Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুমিনদের জিহাদ ও কাফেরদের জিহাদ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুমিনদের জিহাদ ও কাফেরদের জিহাদ

    রামযি ইউসুফের ব্লগ থেকেঃ
    আমাদের মধ্যে থেকে কেউ যদি সেনাবাহিনীতে চাকরি করে, আর্মি অফিসার, ক্যাপ্টেন, মেজর – তাহলে তা বাবা -মা, পরিবারের জন্য গর্বের কারন হয়ে দাঁড়ায়। বাবা মা সন্তান কে নিয়ে গর্ব করে, আমার সন্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। কার সেনাবাহিনী? হাসিনার, তাগুতের। এমন সন্তান যদি বিদেশে গিয়ে তাগুতের আদেশের আজ্ঞাবহ হয়ে কাফিরদের কোন স্বার্থ রক্ষার জন্য মারা যায় তবে তার সন্তান শহীদ হয়ে গেছে এই ভেবে শান্তি লাভ করতে চায়!
    |
    অথচ - আমার সন্তান যদি মুজাহিদ হয়, জিহাদ করে, আল্লাহর সেনাবাহিনীতে জয়েন করে তাহলে তা আমাদের কে লজ্জা দেয়! আমরা ভীত হই! এমন কি অনেক যুবক ভাই আছেন নিজেদের কে তাগুতের সেনাবাহিনীতে তাগুতের ইউনিফর্মে দেখতে পারলে ধন্য মনে করেন অথচ আল্লাহর সেনাবাহিনীতে জয়েন করার কথা আসলে তাদের চোখে এমন ভীতি চলে আসে যেন তাদের কে মৃত্যুর দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! আল্লাহর পথে জিহাদ করে নিহত হলে যে প্রকৃত শহীদ যার ব্যাপারে এবং আল্লাহ আয়াত নাজিল করেছেন, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদিসের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিয়েছেন, সেই শহীদের ব্যাপারে আমরা ভয় পাই! লজ্জা পাই! অথচ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর তামান্না ছিল এই যে – তিনি যুদ্ধে যাবেন এবং শহীদ হবেন, আবার যুদ্ধে যাবেন এবং শহীদ হয়ে যাবেন, আবার যুদ্ধে যাবেন এবং শহীদ হয়ে যাবেন!

    হাসিনার সেনাবাহিনী আমাদের জন্য সম্মানের কিন্তু আল্লাহর সেনাবাহিনী আমাদের জন্য লজ্জার! এই লজ্জার ভার শুধুই আমাদের। আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে যে সেনাবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন সেই সেনাবাহিনী কে আজ আমরা জঙ্গি বলি! কখনো কি ভেবে দেখেছেন হাসিনার সেনাবাহিনী আপনাকে আসলে কী দিতে পারবে? আপনি কি কখনো আল্লাহর ওয়াদাগুলো পড়ে দেখেছেন? সেখানে হাসিনার বাহিনির ব্যাপারে কোন ওয়াদা আছে কি? হাসিনা আর তার দালালরা আপনাকে শেখায় আপনি মহান কাজে ব্যাস্ত আছেন, আপনি মারা গেলে আপনি শহীদ! কিন্তু কখনো কি দেখেছেন এই ব্যাপারে আল্লাহ কি বলেছেন? আল্লাহ বলেছেন যারা তাগুতের পক্ষে যুদ্ধ করে তারা কাফের। (সুরা নিসা আয়াত ৭৬)। কিয়ামতের দিন আপনার শাহাদতের পুরস্কার কি হাসিনা দিতে পারবে? শহীদের জন্য যে জান্নাতুল ফিরদাউস এর ওয়াদা – তা কি আপনার হাসিনা কিংবা আপনার সেনাপ্রধান দিতে পারবে? আর কত দিন এভাবে চোখ বন্ধ করে রাখবেন? দুনিয়ার সামান্য স্বার্থের জন্য এভাবে আখিরাত কে বিক্রি করে দিয়ে আমরা কী লাভ টা পেলাম!

    আমার প্রিয় ভাইয়েরা - আল্লাহর সেনাবাহিনী তে যোগদান করুন, সরাসরি। কোন যোগ্যতা শর্ত নয়, শুধু ইখলাস এবং নিয়াত নিয়ে জয়েন করবেন। আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়ায় সম্মানজনক রিজিকপ্রাপ্ত হবেন ইনশাআল্লাহ। দুনিয়ার জন্য যা দরকার হয় তা এবং সম্মানজনক রিজিক। মৃত্যুর পরেও রিজিক পাবেন ইনশাআল্লাহ। আরও পাবেন জান্নাতুল ফিরদাউস। মাসিক বা বাৎসরিক হিসেবে না বরং অনন্ত জীবনের জন্য।

    অন্যান্য সুযোগ সুবিধা: মৃত্যুর আগে -
    ক। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য, এবং বিজয়।
    খ। হিদায়েত এবং সরল পথের উপরে অবিচল থাকার জন্য আল্লাহর সাহায্য।
    গ। আল্লাহর খাস সেনাবাহিনী যার ধরন সংখ্যা প্রকৃতি কেউ জানেনা – তা দ্বারা সাহায্য প্রাপ্ত হওয়া।
    ঘ। ফেরেশতা দ্বারা সাহায্য প্রাপ্ত হওয়া।
    ঙ। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অবিরত নফল রোজা এবং নফল নামাজে দন্ডায়মান থাকার মত সওয়াব এমন কি যদি আপনি ঘুমিয়েও থাকেন (কাজ/যুদ্ধের বিরতিতে)।

    অন্যান্য সুযোগ সুবিধা: মৃত্যুর পরে
    ক। মৃত্যুর কস্ট নাই, শুধুই পিঁপড়ার কামড়ের মত সামান্য কষ্ট।
    খ। প্রথম ফোটা রক্ত প্রবাহিত হবার সাথে সাথে জিন্দেগীর সমস্ত গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিবেন।
    খ। কবরে আজাব নাই।
    গ। হাশর এর ময়দানে ৫০ হাজার বছর দাঁড়িয়ে থাকার কস্ট নাই।
    ঘ। বিশেষ সম্মান/ব্যাজ আল্লাহর আরশের নিচে সবুজ পাখি হয়ে ঝুলে থাকার সুযোগ।
    ঙ। ৭২ জন হুর আল আইন।
    চ। নিজের পরিবারের ৭০ জন কে নিজের সাথে জান্নাতুল ফিরদাউসে নিয়ে যাবার সুযোগ।

    কিভাবে জয়েন করব? আল্লাহর সেনাবাহিনী তাগুতের বাহিনির মতো এত সংকীর্ণ নয়। আল্লাহর বাহিনীতে আপনি আপনার জায়াগায় থেকেই কাজ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তো সবার আগে দেখতে চান আমাদের অন্তর।
    · আপনার যদি সামর্থ্য থাকে আপনি জিহাদের ভুমিতে হিজরত করেন
    · আপনার যদি সামর্থ্য থাকে একজন মুজাহিদ কে হিজরতের ব্যাপারে সাহায্য করেন
    · জিহাদের অংশগ্রহণের ৪০-এরও অধিক উপায় আছে সেগুলোর মধ্যে থেকে আপনি যা পারেন সেটা করা শুরু করেন
    · তাগুত কে বর্জন করেন এবং আল্লাহর কাছে দুয়া করতে থাকেন আল্লাহ আপনাকে তাঁর বাহিনির সাথে মিলিয়ে নিবেন ইনশা আল্লাহ।
    الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ
    যারা ঈমানদার তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে আর যারা কাফির তারা যুদ্ধ করে তাগুতের পথে –আন নিসা -৭৬।

    এখন সিদ্ধান্ত আপনার – আপনি কোন বাহিনীতে যোগ দিবেন?
Working...
X