সমকামিতা বিষয়ে আজকাল সমাজে দুই ধরণের অবস্থান দেখা যায়। একজন বলে, "সমকামিতা একটি রোগ, এটি বিকৃতির ফল," এবং সে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে। অপরপক্ষে আরেকজন বলে, "না, সমকামিতা মানুষের স্বাভাবিক ফিতরাতেরই অংশ। মানুষ যেমন জন্মায়, তেমনি কিছু মানুষ এই প্রবণতা নিয়েই জন্মায়। তাই এতে তাদের কোনো দোষ নেই।"
এই দুই পক্ষের মধ্যে তৃতীয় এক ব্যক্তি পড়ে যায় দোটানায়—কে ঠিক? কার কথা গ্রহণযোগ্য? কোন যুক্তি বেশি জোরালো?
কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ ইসলাম শুধু যুক্তি নির্ভর কোনো জীবনব্যবস্থা নয়; এটি সর্বপ্রথমে এক সুম্পূর্ণ আনুগত্যভিত্তিক দ্বীন। এখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার আদেশই চূড়ান্ত, যুক্তি তার অনুগামী নয়।
আল্লাহর আদেশ-নিষেধের পেছনে সবসময় যুক্তি খোঁজার চেষ্টাই ভুল দৃষ্টিভঙ্গি। উদাহরণস্বরূপ, হজের সময় এহরাম অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা হারাম, অথচ এহরাম খুললে তা হালাল হয়ে যায়। এই কটি সাদা কাপড় গায়ে জড়ানো কি এমন কী বদল এনে দিল যে এক হালাল আচরণ হঠাৎ হারামে পরিণত হলো? যুক্তি দিয়ে কীভাবে এটি ব্যাখ্যা করবেন?
আবার বিবাহিত স্ত্রী স্বাভাবিক অবস্থায় স্বামীর জন্য হালাল, কিন্তু হায়েজ অবস্থায় তিনি হারাম হয়ে যান—এটিও আল্লাহর নিষেধ। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে (স্ত্রীর) পশ্চাৎ দিক গ্রহণ করাও হারাম—যদিও স্ত্রী হালাল, তবুও এভাবে নয়। এসব বিধান কোনো যৌক্তিক কাঠামোতে পুরে ব্যাখ্যা করা মানুষের সাধ্যের বাইরে।
তাই বিষয়টি এই নয় যে সমকামিতা একটি "রোগ" না "ফিতরাতের অংশ"—এ নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন। বরং মূল কথা হলো, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এটিকে হারাম করেছেন, এবং এটিই চূড়ান্ত কথা। হারাম বা হালাল নির্ধারণে যুক্তি নয়, আল্লাহর আদেশই মাপকাঠি।
আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তা'আলা বলেন:
অর্থ: ... নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যা ইচ্ছে আদেশ করেন। (সূরা মায়েদা; ৫:০১)
যারা আল্লাহর আদেশ-নিষেধকে যুক্তির চশমা পরে বিচার করতে চায়, তারা মূলত নিজেদের আকলকে ও বিচারক্ষমতাকে আল্লাহর (আদেশ-নিষেধের) ওপর স্থান দিতে চায়। এটি ঈমানের পথ নয়, বরং বিভ্রান্তির পথ। আমাদের কর্তব্য—আল্লাহর আদেশের সামনে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম বলা, কারণ "সামিআনা ওয়া আতাআনা" (আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম)—এটাই মুসলিমের পরিচয়।
এই দুই পক্ষের মধ্যে তৃতীয় এক ব্যক্তি পড়ে যায় দোটানায়—কে ঠিক? কার কথা গ্রহণযোগ্য? কোন যুক্তি বেশি জোরালো?
কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ ইসলাম শুধু যুক্তি নির্ভর কোনো জীবনব্যবস্থা নয়; এটি সর্বপ্রথমে এক সুম্পূর্ণ আনুগত্যভিত্তিক দ্বীন। এখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার আদেশই চূড়ান্ত, যুক্তি তার অনুগামী নয়।
আল্লাহর আদেশ-নিষেধের পেছনে সবসময় যুক্তি খোঁজার চেষ্টাই ভুল দৃষ্টিভঙ্গি। উদাহরণস্বরূপ, হজের সময় এহরাম অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা হারাম, অথচ এহরাম খুললে তা হালাল হয়ে যায়। এই কটি সাদা কাপড় গায়ে জড়ানো কি এমন কী বদল এনে দিল যে এক হালাল আচরণ হঠাৎ হারামে পরিণত হলো? যুক্তি দিয়ে কীভাবে এটি ব্যাখ্যা করবেন?
আবার বিবাহিত স্ত্রী স্বাভাবিক অবস্থায় স্বামীর জন্য হালাল, কিন্তু হায়েজ অবস্থায় তিনি হারাম হয়ে যান—এটিও আল্লাহর নিষেধ। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে (স্ত্রীর) পশ্চাৎ দিক গ্রহণ করাও হারাম—যদিও স্ত্রী হালাল, তবুও এভাবে নয়। এসব বিধান কোনো যৌক্তিক কাঠামোতে পুরে ব্যাখ্যা করা মানুষের সাধ্যের বাইরে।
তাই বিষয়টি এই নয় যে সমকামিতা একটি "রোগ" না "ফিতরাতের অংশ"—এ নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন। বরং মূল কথা হলো, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এটিকে হারাম করেছেন, এবং এটিই চূড়ান্ত কথা। হারাম বা হালাল নির্ধারণে যুক্তি নয়, আল্লাহর আদেশই মাপকাঠি।
আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তা'আলা বলেন:
.اِنَّ اللّٰهَ یَحۡكُمُ مَا یُرِیۡد
অর্থ: ... নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যা ইচ্ছে আদেশ করেন। (সূরা মায়েদা; ৫:০১)
যারা আল্লাহর আদেশ-নিষেধকে যুক্তির চশমা পরে বিচার করতে চায়, তারা মূলত নিজেদের আকলকে ও বিচারক্ষমতাকে আল্লাহর (আদেশ-নিষেধের) ওপর স্থান দিতে চায়। এটি ঈমানের পথ নয়, বরং বিভ্রান্তির পথ। আমাদের কর্তব্য—আল্লাহর আদেশের সামনে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম বলা, কারণ "সামিআনা ওয়া আতাআনা" (আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম)—এটাই মুসলিমের পরিচয়।