পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের তোড়জোড়ের শেষ নেই। বলছে, এতে ইকোনমি বাড়বে। জনগণ-ও তাই নাচছে। কিন্তু বেচারা জনগণ জানে না, এই ইকোনমির বাড়তিতে তাদের কোনো লাভ নেই।
এবার এর ব্যখ্যায় যাওয়া যাক। বর্তমান পৃথিবীতে যে অর্থব্যবস্থা চলছে তা হলো পূঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। আর এ ব্যবস্থার ব্যপারে বলা হয় যে, এতে ধনীরা আরো বেশী ধনী হয়, গরীবরা আরো বেশি গরিব হয়। এবার নিশ্চই হয়তো বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন বিষয়টার প্রতি আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছি।
বর্তমান মিডিয়াতে এবং মিডিয়ার টকশোগুলোতে যে বড় মাথার মানুষগুলো দেখা যাচ্ছে —যারা পদ্মা-সেতুর ইকোনমি নিয়ে বেশ উদ্দীপ্ত— এতে হয়তো তাদের লাভ হবে। তাদের হাতি-সমান ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফুলে-ফেঁপে আরো বড় হবে, কিন্তু বেচারা জনগণের সেই গার্মেন্টসের আগুনে পুড়ে মরা ছাড়া আর কোনোই লাভ হবে না!
হে ভাই! তুমি কেন খুশি হচ্ছো? যে সরকার পদ্মা নদীর জন্য কটা ফেরির ব্যবস্থা করতে পারে নি তুমি কি ভাবছো, এতো বড় পদ্মাসেতু সে তোমাকে এমনিতেই দিয়ে দেবে? আমার তো মনে হয়, এ-সেতু নির্মিত হবার আগে যে খাবার দু'মুঠো তুমি খেতে এই সেতু গড়ার পর তাও তারা তোমার মুখ থেকে ছিনিয়ে নেবে। এ সরকার তোমার উপর দু'বার যুলুম করেছে। একতো তোমার উপর ট্যাক্সের বিশাল বোঝা চাপিয়ে দিয়ে তোমার উপর যুলুম করেছে। আর তা দিয়ে সরকার পদ্মা-সেতুর স্বপ্ন দেখেছে। আর দ্বিতীয়বার তোমার উপর টোল চাপিয়ে দেবে। আর তা দিয়ে তোমার রক্তই চুষবে। তুমি ভিটেমাটি হারাবে, বাস্তুহারা হবে, আর আরেকদল তুমার টাকা দিয়ে পাহাড় গড়ে তোমাকেই তাতে মজদুর বানাবে। তুমি কী করবে, একাল-ও হারাবে, সেকাল-ও হারাবে। অতএব, এখনি সতর্ক হও। নতুবা তাকিয়ে থাক আমার কথার প্রতিফলনের অপেক্ষায়...
এবার এর ব্যখ্যায় যাওয়া যাক। বর্তমান পৃথিবীতে যে অর্থব্যবস্থা চলছে তা হলো পূঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। আর এ ব্যবস্থার ব্যপারে বলা হয় যে, এতে ধনীরা আরো বেশী ধনী হয়, গরীবরা আরো বেশি গরিব হয়। এবার নিশ্চই হয়তো বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন বিষয়টার প্রতি আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছি।
বর্তমান মিডিয়াতে এবং মিডিয়ার টকশোগুলোতে যে বড় মাথার মানুষগুলো দেখা যাচ্ছে —যারা পদ্মা-সেতুর ইকোনমি নিয়ে বেশ উদ্দীপ্ত— এতে হয়তো তাদের লাভ হবে। তাদের হাতি-সমান ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফুলে-ফেঁপে আরো বড় হবে, কিন্তু বেচারা জনগণের সেই গার্মেন্টসের আগুনে পুড়ে মরা ছাড়া আর কোনোই লাভ হবে না!
হে ভাই! তুমি কেন খুশি হচ্ছো? যে সরকার পদ্মা নদীর জন্য কটা ফেরির ব্যবস্থা করতে পারে নি তুমি কি ভাবছো, এতো বড় পদ্মাসেতু সে তোমাকে এমনিতেই দিয়ে দেবে? আমার তো মনে হয়, এ-সেতু নির্মিত হবার আগে যে খাবার দু'মুঠো তুমি খেতে এই সেতু গড়ার পর তাও তারা তোমার মুখ থেকে ছিনিয়ে নেবে। এ সরকার তোমার উপর দু'বার যুলুম করেছে। একতো তোমার উপর ট্যাক্সের বিশাল বোঝা চাপিয়ে দিয়ে তোমার উপর যুলুম করেছে। আর তা দিয়ে সরকার পদ্মা-সেতুর স্বপ্ন দেখেছে। আর দ্বিতীয়বার তোমার উপর টোল চাপিয়ে দেবে। আর তা দিয়ে তোমার রক্তই চুষবে। তুমি ভিটেমাটি হারাবে, বাস্তুহারা হবে, আর আরেকদল তুমার টাকা দিয়ে পাহাড় গড়ে তোমাকেই তাতে মজদুর বানাবে। তুমি কী করবে, একাল-ও হারাবে, সেকাল-ও হারাবে। অতএব, এখনি সতর্ক হও। নতুবা তাকিয়ে থাক আমার কথার প্রতিফলনের অপেক্ষায়...