Announcement

Collapse
No announcement yet.

# Herman ও Chomsky-এর “**প্রোপাগান্ডা মডেল**” [Part 3]

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • # Herman ও Chomsky-এর “**প্রোপাগান্ডা মডেল**” [Part 3]

    # Herman ও Chomsky-এর “**প্রোপাগান্ডা মডেল**” [Part 3]

    **Flak** **(সমালোচনা চর্চা):**

    (EH/NC) তাদের প্রোপাগান্ডা মডেলে Flak পরিভাষাটির বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা দেননি বটে, তবে মোটা দাগে এর দ্বারা লেখকদ্বয় **মিডিয়ার কোন বিবৃতি বা প্রোগ্রামের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সমালোচনা**-কে নির্দেশ করেন। **হতে পারে এই সমালোচনা কোন চিঠি, মেইল, ফোন কল, মামলা, হুমকি বা যে কোন অন্যায় অভিযোগ**। এটি হতে পারে **কেন্দ্রীয় কিংবা আঞ্চলিক সরকার**, বা **একক** কোন **ব্যক্তি বা সংগঠন** কতৃক পরিচালিত কাজ। এ ধরণের প্রতিবাদ যখন বড় আকার ধারণ করে, কিংবা প্রতিবাদকারী যখন প্রভাবশালী হয়, তখন তা মিডিয়ার জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কখনো কখনো তাদেরকে কোর্টে নিজেদের অবস্থানের বৈধতা প্রমাণ করতে হয়, কখনো বা বিজ্ঞাপনদাতাগণ সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

    যে কোন ধরণের **ফ্ল্যাক**—বিশেষত ব্যয়বহুল বা ভীতি প্রদর্শনকারী—সৃ**ষ্টি করার সামর্থ্যের সঙ্গে ক্ষমতা**-র (Power) এক **নিবিড় সম্পর্ক** রয়েছে। শক্তিশালী ফ্ল্যাক প্রত্যক্ষ (Direct) বা পরোক্ষ (Indirect), দু ধরণের-ই হতে পারে। প্রভাবশালী ফ্ল্যাক সৃষ্টিকারী ব্যক্তি/দল তার/তাদের সমর্থকদের কাছে অভিযোগ করার মাধ্যমে পরোক্ষ ফ্ল্যাক সৃষ্টি করতে সক্ষম। অপরদিকে প্রত্যক্ষ ফ্ল্যাক হতে পারে রাষ্ট্রপ্রধানের কার্যালয় থেকে কোন মেইল/ ফোন কল। এই ধরণের ফ্ল্যাক সৃষ্টিকারীরা একে অপরের শক্তি বৃদ্ধি করে, এবং ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সংবাদ ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীকে জোরদার করে। এদের মধ্যে **সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্ল্যাক সৃষ্টিকারী হল গভর্নমেন্ট**; গভর্নমেন্টের কোন দুর্নীতি বা অসৎ কাজের খবর প্রকাশ করলে গণমাধ্যমকে আক্রমণ করে কথা বলা, হুমকি দেয়া, গণমাধ্যমের ‘সংশোধন’ করার ‘দায়িত্ব’ হাতে নেয়া- এসবই ফ্ল্যাক-এর ভিন্ন ভিন্ন রূপ।
    > **Flak in America: Israeli Lobby**

    2009 এর মার্চ মাসে British MP **George Galloway** কানাডাতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হন। তার অপরাধ- ফিলিস্তিনে হামাসের সমর্থন এবং আফগানিস্তানে কানাডিয়ান সৈন্যদল পাঠানোর বিরোধিতা করা (Summers, 2009). এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় Galloway বলেন, **বিচারকের এই সিদ্ধান্ত বাইরের লবিং** (External Lobbying) ও **রাজনৈতিক প্রভাব** (Political Influence)-**এর ফল **(Wallace & MacCharles, 2009). Galloway এখানে মূলত Pro-Israel Lobby-র কানাডিয়ান একটি সংস্করণকে ইঙ্গিত করে কথাটি বলেন। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অত্যাচারের সংবাদ প্রকাশে Pro-Israel Lobby বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঁধা।

    Pro-Israel Lobby বলতে আসলে কি বোঝায়? মূলত, এর দ্বারা সেসব সংগঠন ও ব্যক্তিদের নির্দেশ করা হয়, যারা সক্রিয়ভাবে মার্কিন বৈদেশিক নীতি-কে (Foreign Policy) ইসরায়েল-বান্ধব হিসেবে পরিচালিত করতে কাজ করে থাকে। এই লবি কোন কেন্দ্রীয় একক নেতৃত্বের অধীনে সমন্বিত কার্যক্রম নয়; বরং অনেক ব্যক্তি বা দল—যারা এই বহু বিস্তৃত কার্যক্রমের অংশ—এর সমন্বয়, যদিও কখনো কখনো নির্দিষ্ট পলিসির ব্যাপারে পারস্পরিক ভিন্নমত পোষণ করেন। কোন ব্যক্তি বা দল ইসরায়েল লবির অন্তর্ভুক্ত হতে চাইলে তাদের ইহুদি (Jews) হওয়া বাধ্যতামূলক নয়, কেননা অনেক খৃষ্টান যায়োনিস্ট (Zionist) নিরবিচ্ছিন্নভাবে ইসরায়েলের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন (Mearsheimer & Walt, Israel Lobby and U.S. Foreign Policy, 2007, pp. 112-113). **জাতিগতভাবে আমেরিকান ইহুদিগণ তুলনামূলক বিত্তশালী,** এবং **মার্কিন রাজনীতিতে সক্রিয়**ভাবে অংশগ্রহণ করে এসেছে। তাই, **আমেরিকার জনসংখ্যার শতকরা 03%-এর কম **হওয়ার পরও মার্কিন **ইহুদিরা Democratic ও Republic- উভয় দলেই প্রচুর অর্থায়ন করে**। উদাহরণস্বরূপ, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট Jimmy Carter-এর সময়ে প্রেসিডেন্ট-এর উপদেষ্টা এবং তৎকালীন White House Chief of Stuff হ্যামিল্টন জর্ডান (Hamilton Jordan) প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে লিখিত একটি গোপন ফাইলে (Confidential Memorandum) বলেন যে, Democratic National Finance Council-এর টোটাল 125 জন সদস্যের মধ্যে 70 জনই (56%) ছিলেন ইহুদি। অপরদিকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট Nixon-এর 1972 খৃষ্টাব্দের নির্বাচনকালীন ক্যাম্পেইনের 60% অর্থ আসে ইহুদি দাতাদের পক্ষ থেকে (Jordan, 1977), যেই ফাইলটি পরবর্তীতে 1990 খৃষ্টাব্দে Declassified করা হয়। যদিও সাম্প্রতিক কালের অন্যান্য জরিপের ফলাফলে ইহুদিদের অর্থায়নের হার বেশ কম, তথাপি **Democratic-দের অর্থের একটা বড় অংশ (20%-50%) যোগান দেয় ইহুদিরা** (Mearsheimer & Walt, Israel Lobby and U.S. Foreign Policy, 2007, p. 163).

    রাজনীতি নামের পাগলা ঘোড়ার মুখে লাগাম পরানোর সাথে সাথে ইসরায়েলি লবির অন্যতম একটি এজেন্ডা হল **পাবলিক মিডিয়া, থিংক ট্যাঙ্ক**, এমনকি **একাডেমিয়া-তে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট আলোচনাকে প্রভাবিত করা;** কেননা এই তিনটি সেক্টরসমূহ **জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে** (Mearsheimer & Walt, Israel Lobby and U.S. Foreign Policy, 2007, p. 168). কোন ব্যক্তি ইসরায়েলের সমালোচনা করলে তার বিরুদ্ধে *Anti-Semitism* এর অভিযোগ আনা হয় কিংবা *Ad Hominem* (ব্যক্তিগত) আক্রমণ করা হয়; অথচ *American Israel Public Affairs Committee* (**AIPAC**) এর মতো সংগঠনগুলো মার্কিন রাজনীতিতে তাদের প্রভাবের কথা প্রকাশ্যে ও সগর্বে প্রচার করে।

    নিউ ইয়র্কে ইসরায়েলি দূতাবাসের সাবেক মুখপাত্র (Spokesperson) Menachem Shalev বলেন যে,

    “সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদরা যদি জানতে পারে যে, কয়েক ঘণ্টার ভেতর তারা হাজারো উত্তেজিত ফোন কল পেতে যাচ্ছে, তাহলে ইসরায়েলের সমালোচনা করতে তারা দুবার ভাববে। চাপ প্রয়োগের বিষয়ে ইহুদি লবির কার্যকারিতা প্রশংসনীয়" (Friedman, 1987).

    থিংক ট্যাঙ্ক (Think Tank) *Middle East Forum*-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট Daniel Pipes, 2002 খৃষ্টাব্দে U.S. University গুলোতে মধ্য প্রাচ্যের স্টুডেন্টদের মনিটরিং বা নজরদারি করতে তার বিতর্কিত ওয়েবসাইট Campus Watch তৈরি করেন। Pipes বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদের মধ্য প্রাচ্য সম্পর্কিত স্কলারশিপ, ক্লাস ও অন্যান্য কার্যক্রমে ইসরায়েল বিরোধী কোন বক্তব্য বা আচরণ সম্পর্কে স্টুডেন্টদের রিপোর্ট প্রদান করতে উৎসাহিত করেন (McNeil, 2002) জার্নালিস্ট Davies বেশ কিছু আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশনের কার্যক্রম উল্লেখ করেন, যারা ইসরায়েলের সমালোচকদের নিন্দার ব্যাপারে রীতিমত বিশেষজ্ঞ। *Honest Reporting, Give Israel Your United Support *(**GIYUS**),* the Middle East Media Research Inst.*(**MEMRI**), *Britain Israel Communications and Research Center *(**BICOM**) এবং অন্যান্য সমধর্মী সংগঠনগুলো নিয়মিত সংবাদ মাধ্যমের উপর **ফিলিস্তিনি “সন্ত্রাস”-এর নিন্দা** ও **ইসরায়েলি “শান্তিরক্ষা”** (Peace keeping) **মিশনের প্রশংসা** করতে চাপ প্রয়োগ করে (Davies, 2008).

    Binghamton University-র এমিরেটাস প্রফেসর** James Petras** বলেন, ইসরায়েলের বিপক্ষে যে কোন সমালোচনা একদল প্রো-ইসরায়েলি ‘বিশেষজ্ঞ’ প্রোপাগেটর-বাহিনী দ্বারা সকল মেজর নিউজপেপারগুলোর Op-ed পাতায় পরিচালিত** অসৎ আক্রমণ, চাকরীচ্যুত করার দাবী**, সমালোচকদেরকে তাদের পদ থেকে বিতাড়ন, কিংবা প্রোমোশন ও নতুন করে এপয়েন্টমেন্ট প্রত্যাখ্যান করার দাবির মোকাবেলা করতে হয় (Petras, 2007). ফলাফল, সংবাদ মাধ্যমে ইসরায়েলের **Slow Motion Genocide**-এর ব্যাপারে তথ্যআনুপাতিক হারে খুব কমই ছাপা হয়। তাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়গুলোও অধিকাংশ সময় মার্কিন নাগরিকদের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়।# Herman ও Chomsky-এর “**প্রোপাগান্ডা মডেল**” [Part 3]

    **Flak** **(সমালোচনা চর্চা):**

    (EH/NC) তাদের প্রোপাগান্ডা মডেলে Flak পরিভাষাটির বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা দেননি বটে, তবে মোটা দাগে এর দ্বারা লেখকদ্বয় **মিডিয়ার কোন বিবৃতি বা প্রোগ্রামের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সমালোচনা**-কে নির্দেশ করেন। **হতে পারে এই সমালোচনা কোন চিঠি, মেইল, ফোন কল, মামলা, হুমকি বা যে কোন অন্যায় অভিযোগ**। এটি হতে পারে **কেন্দ্রীয় কিংবা আঞ্চলিক সরকার**, বা **একক** কোন **ব্যক্তি বা সংগঠন** কতৃক পরিচালিত কাজ। এ ধরণের প্রতিবাদ যখন বড় আকার ধারণ করে, কিংবা প্রতিবাদকারী যখন প্রভাবশালী হয়, তখন তা মিডিয়ার জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কখনো কখনো তাদেরকে কোর্টে নিজেদের অবস্থানের বৈধতা প্রমাণ করতে হয়, কখনো বা বিজ্ঞাপনদাতাগণ সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

    যে কোন ধরণের **ফ্ল্যাক**—বিশেষত ব্যয়বহুল বা ভীতি প্রদর্শনকারী—সৃ**ষ্টি করার সামর্থ্যের সঙ্গে ক্ষমতা**-র (Power) এক **নিবিড় সম্পর্ক** রয়েছে। শক্তিশালী ফ্ল্যাক প্রত্যক্ষ (Direct) বা পরোক্ষ (Indirect), দু ধরণের-ই হতে পারে। প্রভাবশালী ফ্ল্যাক সৃষ্টিকারী ব্যক্তি/দল তার/তাদের সমর্থকদের কাছে অভিযোগ করার মাধ্যমে পরোক্ষ ফ্ল্যাক সৃষ্টি করতে সক্ষম। অপরদিকে প্রত্যক্ষ ফ্ল্যাক হতে পারে রাষ্ট্রপ্রধানের কার্যালয় থেকে কোন মেইল/ ফোন কল। এই ধরণের ফ্ল্যাক সৃষ্টিকারীরা একে অপরের শক্তি বৃদ্ধি করে, এবং ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সংবাদ ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীকে জোরদার করে। এদের মধ্যে **সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্ল্যাক সৃষ্টিকারী হল গভর্নমেন্ট**; গভর্নমেন্টের কোন দুর্নীতি বা অসৎ কাজের খবর প্রকাশ করলে গণমাধ্যমকে আক্রমণ করে কথা বলা, হুমকি দেয়া, গণমাধ্যমের ‘সংশোধন’ করার ‘দায়িত্ব’ হাতে নেয়া- এসবই ফ্ল্যাক-এর ভিন্ন ভিন্ন রূপ।
    > **Flak in America: Israeli Lobby**

    2009 এর মার্চ মাসে British MP **George Galloway** কানাডাতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হন। তার অপরাধ- ফিলিস্তিনে হামাসের সমর্থন এবং আফগানিস্তানে কানাডিয়ান সৈন্যদল পাঠানোর বিরোধিতা করা (Summers, 2009). এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় Galloway বলেন, **বিচারকের এই সিদ্ধান্ত বাইরের লবিং** (External Lobbying) ও **রাজনৈতিক প্রভাব** (Political Influence)-**এর ফল **(Wallace & MacCharles, 2009). Galloway এখানে মূলত Pro-Israel Lobby-র কানাডিয়ান একটি সংস্করণকে ইঙ্গিত করে কথাটি বলেন। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অত্যাচারের সংবাদ প্রকাশে Pro-Israel Lobby বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঁধা।

    Pro-Israel Lobby বলতে আসলে কি বোঝায়? মূলত, এর দ্বারা সেসব সংগঠন ও ব্যক্তিদের নির্দেশ করা হয়, যারা সক্রিয়ভাবে মার্কিন বৈদেশিক নীতি-কে (Foreign Policy) ইসরায়েল-বান্ধব হিসেবে পরিচালিত করতে কাজ করে থাকে। এই লবি কোন কেন্দ্রীয় একক নেতৃত্বের অধীনে সমন্বিত কার্যক্রম নয়; বরং অনেক ব্যক্তি বা দল—যারা এই বহু বিস্তৃত কার্যক্রমের অংশ—এর সমন্বয়, যদিও কখনো কখনো নির্দিষ্ট পলিসির ব্যাপারে পারস্পরিক ভিন্নমত পোষণ করেন। কোন ব্যক্তি বা দল ইসরায়েল লবির অন্তর্ভুক্ত হতে চাইলে তাদের ইহুদি (Jews) হওয়া বাধ্যতামূলক নয়, কেননা অনেক খৃষ্টান যায়োনিস্ট (Zionist) নিরবিচ্ছিন্নভাবে ইসরায়েলের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন (Mearsheimer & Walt, Israel Lobby and U.S. Foreign Policy, 2007, pp. 112-113). **জাতিগতভাবে আমেরিকান ইহুদিগণ তুলনামূলক বিত্তশালী,** এবং **মার্কিন রাজনীতিতে সক্রিয়**ভাবে অংশগ্রহণ করে এসেছে। তাই, **আমেরিকার জনসংখ্যার শতকরা 03%-এর কম **হওয়ার পরও মার্কিন **ইহুদিরা Democratic ও Republic- উভয় দলেই প্রচুর অর্থায়ন করে**। উদাহরণস্বরূপ, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট Jimmy Carter-এর সময়ে প্রেসিডেন্ট-এর উপদেষ্টা এবং তৎকালীন White House Chief of Stuff হ্যামিল্টন জর্ডান (Hamilton Jordan) প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে লিখিত একটি গোপন ফাইলে (Confidential Memorandum) বলেন যে, Democratic National Finance Council-এর টোটাল 125 জন সদস্যের মধ্যে 70 জনই (56%) ছিলেন ইহুদি। অপরদিকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট Nixon-এর 1972 খৃষ্টাব্দের নির্বাচনকালীন ক্যাম্পেইনের 60% অর্থ আসে ইহুদি দাতাদের পক্ষ থেকে (Jordan, 1977), যেই ফাইলটি পরবর্তীতে 1990 খৃষ্টাব্দে Declassified করা হয়। যদিও সাম্প্রতিক কালের অন্যান্য জরিপের ফলাফলে ইহুদিদের অর্থায়নের হার বেশ কম, তথাপি **Democratic-দের অর্থের একটা বড় অংশ (20%-50%) যোগান দেয় ইহুদিরা** (Mearsheimer & Walt, Israel Lobby and U.S. Foreign Policy, 2007, p. 163).

    রাজনীতি নামের পাগলা ঘোড়ার মুখে লাগাম পরানোর সাথে সাথে ইসরায়েলি লবির অন্যতম একটি এজেন্ডা হল **পাবলিক মিডিয়া, থিংক ট্যাঙ্ক**, এমনকি **একাডেমিয়া-তে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট আলোচনাকে প্রভাবিত করা;** কেননা এই তিনটি সেক্টরসমূহ **জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে** (Mearsheimer & Walt, Israel Lobby and U.S. Foreign Policy, 2007, p. 168). কোন ব্যক্তি ইসরায়েলের সমালোচনা করলে তার বিরুদ্ধে *Anti-Semitism* এর অভিযোগ আনা হয় কিংবা *Ad Hominem* (ব্যক্তিগত) আক্রমণ করা হয়; অথচ *American Israel Public Affairs Committee* (**AIPAC**) এর মতো সংগঠনগুলো মার্কিন রাজনীতিতে তাদের প্রভাবের কথা প্রকাশ্যে ও সগর্বে প্রচার করে।

    নিউ ইয়র্কে ইসরায়েলি দূতাবাসের সাবেক মুখপাত্র (Spokesperson) Menachem Shalev বলেন যে,

    “সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদরা যদি জানতে পারে যে, কয়েক ঘণ্টার ভেতর তারা হাজারো উত্তেজিত ফোন কল পেতে যাচ্ছে, তাহলে ইসরায়েলের সমালোচনা করতে তারা দুবার ভাববে। চাপ প্রয়োগের বিষয়ে ইহুদি লবির কার্যকারিতা প্রশংসনীয়" (Friedman, 1987).

    থিংক ট্যাঙ্ক (Think Tank) *Middle East Forum*-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট Daniel Pipes, 2002 খৃষ্টাব্দে U.S. University গুলোতে মধ্য প্রাচ্যের স্টুডেন্টদের মনিটরিং বা নজরদারি করতে তার বিতর্কিত ওয়েবসাইট Campus Watch তৈরি করেন। Pipes বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদের মধ্য প্রাচ্য সম্পর্কিত স্কলারশিপ, ক্লাস ও অন্যান্য কার্যক্রমে ইসরায়েল বিরোধী কোন বক্তব্য বা আচরণ সম্পর্কে স্টুডেন্টদের রিপোর্ট প্রদান করতে উৎসাহিত করেন (McNeil, 2002) জার্নালিস্ট Davies বেশ কিছু আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশনের কার্যক্রম উল্লেখ করেন, যারা ইসরায়েলের সমালোচকদের নিন্দার ব্যাপারে রীতিমত বিশেষজ্ঞ। *Honest Reporting, Give Israel Your United Support *(**GIYUS**),* the Middle East Media Research Inst.*(**MEMRI**), *Britain Israel Communications and Research Center *(**BICOM**) এবং অন্যান্য সমধর্মী সংগঠনগুলো নিয়মিত সংবাদ মাধ্যমের উপর **ফিলিস্তিনি “সন্ত্রাস”-এর নিন্দা** ও **ইসরায়েলি “শান্তিরক্ষা”** (Peace keeping) **মিশনের প্রশংসা** করতে চাপ প্রয়োগ করে (Davies, 2008).

    Binghamton University-র এমিরেটাস প্রফেসর** James Petras** বলেন, ইসরায়েলের বিপক্ষে যে কোন সমালোচনা একদল প্রো-ইসরায়েলি ‘বিশেষজ্ঞ’ প্রোপাগেটর-বাহিনী দ্বারা সকল মেজর নিউজপেপারগুলোর Op-ed পাতায় পরিচালিত** অসৎ আক্রমণ, চাকরীচ্যুত করার দাবী**, সমালোচকদেরকে তাদের পদ থেকে বিতাড়ন, কিংবা প্রোমোশন ও নতুন করে এপয়েন্টমেন্ট প্রত্যাখ্যান করার দাবির মোকাবেলা করতে হয় (Petras, 2007). ফলাফল, সংবাদ মাধ্যমে ইসরায়েলের **Slow Motion Genocide**-এর ব্যাপারে তথ্যআনুপাতিক হারে খুব কমই ছাপা হয়। তাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়গুলোও অধিকাংশ সময় মার্কিন নাগরিকদের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়।# Herman ও Chomsky-এর “**প্রোপাগান্ডা মডেল**” [Part 3]

    **Flak** **(সমালোচনা চর্চা):**

    (EH/NC) তাদের প্রোপাগান্ডা মডেলে Flak পরিভাষাটির বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা দেননি বটে, তবে মোটা দাগে এর দ্বারা লেখকদ্বয় **মিডিয়ার কোন বিবৃতি বা প্রোগ্রামের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সমালোচনা**-কে নির্দেশ করেন। **হতে পারে এই সমালোচনা কোন চিঠি, মেইল, ফোন কল, মামলা, হুমকি বা যে কোন অন্যায় অভিযোগ**। এটি হতে পারে **কেন্দ্রীয় কিংবা আঞ্চলিক সরকার**, বা **একক** কোন **ব্যক্তি বা সংগঠন** কতৃক পরিচালিত কাজ। এ ধরণের প্রতিবাদ যখন বড় আকার ধারণ করে, কিংবা প্রতিবাদকারী যখন প্রভাবশালী হয়, তখন তা মিডিয়ার জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কখনো কখনো তাদেরকে কোর্টে নিজেদের অবস্থানের বৈধতা প্রমাণ করতে হয়, কখনো বা বিজ্ঞাপনদাতাগণ সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

    যে কোন ধরণের **ফ্ল্যাক**—বিশেষত ব্যয়বহুল বা ভীতি প্রদর্শনকারী—সৃ**ষ্টি করার সামর্থ্যের সঙ্গে ক্ষমতা**-র (Power) এক **নিবিড় সম্পর্ক** রয়েছে। শক্তিশালী ফ্ল্যাক প্রত্যক্ষ (Direct) বা পরোক্ষ (Indirect), দু ধরণের-ই হতে পারে। প্রভাবশালী ফ্ল্যাক সৃষ্টিকারী ব্যক্তি/দল তার/তাদের সমর্থকদের কাছে অভিযোগ করার মাধ্যমে পরোক্ষ ফ্ল্যাক সৃষ্টি করতে সক্ষম। অপরদিকে প্রত্যক্ষ ফ্ল্যাক হতে পারে রাষ্ট্রপ্রধানের কার্যালয় থেকে কোন মেইল/ ফোন কল। এই ধরণের ফ্ল্যাক সৃষ্টিকারীরা একে অপরের শক্তি বৃদ্ধি করে, এবং ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সংবাদ ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীকে জোরদার করে। এদের মধ্যে **সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্ল্যাক সৃষ্টিকারী হল গভর্নমেন্ট**; গভর্নমেন্টের কোন দুর্নীতি বা অসৎ কাজের খবর প্রকাশ করলে গণমাধ্যমকে আক্রমণ করে কথা বলা, হুমকি দেয়া, গণমাধ্যমের ‘সংশোধন’ করার ‘দায়িত্ব’ হাতে নেয়া- এসবই ফ্ল্যাক-এর ভিন্ন ভিন্ন রূপ।
    > **Flak in America: Israeli Lobby**

    2009 এর মার্চ মাসে British MP **George Galloway** কানাডাতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হন। তার অপরাধ- ফিলিস্তিনে হামাসের সমর্থন এবং আফগানিস্তানে কানাডিয়ান সৈন্যদল পাঠানোর বিরোধিতা করা (Summers, 2009). এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় Galloway বলেন, **বিচারকের এই সিদ্ধান্ত বাইরের লবিং** (External Lobbying) ও **রাজনৈতিক প্রভাব** (Political Influence)-**এর ফল **(Wallace & MacCharles, 2009). Galloway এখানে মূলত Pro-Israel Lobby-র কানাডিয়ান একটি সংস্করণকে ইঙ্গিত করে কথাটি বলেন। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অত্যাচারের সংবাদ প্রকাশে Pro-Israel Lobby বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঁধা।

    Pro-Israel Lobby বলতে আসলে কি বোঝায়? মূলত, এর দ্বারা সেসব সংগঠন ও ব্যক্তিদের নির্দেশ করা হয়, যারা সক্রিয়ভাবে মার্কিন বৈদেশিক নীতি-কে (Foreign Policy) ইসরায়েল-বান্ধব হিসেবে পরিচালিত করতে কাজ করে থাকে। এই লবি কোন কেন্দ্রীয় একক নেতৃত্বের অধীনে সমন্বিত কার্যক্রম নয়; বরং অনেক ব্যক্তি বা দল—যারা এই বহু বিস্তৃত কার্যক্রমের অংশ—এর সমন্বয়, যদিও কখনো কখনো নির্দিষ্ট পলিসির ব্যাপারে পারস্পরিক ভিন্নমত পোষণ করেন। কোন ব্যক্তি বা দল ইসরায়েল লবির অন্তর্ভুক্ত হতে চাইলে তাদের ইহুদি (Jews) হওয়া বাধ্যতামূলক নয়, কেননা অনেক খৃষ্টান যায়োনিস্ট (Zionist) নিরবিচ্ছিন্নভাবে ইসরায়েলের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন (Mearsheimer & Walt, Israel Lobby and U.S. Foreign Policy, 2007, pp. 112-113). **জাতিগতভাবে আমেরিকান ইহুদিগণ তুলনামূলক বিত্তশালী,** এবং **মার্কিন রাজনীতিতে সক্রিয়**ভাবে অংশগ্রহণ করে এসেছে। তাই, **আমেরিকার জনসংখ্যার শতকরা 03%-এর কম **হওয়ার পরও মার্কিন **ইহুদিরা Democratic ও Republic- উভয় দলেই প্রচুর অর্থায়ন করে**। উদাহরণস্বরূপ, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট Jimmy Carter-এর সময়ে প্রেসিডেন্ট-এর উপদেষ্টা এবং তৎকালীন White House Chief of Stuff হ্যামিল্টন জর্ডান (Hamilton Jordan) প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে লিখিত একটি গোপন ফাইলে (Confidential Memorandum) বলেন যে, Democratic National Finance Council-এর টোটাল 125 জন সদস্যের মধ্যে 70 জনই (56%) ছিলেন ইহুদি। অপরদিকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট Nixon-এর 1972 খৃষ্টাব্দের নির্বাচনকালীন ক্যাম্পেইনের 60% অর্থ আসে ইহুদি দাতাদের পক্ষ থেকে (Jordan, 1977), যেই ফাইলটি পরবর্তীতে 1990 খৃষ্টাব্দে Declassified করা হয়। যদিও সাম্প্রতিক কালের অন্যান্য জরিপের ফলাফলে ইহুদিদের অর্থায়নের হার বেশ কম, তথাপি **Democratic-দের অর্থের একটা বড় অংশ (20%-50%) যোগান দেয় ইহুদিরা** (Mearsheimer & Walt, Israel Lobby and U.S. Foreign Policy, 2007, p. 163).

    রাজনীতি নামের পাগলা ঘোড়ার মুখে লাগাম পরানোর সাথে সাথে ইসরায়েলি লবির অন্যতম একটি এজেন্ডা হল **পাবলিক মিডিয়া, থিংক ট্যাঙ্ক**, এমনকি **একাডেমিয়া-তে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট আলোচনাকে প্রভাবিত করা;** কেননা এই তিনটি সেক্টরসমূহ **জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে** (Mearsheimer & Walt, Israel Lobby and U.S. Foreign Policy, 2007, p. 168). কোন ব্যক্তি ইসরায়েলের সমালোচনা করলে তার বিরুদ্ধে *Anti-Semitism* এর অভিযোগ আনা হয় কিংবা *Ad Hominem* (ব্যক্তিগত) আক্রমণ করা হয়; অথচ *American Israel Public Affairs Committee* (**AIPAC**) এর মতো সংগঠনগুলো মার্কিন রাজনীতিতে তাদের প্রভাবের কথা প্রকাশ্যে ও সগর্বে প্রচার করে।

    নিউ ইয়র্কে ইসরায়েলি দূতাবাসের সাবেক মুখপাত্র (Spokesperson) Menachem Shalev বলেন যে,

    “সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদরা যদি জানতে পারে যে, কয়েক ঘণ্টার ভেতর তারা হাজারো উত্তেজিত ফোন কল পেতে যাচ্ছে, তাহলে ইসরায়েলের সমালোচনা করতে তারা দুবার ভাববে। চাপ প্রয়োগের বিষয়ে ইহুদি লবির কার্যকারিতা প্রশংসনীয়" (Friedman, 1987).

    থিংক ট্যাঙ্ক (Think Tank) *Middle East Forum*-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট Daniel Pipes, 2002 খৃষ্টাব্দে U.S. University গুলোতে মধ্য প্রাচ্যের স্টুডেন্টদের মনিটরিং বা নজরদারি করতে তার বিতর্কিত ওয়েবসাইট Campus Watch তৈরি করেন। Pipes বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদের মধ্য প্রাচ্য সম্পর্কিত স্কলারশিপ, ক্লাস ও অন্যান্য কার্যক্রমে ইসরায়েল বিরোধী কোন বক্তব্য বা আচরণ সম্পর্কে স্টুডেন্টদের রিপোর্ট প্রদান করতে উৎসাহিত করেন (McNeil, 2002) জার্নালিস্ট Davies বেশ কিছু আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশনের কার্যক্রম উল্লেখ করেন, যারা ইসরায়েলের সমালোচকদের নিন্দার ব্যাপারে রীতিমত বিশেষজ্ঞ। *Honest Reporting, Give Israel Your United Support *(**GIYUS**),* the Middle East Media Research Inst.*(**MEMRI**), *Britain Israel Communications and Research Center *(**BICOM**) এবং অন্যান্য সমধর্মী সংগঠনগুলো নিয়মিত সংবাদ মাধ্যমের উপর **ফিলিস্তিনি “সন্ত্রাস”-এর নিন্দা** ও **ইসরায়েলি “শান্তিরক্ষা”** (Peace keeping) **মিশনের প্রশংসা** করতে চাপ প্রয়োগ করে (Davies, 2008).

    Binghamton University-র এমিরেটাস প্রফেসর** James Petras** বলেন, ইসরায়েলের বিপক্ষে যে কোন সমালোচনা একদল প্রো-ইসরায়েলি ‘বিশেষজ্ঞ’ প্রোপাগেটর-বাহিনী দ্বারা সকল মেজর নিউজপেপারগুলোর Op-ed পাতায় পরিচালিত** অসৎ আক্রমণ, চাকরীচ্যুত করার দাবী**, সমালোচকদেরকে তাদের পদ থেকে বিতাড়ন, কিংবা প্রোমোশন ও নতুন করে এপয়েন্টমেন্ট প্রত্যাখ্যান করার দাবির মোকাবেলা করতে হয় (Petras, 2007). ফলাফল, সংবাদ মাধ্যমে ইসরায়েলের **Slow Motion Genocide**-এর ব্যাপারে তথ্যআনুপাতিক হারে খুব কমই ছাপা হয়। তাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়গুলোও অধিকাংশ সময় মার্কিন নাগরিকদের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়।
Working...
X