২০০১ সনে যখন মাজার-ই-শরিফের পতন হয়, তখন প্রায় ছয় হাজার তালিবান মুজাহিদিন অবরুদ্ধ হয়ে পরে আহমেদ শাহ মাসাউদের সেনাবাহিনী এবং তার মিত্রদের দ্বারা আফগানিস্তানের, কুন্দুজ শহরে।
মোল্লা দাদুল্লাহ আখুন্দ (রঃ) কুন্দুজে সে সময়ে তালিবানদের কমান্ডার ছিলেন, আর তখন তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের সফলতায়। সেই সময়ে যারা সেই ঘটনার সাথে সংযুক্ত ছিল, তারা আজ একমত যে তাকে (দাদুল্লাহ) ব্যতীত নিশ্চিতভাবেই ছয় হাজার তালিবান মুজাহিদিন মৃত্যুর মুখে পতিত হত ঠিক সেভাবে যেভাবে এর আগে হয়েছিল মাজার-ই-শরিফে। এই এক-পা এর কমান্ডার সবসময়ই প্রস্তুত থাকতেন প্রত্যকটি সামরিক অভিযান নিজে পরিচালনার জন্য। নিজের যোদ্ধাদের সাথে তিনি যুদ্ধের ফ্রন্টে দাঁড়াতেন এবং উদ্যমতার সাথে অগ্রসর হতেন নিজের যোদ্ধাদের মধ্য থেকে প্রথমে। তার দায়িত্বের নীতি ছিল অনেক কঠোর যেখানে কেউর সাহস হত না নিজেদের দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাওয়ার বা অবহেলা করার। তিনি তার যোদ্ধাদের বলতেন, “মৃত্যু বরন কর মানুষের মত, কিন্তু নিজেকে শত্রুর হাতে স্বমর্পন করিও না! নিজেকে হত্যা করিও না যেভাবে অন্যরা করেছে মাজারে। শুধুমাত্র মানুষের মত সাহস এবং বিশ্বাসি পারবে তোমাদেরকে বাঁচাতে। যদি কেউ লড়াই করতে চাই তাহলে তার পশ্চাদপসরণ করা উচিত হবে না, আর যদি সেই ব্যক্তি পশ্চাদপসরণ করে তাহলে আমি নিজেই তাকে গুলি করব”।
সে ছিল একজন সাহসী যুবক মানুষ যে ভয় কাকে বলে জানতো না। হয়তো বা এখানে আরো অনেক আছে তার মত, কিন্তু সেই ছিল শুধু একজন যিনি মাসাউদের নরদান এলায়েন্সকে পামির পাহারি অঞ্চলে আটকিয়ে রেখেছিলেন, আর ঐ সব (নরদান এলায়েন্সের) কমান্ডার এমনকি তার শব্দের আওয়াজের সামনেও দাঁড়াতে পারেনি।
- My life with the Taliban, (পৃষ্ঠা ৮৭)
আব্দুল সালাম যায়িফ, তালিবান সাবেক রাষ্ট্রদূত, পাকিস্তান।
মোল্লা দাদুল্লাহ আখুন্দ (রঃ) কুন্দুজে সে সময়ে তালিবানদের কমান্ডার ছিলেন, আর তখন তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের সফলতায়। সেই সময়ে যারা সেই ঘটনার সাথে সংযুক্ত ছিল, তারা আজ একমত যে তাকে (দাদুল্লাহ) ব্যতীত নিশ্চিতভাবেই ছয় হাজার তালিবান মুজাহিদিন মৃত্যুর মুখে পতিত হত ঠিক সেভাবে যেভাবে এর আগে হয়েছিল মাজার-ই-শরিফে। এই এক-পা এর কমান্ডার সবসময়ই প্রস্তুত থাকতেন প্রত্যকটি সামরিক অভিযান নিজে পরিচালনার জন্য। নিজের যোদ্ধাদের সাথে তিনি যুদ্ধের ফ্রন্টে দাঁড়াতেন এবং উদ্যমতার সাথে অগ্রসর হতেন নিজের যোদ্ধাদের মধ্য থেকে প্রথমে। তার দায়িত্বের নীতি ছিল অনেক কঠোর যেখানে কেউর সাহস হত না নিজেদের দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাওয়ার বা অবহেলা করার। তিনি তার যোদ্ধাদের বলতেন, “মৃত্যু বরন কর মানুষের মত, কিন্তু নিজেকে শত্রুর হাতে স্বমর্পন করিও না! নিজেকে হত্যা করিও না যেভাবে অন্যরা করেছে মাজারে। শুধুমাত্র মানুষের মত সাহস এবং বিশ্বাসি পারবে তোমাদেরকে বাঁচাতে। যদি কেউ লড়াই করতে চাই তাহলে তার পশ্চাদপসরণ করা উচিত হবে না, আর যদি সেই ব্যক্তি পশ্চাদপসরণ করে তাহলে আমি নিজেই তাকে গুলি করব”।
সে ছিল একজন সাহসী যুবক মানুষ যে ভয় কাকে বলে জানতো না। হয়তো বা এখানে আরো অনেক আছে তার মত, কিন্তু সেই ছিল শুধু একজন যিনি মাসাউদের নরদান এলায়েন্সকে পামির পাহারি অঞ্চলে আটকিয়ে রেখেছিলেন, আর ঐ সব (নরদান এলায়েন্সের) কমান্ডার এমনকি তার শব্দের আওয়াজের সামনেও দাঁড়াতে পারেনি।
- My life with the Taliban, (পৃষ্ঠা ৮৭)
আব্দুল সালাম যায়িফ, তালিবান সাবেক রাষ্ট্রদূত, পাকিস্তান।