Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভুল পদ্ধতিতে দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করার ভয়াবহতা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভুল পদ্ধতিতে দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করার ভয়াবহতা।

    ইসলাম হলো বিজয়ী ধর্ম,ইসলাম পরাজিত হওয়ার জন্য আসে নি।পবিত্র কুরআনে বহু জায়গায় বিজয়ের ওয়াদা দিয়েছেন, সুসংবাদ শুনিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেনঃ

    یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ہَلۡ اَدُلُّکُمۡ عَلٰی تِجَارَۃٍ تُنۡجِیۡکُمۡ مِّنۡ عَذَابٍ اَلِیۡمٍ ﴿۱۰﴾
    تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ وَ تُجَاہِدُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ بِاَمۡوَالِکُمۡ وَ اَنۡفُسِکُمۡ ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿ۙ۱۱﴾ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ وَ یُدۡخِلۡکُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ وَ مَسٰکِنَ طَیِّبَۃً فِیۡ جَنّٰتِ عَدۡنٍ ؕ ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ ﴿ۙ۱۲﴾ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ وَ یُدۡخِلۡکُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ وَ مَسٰکِنَ طَیِّبَۃً فِیۡ جَنّٰتِ عَدۡنٍ ؕ ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ ﴿ۙ۱۲﴾ وَ اُخۡرٰی تُحِبُّوۡنَہَا ؕ نَصۡرٌ مِّنَ اللّٰہِ وَ فَتۡحٌ قَرِیۡبٌ ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۳﴾

    হে বিশ্বাসীগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে রক্ষা করবে?
    (তা এই যে,) তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলে বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা জানতে।আল্লাহ তোমাদের পাপরাশিকে ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে; যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত এবং (প্রবেশ করাবেন) স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহা সাফল্য।আর তিনি তোমাদেরকে দান করবেন বাঞ্ছিত আরো একটি অনুগ্রহ; আল্লাহর সাহায্য ও আসন্ন বিজয়। আর বিশ্বাসীদেরকে সুসংবাদ দাও।(সুরা আস সাফ১০-১৩)

    মহান আল্লাহ উল্লেখিত আয়াতসমূহে প্রথম একটি ব্যাবসার কথা বলেছেন, যে ব্যবসায় কোন লোকসান নাই,।তা হলো আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ)উপর ইমান ও জান মাল দিয়ে জিহাদ।আর যারা ইমান আনবে মহান আল্লাহ তাদের আখিরাতে প্রতিদান তো দিবেন ই এর সাথে দুনিয়াতেও বিজয় দিবেন।
    মহান আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ

    وَعَدَ اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡکُمۡ وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَیَسۡتَخۡلِفَنَّہُمۡ فِی الۡاَرۡضِ کَمَا اسۡتَخۡلَفَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ۪ وَلَیُمَکِّنَنَّ لَہُمۡ دِیۡنَہُمُ الَّذِی ارۡتَضٰی لَہُمۡ وَلَیُبَدِّلَنَّہُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ خَوۡفِہِمۡ اَمۡنًا ؕ یَعۡبُدُوۡنَنِیۡ لَا یُشۡرِکُوۡنَ بِیۡ شَیۡئًا ؕ وَمَنۡ کَفَرَ بَعۡدَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ
    তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্যে প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দীনকে যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্য নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ‘ইবাদত করবে, আমার কোন শরীক করবে না, এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে তারা তো সত্যত্যাগী।
    মহান আল্লাহ এই আয়াতেও স্বয়ং ওয়াদা করেছেন যে,ইমান আনলে ও আমলে সলেহ করলে আল্লাহ খিলাফাহ দিবেন।
    তার মানে ইসলাম মানলে শুধু মাত্র পরকালে শান্তি পাওয়া বিষয়টা এমন নয়, বরং দুনিয়াতেও বিজয় দিবেন। আর এই বিজয়ই হলো বড় দাওয়াত।প্রশ্ন হলো কেন বিজয় বড় দাওয়াত?
    মনে করুন আজ থেকে একশো বছর আগে সূর্য আলো দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।এখন বইয়ের পাতায় লিখা হলো, সূর্য একসময় আলো দিতো, যে আলো দ্বারা সারা পৃথিবী আলোকিত হতো। যারা পড়ালেখা করতো তারা বইয়ের পাতায় এসব পড়তো এবং কেউ বিশ্বাস করতো আর কেউ করতো না আর যারা পড়ালেখা করতো না তারা এটা জানতো না। কিন্তু যেহেতু সূর্য আমাদের আলো দেয় সেহেতু এখন কাউকে বইয়ের পাতায় পড়াতে হয় না, কেননা যাদের চর্মচক্ষু আছে তারা সবাই এ সূর্যকে দেখতে পায়। আর যাদের আসলেও চোখ নাই তাদের কথা ভিন্ন।
    ঠিক কুরআন সবাই পড়ে না, সবার পড়া হয়েও উঠে না। আবার যারা পড়ে তাদের মধ্যেও অনেক গোমরাহ হয়ে যায়। কিন্তু যদি আজ খাঁটি মুমিনরা পবিত্র কোরআনের আলোকে ইসলাম বিজয়ের জন্য চেষ্টা করতো, তাহলে আল্লাহ বিজয় দিতেন, ফলে সবার সামনেই এই বিজয় স্বষ্ট হয়ে যেতো,ইসলাম সত্য ধর্ম এটার দাওয়াত অমুসলিরাও পেয়ে যেত। কিন্তু যাদের অন্তর দৃষ্টি নাই তাদের কথা ভিন্ন। বদর যুদ্বে যখন ফেরেশতা নাযিল হয়েছিলো তখন কাফেররাও সে ফেরেশতা দেখেছিলো, এমনকি এটাই কাফেরদের নিকট এক বড় দাওয়াত হয়েছিলো যে,তিনশো তেরো জন দূর্বল, নামে মাত্র অস্ত্র ওয়ালা মুসলিমদের কাছে হৃষ্টপুষ্ট,সশস্ত্র এক হাজার কাফের পরাজিত হয়েছে। আজ যদি দ্বীন কায়েম থাকতো, কুরআনের আইন দিয়ে সমাজ পরিচালিত হতো, তাহলে চোখ ওয়ালা মানুষ যেমন বিনা বাধায় আকাশের সূর্য দেখতে পায়, আকাশে সূর্য উঠেছে এটা যেমন চক্ষু বিশিষ্ট মানুষকে বলতে হয় না ঠিক তেমন সারা পৃথিবীর কাফেররা দেখতো, কুরআনে যে বিজয়ের কথা বলা হয়েছে তা সত্য, তাতে কোন সন্দেহ নাই এবং আল্লাহ আইন বাস্তবায়নের মাঝেই রয়েছে মানুষের মুক্তি ও কল্যান। কিন্তু আজ আমরা কি কুরআনের এই বাস্তব রুপ কাফেরদের সামনে তুলে ধরতে পেরেছি?অথচ আমরা ইসলাম বিজয়ের জন্য চেষ্টা করছি, দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। কিন্তু আমাদের এই চেষ্টা মাঝে ত্রুটি থাকার কারনে উল্টো ক্ষেত্র বিশেষ ইসলামের ক্ষতি হচ্ছে। যেমন পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ
    নিশ্চয় নামায মানুষকে অশ্লিল ও ফাহেশা কাজ থেকে বিরত রাখে।

    সমাজের সবচেয়ে খারাপ কোন ব্যক্তি যদি নামায পড়া শুরু করে এবং সব খারাপ কাজ ছেড়ে দিয়ে ভালো হয়ে যায় তাহলে তার ভালো হওয়ার দ্বারা সমাজের বহু মানুষ দাওয়াত পাবে। মানুষ পবিত্র কুরআনের এ আয়াতের বাস্তব রুপ দেখবে। যারা কুরআন পড়ে না তারাও এর দ্বারা কুরআনের এ আয়াতের দাওয়াত পেয়ে যাবে।
    অপরদিকে আরেকজন ব্যক্তি নামায পড়ে আবার পাপ কাজও করে, ঘুষ খায়, সুদ খায়। তাহলে এব্যক্তির নামাযের দ্বারা সে মানুষের নিকট কি ম্যাসেজ পৌছাচ্ছে?
    মানুষ প্রথমেই তারা নামাযের দিকে ইঙ্গিত করে কথা বলবে। তার নামায নিয়ে বিরুপ চিন্তা করবে।
    ঠিক তেমনি আল্লাহর দ্বীন কে কায়েম করার জন্য দিনের পর দিন চেষ্টা করার পরেও যদি দ্বীন কায়েম না হয়, মুসলিমরা বিজয় চোখে না দেখে তখন এমনিতেই আল্লাহর সাহায্য সম্পর্কে মানুষের হতাশা চলে আসে।কেননা আল্লাহ বলেছেন বিজয় দিবেন, অপরদিকে শত বছর চেষ্টার পরেও কোন বিজয় যদি না হয় তাহলে মানুষের নিকট আল্লাহর আয়াত নিয়ে কি ম্যাসেজ পৌছানো হচ্ছে?
    এ কারনে দেখা যায় ইসলামী আন্দোলনের বহু সক্রিয় কর্মী আল্লাহর সাহায্য দেখতে না পেয়ে এমনভাবে ঝরে পড়ে যে, ক্ষেত্র বিশেষ ইসলামের শত্রু হয়ে যায়। দেখুন রাসূল সাঃ যখন থেকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া শুরু করেছেন তখন থেকে আস্তে আস্তে অনেক বিজয় অর্জন হয়েছে, কাফেরদের সকল অপচেষ্টার পরে মুসলিমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে গেছে, বিজয় কখনই বন্ধ হয়ে যায় নি। আমরা মনে করি যেদিন মক্কা বিজয় হয়েছে সেদিনই ইসলাম ও মুসলিমদের বিজয় হয়েছে। কিন্তু বিষয় টা তা নয় বরং যেদিন ওমর রাঃ, হামযা রাঃ ইসলাম গ্রহন করেছন, প্রকাশ্যে মিছিল করেছেন সেদিনও বিজয়ের দিন ছিলো। যে দিন গোটা মদীনা ইসলামের জন্য তৈরী হয়েছে সেদিনও বিজয়ের দিন ছিলো। সহজ কথায় বিজয়ের যাত্রা এমন ভাবে শুরু হয়েছে, যে যাত্রা থেমে যায় নি। কিন্তু আজ দেখুন কখনো সামান্য বিজয় হচ্ছে, এরপর আবার সব লন্ডবন্ড হয়ে যাচ্ছে ।

    অবস্থা টা হয়ে গেছে বনী ইসরাইলের মত, যাদেরকে জিহাদের আদেশ দেওয়ার পর তারা পালন করে নি। ফলে আল্লাহ তাদের তীহ প্রান্তরে ৪০ বছর উদ্বাস্তের মত ঘুরিয়েছেন। তারা সারাদিন তীহ প্রান্তর থেকে বের হওয়ার জন্য চেষ্টা করতো। কিন্তু দিন শেষে দেখতো তারা আপন অবস্থায় আছে।
    আজকেও ঠিক একই অবস্থা হচ্ছে, কয়েক বছর ইসলাম ও মুসলিমদের মুক্তির জন্য অনেক চেষ্টা প্রচেষ্টা করে যখন একটা পর্যায়ে যায় তখন দেখা যায়, কাফের মুরতাদদের বিভিন্ন চাপে বা ধৌকায় পড়ে সব চেষ্টা বিফলে যায়। ফলে আবার নতুন করে চেষ্টা শুরু করতে হয়। অপরদিকে একসময়ের খাটি মুমিনেরও মনোবল দূর্বল হয়ে যায়৷ তারা আল্লাহর সাহায্যের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে পড়ে।

    ওহুদের যুদ্ব থেকে শিক্ষা নিনঃ

    ওহুদের যুদ্বে রাসূল সাঃ কিছু সংখ্যক সাহাবীদের পাহাড়ের গিরিপথ পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দিলেন এবং বললেন তারা যেন সেখান থেকে না সরে। কিন্তু অল্প কয়েক জন সাহাবীরা মুসলিমদের বিজয় দেখে সেখান থেকে সরে গেলো। উনারা গনিমতের সেখান থেকে সরে গেছে বিষয়টা কিন্তু এমন নয় কেননা উনারা তো তারা যারা ইসলামের জন্য নিজেদের সব বিসর্জন দিতে প্রস্তুত, মুনফিকরা যখন ওহুদ প্রান্তর থেকে চলে গেলো তখন এই সাহাবীরা জিহাদের ময়দানে অটল ছিলেন। এটা উনাদের এমন এক ভুল ছিলো যা দ্বারা গোটা মুসলিম জাহান কে আল্লাহ শিক্ষা দিলেন। উনাদের একটা ভুলের কারনে গোটা ওহুদ প্রান্তরে মুসলিমদের অবস্থা ভয়াবহ হয়ে গেলো, ৭০ জন বড় বড় সাহাবী শহীদ হলেন যাদের মধ্যে ছিলেন ইসলামের মহান বীর হামযা (রাঃ) । স্বয়ং রাসূল সাঃ এর শরীরে আঘাত চলে এলো। এ ঘটনা দ্বারা এই শিক্ষা ই দেওয়া হলো যে, আল্লাহ ও রাসূল সাঃ আনুগত্যের বাহিরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সেটা যেমন নিজেদের জন্য বিপদজনক হয়, তেমনি গোটা মুসলিম জাতির জন্য ভয়াবহ বিপদের কারন হয়।

    কিন্তু অজ্ঞতা বা অন্ধ অনুকরনের কারনে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বহু খাটি ইমানদার দ্বারা ইসলাম ও মুসলিমদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আজ মুসলিমদের জান মাল বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। ওহুদ যুদ্বেতো সাহাবীরা বিজয় দেখে এবং সব বিপদ দূর হয়ে গেছে ভেবে স্থান থেকে চলে গেলেন, অথচ আজ সম্পূর্ন না জেনেই বা কিয়াসের উপর ভিত্তি করে অনেকে দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সিদ্বান্ত দিয়ে ফেলছে। আর এই সিদ্বান্ত গুলোর কারনে কাফেররা বিশাল বড় বাহ্যিক লাভবান হচ্ছে।

    সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সা. এর এক সাহাবী কোন এক সম্প্রদায়ের নিকট গেলেন। তাঁর মাথায় বড় ধরনের জখম ছিল এবং এ অবস্থায় তার স্বপ্ন দোষ হয়। তিনি এই মাসআলার হুকুম জিজ্ঞাসা করলে ঐ লোকেরা বলল, তোমার জন্য গোসল করা আবশ্যক। তারা ফতওয়া দিলে, অথচ এ বিষয়ে না তাদের শরয়ী জ্ঞান ছিল, না তারা অসুস্থের প্রতি লক্ষ্য করেছে। যখন সেই সাহাবী গোসল করলেন তখন সাথে সাথে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। এ সংবাদ রাসূল সা. এর নিকট পৌঁছলে তিনি বললেন, " "তারা তো তাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন।' -আবু দাউদ

    এ হাদীস খানা নিয়ে চিন্তা করুন, যারা অজ্ঞতার কারনে বা অন্ধ অনুকরনের কারনে মুসলিমদের জান মাল হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে তাদের কি পরিনতি হবে?যারা না জেনে ফতুয়া দিচ্ছেন বা দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্বান্ত দিচ্ছেন ফলে উম্মাহর অর্থ সম্পদ অপচয় হচ্ছে তাদের ব্যাপারে ফায়সালা কি হবে?
    ইসলামে যেমন নামায ফরয তেমনি নামাযের মাসয়ালা জানাও ফরয, দ্বীন কায়েম যেমন ফরয, তেমনি দ্বীন কায়েমের ইলম অর্জনও ফরয। কিন্তু আমরা কয়জন আলেম থেকে দ্বীন কায়েমের ইলম অর্জন করেছি?আমরা আজ চিন্তা ভাবনা না করেই ভোট গনতন্ত্রের ব্যাপারে কথা বলি অথচ এ ব্যপারে কয়জন আলিম থেকে ইলম অর্জন করেছি?
    আমরা কি আমাদের কাজকে রাসূল সাঃ এর কাজের সাথে মিলিয়ে দেখেছি?আমাদের অজ্ঞতার কারনে যদি কোন মুসলিমের ক্ষতি হয় তাহলে হাদিসের আলোকে আমাদের জন্যও রাসূল সাঃ এর একই দোয়া। তাই আজই সতর্ক হোন। আল্লাহ আমাদের দ্বীন বুঝার তাওফিক দান করুন।





Working...
X