Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাবীরা গুনাহ করলেই কেউ ইসলাম থেকে খারিজ হয়না। হ্যাঁ যদি কেউ কুফরি করে তাহলে সালাফদের থেকে আসা মানহাজ অনুযায়ী তার সাথে মুয়ামেলা করা হবে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাবীরা গুনাহ করলেই কেউ ইসলাম থেকে খারিজ হয়না। হ্যাঁ যদি কেউ কুফরি করে তাহলে সালাফদের থেকে আসা মানহাজ অনুযায়ী তার সাথে মুয়ামেলা করা হবে

    আমরা চাই সকল মুমিন পাপমুক্ত থাকুক। কিন্তু এটা তো বাস্তবতা বিরোধী। কারণ এরকমটা হওয়া মোটেই সম্ভব নয় যে, সকল মুমিন হান্ড্রেড পার্সেন্ট পাপ মুক্ত থাকবে। বরং বাস্তবতা হলো তারা পাপ করবে, কখনো কাবীরা কখন সগীরা ইত্যাদি [যদিও তা কাম্য নয়]।


    কিন্তু এসব কাবীরা গুনাহ করলেই কেউ উম্মাত থেকে কারিজ হয়না। এটা আমাদের ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।

    আমরা পাপি মুসলিমকে শুধু পাপি বলি, উম্মত থেকে বহিষ্কার আমরা করিনা করতে পারিনা ও করার অধিকারও রাখিনা [বিষয়টি সুস্পষ্ট]

    হ্যাঁ যদি কেউ কুফরি করে তাহলে সালাফদের থেকে আসা মানহাজ অনুযায়ী তার সাথে মুয়ামেলা করা হবে।


    সুতরাং যখন প্রমাণিত হলো কোন সমাজের জনগণ মুসলিম [যদিও তারা পাপ করে, কুফর মুক্ত থেকে]

    তাহলে আমাদের উপর ফরজ হয়ে যায় যে, আমরা মুসলিম ভাইদের হিতাকাঙ্ক্ষী হবো।

    আর সকলের জন্য হিতাকাঙ্ক্ষী হওয়ার সুরত/পদ্ধতি অবশ্য এক নয়। মাদ্রাসার ছাত্রের প্রতি হিতাকাঙ্ক্ষী হওয়ার সুরত আর একজন রিক্সা চালকের প্রতি হিতাকাঙ্ক্ষী হওয়ার সুরত এক হবেনা।


    তবে সামগ্রিক ভাবে সকলের প্রতিই আমরা হিতাকাঙ্ক্ষী হবো [এটাই ইসলামি নির্দেশ]


    #এখন_আসি_রাষ্ট্র_গঠনের_বিষয়ে-

    যখন প্রমাণিত হলো তারা মুসলিম [যদিও অনেকে পাপ করে] তখন আমরা ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করলে সেখানে অবশ্যই অবশ্যই সেই মুসলিমরা সমানভাবে থাকবে। সুযোগ পাবে সুবিধা পাবে।

    #আমাদের_উদ্যেশিত_ইসলামি_রাষ্ট্রে- সকল মুসলিমরা থাকবে ও স্থান পাবে, পাপি, চোর,বাটপার, জিনাকারী, মদখোর সকলকে নিয়েই হবে আমাদের রাষ্ট্র।


    #তবে- রাষ্ট্রের শুরা কমিটি অবশ্যই আহলুল হাল্লি ওয়াল আকদ হবে।

    #সাধারণ_জনগনের_বিষয়ে_তানজিমের_অবস্থান অতএব উক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখেই তানজিম আ'ল-কা'য়ে'দা নিজেদের মানহাজ ঠিক করেছে ❝দাওয়াহ ও জিহাদ❞


    #দাওয়াহ- সকল মুসলিমকে বিশুদ্ধ তাওহীদের দাওয়াহ দিতেই থাকা, যদিও আম পাবলিক তাতে কায়দার ডাকে সাড়া নাও দেও তবুও দাওয়হ চলমান থাকবে।

    কারণ যেহেতু প্রমাণিত হলো তারা মুসলিম তাই তাদের প্রতি হিতাকাঙ্ক্ষী থাকা আমাদের জন্য আবশ্যক।

    উক্ত মানহাজের প্রমাণ মিলে তানজিমের বিখ্যাত মুফতি ও সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্ত মুফতি শাইখ আতিয়্যাহতুল্লাহ আল-লিবী রাহিঃ


    ২০০৯ সালে হামাস কর্তৃক মাসজিদে ইবনে তাইমিয়ায় ঘঠানো দূর্ঘনটার বিষয়ে এক জিজ্ঞাসার জওয়াবে বলোছিলেন-

    ❝হামাস আমাদের ভাই, তবে তারা ভুলে আছে। আমরা তাদেরকে দাওয়াহ দেই, নাসিহা করি দ্বীনে ফিরে আসার জন্য❞ এবং সাধারণ জনগনের উপর আক্রমন করার বিষয়ে শাইখ আতিয়্যাহতুল্লাহ আল-লিবী রাহিঃ মুসলিমদের রক্তের পবিত্রতা নামক বার্তায় বলেছেন-


    ❝এই বার্তাটি আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান পরিস্কার করা ও পুনরায় মনে করিয়ে দেয়ার জন্য, বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নয়।

    যদি এর প্রয়োজন হয়, তাহলে এই বিষয়ে বিশুদ্ধ ও উত্তম শরী’য়াহয় যথেষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে যা মুসলমানদের মাঝে কোন অজানা বিষয় না।


    একজন মু’মিনের প্রাণ এবং তার রক্তের পবিত্রতার গুরুত্ব ও মর্যাদা বুঝানোর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই উক্তিটিই


    “(বেআইনিভাবে) একজন মুসলিম হত্যার চেয়ে সমগ্র পৃথিবী ধ্বংস হওয়া আল্লাহ্‌র কাছে কম অপছন্দনীয়”


    পৃথিবী ধ্বংস হোক, ধ্বংস হোক আমাদের সংগঠন, দল এবং অস্তিত্ব। কিন্তু আমাদের হাত যেন বেআইনীভাবে মুসলমানের রক্ত ঝরার কারণ না হয়।
    এটাই পরিস্কার ও চূড়ান্ত বিষয়।❞

    অতএব উক্ত দুটি উক্তি, আমাদের উপর দুইটি শ্রেনী অভিযোগ তুলেছেন তাদের জওয়াবের জন্য আমরা যথেষ্ট মনে করছি আলহামদুলিল্লাহ।


    ১। চলমান সময়ে কিছু ইরজাগ্রস্ত শুভানুধ্যায়ী ভাই, তারা লাগামহীন বলেই যাচ্ছে, তানজিম ঢালাও কাফের বলে আবার ঢালাও জনগণ হত্যা করে [নাউজুবিল্লাহ]


    ২। আ'ই'এ'স! তারা আমাদেরকে জনসমর্থন পুজারী বলে কটুক্তি করে। তারও জওয়াব হয়ে যায়।

    কারণ জনগন যখন মুসলিম প্রমাণিত হলো, তখন তাদেরকে দাওয়াহ ও তাদেরকে দ্বীনে ফিরানোর আগ্রহ ও কর্কমে জনসমর্থন পুজারী বলা হয়না বরং হিতাকাঙ্ক্ষীই বলা হয়।

    📝 এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন
Working...
X