Announcement

Collapse
No announcement yet.

এরপরও কী তারাই সন্ত্রাসী?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এরপরও কী তারাই সন্ত্রাসী?

    এরপরও কী তারাই সন্ত্রাসী?

    তাহলে আপনারা বা আমরা যারা এর থেকে দূরে আপনাদের ও আমাদের হুকুম কী?


    আল্লাহ তাআলা বলেন

    وَ مَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ الۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَ النِّسَآءِ وَ الۡوِلۡدَانِ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡ ہٰذِہِ الۡقَرۡیَۃِ الظَّالِمِ اَہۡلُہَا ۚ وَ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۚۙ وَّ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ نَصِیۡرًا ﴿ؕ۷۵﴾

    আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।’


    প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদেরকে কিসের নির্দেশ দিচ্ছেন?

    উত্তরঃ- "আল্লাহ তাআলা" তিনি তার বান্দাদেরকে কিতালের নির্দেশ দিচ্ছেন
    যথা:- আল্লাহ তা'আলা বলেন

    وَ مَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ

    আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না!


    প্রশ্নঃ- কিতাল কেন করব?

    উত্তরঃ-
    (১) আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করতে।

    (২) দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে।

    (৩) আল্লাহর আদেশ বাস্তবায়ন করতে।

    (৪) মাজলুমদের সাহায্য করতে।

    (৫) ওলি ও নাসীরের ভূমিকা পালন করতে।


    প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলা উক্ত আয়াত কেন নাজিল করলেন?

    উত্তরঃ- ঈমানদারদেরকে মাজলুমদের সহযোগী হতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।

    প্রশ্নঃ- হিজরতের বিধান নাজিল হওয়ার পরও তারা কেন মক্কা রয়ে গিয়েছিল?

    উত্তরঃ- দৈহিক দুর্বলতা এবং আর্থিক দৈন্যের কারণে হিজরত করতে পারছিলেন না।

    যথা
    [১] মক্কা নগরীতে এমন কিছু দুর্বল মুসলিম রয়ে গিয়েছিলেন,
    যারা দৈহিক দুর্বলতা এবং আর্থিক দৈন্যের কারণে হিজরত করতে পারছিলেন না।
    পরে কাফেররাও তাদেরকে হিজরত করতে বাঁধাদান করেছিল এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে আরম্ভ করেছিল, যাতে তারা ইসলাম ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

    যেমন ইবন আব্বাস ও তাঁর মাতা, সালামা ইবন হিশাম, ওলীদ ইবন ওলীদ, আবু জান্দাল ইবন সাহল্‌ প্রমূখ।

    এসব সাহাবী নিজেদের ঈমানী বলিষ্ঠতার দরুন কাফেরদের অসহনীয় উৎপীড়ন সহ্য করেও ঈমানের উপর স্থির থাকেন।
    অবশ্য তাঁরা এসব অত্যাচার উৎপীড়ন থেকে অব্যাহতি লাভের জন্য বরাবরই আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের দরবারে দো’আ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’আলা তাঁদের সে প্রার্থনা মঞ্জুর করে নেন এবং মুসলিমদেরকে নির্দেশ দেন যাতে তাঁরা জিহাদের মাধ্যমে সেই নিপীড়িতদেরকে কাফেরদের অত্যাচার থেকে মুক্ত করেন।

    ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘আমি ও আমার মা অসহায়দের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম’ [বুখারী ৪৫৮৭]


    প্রশ্নঃ- উক্ত আয়াতে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে?

    উত্তরঃ- এ আয়াতে মুমিনরা আল্লাহ তা’আলার দরবারে দুটি বিষয়ে দোআ করেছিলেন।
    একটি হলো এই যে, আমাদিগকে এই(মক্কা) নগরী থেকে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করুন এবং দ্বিতীয়টি হলো, আমাদের জন্য কোন সহায় বা সাহায্যকারী পাঠান।
    আল্লাহ তাদের দু’টি প্রার্থনাই কবুল করে নিয়েছিলেন। তা এভাবে যে, কিছু লোককে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, যাতে তাঁদের প্রথম প্রার্থনাটি পূরণ হয়েছিল।

    অবশ্য কোন কোন লোক সেখানেই রয়ে যান এবং বিজয়ের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্তাব ইবন উসায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে সেসব লোকের মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত করেন।

    অতঃপর তিনি এসব উৎপীড়িতদেরকে অত্যাচারীদের উৎপীড়ন-অত্যাচার থেকে মুক্ত করেন। আর এভাবেই পূর্ণ হয় তাদের দ্বিতীয় প্রার্থনাটি।
    আয়াতে বলা হয়েছে যে, জিহাদের নির্দেশ দানের পিছনে একটি কারণ ছিল সে সমস্ত অসহায় দুর্বল নারী-পুরুষের প্রার্থনা। মুসলিমগণকে জিহাদ করার নির্দেশ দানের মাধ্যমে সে প্রার্থনা মঞ্জুরীর কথাই ঘোষণা করা হয়েছে।


    ★ তারাতো নিম্ন বর্ণিত হাদীসের উপর আমলকারী★

    অর্থাৎ মাজলুমের সাহায্যকারী এরপরও কী তারাই সন্ত্রাসী?

    তাহলে আপনারা বা আমরা যারা এর থেকে দূরে আপনাদের ও আমাদের হুকুম কি?


    হাদীসে বর্ণিত আছে
    পয়গাম্বরে আরবী
    হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন
    اتقوا دعوة المظلوم فإنها تحمل على الغمام، يقول الله جل جلاله و عزتى وجلالى لأنصرنك ولو بعد حين -

    ❝ তোমরা মাজলুমের বদদুআ থেকে বেঁচে থাকো। কেননা, তা মেঘমালার উপরে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন আল্লাহ জাল্লা জালালুহু বলেন, আমার মর্যাদা ও মহত্বের শপথ, আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো; কিছু সময় পরে হলেও।❞ …… আল-মুজামুল কাবির(৩৭১৮)

    বর্তমানে রোহিঙ্গাদের উপর চলছে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন, কাশ্মীর, ভারত এর মুসলমানদের উপর অব্যহত রয়েছে বিভিষিকা নির্যাতনের ধারা যা সকলেরই জানা।
    এবং চীনে জিংজিয়ানদের উপর ও চলছে নানা ধরনের নির্যাতন ও নিশ্চিহ্নকরণের বিভিন্ন ধরনের কৌশল।
    ফিলিস্তিনিদের ব্যপারে প্রতিদিন শুনতে হচ্ছে তাদের লাশ গুম, খুন ও গ্রেফতারের ঘটনা।

    অর্থাৎ সকল স্থানে ব্যবহৃত হচ্ছে মুসলিম নিধন যন্ত্র উক্ত জালেমদের বিরুদ্ধে যারাই মজলুমদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে বলা হচ্ছে জঙ্গি, জি এম বি, সন্ত্রাসী ইত্যাদি


    বিঃদ্রঃ - এ সকল স্থানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুধু মুসলমানদেরকেই নির্যাতন ও নিশ্চিহ্নকরণের বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করতেছে। এ জন্য আমাদের উচিত আল্লাহর বিধান কিতাল বাস্তবায়নের মাধ্যমে নবীর আদর্শকে আঁকড়ে ধরা।

    প্রশ্নঃ- যারা আল্লাহর বিধান কিতাল বাস্তবায়নের মাধ্যমে
    নবীর আদর্শকে আঁকড়ে ধরেছে
    তাদেরকে যদি এরপরও বলি সন্ত্রাসী?

    তাহলে আপনারা বা আমরা যারা এর থেকে দূরে আপনাদের ও আমাদের হুকুম কী?

    উত্তরঃ-
Working...
X