গাজওয়া অর্থ যুদ্ধ বা জিহাদ, হিন্দ অর্থ ভারতবর্ষ। অর্থাৎ ভারতবর্ষে মুসলিমদের সাথে মুশরিকদের নেতৃত্বে কাফির বাহিনীর সাথে যে যুদ্ধ সংগঠিত হবে তাহাই হলো গাজওয়-ই-হিন্দ।
এই যুদ্ধ প্রসঙ্গে রাহমাতুল্লিল আল আমিন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পাঁচটি হাদিস পাওয়া যায়। তার মধ্য থেকে তিনটি হাদিস বর্ণনা করলাম।
.
০১
হযরত ছাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার উম্মতের দুটি দল, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দান করবেন। একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈশা ইবনে মারিয়াম (আঃ)-এর সঙ্গে থাকবে।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩১৭৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)
.
০২
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) বলেছেন “অবশ্যই একটি দল ভারতবর্ষে মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ সেই যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন। তারা সেখানকার শাসকদেরকে শিকল/বেড়ী দিয়ে বেধে টেনে হিছড়ে নিয়ে আসবে। অতপর আল্লাহ সেই সকল যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন, তারা হবে সুসংবাদ প্রাপ্ত। বিজয়ী এই যোদ্ধারা শাম (সিরিয়া) এ ফিরে এসে ঈশা ইবনে মারিয়াম সাথে সাক্ষাৎ পাবে। (আল ফিতান, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০৯)
আবু হুরায়রা (রাঃ) আরো বলেন, আমি যদি গাজওয়ায়-ই-হিন্দে অংশ গ্রহণের সুযোগ পায় তবে আমি আমার নতুন পুরাতন সকল সম্পদ বিক্রি করে দিয়ে বিক্রয়লব্ধ অর্থ নিয়ে উক্ত যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করবো। এরপর আল্লাহ আমাদের বিজয় দান করবেন, এবং আমি যখন শামে (সিরিয়ায়) ফিরে যাব তখন আমি হব একজন নিশ্চিত (জাহান্নামের আগুন হতে মুক্ত) স্বাধীন আবু হুরায়রা এবং সেখানে আমরা ঈশা (আঃ) এর সাথে মিলিত হব। (মুসনাদে ইসহাক, হাদিস নং ৪৭৭)
.
০৩
হযরত সাফওয়ান বিন উমরু (রাঃ) বলেন, কিছু সাহাবী তাকে বলেছেনঃ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মাতের একদল ইমানদার লোক ভারতবর্ষের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তাদের সফলতা দান করবেন। এমনকি তারা সেখানকার শাসকদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ অবস্থায় পাবে। আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। যখন তারা শাম (সিরিয়া) এ ফিরে আসবে, তখন তারা ঈশা ইবনে মারিয়াম (আঃ) এর সাক্ষাৎ লাভ করবে। (আল ফিতান, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪১০)
.
(রাসুল (সাঃ) এর বর্ণনা অনুযায়ী ভারতবর্ষ বর্তমান মিয়ানমারের আরাকান, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত।)
এই যুদ্ধের শহীদদের মর্যাদা সম্পর্কে এক বর্ণনায় বলা হয়েছে “উক্ত যুদ্ধে যে এক-তৃতীয়াংশ লোক শহীদ হবে, তাদের একেক জন শহীদ বদরী দশ জন শহীদের সমান হবে। বদরী শহীদদের একজন ৭০ জনের জন্য সুপারিশ করতে পারবেন, পক্ষান্তরে এই যুদ্ধের একেক জন শহীদ ৭০০ জনের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। (আল ফিতান, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪১৯)
.
তবে মনে রাখতে হবে, এটি একটি শানগত মর্যাদা। অন্যথায় মোটের উপর বদরী শহীদদের মর্যাদা ইতিহাসের সকল শহীদদের মাঝে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ।
হাদিস গুলি পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় রাসুল (সাঃ) এর কাছে এই যুদ্ধের মর্যাদা কত বেশী ছিল। আফসোস! আমরা সেই মর্যাদাপূর্ণ জিহাদ বা যুদ্ধ সম্পর্কে একদম গাফেল। আমাদের নিকটতম বন্ধু আজ সেই হিন্দুরা।
এই যুদ্ধ প্রসঙ্গে রাহমাতুল্লিল আল আমিন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পাঁচটি হাদিস পাওয়া যায়। তার মধ্য থেকে তিনটি হাদিস বর্ণনা করলাম।
.
০১
হযরত ছাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার উম্মতের দুটি দল, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দান করবেন। একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈশা ইবনে মারিয়াম (আঃ)-এর সঙ্গে থাকবে।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩১৭৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)
.
০২
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) বলেছেন “অবশ্যই একটি দল ভারতবর্ষে মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ সেই যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন। তারা সেখানকার শাসকদেরকে শিকল/বেড়ী দিয়ে বেধে টেনে হিছড়ে নিয়ে আসবে। অতপর আল্লাহ সেই সকল যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন, তারা হবে সুসংবাদ প্রাপ্ত। বিজয়ী এই যোদ্ধারা শাম (সিরিয়া) এ ফিরে এসে ঈশা ইবনে মারিয়াম সাথে সাক্ষাৎ পাবে। (আল ফিতান, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০৯)
আবু হুরায়রা (রাঃ) আরো বলেন, আমি যদি গাজওয়ায়-ই-হিন্দে অংশ গ্রহণের সুযোগ পায় তবে আমি আমার নতুন পুরাতন সকল সম্পদ বিক্রি করে দিয়ে বিক্রয়লব্ধ অর্থ নিয়ে উক্ত যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করবো। এরপর আল্লাহ আমাদের বিজয় দান করবেন, এবং আমি যখন শামে (সিরিয়ায়) ফিরে যাব তখন আমি হব একজন নিশ্চিত (জাহান্নামের আগুন হতে মুক্ত) স্বাধীন আবু হুরায়রা এবং সেখানে আমরা ঈশা (আঃ) এর সাথে মিলিত হব। (মুসনাদে ইসহাক, হাদিস নং ৪৭৭)
.
০৩
হযরত সাফওয়ান বিন উমরু (রাঃ) বলেন, কিছু সাহাবী তাকে বলেছেনঃ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মাতের একদল ইমানদার লোক ভারতবর্ষের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তাদের সফলতা দান করবেন। এমনকি তারা সেখানকার শাসকদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ অবস্থায় পাবে। আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। যখন তারা শাম (সিরিয়া) এ ফিরে আসবে, তখন তারা ঈশা ইবনে মারিয়াম (আঃ) এর সাক্ষাৎ লাভ করবে। (আল ফিতান, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪১০)
.
(রাসুল (সাঃ) এর বর্ণনা অনুযায়ী ভারতবর্ষ বর্তমান মিয়ানমারের আরাকান, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত।)
এই যুদ্ধের শহীদদের মর্যাদা সম্পর্কে এক বর্ণনায় বলা হয়েছে “উক্ত যুদ্ধে যে এক-তৃতীয়াংশ লোক শহীদ হবে, তাদের একেক জন শহীদ বদরী দশ জন শহীদের সমান হবে। বদরী শহীদদের একজন ৭০ জনের জন্য সুপারিশ করতে পারবেন, পক্ষান্তরে এই যুদ্ধের একেক জন শহীদ ৭০০ জনের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। (আল ফিতান, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪১৯)
.
তবে মনে রাখতে হবে, এটি একটি শানগত মর্যাদা। অন্যথায় মোটের উপর বদরী শহীদদের মর্যাদা ইতিহাসের সকল শহীদদের মাঝে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ।
হাদিস গুলি পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় রাসুল (সাঃ) এর কাছে এই যুদ্ধের মর্যাদা কত বেশী ছিল। আফসোস! আমরা সেই মর্যাদাপূর্ণ জিহাদ বা যুদ্ধ সম্পর্কে একদম গাফেল। আমাদের নিকটতম বন্ধু আজ সেই হিন্দুরা।