যে ব্যক্তি আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়ার আশা রাখে, সে যেন তার প্রস্তুতি নেয়, কারণ) আল্লাহর( স্থীরকৃত) মৃত্যু অবশ্যই আসবে। এই নির্ধারিত সময় তো আসবেই। যেকোন অবস্থাতেই তা আসবে। তাই যদি আমাদের রব এটাকে দাওয়াতের ময়দানেই কবুল করতে চান তবে আপত্তি কিসে? আগ- পিছ ভাবা কিসে? জানের সওদা করে ফেলার পর তাকে সোপর্দ করে দিতে গড়িমসি কিসে? তোমার সাথীরা যুদ্ধের ময়দানে মাথা হাতের তালুতে রেখে হকের পথে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই তুমি এখন দাওয়াতের ময়দানে মাথায় কাফন বেঁধে নাও। শাহাদাতের লায়লাকে সেখানেই খুঁজতে থাকো। একত্র তো ইনশাল্লাহ এক জায়গায়ই হতে হবে। যারা মহান উদ্দেশ্যে বের হয়েছে, তাদেরকে তো উদ্দেশ্যর জন্য বিভিন্ন কুরবানী দিতেই হয়। বিপ্লবের আওয়াজ উত্তোলনকারী দলের গলায় তো হার পরিধান করানো হয় না, বরং এই পাগলদের জন্য তো ফাঁসির রশি এবং হত্যার নতুন নতুন রূপ আবিষ্কার করা হয়। তপ্ত মরুকে খেজুর বাগান বানানোর আশায় যদি কিছু কাটা বিধে যায়,তবে চিন্তিত হওয়া উচিত নয়। যদি আমাদের রক্ত ও সাতরে উম্মতের কিশতী গন্তব্যপানে পৌঁছে যায়, তবে আমরা ব্যর্থ নই । যদি বহুজাতিক জোটের ভূ-সীমানায়বিভক্ত কালিমার গ্রন্থিতে একীভূত করার জন্য আমাদের নিজের লাশের পুল বানাতে হয়, তাহলে কদমে কদমে স্খলন সৃষ্টি না হওয়া চাই। যদি বরফে কম্পমান উম্মতকে উষ্ণতা দেওয়ার জন্য আমাদের দেহকে জ্বালাতে হয়, তবে এটা আমাদের স্থায়ী প্রশান্তির কারণ হবে। এ সবকিছু অনর্থক যাবে না ইনশাআল্লাহ। তারপরে এই কুরবানীসমূহের বিনিময়ে এমন একটি সময় আসবে, যখন সত্য বিজয়ী হবে, বাতিল শেষ হয়ে যাবে। তারপর লোকজন দলে দলে ঐ দৃষ্টিভঙ্গিকে গ্রহণ করে নিবে। যার জন্য এই জামাত উঠেছিল। এবং রক্তসাগর পাড়ি দিয়েছিল। আপনি একটু চিন্তা করুন, মুহাম্মদ সা. -এর আনীত জীবন ব্যবস্থা না থাকার কারণে শুধু মানুষই নয়, বরং পুরো মানবতা আজ কেমন দুঃসহ জীবনযাপন করছে? আল্লা্হ স্বীয় দ্বীনের মর্যাদা উঁচু করার জন্য আপনাদেরকে নির্বাচন করেছেন, তার সাহায্যের জন্য আপনাদেরকে মনোনীত করেছেন। যদি তার পথে জান কুরবান করতে হয়, সম্পদ বিসর্জন দিতে হয়। আশঙ্কার সম্মুখীন হতে হয় যখন আল্লাহর দ্বীনের সাহায্যের বড় প্রয়োজন। যখন আজ শরীয়তের দুশমনেরা দুনিয়াতে আন্তর্জাতিক আইন, তথা আন্তর্জাতিক ইবলিসি শাসনব্যবস্থাই চালু রাখতে চায়, ইসলামী জীবন ব্যবস্থাকে প্রতিহত করার জন্য আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী যুদ্ধ চালিয়ে যায়। তখন যদি কেউ মুহাম্মদ সা-এর দ্বীনকে সাহায্য করে, তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করে, তার পথে আগত প্রতিকূল অবস্থা সমূহের মোকাবিলা করে। এবং সত্যের পথে অবিচল থাকে, তাহলে এরকম লোকদের জন্য আল্লাহ বড় মর্যাদা রেখেছেন। এরকম সময় উপবিষ্ট লোকেরা আর আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদদেরকে সাহায্যকারীগণ সমান হতে পারে না। এরকম সময়ে আল্লাহর শরীয়ত বাস্তবায়নের জন্য অর্থব্যয়কারীগণ আর সম্পদ সঞ্চয়কারীগণ সমান হতে পারে না।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সূরা হাদীদ ১০ নং আয়াতে বলেছেন-
তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করছো না? অথচ আসমানসমূহ ও যমীনের উত্তরাধিকার তো আল্লাহরই?
হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর শরীয়তের উপর ঈমান আনয়নকারীগণ! তোমাদের কি হলো যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করছ না, আসমান এবং যমীনের উত্তরাধিকার আল্লাহরই। এ সবকিছুই তার। তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে এবং যুদ্ধ করেছে তারা সমান নয়। যে বিজয়ের পূর্বে খরচ করেছে এবং জিহাদ করেছে. তারা সমান ঐ লোকেরা হতে পারে না, যারা বিজয়ের পরে খরচ করেছে এবং জিহাদ করেছে। এই সকল লোকেরা ঐ সমস্ত লোকদের তুলনায় মর্যদায় ঊর্ধ্বে যারা পরবর্তীতে সম্পদ খরচ করেছে এবং যুদ্ধ করেছে। বরং মর্যাদা বিবেচনায় এ সবলোকেরা উত্তম ঐ সমস্ত লোকদের তুলনায় যারা বিজয়ের পরে খরচ করেছে এবং যুদ্ধ করেছে কারণ বিজয়ের পূর্বে বিপদ-আপদ এই সময় আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সমূহ উপর হিরো বিশ্বাস রাখা বাহ্যিক পরিস্থিতির বিপরীত মনে হয়, দুর্বল ঈমানের অধিকারীরা কুফুরের শক্তি দেখে এই কুমন্ত্রণার শিকার হয় যে তাদের মোকাবিলায় মুসলমানগণ কিভাবে বিজয়ী হবে! সুতরাং এই সময় আল্লাহর ও আল্লাহর রাসূলের প্রতিশ্রুতি সমূহের উপর ঈমান রেখে যারা নিজেদের মাল এই রাস্তায় খরচ করে, নিজেদের জান এই রাস্তায় উৎসর্গ করে মর্যাদা হিসাবে তারাই উত্তম।সবসময় যারা মুজাহিদদেরকে সাহায্য করবে, যারা সময় দিবে ,যারা এই সময় নিজের সন্তানদেরকে আল্লাহর রাস্তায় কুরবান হওয়ার জন্য পেশ করবে, যখন মুজাহিদদের সাহায্যকারীদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে, যারা জিহাদকে ভালোবাসে তাদেরকে ঘরের মধ্যে গুপ্ত হত্যা করা হচ্ছে, ঘর থেকে উঠিয়ে শহীদ করে রাস্তায় নিক্ষেপ করা হচ্ছে, এই সময় আল্লাহ নিজের দ্বীনের সাহায্যকারীদেরকে অবশ্যই সাহায্য করবেন এবং তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন। হে উম্মতে মোহাম্মদীর সন্তানগণ! চোখ খোল এবং ক্ষীণ অনুভূতি থেকে বেরিয়ে এসো, মিডিয়ার মিষ্টি কথার প্রতি কর্ণপাত করোনা! পরাজয়, পরাজয়ই হয়।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সূরা হাদীদ ১০ নং আয়াতে বলেছেন-
তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করছো না? অথচ আসমানসমূহ ও যমীনের উত্তরাধিকার তো আল্লাহরই?
হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর শরীয়তের উপর ঈমান আনয়নকারীগণ! তোমাদের কি হলো যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করছ না, আসমান এবং যমীনের উত্তরাধিকার আল্লাহরই। এ সবকিছুই তার। তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে এবং যুদ্ধ করেছে তারা সমান নয়। যে বিজয়ের পূর্বে খরচ করেছে এবং জিহাদ করেছে. তারা সমান ঐ লোকেরা হতে পারে না, যারা বিজয়ের পরে খরচ করেছে এবং জিহাদ করেছে। এই সকল লোকেরা ঐ সমস্ত লোকদের তুলনায় মর্যদায় ঊর্ধ্বে যারা পরবর্তীতে সম্পদ খরচ করেছে এবং যুদ্ধ করেছে। বরং মর্যাদা বিবেচনায় এ সবলোকেরা উত্তম ঐ সমস্ত লোকদের তুলনায় যারা বিজয়ের পরে খরচ করেছে এবং যুদ্ধ করেছে কারণ বিজয়ের পূর্বে বিপদ-আপদ এই সময় আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সমূহ উপর হিরো বিশ্বাস রাখা বাহ্যিক পরিস্থিতির বিপরীত মনে হয়, দুর্বল ঈমানের অধিকারীরা কুফুরের শক্তি দেখে এই কুমন্ত্রণার শিকার হয় যে তাদের মোকাবিলায় মুসলমানগণ কিভাবে বিজয়ী হবে! সুতরাং এই সময় আল্লাহর ও আল্লাহর রাসূলের প্রতিশ্রুতি সমূহের উপর ঈমান রেখে যারা নিজেদের মাল এই রাস্তায় খরচ করে, নিজেদের জান এই রাস্তায় উৎসর্গ করে মর্যাদা হিসাবে তারাই উত্তম।সবসময় যারা মুজাহিদদেরকে সাহায্য করবে, যারা সময় দিবে ,যারা এই সময় নিজের সন্তানদেরকে আল্লাহর রাস্তায় কুরবান হওয়ার জন্য পেশ করবে, যখন মুজাহিদদের সাহায্যকারীদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে, যারা জিহাদকে ভালোবাসে তাদেরকে ঘরের মধ্যে গুপ্ত হত্যা করা হচ্ছে, ঘর থেকে উঠিয়ে শহীদ করে রাস্তায় নিক্ষেপ করা হচ্ছে, এই সময় আল্লাহ নিজের দ্বীনের সাহায্যকারীদেরকে অবশ্যই সাহায্য করবেন এবং তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন। হে উম্মতে মোহাম্মদীর সন্তানগণ! চোখ খোল এবং ক্ষীণ অনুভূতি থেকে বেরিয়ে এসো, মিডিয়ার মিষ্টি কথার প্রতি কর্ণপাত করোনা! পরাজয়, পরাজয়ই হয়।