করোনাকাল থেকে শুরু করে বেশ কিছু সময় ফেসবুকে দাওয়াহের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ হয়েছিলো। মাঝেমধ্যে যখন দেখতাম ফেসবুকের জিহাদি ভাইয়েরা আমাকে উস্তায বা শাইখ হিসেবে সম্বোধন করতো। আমি বেশ অবাক হতাম, জিহাদপ্রেমি ভাইয়েরা এতই সরল-সহজ! আমি হয়তো বিভিন্ন পিডিএফ বইয়ে পড়া মুজাহিদ শাইখদের বার্তা, রিসালাহ, লেখনি ও যুদ্ধকৌশলের ভিত্তিতে সমসাময়িক পরিস্থিতিকে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারছি কিন্তু তাই বলে তো আমি শাইখ বা উস্তায হয়ে যাইনি। অথচ ঐ মুহূর্তে পর্দার পিছনে হয়তো মোবাইল হাতে শুয়ে স্ক্রলিং করতে থাকা এক তরুণ ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যাবে না!
লেখার মান কিংবা ফ্যান-ফলোয়ারস কিছুটা বেড়ে গেলে আমি অন্তরে কিছু সুক্ষ্ম অহংবোধের উপস্থিতি ঠের পাই। সেটা অবশ্য অন্তরের কোণেই সীমাবদ্ধ ছিলো- বাস্তব জগতে, কথায়, কর্মে, টাইমলাইনে, পোস্টে বা কমেন্টে তখনো আসেনি।
সুক্ষ্ম অহংবোধ! অথচ জাররা পরিমাণ অহংকার নিয়েও কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না!
সূচনায় ঝরনার মুখ সুই দিয়েও বন্ধ করা যায়। কিন্তু বড় হয়ে গেলে হাতি দিয়েও পারা যায় না! তাই যা করার সূচনায় করাই ভালো, অহংকারের শাস্তিস্বরুপ জিহাদের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে। ১০-১৫ বছর জিহাদের জগতে থাকা ব্যাক্তিদের অহংকারের কারণে তাদের আল্লাহ পাক জিহাদের ফিল্ড থেকে বিতাড়িত করেছেন। ময়দানের বহু মুজাহিদের পরিণতি এরকম হয়েছে শুধু অহংকারের কারণে। বড় দল হওয়ার অহংকার, ইলমের অহংকার কিংবা আমলের অহংকার!
যাই হোক ফেসবুকের রেস্ট্রিকশন ও নিজের ওপর নিজের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মাত্রাবৃদ্ধির ফলে ফেসবুক একপর্যায়ে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে পাঠক হিসেবে যখন ফেসবুকে এসে দেখি ফেসবুক দ্বাঈ ভাইরা এখানে 'শাইখ', 'উস্তায', 'উস্তাযে মুহতারাম', 'হযরত', 'আলেম' হয়ে যাচ্ছেন তখন নিজেকে দেয়া শয়তানের ধোঁকাগুলোর কথাই মনে পড়ে। নিঃসন্দেহে আমাকে শয়তান কুমন্ত্রণা দিচ্ছিলো।
দেখা গেছে যেসব ভাইকে উস্তায হিসেবে প্রচার করা হয় ত্বাগুত তাদের পিছু নিয়ে নেয়; মনে করে যে তাদের কাছে হয়তো ভারী ইনফরমেশন পাওয়া যাবে। ফলে তারা ওৎ পেতে থাকে ভাইদের ধরার জন্য। সমর্থও হয়। কারণ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ ত্বাগুতের চ্যালেঞ্জ জামাআহ মোকাবেলা করতে পারলেও সেটা লোন দ্বাঈ ভাইদের পক্ষে সম্ভব হয় না। করোনার সময়ে কত ভাই ফেসবুকে উস্তায ছিলেন। আজ তারা ত্বাগুতের যিন্দানখানায়।
যেসব ভাই ফেসবুক, টুইটার বা টেলিগ্রামে দাওয়াহের কাজ করেন, তারা নিজেরা ভেবে দেখা উচিত আসলে কি আপনার মাকসাদ "সোশ্যাল মিডিয়ায় জিহাদের প্রচার"-রয়ে গেছে নাকি এর সাথে অন্য কিছু মিক্স হয়েছে! যদি বুঝতে পারেন যে তা হয়েছে তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ নিন। ভাইদের সাথে পরামর্শ নিন। একক মাশোয়ারায় মডারেটর ভাইদের সাথে পারসোনালি শেয়ার করুন। বিজ্ঞদের সাথে পরামর্শ নিয়ে চলাই ভালো। একাকি ফেসবুকে দাওয়াহ কাজে কল্যাণের চেয়ে দুনিয়া ও আখিরাতে অকল্যাণের সম্ভাবনাই বেশি।
কারণ আপনি চাইলে হাজার হাজার ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন, শত শত লাইক-কমেন্ট নিয়ে ঘরে ফেরবেন, কিন্তু আল্লাহর কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা হয়তো থাকবে না। কারণ ফেসবুক দাওয়াহ সাধারণ বিষয় না। শত শত কর্মঘন্টা সেখানে নষ্ট হয়। আর সোশ্যাল মিডিয়াকে দাজ্জালরা যেভাবে আর্কিটেকচার করেছে তাতে আপনি সেখানে ভালো থাকতে পারবেন না, যদি না আপনি জামাআহ থেকে নিয়োজিত কেউ হন।
কিভাবে বুঝবেন এই "অন্য কিছু" মিক্স হযে যাচ্ছে:-
১) লাইক-কমেন্টের প্রতি আকর্ষণ এবং তা বাড়লে তৃপ্ত হওয়া।
২) ফ্যান-ফলোয়ার বাড়ানো এবং তা নিয়ে তৃপ্তিবোধ।
৩) সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্কেল বানানো যেখানে নিজে কেন্দ্রীয় হওয়া।
৪) নিজেকে উস্তায হিসেবে প্রচার করা, অন্যকে দিয়ে করানো, কিংবা এতে তৃপ্ত হওয়া।
৫) ফেসবুক দাওয়াহ আমল, আদব, আখলাক ও স্বাভাবিক জীবনের ত্রুটির কারণ হওয়া।
৬) ইস্যুতে সাড়াদান এবং তা নিয়ে পড়ে থাকা।
৭) ইনসাফবিহীন সমালোচনা, সর্বদা অন্যের মন্দ বর্ণনা।
৮) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিজের তাকাব্বুরি জাহির করা।
৯) দাওয়াতের উসুল না মানা।
১০) নিজেকে তানজীমের লোক হিসাবে জাহির করা।
(ফেসবুকের দ্বাঈ ভাইদের লেখাগুলো ফোরামে প্রচার করার সময় তাদের নাম না নিয়ে প্রচার করাই ভালো। কারণ এতে তাদের সিকিউরিটি রিস্ক সারফেস বেড়ে যায়। তাদের যখন ফলাও করে ফোরামে প্রচার করা হবে স্বাভাবিকভাবে ত্বাগুত তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আছে ভেবে তাদের পিছু নেবে। এবং একটা পর্যায়ে তাদের বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করবে।
ফোরামে নরমালি যাদের উস্তায বা শাইখ বলে প্রচার করা হয় তারা বাস্তবে জামাঅহসংশ্লিষ্ট মেহনতের সংযুক্তই হয়ে থাকেন। যেমন, উস্তায আবু আনওয়ার আল হিন্দী, উস্তায আবু যুবাইদা। কিন্তু ফেসবুকে বিচ্ছিন্নভাবে দাওয়াহরত ভাইদের সাধারণত এরকম উস্তায হিসেবে প্রচার করতে দেখিনি ফোরামে। কাজেই আমাদের সতর্কতা কাম্য।)
লেখার মান কিংবা ফ্যান-ফলোয়ারস কিছুটা বেড়ে গেলে আমি অন্তরে কিছু সুক্ষ্ম অহংবোধের উপস্থিতি ঠের পাই। সেটা অবশ্য অন্তরের কোণেই সীমাবদ্ধ ছিলো- বাস্তব জগতে, কথায়, কর্মে, টাইমলাইনে, পোস্টে বা কমেন্টে তখনো আসেনি।
সুক্ষ্ম অহংবোধ! অথচ জাররা পরিমাণ অহংকার নিয়েও কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না!
সূচনায় ঝরনার মুখ সুই দিয়েও বন্ধ করা যায়। কিন্তু বড় হয়ে গেলে হাতি দিয়েও পারা যায় না! তাই যা করার সূচনায় করাই ভালো, অহংকারের শাস্তিস্বরুপ জিহাদের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে। ১০-১৫ বছর জিহাদের জগতে থাকা ব্যাক্তিদের অহংকারের কারণে তাদের আল্লাহ পাক জিহাদের ফিল্ড থেকে বিতাড়িত করেছেন। ময়দানের বহু মুজাহিদের পরিণতি এরকম হয়েছে শুধু অহংকারের কারণে। বড় দল হওয়ার অহংকার, ইলমের অহংকার কিংবা আমলের অহংকার!
যাই হোক ফেসবুকের রেস্ট্রিকশন ও নিজের ওপর নিজের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মাত্রাবৃদ্ধির ফলে ফেসবুক একপর্যায়ে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে পাঠক হিসেবে যখন ফেসবুকে এসে দেখি ফেসবুক দ্বাঈ ভাইরা এখানে 'শাইখ', 'উস্তায', 'উস্তাযে মুহতারাম', 'হযরত', 'আলেম' হয়ে যাচ্ছেন তখন নিজেকে দেয়া শয়তানের ধোঁকাগুলোর কথাই মনে পড়ে। নিঃসন্দেহে আমাকে শয়তান কুমন্ত্রণা দিচ্ছিলো।
দেখা গেছে যেসব ভাইকে উস্তায হিসেবে প্রচার করা হয় ত্বাগুত তাদের পিছু নিয়ে নেয়; মনে করে যে তাদের কাছে হয়তো ভারী ইনফরমেশন পাওয়া যাবে। ফলে তারা ওৎ পেতে থাকে ভাইদের ধরার জন্য। সমর্থও হয়। কারণ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ ত্বাগুতের চ্যালেঞ্জ জামাআহ মোকাবেলা করতে পারলেও সেটা লোন দ্বাঈ ভাইদের পক্ষে সম্ভব হয় না। করোনার সময়ে কত ভাই ফেসবুকে উস্তায ছিলেন। আজ তারা ত্বাগুতের যিন্দানখানায়।
যেসব ভাই ফেসবুক, টুইটার বা টেলিগ্রামে দাওয়াহের কাজ করেন, তারা নিজেরা ভেবে দেখা উচিত আসলে কি আপনার মাকসাদ "সোশ্যাল মিডিয়ায় জিহাদের প্রচার"-রয়ে গেছে নাকি এর সাথে অন্য কিছু মিক্স হয়েছে! যদি বুঝতে পারেন যে তা হয়েছে তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ নিন। ভাইদের সাথে পরামর্শ নিন। একক মাশোয়ারায় মডারেটর ভাইদের সাথে পারসোনালি শেয়ার করুন। বিজ্ঞদের সাথে পরামর্শ নিয়ে চলাই ভালো। একাকি ফেসবুকে দাওয়াহ কাজে কল্যাণের চেয়ে দুনিয়া ও আখিরাতে অকল্যাণের সম্ভাবনাই বেশি।
কারণ আপনি চাইলে হাজার হাজার ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন, শত শত লাইক-কমেন্ট নিয়ে ঘরে ফেরবেন, কিন্তু আল্লাহর কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা হয়তো থাকবে না। কারণ ফেসবুক দাওয়াহ সাধারণ বিষয় না। শত শত কর্মঘন্টা সেখানে নষ্ট হয়। আর সোশ্যাল মিডিয়াকে দাজ্জালরা যেভাবে আর্কিটেকচার করেছে তাতে আপনি সেখানে ভালো থাকতে পারবেন না, যদি না আপনি জামাআহ থেকে নিয়োজিত কেউ হন।
কিভাবে বুঝবেন এই "অন্য কিছু" মিক্স হযে যাচ্ছে:-
১) লাইক-কমেন্টের প্রতি আকর্ষণ এবং তা বাড়লে তৃপ্ত হওয়া।
২) ফ্যান-ফলোয়ার বাড়ানো এবং তা নিয়ে তৃপ্তিবোধ।
৩) সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্কেল বানানো যেখানে নিজে কেন্দ্রীয় হওয়া।
৪) নিজেকে উস্তায হিসেবে প্রচার করা, অন্যকে দিয়ে করানো, কিংবা এতে তৃপ্ত হওয়া।
৫) ফেসবুক দাওয়াহ আমল, আদব, আখলাক ও স্বাভাবিক জীবনের ত্রুটির কারণ হওয়া।
৬) ইস্যুতে সাড়াদান এবং তা নিয়ে পড়ে থাকা।
৭) ইনসাফবিহীন সমালোচনা, সর্বদা অন্যের মন্দ বর্ণনা।
৮) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিজের তাকাব্বুরি জাহির করা।
৯) দাওয়াতের উসুল না মানা।
১০) নিজেকে তানজীমের লোক হিসাবে জাহির করা।
(ফেসবুকের দ্বাঈ ভাইদের লেখাগুলো ফোরামে প্রচার করার সময় তাদের নাম না নিয়ে প্রচার করাই ভালো। কারণ এতে তাদের সিকিউরিটি রিস্ক সারফেস বেড়ে যায়। তাদের যখন ফলাও করে ফোরামে প্রচার করা হবে স্বাভাবিকভাবে ত্বাগুত তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আছে ভেবে তাদের পিছু নেবে। এবং একটা পর্যায়ে তাদের বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করবে।
ফোরামে নরমালি যাদের উস্তায বা শাইখ বলে প্রচার করা হয় তারা বাস্তবে জামাঅহসংশ্লিষ্ট মেহনতের সংযুক্তই হয়ে থাকেন। যেমন, উস্তায আবু আনওয়ার আল হিন্দী, উস্তায আবু যুবাইদা। কিন্তু ফেসবুকে বিচ্ছিন্নভাবে দাওয়াহরত ভাইদের সাধারণত এরকম উস্তায হিসেবে প্রচার করতে দেখিনি ফোরামে। কাজেই আমাদের সতর্কতা কাম্য।)