Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিলিস্তিনের প্রতি-১ -শাইখ আইমান আজ্জাওহিরি হাফিজাহুল্লাহ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিলিস্তিনের প্রতি-১ -শাইখ আইমান আজ্জাওহিরি হাফিজাহুল্লাহ

    আল্লাহর নিকট এও প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার প্রিয় ভাই আবু কাসসাম আল উদুনী এবং তার সাথীর প্রতি রহম করেন। আবু কাসসাম এক স্বতন্ত্র জীবন ইতিহাস গড়েছেন। পরিপূর্ণভাবে জিহাদ,হিজরত, বন্দীত্ব,নিঃস্বার্থতার মাধ্যমে তিনি একজন মুহাজির, একজন মুজাহিদ। যেন কখনো আল্লাহর রাস্তায় ত্যাগ ও কুরবানীতে পিছু হটেননি। তিনি জিহাদের ধাপগুলোতে পর্যায়ক্রমে উন্নীত হচ্ছিলেন। যতক্ষণ না আল্লাহ তার রাস্তায় তাকে শহীদি সম্মানে সম্মানিত করেন। আমি আল্লাহর কাছে তার জন্য আমাদের জন্য এবং সকল মুসলিমদের জন্য কবুলিয়াতের দোয়া করি। আমি আল্লাহর নিকট আমাদের ভাই শাইখ আবু মুহাম্মদ আয সুদানির শাহাদাত কবুল করার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ বিচারের দিনে পূর্ব আফ্রিকা ও সিরিয়ায় তার জিহাদ এবং তার হিজরতকে সৎ কাজের সাথে ওজন করুন। আল্লাহ তার অপরিসীম রহমতের ছায়াতলে আমাদের তার সাথে ও সকল শহীদদের সাথে পুনরায় একত্রিত করেন। আমিন।
    শুরুতেই আমি মুসলিম উম্মাহকে অভিনন্দন জানাতে চাই "জেরুজালেম ইহুদিবাদ হবার নয়" ক্যাম্পেইনের সফল ধারাবাহিকতার জন্য। আল্লাহ জিহাদের সাহসী বীরদের বিরাট সম্মানে ভূষিত করুন পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকার বীরত্বপূর্ণ সম্মুখ সারির।এই কারণে যে তারা এই বরকতময় অপারেশন গুলোর অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আল্লাহর সাহায্যে এসকল সিরিজ অপারেশনগুলো ইসরাইলের ঘৃণ্য গোলামদের চক্রান্তে সর্বাধিক শত্রুভাবাপন্ন প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। সকল প্রশংসা আল্লাহর তাআলার, যিনি সকল জগতের প্রতিপালক। আর দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সত্যপন্থীদের ইমাম মুজাহিদীনদের নেতার উপর,তাঁর পরিবারবর্গের উপর, তাঁর সাহাবীদের উপর, যারা ধর্মকে ছড়িয়ে দিয়েছেন অগ্রগামী সত্যপন্থীদের উপর এবং তাদের ওপর যারা ধর্মের জন্য সকল যুগে যুদ্ধ করেছেন, কঠোর সাধনা সেনাবাহিনী পূর্ণ করেছেন এবং সংগ্রাম করেছেন। আমার ভাইয়েরা আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন। যখন আপনারা শত্রুর দুর্গের আক্রমণের জন্য বের হন। তখন আপনাদের শুভ বিদায় জানানো আমার জন্য খুবই আনন্দদায়ক আল্লাহকে ধন্যবাদ, তিনি আমাদেরকে তার যেসব রহমতের অনুগ্রহ দিয়েছেন সেজন্য। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ হচ্ছে ইসলাম। ইসলামের অনুগ্রহের পর তিনি আমাদের জন্য সৌভাগ্য মঞ্জুর করেছেন তার রাস্তায় জিহাদের কাজ পূর্ণ করার মাধ্যমে। অনেকেই ইসলামি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে এবং জিহাদের অধ্যায়গুলো ধারাবাহিকভাবে অধ্যায়ন করে (ইসলামী আইনের বই গুলোতে) কিন্তু তারা জিহাদের কাফেলায় শরিক হতে, সফল হন না। সুতরাং জিহাদের জন্য পরিচালিত হওয়া আল্লাহ প্রদত্ত এক বিশাল অনুগ্রহ। এটি একটি অনুগ্রহ যা তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে প্রদান করেন। তার এই অমূল্য অনুগ্রহের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া আমাদের কর্তব্য। তার অনুগ্রহও গণনার বাহিরে, আর আমাদের জীবন ও অস্তিত্ব কেবলমাত্র তাঁর অনুগ্রহের কারণেই বিদ্যমান। হে মুসলিম এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিন। জেরুজালেমের প্রতিশোধ নিন ইহুদিবাদী দখলদারদের থেকে এবং তাদের থেকেও যারা তাদের জন্য শীর্ষ অবস্থান তৈরি করেছে এবং তাদেরকে সমর্থন দেয়। পূর্ব-পশ্চিম আফ্রিকার ইসলামে অগ্রগামী আমার ভাইদেরকে আমি অভিনন্দন জানানোর সুযোগ নেব।যেটি তাদের প্রতি আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত শ্রেষ্ঠতম বিজয় সমূহের মধ্যে অন্যতম, ইসলামের দিকে দাওয়াতের ক্ষেত্রে জয়ী হওয়া। মুজাহিদীনদের লক্ষ্য, প্রকৃতপক্ষে তারা মুসলিমদের লক্ষ্য যে, মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আনা।আল্লাহর নির্দেশে প্রদর্শিত পথে আলোর দিকে। হে নবী(সাঃ)! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে একজন সাক্ষী সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি এবং মানুষকে আল্লাহর দিকে তার নির্দেশ আহবানকারী ও আলোকোজ্জ্বল বাতি হিসেবে প্রেরণ করেছি। ইটালিয়ান ও ফ্রেন্স বোনদেরকে ইসলামের দিকে পথ নির্দেশের মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে সম্মানিত করেছেন। আল্লাহ তাদেরকে প্রতিদান দিন। মানুষকে দাওয়াত দেয়ায়, তাদের অনুগ্রহের জন্য। শুরুর দিকে, আল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের ভাইদের হাতে আমেরিকান নাগরিক ওয়ারেন উইনস্টেয়ার এবং ইটালিয়ান নাগরী লো পোর্তো কে আল্লাহ ইসলামের দিকে পরিচালিত করেছেন, উভয়েই ধর্মান্তরিত হয়েছেন। যখন তারা জেলে ছিলেন আর তারা নিহত হয়েছেন। তাদের অবস্থানের পরিচালিত বিমান হামলায় ।পরবর্তীতে ওবামা ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে এই বলে যে, যা ঘটেছে সে জন্য সে দুঃখিত। কারণ সে জানতো না যে,তারা লক্ষস্থিত জায়গায় অবস্থান করছিলেন। কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনি ইস্যু, মুসলিমদের কেন্দ্রীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।এটা এই কারণে যে ফিলিস্তিনের জায়গাটি সকল মুসলিমের হৃদয় অধিকার করে। এটি নবীদের ভূমি ঐশী বাণী ঘর, প্রথম কেবলা তৃতীয় হারাম এবং আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মেরাজের গন্তব্য, দুর্ভাগ্যক্রমে এই বরকতময় ভূমির পবিত্রতা সত্বেও এটি বানর শুকরদের হাতে শতাব্দীকাল যাবত অধিকৃত হয়ে আছে। ফিলিস্তিনি দখলের দিন থেকে আজ পর্যন্ত ইহুদীরা পুরো বিশ্বের সামনে সুস্পষ্ট ভাবে সবচেয়ে ঘৃণ্য পদ্ধতিতে ফিলিস্তিনিদের অধিকার হরণ করে আসছে। গোড়া থেকে বিশ্বাসঘাতকদের দল, ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য জিহাদের ডাক দেওয়া আন্দোলনগুলো দমন করার চেষ্টা করে আসছে। ধীরে ধীরে ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী এবং বামপন্থী আন্দোলন গুলো জেগে ওঠে ফিলিস্তিন স্বাধীনের জন্য শয়তানের মিত্রদের সাথে জোট করে স্লোগান এবং বিশ্বাসের পরিকল্পনায় আচ্ছন্নের শিকড় গাঁড়ে। অবশ্যই ফিলিস্তিন তাদের দ্বারা কখনো স্বাধীন হয়নি।
    ফিলিস্তিনি ইস্যু একটি খেলায় পরিণত হয়েছে যখন এটি হীন অপরাধীদের স্বার্থের সাথে গিয়েছে তখন শান্তির টেবিলে একটি বল ছোড়া হয়েছে। আমার মুসলিম ভাইও মুজাহিদীন দালালদের একটি পূর্ণ প্রজন্ম ফিলিস্তিন নিয়ে দরকষাকষি করেছে,শরীফ হোসেন যখন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তখন তিনি বেলফোর ঘোষনাপত্রের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনীকে ওসমানিদের কাছ থেকে নিয়ে ইহুদীদের কাছে স্থানান্তরের চুক্তি করেন। যখন সাকস- পিকট শক্তির রহস্য মোচন করা হয়েছিল এবং বিচারের ঘোষনা পত্র এলো এখন শরীফ হোসাইন হতবাক হয়ে গিয়েছিল। ব্রিটিশ সরকার তাকে শান্ত করার জন্য ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার কায়দো ডেস্ক থেকে দুত কমান্ডার হোগার্ড কে তার কাছে পাঠান তিনি শরীফ হোসেন এর সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেন এবং বৈঠকে যা ঘটেছে সে সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখেন।সাইকম পিকট বিষয়ে হোগার্ড উল্লেখ করেন যে শরীফ হোসাইন তাকে আশ্বস্ত করেছেন যুদ্ধের সম্ভব্যতার কারণেই মূল পরিকল্পনায় মধ্যম পরিবর্তন গুলো তিনি মেনে নিবেন।বেলফোর ঘোষনা পত্র অনুসারে হোগার্ড উল্লেখ করেন যে, শরীফ হোসাইনের সাড়া এই ঘোষণার বিষয়ের প্রতি তার সম্মতির ইঙ্গিত দেয়। তিনি আরো যোগ করেন শরীফ হোসেন এই প্রস্তাবের সাথে সোৎসাহে সম্মত হয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি সারা আরব বিশ্বে এদিকে স্বাগত জানাবেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি তার সরকারি কর্মকর্তাদের (ঘোষনা পত্রে) আরব প্রতিক্রিয়া শান্ত করার জন্য ব্রিটিশদের প্রতি তার আনুগত্য প্রদর্শন করেছেন। পরের মাসগুলোতে শরীফ হোসাইন তার আন্তরিকতার মূল প্রমাণ পেশ করেন। তিনি মিশরের উচ্চপদস্থ অনুসারীদের কাছে এবং বিপ্লবী শক্তি প্রভাবশালী অনুসারীদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন যে, তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছেন যে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না।তিনি তাদেরকে উৎসাহিত করেছেন "গ্রেট ব্রিটেনের"প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রাখার জন্য তিনি তার অনুসারীদের পদমর্যাদা ও ফাইলের মাধ্যমে বেলপুর ঘোষনা পত্রের মাধ্যমে উদ্বুত আশংকা দূর করার জন্য তার সন্তানদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে নির্দেশ দেন। তিনি একই ধরনের নির্দেশনা দিয়ে আল-আকাবায় ফয়সালের কাছে একজন দুত পাঠান তিনি ফিলিস্তিনের আরবদের তাদের পবিত্র বই এবং ঐতিহ্যের ধারা নির্ধারিত আতিহোয়তা এবং মহানুভবতার দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সরকারি পত্রিকায় একটি নিবন্ধন প্রকাশের পরামর্শ দেন। তিনি এদেরকে ভাই হিসেবে গ্রহণ করা ও তাঁদের সাধারণ স্বার্থ রক্ষায় সহযোগিতার জন্য তাদের উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন। তার ছেলে ফয়সাল বিন হোসাইন এর জন্য ১৯১৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্রতিবাদী সংস্থার প্রতিনিধি হাইম ওয়াইজম্যানের সাথে "ফয়সাল ওয়াইজম্যান চুক্তি "নামে একটি বিশ্বাসঘাতকতার চুক্তি সম্পাদন করেন। (১) আরব রাষ্ট্র এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সকল সম্পর্ক এবং পারস্পরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য অবশ্যই বিশ্বাস এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া চেতনায় ধারণ করতে হবে।(২) শান্তি সম্মেলনে পারস্পরিক পরামর্শের পর আরব রাষ্ট্র এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে চূড়ান্ত সীমানা স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে। (৩) ফিলিস্তিনি বিষয়ক প্রশাসনের জন্য সংবিধান সংশোধনের সময় ১৯১৭ সালের ২ রা নভেম্বর ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য প্রকৃত গ্যারান্টি প্রদানের লক্ষ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
    (৪)-ফিলিস্তিনে ইহুদিদের অভিবাসনকে উৎসাহিত করতে ব্যাপক আকারে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিস্তৃত বন্দোবস্ত এবং জমির নিবিড় কৃষি ব্যবহারের একটি কর্মসূচী এই ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে।
    9-দুই বিরোধী পক্ষের মধ্যে যে কোন বিরোধ অবশ্যই বিচারের জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে পাঠাতে হবে।

    শায়খ আয়মান আল জাওয়াহিরি (আল্লাহ তাকে রক্ষা করুন):
    এই চুক্তির বিষয়বস্তুর উপর একটি সংক্ষিপ্ত দৃষ্টিপাত নিম্নলিখিতগুলি প্রকাশ করে: - ফয়সাল ইহুদি রাষ্ট্রকে আরব রাষ্ট্রের সমান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। প্রকৃতপক্ষে, তিনি দুই পক্ষের মধ্যে স্পষ্টভাবে বৈধ সীমানার অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। অতএব, আনোয়ার সাদাত আরব এবং ইহুদিদের মধ্যে শান্তি চুক্তি করার প্রথম ব্যক্তি নন। -এ চুক্তিতে ফিলিস্তিনে ব্যাপক ইহুদি অভিবাসনের উৎসাহের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। এতে বেলফোর ঘোষণার সুস্পষ্ট গ্রহণযোগ্যতাও ছিল। সহজ কথায়, ফিলিস্তিন সম্পূর্ণ বিক্রির বিনিময়ে ফয়সাল তার সিংহাসন ব্রিটিশদের কাছ থেকে কিনতে চেয়েছিলেন।

    ড্যানিয়েল, গবেষক:
    দামেস্কে রাজত্ব প্রতিষ্ঠার ফয়সালের আশা নিছক মরীচিকা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। ব্রিটিশরা ফরাসিদের সিরিয়ার ওপর ম্যান্ডেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর তাই তারা ফয়সালকে ইরাকে পাঠিয়েছে এবং তাকে শুধুমাত্র নামে রাজা বানিয়েছে।

    শায়খ আয়মান আল জাওয়াহিরি (আল্লাহ রক্ষা করুনতাকে):
    অন্য কথায়, তিনি একটি আরব রাজ্য তৈরির জন্য শয়তানের সাথে একটি চুক্তি করেছিলেন। এবং এইভাবে তিনি যথাযথ শাস্তি প্রাপ্য তাদের জন্য যারা শয়তানের সঙ্গী হয় দুনিয়ার জন্য, যা দুনিয়া ও আখেরাত উভয়েরই ক্ষতি। "শয়তানের মত, যখন সে মানুষকে বলল: কুফরী করো। যখন সে কুফরী করল, তখন সে বলল, আমি তোমার থেকে নিজেকে মুক্ত করে দিয়েছি; নিশ্চয় আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।

    --------------
    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন অটোমান রাষ্ট্রের পতন ঘটে, তখন আতাতুর্কের সেকুলার ব্যবস্থা তার স্থান নেয়। এই পর্যায়ে, মুখোশ খুলে যায়, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তুরস্কে ইহুদিদের জন্য একটি দূতাবাস খোলা হয় এবং নিরাপত্তা এবং সামরিক চুক্তির একটি ধারা সূচিত হয়। যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয় এবং ব্যাপক বাণিজ্য সম্পর্কও প্রতিষ্ঠিত হয়। আতাতুর্ক রাজ্য ন্যাটোর সদস্য হয় এবং পরবর্তীতে ইরাক, আফগানিস্তান এবং সোমালিয়ায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে অংশগ্রহণ করে। আজ অবধি, তুরস্কের সরকার একই নীতি অনুসরণ করছে।

    --------------
    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাইকস-পিকট চুক্তির ভিত্তিতে প্রাক্তন অটোমান রাজ্যের অঞ্চল ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আব্দুল আজিজ আল সৌদ ব্রিটিশ এবং ফরাসিদের মধ্যে সিরিয়া, ইরাক এবং ফিলিস্তিনের বিভাজনকে স্বাগত জানিয়েছেন, বাহরাইনে ব্রিটিশ দূতকে লেখা তার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

    কথক:
    আবদুল আজিজ আল সৌদ ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে সিরিয়া, ইরাক ও ফিলিস্তিনের বিভাজনকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাহরাইনে ব্রিটিশ দূতকে লেখা চিঠিতে তিনি এ কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি লিখেছেন, “এটা জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই দেশগুলি গ্রেট ব্রিটেন এবং তার মিত্র ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আমি একথা বলছি কারণ আমি জানি যে এই দেশে শান্তি ও নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়ার এটাই একমাত্র উপায়।

    শায়খ আয়মান আল জাওয়াহিরি (আল্লাহ তাকে রক্ষা করুন):
    তারপর ১৯৪৮ সালের বিপর্যয় ঘটে। যুদ্ধের পর, ১৯৪৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি টানা হয়, যার প্রস্তাবনায় ঘোষণা করা হয়েছিল যে এটি স্বাক্ষরকারী পক্ষগুলির মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি। পরে, লাউসানের সভা সমাপ্ত হয়, যা জাতিসংঘের প্রতিনিধি দ্বারা প্রণীত প্রোটোকলের পূর্বে ছিল যা ১৯৪৭ সালে সীমানা নির্ধারণের একটি স্পষ্ট স্বীকৃতির আহ্বান জানায়।


    কথক:
    প্রটোকলের টেক্সটে এটি উল্লেখ করা হয়েছে: "জাতিসংঘ কর্তৃক গঠিত ফিলিস্তিনি পুনর্মিলন কমিটি শরণার্থীদের অধিকার এবং সুরক্ষার বিষয়ে ১১ ডিসেম্বর জারি করা সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনে বর্ণিত উদ্দেশ্যগুলি দ্রুত সুরক্ষিত করার জন্য তাদের বৈশিষ্ট্যগুলি, অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলির পাশাপাশি, আরব রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলকে দত্তক নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কমিটির সাথে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে সংযুক্ত দলিল। ” প্রশ্নে থাকা নথিটি ছিলঃ
    ১। ১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত এবং ভূখণ্ডের বিভাজনের রূপরেখার মানচিত্র ঘোষণা করার প্রস্তাব। অন্য কথায়, লাউসান সম্মেলনে আরব রাষ্ট্রগুলির অংশগ্রহণের অর্থ ছিল ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্তের একটি নিরপেক্ষ সমর্থন।


    শায়খ আয়মান আল জাওয়াহিরি (আল্লাহ তাকে রক্ষা করুন):
    লাউসান সম্মেলনের পর ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সদস্য হয়। এই পদক্ষেপের সাথে, আরব এবং মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রগুলি সহ জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে এর নিরাপত্তা ও পবিত্রতার প্রতি সম্মান জানানো তাদের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে, যেমনটি জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত হয়েছে।
    (আমি এখনও আরও আনুবাধ বাকি দুয়া চাই)
Working...
X