমান্তকে পরিণত করেছে মর্যাদার কবরস্থানে। তোমরা তো নিশ্চয়ই পড়েছো হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর প্রতিবেদন, যেখানে এই সীমান্ত বন্ধ করে রাখাকে বলা হয়েছে “সমষ্টিগত শাস্তি”। আর সেই ভূগর্ভস্থ প্রাচীর তো তৈরি হয়েছে আরব অর্থে এবং ইহুদি পরিকল্পনায়। অভিশাপ সেই জাতির জন্য, যারা নিজেরাই নিজের অবরোধে অর্থ জোগায়, তারপর শহীদদের জন্য ক্রন্দনের ভান করে, যে ক্রন্দনে নেই কোনো অশ্রুফোঁটা।
    কোনো জাতি যদি যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যুবরণ করে, তবে সে জীবিত। কিন্তু যদি সে লাঞ্ছনা নিয়ে বেঁচে থাকে, তবে সে মৃত।
    সুতরাং, হে ইতিহাস রচনার প্রত্যাশীরা—তোমরা ইতিহাসে প্রবেশ করো বন্দুকের নল দিয়ে। মর্যাদা, জিহাদ এবং শাহাদাতের পথে এগিয়ে চলো। সংকল্প দৃঢ় করো, প্রস্তুতি গ্রহণ করো, গাফিল থেকো না।
    মনে রেখো—এই পথ পিছিয়ে পড়ার নয়। কাফেলার পর কাফেলা, সংকল্পের পর সংকল্প—এই অভিযান যেন অটুট থাকে। কিন্তু তা হতে হবে জিহাদ ও শাহাদাতের ব্যানারে। কায়রো বা অন্য কোনো শাসকের দরজায় দাঁড়িয়ে তাদের ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার অপেক্ষায় এই অভিযান এগোবে না।
    যারা আল্লাহর ওলি-বান্দাদের কারাগারে হত্যা করে, তাদের অনুমতির অপেক্ষা করো না। জিহাদকে শান্তির গান দিয়ে প্রতিস্থাপন করো না। যে ধর্মের জন্য রক্ত ঝরে, সে ধর্মের ইস্যুকে “শান্তির কার্নিভাল”-এ রূপান্তর করো না।
    এই ধর্ম গান দিয়ে নয়, রক্ত দিয়ে বিজয় চায়।
    আর শেষ কথা হিসেবে আমরা বলি:
    আমার বক্তব্য সেটাই, যা হযরত উমর (রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু) বলেছিলেন:
    আমরা এমন এক জাতি, যাকে আল্লাহ ইসলাম দ্বারা সম্মানিত করেছেন। যদি আমরা অন্য কোনো কিছুর মাধ্যমে মর্যাদা খোঁজ করি, তাহলে আল্লাহ আমাদের অপমানিত করবেন।
    তাহলে, তোমাদের পাথেয় ও পথপ্রদর্শক হোক আল্লাহর কিতাব, যেখানে তিনি বলেন:
    قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ
    তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের হাতেই শাস্তি দেবেন।” — (সূরা আত-তাওবা: ১৪)
    ফিরে চলো কুরআনের দিকে, ফিরে চলো তাওবা ও আনফালের সূরাগুলোর ভাষায়, ফিরে চলো জিহাদের ভাষায়। কারণ, কথা দিয়ে বিমান ভেঙে পড়ে না, ধিক্কার আর প্রতিবাদের বিবৃতি দিয়ে দখলদারদের ঘিরে ফেলা যায় না, আর শান্তিপূর্ণ বিপ্লব দিয়ে অত্যাচারীদের অন্তর কাঁপে না।
    বরং যেমন আল্লাহ বলেন:
    فَضَرْبَ الرِّقَابِ
    তখন তাদের ঘাড়ে আঘাত করো...” — (সূরা মুহাম্মদ: ৪)
    সত্য যদি শক্তির দ্বারা সুরক্ষিত না থাকে, তবে তা বিবৃতির পেটে গলে যায় এবং তাগুতদের কারাগারে শিকলবন্দি হয়ে পড়ে।
    কাফেলা-ই-সমুদ্দ” (অটলতার কাফেলা) যদি সত্য ও দৃঢ় সংকল্পে এগোয়, তবে হতে পারে ইতিহাসের বাঁক বদলের সূচনা। কিন্তু যদি তা থেমে পড়ে তল্লাশির নিয়মে, মার্জিত শব্দের অনুমোদনে, আর নিরাপত্তা সমন্বয়ের জালে — তবে তা হবে পরাজয়ের সেই পুরানো অধ্যায়েরই আরেকটি করুণ পুনরাবৃত্তি।
    তোমাদের কাফেলা হয় ফজরের আলোয় কুদসের বিজয়গাথা হয়ে গাওয়া এক কবিতা হবে, অথবা সন্ধ্যার পর বিস্মৃত এক গদ্য। তোমরা হতে পারো বিজয়, জিহাদ ও শাহাদাতের কাফেলা ; নয়তো তোমরা হবে কেবলই স্মৃতি থেকে স্মৃতিতে প্রবাহিত এক ম্লান যাত্রা।
    বিশ্বের সকল মুসলিমের প্রতি..! আপনারা সবাই জিহাদের দিকে ছুটে চলুন—হালকা হোন বা ভারি, যে অবস্থায় থাকুন না কেন। সীমানা ভেঙে ফেলুন, সমরাস্ত্র নিয়ে এই কাফেলায় যোগ দিন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, কিন্তু জিহাদে অভিজ্ঞ ভাইদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। যুদ্ধে তাদের দাঁত ভাঙলেও তারা লড়াইয়ের কৌশল আয়ত্ত করেছে। তারা শত্রুর ক্ষতি করার পথ জানে, আক্রমণ ও সৈন্য প্রত্যাহারের কৌশল বোঝে। এটাই হলো প্রস্তুতি—আর যা ছাড়া ফরজ কাজ পূর্ণ হয় না, সেটাও ফরজেরই অংশ।
    আর যিনি তলোয়ার হাতে জিহাদে অংশ নিতে পারেন না, কিংবা তার পক্ষে সম্ভব নয়—তিনি অন্তত প্রতিবাদ, ভাষণ, আর্থিক সহায়তা বা দোয়া দ্বারা সাহায্য করুন। তবে আমরা আশা করি—আপনারা এর চেয়েও বেশি অগ্রসর হবেন।
    (হে তরুণেরা!) আমরা চাই:
    তোমরা হও নতুন এক জাগরণের সূচনা
    এক অপ্রতিরোধ্য অভিযানের প্রথম ধাপ
    একটি না ঘুমানো চেতনার বিচ্ছুরণ।
    আল্লাহ বলেছেন:
    وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا
    আর যারা আমার জন্য সংগ্রাম করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করবো।”— (সূরা আল-আনকাবুত: ৬৯)
    তোমাদের হাতেই চূর্ণ হোক সকল বাধার প্রাচীর; বদ্ধ দ্বার উন্মুক্ত হোক তোমাদের হাতেই— শাসকদের সীলমোহর দিয়ে নয়।
    আল্লাহ তোমাদের পদক্ষেপ সুদৃঢ় করুন, তোমাদের নিয়তে বরকত দিন, অন্যদেরকেও তোমাদের সঙ্গে যুক্ত করুন,
    আর সকল জনতাকে একত্রিত করুন—মুজাহিদদের কাতারে!!

    তোমরাই কল্যাণের বীজ, তবে এই বীজ অক্ষমতার জল নয়, সম্মানের রক্ত দিয়ে যেন সিঞ্চিত হয়।
    পুনরায় চলো, বারবার চলো, বারবার প্রচেষ্টা চালাও
    ইতিহাস লিখে রেখে যাও:
    এই ছিল সেই কাফেলা—যা ফিরে এসেছিল কেবল বিজয়ী হয়ে, অথবা শহীদ হয়ে।

    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য — যিনি সকল জগতের পালনকর্তা।

    *****
    [IMG]file:///C:/Users/SAJIDH~1/AppData/Local/Temp/msohtmlclip1/01/clip_image001.png[/IMG]



    তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতিল আরব
    (আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা)
    ৩রা মহররম ১৪৪৭ হিজরি | ২৮ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
    ***************
    [IMG]file:///C:/Users/SAJIDH~1/AppData/Local/Temp/msohtmlclip1/01/clip_image002.png[/IMG] অনুবাদ ও প্রকাশনা




    مع تحيّات إخوانكم
    في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
    قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
    আপনাদের দোয়ায়
    আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
    আল কায়েদা উপমহাদেশ
    In your dua remember your brothers of
    Al Hikmah Media
    Al-Qaidah in the Subcontinent



Working...
X