Announcement

Collapse
No announcement yet.

★ প্রশ্ন:- আপনি কি মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতে চান? (1)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ★ প্রশ্ন:- আপনি কি মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতে চান? (1)

    প্রশ্ন :- আপনি কি মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতে চান? (1)

    উত্তর :- হ্যাঁ! আমি মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতে চাই।
    তাহলে লাগব হতে বাঁচুন।

    প্রশ্ন :- লাগব এর অর্থ কি?

    উত্তর ;- কুরআনে কারিমে এ অর্থ গুলো ব্যবহার হয়েছে।
    যথা
    অহেতুক কথা, হট্টগোল,
    বেহুদা কথা, বেহুদা কার্যকলাপ
    অনর্থ ঘটা, অহেতুক বিষয়,
    বেহুদা কথা, লাগব কসম

    ১)
    আল্লাহ তাআলা বলেন

    আল বাকারা, আয়াতঃ ২২৫

    لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَلٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا کَسَبَتۡ قُلُوۡبُکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ غَفُوۡرٌ حَلِیۡمٌ

    অর্থঃ
    মুফতী তাকী উসমানী
    তোমাদের লাগব কসমের কারণে আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না। ১৬৫ কিন্তু যে কসম তোমরা তোমাদের মনের ইচ্ছাক্রমে করেছ সেজন্য তিনি তোমাদেরকে ধরবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

    মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
    তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না, কিন্তু সেসব কসমের ব্যাপারে ধরবেন, তোমাদের মন যার প্রতিজ্ঞা করেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী ধৈর্য্যশীল।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন
    তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্যে আল্লাহ্ তোমাদেরকে দায়ী করবেন না। কিন্তু তিনি তোমাদের অন্তরের সংকল্পের জন্যে দায়ী করবেন। আল্লাহ্ ক্ষমাপরায়ণ, ধৈর্যশীল।

    ---------------------

    তাফসীর (মুফতী তাকী উসমানী) (Bangla)

    ১৬৫. ‘লাগব কসম’ দু’ প্রকার। এক তো সেই কসম যা কসমের ইচ্ছায় করা হয় না; বরং যা কথার একটা মুদ্রারূপে মুখে এসে পড়ে, বিশেষত আরবদের মধ্যে এর বহুল প্রচলন ছিল। তারা কথায় কথায় وَاللهِ (আল্লাহর কসম) বলে দিত। দ্বিতীয় প্রকারের লাগব হল সেই কসম, যা মানুষ অনেক সময় পেছনের কোনও ঘটনা সম্পর্কে করে থাকে, আর তার ধারণা অনুযায়ী তা সত্য, মিথ্যা বলার কোনও ইচ্ছা তার থাকে না, কিন্তু পরে ধরা পড়ে যে, কসম করে সে যে কথা বলেছিল তা আসলে সঠিক ছিল না। এ উভয় প্রকারের কসমকেই লাগব বলা হয়। এ আয়াত জানাচ্ছে যে, এ জাতীয় কসমে কোনও গুনাহ নেই। অবশ্য মানুষের উচিত, কসম করার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং এ জাতীয় কসমও এড়িয়ে চলা।


    ২)

    لَا یَسۡمَعُوۡنَ فِیۡہَا لَغۡوًا اِلَّا سَلٰمًا ؕ وَلَہُمۡ رِزۡقُہُمۡ فِیۡہَا بُکۡرَۃً وَّعَشِیًّا

    মুফতী তাকী উসমানী
    তারা সেখানে শান্তিমূলক কথা ছাড়া কোন বেহুদা কথা শুনবে না এবং তারা সেখানে সকাল-সন্ধ্যায় জীবিকা লাভ করবে।

    মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
    তারা সেখানে সালাম ব্যতীত কোন অসার কথাবার্তা শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাদের জন্যে রুযী থাকবে।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন
    সেখানে তারা ‘শান্তি’ ব্যতীত কোন অসার বাক্য শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাদের জন্যে থাকবে জীবনোপকরণ।

    —মারইয়াম - ৬২

    ৩)

    আল মু'মিনূন, আয়াতঃ ৩

    وَالَّذِیۡنَ ہُمۡ عَنِ اللَّغۡوِ مُعۡرِضُوۡنَ ۙ

    অর্থঃ
    মুফতী তাকী উসমানী
    যারা অহেতুক বিষয় থেকে বিরত থাকে। ২

    মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
    যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন
    যারা অসার ক্রিয়াকলাপ হতে বিরত থাকে,

    ---------------------

    তাফসীর (মুফতী তাকী উসমানী) (Bangla)

    ২. لغو অর্থ অহেতুক কাজ, যাতে না দুনিয়ার কোন ফায়দা আছে, না আখেরাতের।


    ৪)

    আত্ ত্বুর, আয়াতঃ ২৩

    یَتَنَازَعُوۡنَ فِیۡہَا کَاۡسًا لَّا لَغۡوٌ فِیۡہَا وَلَا تَاۡثِیۡمٌ

    অর্থঃ
    মুফতী তাকী উসমানী
    সেখানে তারা (বন্ধুত্বপূর্ণভাবে) কাড়াকাড়ি করবে সূরা পাত্র নিয়ে, যা পান করার দ্বারা কোন অনর্থ ঘটবে না এবং হবে না কোন গুনাহ। ৫

    মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
    সেখানে তারা একে অপরকে পানপাত্র দেবে; যাতে অসার বকাবকি নেই এবং পাপকর্মও নেই।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন
    সেখানে তারা পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদান করতে থাকবে পানপাত্র, যা হতে পান করলে কেউ অসার কথা বলবে না এবং পাপ কর্মেও লিপ্ত হবে না।

    ---------------------

    তাফসীর (মুফতী তাকী উসমানী) (Bangla)

    ৫. ‘কাড়াকাড়ি’ শব্দ দ্বারা এমন প্রীতিপূর্ণ খুনসুটি বোঝানো হয়েছে, যা কোন উপভোগ্য বস্তুর স্বাদ গ্রহণের জন্য বন্ধুজনদের মধ্যে হয়ে থাকে এবং যাতে কারও মনে কষ্ট হয় না; বরং তাতে মজলিসের মাধুর্য আরও বেড়ে যায়। সুতরাং বলা হয়েছে যে, সেই সুরাপাত্র থেকে পান করার দ্বারা কোনও রকম অনর্থ ঘটবে না এবং গুনাহের কোন কাজও হবে না, যা সাধারণত দুনিয়ার সুরাখোরদের মধ্যে হয়ে থাকে। সে সুরায় এমন নেশা থাকবে না, যার দরুন মানুষ অশোভন কাজে উৎসাহ পায়।


    ৫)

    আল ফুরকান, আয়াতঃ ৭২

    وَالَّذِیۡنَ لَا یَشۡہَدُوۡنَ الزُّوۡرَ ۙ وَاِذَا مَرُّوۡا بِاللَّغۡوِ مَرُّوۡا کِرَامًا

    অর্থঃ
    মুফতী তাকী উসমানী
    এবং (রহমানের বান্দা তারা) যারা অন্যায় কাজে শামিল হয় না ৩৩ এবং যখন কোন বেহুদা কার্যকলাপের নিকট দিয়ে যায়, তখন আত্মসম্মান বাঁচিয়ে যায়। ৩৪

    মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
    এবং যারা মিথ্যা কাজে যোগদান করে না এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন
    এবং যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং অসার ক্রিয়াকলাপের সম্মুখীন হলে স্বীয় মর্যাদার সঙ্গে তা পরিহার করে চলে।

    ---------------------

    তাফসীর (মুফতী তাকী উসমানী) (Bangla)

    ৩৩. কুরআন মাজীদে এস্থলে শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে زور (যূর), যার আভিধানিক অর্থ মিথ্যা। তাছাড়া যে-কোন ভ্রান্ত ও অন্যায় কাজকেও ‘যূর’ বলে। এ হিসেবে আয়াতের অর্থ হচ্ছে, সেখানে কোন অন্যায় ও অবৈধ কাজ হয়, আল্লাহর নেক বান্দাগণ তাতে জড়িত হয় না। আবার এ অর্থও করা যেতে পারে যে, তারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না।
    ৩৪. অর্থাৎ, তারা যেমন বেহুদা ও অহেতুক কাজে শরীক হয় না, তেমনি যারা সে কাজে জড়িত, তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যও করে না; বরং তারা মন্দ কাজকে মন্দ জেনে নিজের মান রক্ষা করে সেখান থেকে চলে যায়।

    চলবে ইনশাআল্লাহ....

Working...
X