গতপর্বে চাণক্যনীতির কথা বলেছিলাম। যেখানে কিভাবে শত্রুকে ধোকা দিয়ে তাকে পরাজিত করতে হয়, কিভাবে শত্রুর মধ্যে ভয়াবহ ত্রাস সৃষ্টি করতে হয়, কিভাবে বড় একটি রাজ্য দখল করে তা শাসন করতে হয় তা সেই চাণক্যনীতিতে ভালভাবেই বলা হয়েছে।
এখন ব্যাপার হল, এই যে শত্রু, এই শত্রু আসলে কারা? এই শত্রু হল- হিন্দু তথা বিশুদ্ধ আর্য বাদে অন্য সবাই, তথা আরব থেকে আগত মুসলিমরা, এমনই মতবাদ বর্তমান হিন্দুরা প্রচার করে। তাদের মতে মুসলিমরা এই অঞ্চলের নয়, বরং তারা বহিরাগত, তারা বাইরে থেকে এসে এই অঞ্চলকে দখল করে নিয়েছে, এই মুসলিমরা হল বিধর্মি কিনবা দস্যু!
মজার ব্যাপার হল,নিজেদেরকে ভারতের আদি, প্রকৃত অধিবাসি বিশুদ্ধ আর্য আর মুসলিমদেরকে বহিরাগত বলে দাবি করলেও ইতিহাস বলে আর্যরাও এই ভারত উপমহাদেশে এসেছিল বাইরে থেকেই। ঐতিহাসিকদের মতে প্রাচিন আফ্রিকান মিশরীয় এলাকা থেকে কিনবা প্রাচীন পারস্য থেকে , যে পারস্যের অন্তরভুক্ত ইরাক এবং ইরান ছিল,সেখান থেকে ভারতবর্সে আগমণ হয়েছিল এই জাতিটির এবং এই অঞ্চলে এসে এখানকার প্রাচীন অধিবাসি দ্রাবিড় ও অন্যান্যদের মেরে কেটে এখানে বসবাস করা শুরু করে এরা। আমরা বিভিন্ন হাদিস বা তাফসিরে কিতাবে ইব্রাহিম (আ) এর পিতার নাম- "আযর" দেখতে পাই, এই আযর থেকে আর্য বংশধারা এসেছে বলে অনেক ঐতিহাসিকের অভিমত। ইবনে কাসির (রাহিঃ)র আলবিদায়া ওয়ান নিহায়ার প্রথম খন্ডে বলা হয়েছে- ইবন আসাকির ইকরামা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, "হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর কুনিয়াত বা উপনাম ছিল "আর্য যায়ফান"। অবশ্য আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবেনা, যে আল্লাহর প্রিয় নবী ইব্রাহিম (আ) ছিলেন একনিষ্ঠ তাওহিদের অনুসারি, যদিও তার পিতা আযর ছিল একজন মুশরিক মুর্তিপুজারি।
পরবর্তিতে এই আর্যরাই সমাজকে শোষণ করার জন্য বিভিন্ন জাত পাত বা বর্নপাতের উদ্ভব ঘটায়, আর তাদের এই জাতগুলির মধ্যে "শ্রেষ্ঠ" ছিল- ব্রাহ্মণ রা, যে ব্রাহ্মণ রা ধর্মের নামে সমাজে এক মহাত্রাস সৃষ্টি করেছিল, অনেক ঐতিহাসিক এর মতে এই ব্রাহ্মণ শব্দটিও এসেছে- ইব্রাহিম (আ) থেকে। ইব্রাহিম থেকে আব্রাহাম বা ব্রাহাম বা ব্রাহ্মণ বা ব্রহ্মা । আবার ইব্রাহিম (আ) এর স্ত্রী সারাহ থেকে সারাহসতি কিনবা স্বরসতী (হিন্দুদের দেবি) এসেছে বলে অনেক গবেষক এর ধারণা। হিন্দুদের ধর্মে স্বরসতীকে ব্রক্ষার স্ত্রী বলা হয়েছে। আর ইব্রাহিম (আ) এর স্ত্রীর নামও ছিল সারাহ। সব ব্যাপারে অবশ্য আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।
এসবের সাথে আমরা মক্কার ততকালিন মুশরিকদের মিল দেখতে পাই, যারা নিজেদের ইব্রাহিম (আ) এর বংশধর কিনবা অনুসারি বলত এবং আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (সা) ও তাঁর অনুসারিদের বিধর্মি বলত, যদিও নিজেরা ছিল ঘোর কুস্ংস্কার এবং মুর্তিপুজায় আচ্ছন্ন!----- (3)
সম্মানিত ভাই এবং বোনেরা, আপনাদের কাছে আমার প্রাচীন ইতিহাস বর্ননা করা উদ্দেশ্য নয়। বরং প্রাচীন ইতিহাসের আলোকে বর্তমান হিন্দুরা কি দাবি করছে এবং সেই অনুসারে তারা কি ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত সেটা সম্পর্কে আলোচনার জন্যই প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে আপনাদের সামান্য একটু ধারনা দিলাম! হয়ত প্রাচীন ইতিহাসের আরো গভীরে প্রবেশ করা যেত কিন্তু তাতে করে কলেবর বৃদ্ধি পাবে বিধায় এটি আপাততঃ বাদ দিলাম। পরে হয়ত প্রসঙ্গের প্রয়োজনে আবার উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।
তবে মূল আলোচনায় প্রবেশের পুর্বে আপনাদের স্বরণ করিয়ে দিতে চাই- হিন্দু বলে কোন ধর্মের নাম ঐতিহাসিকভাবে পাওয়া যায়না বরং শব্দটি এসেছে সিন্ধু থেকে, অর্থাৎ সিন্ধু নদীর অববাহিকায় যারা বাস করত তারাই হিন্দু। আর প্রাচীন আরবী সাহিত্যে বরাবরই ভারতকে হিন্দ নামে অভিহিত করা হয়েছে।
এবার মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক ইনশাআল্লাহ।
গতকয়েক দশক ধরে ভারতের উগ্রপন্থি হিন্দুত্ববাদি সংগঠনগুলি সেই প্রাচীনভারতীয় মতবাদগুলিকে আবার সুপ্রতিষ্ঠিত করার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস), বজরং দল , শিব সেনা এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মত মূলস্রোতের ভারতীয় রাজনৈতিক দল/ উগ্রপন্থী মিলিশিয়া বাহিনী ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সমন্বয়ে একটি অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের দাবি উত্থাপন করছে। অবিভক্ত ভারতের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে অখণ্ড ভারতের অংশ হিসাবে দেখানো হচ্ছে। অখণ্ড ভারতের ধারণা হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত আবেগময় এবং তাদের অস্তিত্বের অংশ। ভারত বিভক্তি তাদের কাছে একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।
নব্বই দশকের শেষ প্রান্তে বিজেপি সরকারের আমলে সংঘ পরিবারের ২০ হাজার স্কুলে পাঠ্য ভূগোল বইয়ের মানচিত্রে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, তিব্বত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানকে অখণ্ড ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে দেখানো হয় এবং ভারত মহাসাগরকে হিন্দু মহাসাগর, আরব সাগরকে সিন্ধু সাগর এবং বঙ্গোপসাগরকে গঙ্গা সাগর হিসাবে আখ্যা দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তান, লাওস, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকেও অখণ্ড ভারতের অংশ হিসাবে কল্পনা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী হিন্দুদের সংগঠিত করে এ লক্ষ্যে পৌঁছার স্বপ্ন লালন করা হচ্ছে। খণ্ড বিখণ্ড ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করা হচ্ছে কট্টরপন্থী হিন্দু মহাসভার ঘোষিত নীতি। এ ব্যাপারে অর্পণা পাণ্ডে লিখিত এক্সপ্লেইনিং পাকিস্তান ফরেন পলিসি শিরোনামে গ্রন্থের ৫৬ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে-
"The Hindu Maha Sabha had declared: India is one and indivisible and there can never be peace unless and until the separated parts are brought back into the Indian Union and made integral parts thereof."
অর্থাৎ- ' হিন্দু মহাসভা ঘোষণা করেছে: ভারত অভিন্ন ও অবিভাজ্য। বিচ্ছিন্ন অংশগুলো যতদিন ভারত ইউনিয়নে ফিরিয়ে এনে সেগুলোকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করা না হবে ততদিন শান্তি আসবে না।"
----------(4)
---------------------------------(চলবে)
রেফারেন্সঃ
3।
আল-বিদায়া অয়ান নিহায়া- (ইবনে কাসির রাহিঃ)
চেপে রাখা ইতিহাস- আল্লামা গোলাম মোর্তজা
4।
ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক হস্তক্ষেপ-সাহাদত হোসেন খান
Explaining Pakistan's Foreign Policy- Aparna Pande
এখন ব্যাপার হল, এই যে শত্রু, এই শত্রু আসলে কারা? এই শত্রু হল- হিন্দু তথা বিশুদ্ধ আর্য বাদে অন্য সবাই, তথা আরব থেকে আগত মুসলিমরা, এমনই মতবাদ বর্তমান হিন্দুরা প্রচার করে। তাদের মতে মুসলিমরা এই অঞ্চলের নয়, বরং তারা বহিরাগত, তারা বাইরে থেকে এসে এই অঞ্চলকে দখল করে নিয়েছে, এই মুসলিমরা হল বিধর্মি কিনবা দস্যু!
মজার ব্যাপার হল,নিজেদেরকে ভারতের আদি, প্রকৃত অধিবাসি বিশুদ্ধ আর্য আর মুসলিমদেরকে বহিরাগত বলে দাবি করলেও ইতিহাস বলে আর্যরাও এই ভারত উপমহাদেশে এসেছিল বাইরে থেকেই। ঐতিহাসিকদের মতে প্রাচিন আফ্রিকান মিশরীয় এলাকা থেকে কিনবা প্রাচীন পারস্য থেকে , যে পারস্যের অন্তরভুক্ত ইরাক এবং ইরান ছিল,সেখান থেকে ভারতবর্সে আগমণ হয়েছিল এই জাতিটির এবং এই অঞ্চলে এসে এখানকার প্রাচীন অধিবাসি দ্রাবিড় ও অন্যান্যদের মেরে কেটে এখানে বসবাস করা শুরু করে এরা। আমরা বিভিন্ন হাদিস বা তাফসিরে কিতাবে ইব্রাহিম (আ) এর পিতার নাম- "আযর" দেখতে পাই, এই আযর থেকে আর্য বংশধারা এসেছে বলে অনেক ঐতিহাসিকের অভিমত। ইবনে কাসির (রাহিঃ)র আলবিদায়া ওয়ান নিহায়ার প্রথম খন্ডে বলা হয়েছে- ইবন আসাকির ইকরামা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, "হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর কুনিয়াত বা উপনাম ছিল "আর্য যায়ফান"। অবশ্য আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবেনা, যে আল্লাহর প্রিয় নবী ইব্রাহিম (আ) ছিলেন একনিষ্ঠ তাওহিদের অনুসারি, যদিও তার পিতা আযর ছিল একজন মুশরিক মুর্তিপুজারি।
পরবর্তিতে এই আর্যরাই সমাজকে শোষণ করার জন্য বিভিন্ন জাত পাত বা বর্নপাতের উদ্ভব ঘটায়, আর তাদের এই জাতগুলির মধ্যে "শ্রেষ্ঠ" ছিল- ব্রাহ্মণ রা, যে ব্রাহ্মণ রা ধর্মের নামে সমাজে এক মহাত্রাস সৃষ্টি করেছিল, অনেক ঐতিহাসিক এর মতে এই ব্রাহ্মণ শব্দটিও এসেছে- ইব্রাহিম (আ) থেকে। ইব্রাহিম থেকে আব্রাহাম বা ব্রাহাম বা ব্রাহ্মণ বা ব্রহ্মা । আবার ইব্রাহিম (আ) এর স্ত্রী সারাহ থেকে সারাহসতি কিনবা স্বরসতী (হিন্দুদের দেবি) এসেছে বলে অনেক গবেষক এর ধারণা। হিন্দুদের ধর্মে স্বরসতীকে ব্রক্ষার স্ত্রী বলা হয়েছে। আর ইব্রাহিম (আ) এর স্ত্রীর নামও ছিল সারাহ। সব ব্যাপারে অবশ্য আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।
এসবের সাথে আমরা মক্কার ততকালিন মুশরিকদের মিল দেখতে পাই, যারা নিজেদের ইব্রাহিম (আ) এর বংশধর কিনবা অনুসারি বলত এবং আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (সা) ও তাঁর অনুসারিদের বিধর্মি বলত, যদিও নিজেরা ছিল ঘোর কুস্ংস্কার এবং মুর্তিপুজায় আচ্ছন্ন!----- (3)
সম্মানিত ভাই এবং বোনেরা, আপনাদের কাছে আমার প্রাচীন ইতিহাস বর্ননা করা উদ্দেশ্য নয়। বরং প্রাচীন ইতিহাসের আলোকে বর্তমান হিন্দুরা কি দাবি করছে এবং সেই অনুসারে তারা কি ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত সেটা সম্পর্কে আলোচনার জন্যই প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে আপনাদের সামান্য একটু ধারনা দিলাম! হয়ত প্রাচীন ইতিহাসের আরো গভীরে প্রবেশ করা যেত কিন্তু তাতে করে কলেবর বৃদ্ধি পাবে বিধায় এটি আপাততঃ বাদ দিলাম। পরে হয়ত প্রসঙ্গের প্রয়োজনে আবার উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।
তবে মূল আলোচনায় প্রবেশের পুর্বে আপনাদের স্বরণ করিয়ে দিতে চাই- হিন্দু বলে কোন ধর্মের নাম ঐতিহাসিকভাবে পাওয়া যায়না বরং শব্দটি এসেছে সিন্ধু থেকে, অর্থাৎ সিন্ধু নদীর অববাহিকায় যারা বাস করত তারাই হিন্দু। আর প্রাচীন আরবী সাহিত্যে বরাবরই ভারতকে হিন্দ নামে অভিহিত করা হয়েছে।
এবার মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক ইনশাআল্লাহ।
গতকয়েক দশক ধরে ভারতের উগ্রপন্থি হিন্দুত্ববাদি সংগঠনগুলি সেই প্রাচীনভারতীয় মতবাদগুলিকে আবার সুপ্রতিষ্ঠিত করার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস), বজরং দল , শিব সেনা এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মত মূলস্রোতের ভারতীয় রাজনৈতিক দল/ উগ্রপন্থী মিলিশিয়া বাহিনী ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সমন্বয়ে একটি অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের দাবি উত্থাপন করছে। অবিভক্ত ভারতের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে অখণ্ড ভারতের অংশ হিসাবে দেখানো হচ্ছে। অখণ্ড ভারতের ধারণা হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত আবেগময় এবং তাদের অস্তিত্বের অংশ। ভারত বিভক্তি তাদের কাছে একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।
নব্বই দশকের শেষ প্রান্তে বিজেপি সরকারের আমলে সংঘ পরিবারের ২০ হাজার স্কুলে পাঠ্য ভূগোল বইয়ের মানচিত্রে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, তিব্বত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানকে অখণ্ড ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে দেখানো হয় এবং ভারত মহাসাগরকে হিন্দু মহাসাগর, আরব সাগরকে সিন্ধু সাগর এবং বঙ্গোপসাগরকে গঙ্গা সাগর হিসাবে আখ্যা দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তান, লাওস, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকেও অখণ্ড ভারতের অংশ হিসাবে কল্পনা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী হিন্দুদের সংগঠিত করে এ লক্ষ্যে পৌঁছার স্বপ্ন লালন করা হচ্ছে। খণ্ড বিখণ্ড ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করা হচ্ছে কট্টরপন্থী হিন্দু মহাসভার ঘোষিত নীতি। এ ব্যাপারে অর্পণা পাণ্ডে লিখিত এক্সপ্লেইনিং পাকিস্তান ফরেন পলিসি শিরোনামে গ্রন্থের ৫৬ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে-
"The Hindu Maha Sabha had declared: India is one and indivisible and there can never be peace unless and until the separated parts are brought back into the Indian Union and made integral parts thereof."
অর্থাৎ- ' হিন্দু মহাসভা ঘোষণা করেছে: ভারত অভিন্ন ও অবিভাজ্য। বিচ্ছিন্ন অংশগুলো যতদিন ভারত ইউনিয়নে ফিরিয়ে এনে সেগুলোকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করা না হবে ততদিন শান্তি আসবে না।"
----------(4)
---------------------------------(চলবে)
রেফারেন্সঃ
3।
আল-বিদায়া অয়ান নিহায়া- (ইবনে কাসির রাহিঃ)
চেপে রাখা ইতিহাস- আল্লামা গোলাম মোর্তজা
4।
ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক হস্তক্ষেপ-সাহাদত হোসেন খান
Explaining Pakistan's Foreign Policy- Aparna Pande