হে সুলতান আব্দুল হামিদ, প্রথমত সালাম পেশ করছি আপনার নিকট। আল্লাহ আপনাকে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ স্থানে রেখেছেন। কারণ তিনি তো তার বান্দাদের কর্মফল নষ্ট করেন না। আমরা আপনাকে আপনার প্রাপ্য সম্মান এবং হক্ব হতে বঞ্চিত করলেও আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনাকে যথোপযুক্ত মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। আমরা আপনার কাজকে ভুলে গেলেও তিনি নিশ্চয়ই ভুলেন নি ইনশাআল্লাহ। কারণ আমাদের রব তো কিছুই ভুলেন না।
জানি না, যদি আপনি দেখতেন যে আপনার রাতজাগা পরিশ্রমের ফল, হেজায রেলওয়েকে আপনার স্বজাতিই ধ্বংস করে দিয়েছে তখন আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হতো। হয়তো তখন আপনার হাতের লাঠিটি মাটিতে পরে গিয়ে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলতো; হয়তো আপনি স্বজাতির এই বিশ্বাসঘাতকা সামলাতে না পেরে নিজ দেহের সব ভার ফেলে দিতেন সিংহাসনের উপর; হয়তো তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন অবাক হয়ে; হয়তো মাটির দিকে তাকিয়ে নিজের ভুলটা খোজার চেষ্টা করতেন।
হে সুলতান আব্দুল হামিদ সানী (রাহিঃ), শত্রুরা আপনার পথে কাটা বিছিয়ে রেখেছিলো, কিন্তু আপনি সেই কাটাগুলো উপেক্ষা করে রক্তাক্ত পা নিয়ে এগিয়ে চলেছিলেন নিজ জাতির উন্নতির লক্ষে। শত্রুর শত প্রলোভন আপনাকে টলাতে পারেনি, তাদের শত ষড়যন্ত্র আপনাকে ভাঙতে পারে নি, আপনজনদের একের পর এক বিশ্বাসঘাতকায় আপনার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেলেও আপনার চেহারায় তার লেশমাত্র ফুটে উঠতো না।
হে সুলতানুল আযীম, হে উম্মাহর পিতা, একজন গরীব পিতার সারাদিনের সব ক্লান্তির অবসান যেমন রাতে বাড়ি ফিরে তার সন্তানদের হাসিমুখের "বাবা বাবা" ডাক আর কোমল আলিঙ্গনের মাধ্যমে ঘটে; আপনার সারাদিনের সব ক্লান্তিও তেমনই এই উম্মতের শান্ত-ঘুমন্ত মুখ দেখার মাধ্যমেই উধাও হয়ে যেত।
হে মহিমান্বিত সুলতান, হে পিতা, যদি একটিবার আপনাকে জড়িয়ে ধরতে পারতাম; যদি একটিবার আপনার হাতে চুমু দিতে পারতাম; যদি আপনার দরবারে শুধু একটিমাত্র সালাম পাঠানোর সুযোগ থাকতো; যদি আপনার কাজের বোঝার একটুখানি অংশ নিজের পিঠে তুলে বলতে পারতাম যে, "সুলতান, একটু বিশ্রাম করে নিন"; তবে বিশ্বাস করুন, নিজের সবটুকু দিয়ে তা করার চেষ্টা করতাম।
হে সুলতানে মুয়াযযাম, আপনি চিরবিজয়ী। শয়তানের দল আপনাকে হারাতে পারে নি; ক্রুসেডার বাহিনী আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারেনি; বরং তারা তাদের প্রতিটা আঘাত, প্রতিটা ষড়যন্ত্র আর প্রতিটা মিথ্যাচারের মাধ্যমে আপনার মর্যাদাকেই বুলন্দ করেছে।
হে সুলতান, আপনি আপনার শত্রুদের প্রতিটি ষড়যন্ত্রের যথোপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। যখন তারা আপনার বাগদাদ রেলওয়ের পরিকল্পনা নস্যাৎ করলো, তখন আপনি হেজায রেলওয়ে দ্বারা তাদের মুখে চপেটাঘাত করলেন।
হে সুলতান, আপনার মর্তবা হলো সেই মুজাহিদদের মধ্যে যারা হাতে ইট-পাথর নিয়ে শত্রুর ট্যাংকগুলোর সামনে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে যায়।
হে সুলতান, শুধু কয়েক ফোটা কালির মাধ্যমে আপনার প্রশংসা লিপিবদ্ধ করলে তা শুধু আপনার সম্মানহানি বলেই বিবেচিত হবে।
হে সুলতান, আপনি মুজাহিদদের আদর্শ।
হে খলিফাতুল মুসলিমিন, এই উম্মত আজ আপনার জন্য কাঁদে।
হে খাদেমুল হারামাঈন, আল কুদসের সেই শীতল বাতাস আপনার কবরেই শুভেচ্ছা পাঠায়।
হে আমীরুল মু'মিনিন, মাটিতে গড়িয়ে পড়া মজলুমের প্রতি ফোটা রক্ত আপনার হৃদয়ের রুধিরধারারই অংশ।
হে উস্তাদ, হে সম্মানিত শিক্ষক, আপনি মুজাহিদদের শিখিয়েছেন শত্রুর সামনে মাথা নত না করে এগিয়ে যাওয়ার নীতি; আপনি মুজাহিদদেরকে শিখিয়েছেন কীভাবে শত্রুকে তাদের ভাষাতেই জবাব দিতে হয়, আপনি এই উম্মতকে শিখিয়েছেন এই দুনিয়া খেলাফতছাড়া ইয়াতিম।
হে পিতা, আপনি অনেক কষ্ট সয়েছেন, অনেক জুলুম সয়েছেন; আর তখন আমরা এসব দেখেও না দেখার ভান করেছি। যখন ইউরোপে আপনাকে "রেড সুলতান" বলা হলো তখন আমরা তাদের মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করে আপনাকে নির্বাসনে পাঠালাম। আপনি তো আমাদেরকে শিক্ষার জন্য ইউরোপে পাঠালেন, কিন্তু আমরা বেয়াদবি ছাড়া আর কিছুই শিখিনি। আমরা বোকা ছিলাম, জাহেল ছিলাম, ইউরোপীয় কালো বিলাসিতার নেশায় মত্ত ছিলাম। নিজেদের নিরাপদ শরীয়াহকে অস্বীকার করেছিলাম। এরজন্য এই উম্মত আজ লজ্জিত। আজ আমরা কাদছি, ক্ষমা চাইছি হে পিতা, আমাদের ক্ষমা করুন। নিজেদের এই উদাসীনতার জন্যে আমাদের ক্ষমা করুন। ক্ষমা করুন আমাদের বোকামির জন্য, জাহালতের জন্য।
হে পিতা, আপনি তো সেই রহমানেরই বান্দা, সেই দয়ালু নবীরই উম্মত, আপনি ক্ষমা করুন। আপনার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পরা প্রতি ফোটা চোখের পানির মূল্য এই উম্মত বিগত ১০০ বছর যাবৎ নিজের জোয়ানদের তাজা রক্তের বিনিময়ে পরিশোধ করছে আর করেই যাচ্ছে।
জানি, আমার এই কথাগুলোতে আপনার হৃদয়পীড়ার উপশম হবে না। কারণ আপনার কষ্ট তো সন্তান হারানোর কষ্ট, আপনার কষ্ট তো নিজের বন্ধুর ছুড়িকাঘাতের কষ্ট, আপনার কষ্ট তো নিজ সন্তানের বিদ্রুপের শিকার হওয়ার কষ্ট; এই কষ্ট কী আর আমি বুঝবো?
হে পিতা, আপনি তো নিজ জীবনটাই ওয়াক্ফ করে দিয়েছিলেন এই উম্মতের কষ্টমোচনের জন্য। আপনার কষ্ট আমরা না বুঝলেও আপনি তো এই উম্মতের কষ্ট সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত। তাই ক্ষমা করুন সুলতান। আপনার চোখের পানির কাফফারা দিতে দিতে এই উম্মত আজ ক্লান্ত, আপনার রক্তের কাফফারা দিতে দিতে এই উম্মত আজ সর্বস্বান্ত, আপনার নির্ঘুম রাতগুলোর হিসাব দিতে দিতে এই উম্মত আজ মৃতপ্রায়।
তাই পিতা, ক্ষমা করুন।
জানি না, যদি আপনি দেখতেন যে আপনার রাতজাগা পরিশ্রমের ফল, হেজায রেলওয়েকে আপনার স্বজাতিই ধ্বংস করে দিয়েছে তখন আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হতো। হয়তো তখন আপনার হাতের লাঠিটি মাটিতে পরে গিয়ে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলতো; হয়তো আপনি স্বজাতির এই বিশ্বাসঘাতকা সামলাতে না পেরে নিজ দেহের সব ভার ফেলে দিতেন সিংহাসনের উপর; হয়তো তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন অবাক হয়ে; হয়তো মাটির দিকে তাকিয়ে নিজের ভুলটা খোজার চেষ্টা করতেন।
হে সুলতান আব্দুল হামিদ সানী (রাহিঃ), শত্রুরা আপনার পথে কাটা বিছিয়ে রেখেছিলো, কিন্তু আপনি সেই কাটাগুলো উপেক্ষা করে রক্তাক্ত পা নিয়ে এগিয়ে চলেছিলেন নিজ জাতির উন্নতির লক্ষে। শত্রুর শত প্রলোভন আপনাকে টলাতে পারেনি, তাদের শত ষড়যন্ত্র আপনাকে ভাঙতে পারে নি, আপনজনদের একের পর এক বিশ্বাসঘাতকায় আপনার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেলেও আপনার চেহারায় তার লেশমাত্র ফুটে উঠতো না।
হে সুলতানুল আযীম, হে উম্মাহর পিতা, একজন গরীব পিতার সারাদিনের সব ক্লান্তির অবসান যেমন রাতে বাড়ি ফিরে তার সন্তানদের হাসিমুখের "বাবা বাবা" ডাক আর কোমল আলিঙ্গনের মাধ্যমে ঘটে; আপনার সারাদিনের সব ক্লান্তিও তেমনই এই উম্মতের শান্ত-ঘুমন্ত মুখ দেখার মাধ্যমেই উধাও হয়ে যেত।
হে মহিমান্বিত সুলতান, হে পিতা, যদি একটিবার আপনাকে জড়িয়ে ধরতে পারতাম; যদি একটিবার আপনার হাতে চুমু দিতে পারতাম; যদি আপনার দরবারে শুধু একটিমাত্র সালাম পাঠানোর সুযোগ থাকতো; যদি আপনার কাজের বোঝার একটুখানি অংশ নিজের পিঠে তুলে বলতে পারতাম যে, "সুলতান, একটু বিশ্রাম করে নিন"; তবে বিশ্বাস করুন, নিজের সবটুকু দিয়ে তা করার চেষ্টা করতাম।
হে সুলতানে মুয়াযযাম, আপনি চিরবিজয়ী। শয়তানের দল আপনাকে হারাতে পারে নি; ক্রুসেডার বাহিনী আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারেনি; বরং তারা তাদের প্রতিটা আঘাত, প্রতিটা ষড়যন্ত্র আর প্রতিটা মিথ্যাচারের মাধ্যমে আপনার মর্যাদাকেই বুলন্দ করেছে।
হে সুলতান, আপনি আপনার শত্রুদের প্রতিটি ষড়যন্ত্রের যথোপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। যখন তারা আপনার বাগদাদ রেলওয়ের পরিকল্পনা নস্যাৎ করলো, তখন আপনি হেজায রেলওয়ে দ্বারা তাদের মুখে চপেটাঘাত করলেন।
হে সুলতান, আপনার মর্তবা হলো সেই মুজাহিদদের মধ্যে যারা হাতে ইট-পাথর নিয়ে শত্রুর ট্যাংকগুলোর সামনে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে যায়।
হে সুলতান, শুধু কয়েক ফোটা কালির মাধ্যমে আপনার প্রশংসা লিপিবদ্ধ করলে তা শুধু আপনার সম্মানহানি বলেই বিবেচিত হবে।
হে সুলতান, আপনি মুজাহিদদের আদর্শ।
হে খলিফাতুল মুসলিমিন, এই উম্মত আজ আপনার জন্য কাঁদে।
হে খাদেমুল হারামাঈন, আল কুদসের সেই শীতল বাতাস আপনার কবরেই শুভেচ্ছা পাঠায়।
হে আমীরুল মু'মিনিন, মাটিতে গড়িয়ে পড়া মজলুমের প্রতি ফোটা রক্ত আপনার হৃদয়ের রুধিরধারারই অংশ।
হে উস্তাদ, হে সম্মানিত শিক্ষক, আপনি মুজাহিদদের শিখিয়েছেন শত্রুর সামনে মাথা নত না করে এগিয়ে যাওয়ার নীতি; আপনি মুজাহিদদেরকে শিখিয়েছেন কীভাবে শত্রুকে তাদের ভাষাতেই জবাব দিতে হয়, আপনি এই উম্মতকে শিখিয়েছেন এই দুনিয়া খেলাফতছাড়া ইয়াতিম।
হে পিতা, আপনি অনেক কষ্ট সয়েছেন, অনেক জুলুম সয়েছেন; আর তখন আমরা এসব দেখেও না দেখার ভান করেছি। যখন ইউরোপে আপনাকে "রেড সুলতান" বলা হলো তখন আমরা তাদের মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করে আপনাকে নির্বাসনে পাঠালাম। আপনি তো আমাদেরকে শিক্ষার জন্য ইউরোপে পাঠালেন, কিন্তু আমরা বেয়াদবি ছাড়া আর কিছুই শিখিনি। আমরা বোকা ছিলাম, জাহেল ছিলাম, ইউরোপীয় কালো বিলাসিতার নেশায় মত্ত ছিলাম। নিজেদের নিরাপদ শরীয়াহকে অস্বীকার করেছিলাম। এরজন্য এই উম্মত আজ লজ্জিত। আজ আমরা কাদছি, ক্ষমা চাইছি হে পিতা, আমাদের ক্ষমা করুন। নিজেদের এই উদাসীনতার জন্যে আমাদের ক্ষমা করুন। ক্ষমা করুন আমাদের বোকামির জন্য, জাহালতের জন্য।
হে পিতা, আপনি তো সেই রহমানেরই বান্দা, সেই দয়ালু নবীরই উম্মত, আপনি ক্ষমা করুন। আপনার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পরা প্রতি ফোটা চোখের পানির মূল্য এই উম্মত বিগত ১০০ বছর যাবৎ নিজের জোয়ানদের তাজা রক্তের বিনিময়ে পরিশোধ করছে আর করেই যাচ্ছে।
জানি, আমার এই কথাগুলোতে আপনার হৃদয়পীড়ার উপশম হবে না। কারণ আপনার কষ্ট তো সন্তান হারানোর কষ্ট, আপনার কষ্ট তো নিজের বন্ধুর ছুড়িকাঘাতের কষ্ট, আপনার কষ্ট তো নিজ সন্তানের বিদ্রুপের শিকার হওয়ার কষ্ট; এই কষ্ট কী আর আমি বুঝবো?
হে পিতা, আপনি তো নিজ জীবনটাই ওয়াক্ফ করে দিয়েছিলেন এই উম্মতের কষ্টমোচনের জন্য। আপনার কষ্ট আমরা না বুঝলেও আপনি তো এই উম্মতের কষ্ট সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত। তাই ক্ষমা করুন সুলতান। আপনার চোখের পানির কাফফারা দিতে দিতে এই উম্মত আজ ক্লান্ত, আপনার রক্তের কাফফারা দিতে দিতে এই উম্মত আজ সর্বস্বান্ত, আপনার নির্ঘুম রাতগুলোর হিসাব দিতে দিতে এই উম্মত আজ মৃতপ্রায়।
তাই পিতা, ক্ষমা করুন।