বাসায় যাচ্ছিলাম। স্ট্রিটের পাশে মাহফিল বসেছে। জনৈক বিচক্ষণ বক্তা এসেছেন। দেখলাম তিনি ওয়াজের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের অবদান উল্লেখ করতে চাইছেন।
সামান্য একটু সামনে দাঁড়ালাম। ওয়েট করলাম দেখি তিনি কি বলছেন। যতোটুকু জানতাম তিনি মৌলানা ভাসানি সাহেবের উদাহরণ টানবেন যিনি নাকি কিছুটা কমিউনিজমঘেঁষা ছিলেন।
ভাসানী, তর্কবাগীশ সাহেবগণ ছাড়া তো আর কোন উদাহরণ তিনি পাবেন না তাই কিছুক্ষণ র্যান্ডম বকবক করে গেলেন মুক্তিযুদ্ধের আলেমদের অবদান নিয়ে। "মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আলেমদের কোন ভূমিকা ছিল না", "কোন আলেম রাজাকার ছিলেন না" ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু অবদান কি সেটা আমার মাথায় ধরল না, উনিও কোন অবদান উল্লেখ করতে পারলেন না।
সবশেষে তিনি যে সর্বশ্রেষ্ঠ অবদানটা তুলে ধরলেন সেটা হচ্ছে শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের আগে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে "ইনশাআল্লাহ" বলেছিলেন!!!
সর্বনাশ!!!
মুজিবের ইনশাআল্লাহ বলাটা তো মুক্তিযুদ্ধকে একেবারে খাঁটি বিশুদ্ধ জেহাদ বানিয়ে দিল!!!
আরে ইনশাআল্লাহ তো মুরাদেও বলে।
ইয়াজুজ মাজুজরাও তো অবির্ভাবের আগের দিন ইনশাআল্লাহ বলবে।
ইনশাআল্লাহ বললেই কোন যিন্দিক মুসলিম হয়ে যায় না। কোন একটা যুদ্ধের উদ্দেশ্য যদি ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করা না হয় তাহলে এটা কে কোনোভাবেই ইসলামের সঙ্গে টানা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ ধরে নিলাম এটা জালেমের হাত থেকে বাঁচতে মজলুমের যুদ্ধ ছিল, কিন্তু মজলুমরা তো জালেমের নাগপাশ থেকে উদ্ধার হয়ে ইসলামী শরিয়া প্রতিষ্ঠা করবে না, তারা প্রতিষ্ঠা করবে কুফরি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা।
বন্যার পানির উপর খড়কুটোর ন্যায় ভাসমান এদেশের ইসলামিস্ট সমাজ যেখানেই ইসলামিক কোনো পরিভাষা ইউস হতে দেখে তাকেই ইসলামের সঙ্গে টানে।
ভাই, ইসলাম এত্থেকে মুক্ত। ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাউকে তেল মারার দরকার নাই। কারো বন্দনা, তেল মারা, কুফরী সিস্টেমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কখনো ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আপনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দলীয় ফায়দা নেন। কিন্তু আল্লাহর প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী তিনি একটা দল তৈরি করবেন যারা কোনো তাগুতি সিস্টেম না, কাওকে তেল মারার মাধ্যমেও না, নববী ফরয বিধান জিহাদের মাধ্যমেই আল্লাহর দ্বীন আল্লাহর ভূখণ্ডে প্রতিষ্ঠা করবেন।
সামান্য একটু সামনে দাঁড়ালাম। ওয়েট করলাম দেখি তিনি কি বলছেন। যতোটুকু জানতাম তিনি মৌলানা ভাসানি সাহেবের উদাহরণ টানবেন যিনি নাকি কিছুটা কমিউনিজমঘেঁষা ছিলেন।
ভাসানী, তর্কবাগীশ সাহেবগণ ছাড়া তো আর কোন উদাহরণ তিনি পাবেন না তাই কিছুক্ষণ র্যান্ডম বকবক করে গেলেন মুক্তিযুদ্ধের আলেমদের অবদান নিয়ে। "মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আলেমদের কোন ভূমিকা ছিল না", "কোন আলেম রাজাকার ছিলেন না" ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু অবদান কি সেটা আমার মাথায় ধরল না, উনিও কোন অবদান উল্লেখ করতে পারলেন না।
সবশেষে তিনি যে সর্বশ্রেষ্ঠ অবদানটা তুলে ধরলেন সেটা হচ্ছে শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের আগে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে "ইনশাআল্লাহ" বলেছিলেন!!!
সর্বনাশ!!!
মুজিবের ইনশাআল্লাহ বলাটা তো মুক্তিযুদ্ধকে একেবারে খাঁটি বিশুদ্ধ জেহাদ বানিয়ে দিল!!!
আরে ইনশাআল্লাহ তো মুরাদেও বলে।
ইয়াজুজ মাজুজরাও তো অবির্ভাবের আগের দিন ইনশাআল্লাহ বলবে।
ইনশাআল্লাহ বললেই কোন যিন্দিক মুসলিম হয়ে যায় না। কোন একটা যুদ্ধের উদ্দেশ্য যদি ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করা না হয় তাহলে এটা কে কোনোভাবেই ইসলামের সঙ্গে টানা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ ধরে নিলাম এটা জালেমের হাত থেকে বাঁচতে মজলুমের যুদ্ধ ছিল, কিন্তু মজলুমরা তো জালেমের নাগপাশ থেকে উদ্ধার হয়ে ইসলামী শরিয়া প্রতিষ্ঠা করবে না, তারা প্রতিষ্ঠা করবে কুফরি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা।
বন্যার পানির উপর খড়কুটোর ন্যায় ভাসমান এদেশের ইসলামিস্ট সমাজ যেখানেই ইসলামিক কোনো পরিভাষা ইউস হতে দেখে তাকেই ইসলামের সঙ্গে টানে।
ভাই, ইসলাম এত্থেকে মুক্ত। ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাউকে তেল মারার দরকার নাই। কারো বন্দনা, তেল মারা, কুফরী সিস্টেমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কখনো ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আপনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দলীয় ফায়দা নেন। কিন্তু আল্লাহর প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী তিনি একটা দল তৈরি করবেন যারা কোনো তাগুতি সিস্টেম না, কাওকে তেল মারার মাধ্যমেও না, নববী ফরয বিধান জিহাদের মাধ্যমেই আল্লাহর দ্বীন আল্লাহর ভূখণ্ডে প্রতিষ্ঠা করবেন।