Announcement

Collapse
No announcement yet.

উলামায়ে কেরামের চোখে জিহাদ ও সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-৩

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উলামায়ে কেরামের চোখে জিহাদ ও সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-৩

    ★জিহাদ কখন ফরজে আইন হয়? ★

    জিহাদ ফরজ। অবশ্য এর জন্য কিছু শর্ত-শারায়েতও রয়েছে। ফিকহের কিতাবগুলোতে বিস্তারিতভাবে তা বর্ণনা করা হয়েছে। ফরজ দুই ধরণের হয়ে থাকে। ফরজে আইন, ফরজে কিফায়া। শত্রু বাহিনী যখন মুসলমানদের উপর আক্রমণ করে, তখন মুসলমানদের উপর তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরজে আইন হয়ে যায়। নতুবা জিহাদ করা ফরজে কিফায়া থাকে।
    (বায়ানুল কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত-২১৬)

    (আমার নিজস্ব কিছু পর্যালোচনা আপমাদের খেদমতে পেশ করছি।) গত বছর কাশ্মীরের জিহাদের ব্যাপারে দারুল উলূম হাটহাজারীতে জিহাদ ফরজে আইনের ফতোয়া তলব করা হয়েছিল। তখন হাটহাজারী ইফতা বোর্ড থেকে ফতোয়া ডেলিভারি দেওয়া হয়েছিল, কাশ্মীরের জিহাদ এখনো ফরজে আইন হয়নি। আমার কথা হলো, কাশ্মিরে সাধারণ মুসলমানদের উপর কারা আগ্রাসী হামলা চালিয়েছিলো?
    সেখানে মুসলমানদেরকে নাপাক মুশরিকরা গণহারে হত্যা-নির্যাতন করেছিল নাকি ধরে ধরে চুম্মা দিয়েছিল? কাশ্মীরের নির্যাতনের কথা তামাম দুনিয়ার মানুষ জানে। এদেশের আলেম সমাজও জানেন। আম মূলনীতি অনুযায়ী "শত্রু বাহিনী যখন মুসলমানদের উপর আক্রমণ করে, তখন মুসলমানদের উপর তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরজে আইন হয়ে যায়"। ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহি. আরেকটু আগ বেড়ে বলেছেন, " যদি মুসলমানদের এক বিগত জায়গা কাফিররা আক্রমণ করে দখল করে নেয়, তখন সে ভূমি রক্ষা করা মুসলমানদের উপর ফরজ হয়ে যায়"। আমার কথা হলো, ভারত সরকার কী কাশ্মিরের ভূমি জোর দখল করে নি? সেখানে লুটতরাজ, শিশু হত্যা, নারী ধর্ষণ করে নি? এরপর পরেও কাশ্মীরের জিহাদ ফরজে আইন হয় নি কেন? আফসোস! তখন কাশ্মিরে জিহাদ ফরজে আইন সাব্যস্ত হলেও আমাদের কিছু আলেমদের কাছে তা ফরজে কেফায়াই ছিল! আমরা জানতে চাই, আর কতো মা-বোনের ইজ্জত হরণ হলে, আর কতো মুসলমানের রক্তে সাগর তৈরী হলে জিহাদ ফরজে আইন হবে? অনুরুপ আরাকানের বিষয়টি সমান।
    আমাদের দেশে আরেকটা ভ্রান্তি কাজ করছে, "বাংলাদেশ দারুল আমান, আইমিন "দারুল ইসলাম"। তাই বাংলাদেশে এখনো জিহাদ ফরজে আইন হয়নি। আমার জানার বিষয় হলো, দারুল ইসলাম কখন সাব্যস্ত হয় ভাই? আপনারাই তো ভুলভাল মিলিয়ে ফতোয়াবাজী করেন? কই আপনাদের একটা ফতোয়াও তো রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্বায়েম না? যেখানে একটা ফতোয়া আপনারা কায়েম করতে পারেননি, সেখানে ইসলাম, মুসলমান নিরাপদ তা তো বহুত দূর কী বাত! যদি ইসলামের একটা আইনও এদেশে না চলে, তাহলে আপনাদেরই মুর্শিদ (শায়খ আশরাফ আলী থানভী রাহি., আল্লাহ উনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন) এর ফতোয়া অনুযায়ী এদেশে দারুল হরব। কারণ এদেশের বিচার ব্যবস্থা পুরাটাই শরীয়াহ বিরোধী। এখানে শরয়ী আইন লাঞ্চিত। এদেশের শাসকরা তাগুত হয়ে বসে আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে তারা আইনে কাফিরদের চাইতেও মারাত্মক । এই শাসকরা তো বিদেশি প্রভুদের খুশি করতে অহরহ মুসলমানদের হত্যা করছে। তারা বিদেশি প্রভুদের ইশারায়, বিশেষ করে ইসকন, উগ্রবাদী মালাউন হিন্দুদের দ্বারা এদেশের অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসা, ইবাদতগাহ মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। অসংখ্য ইমাম-মুয়াজ্জিন সহ সাধারণ মুসলমানদেরকে বিভিন্ন ইস্যুর অজুহাতে হত্যা করছে। তাহলে এদেশ দারুল আমান হলো কী করে? আর যে দেশ দারল ইসলাম নয় তা তো আমভাবে সবাই জানে সেখানে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। দারুল ইসলাম নয় মানেই দারুল হরব। আর যে দেশ দারুল হরব সেদেশে নির্দ্বিধায় জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়।
    (শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি রহ. বলেন- " কোন মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ হওয়ার তৃতীয় একটি কারণ হলো; কোন মুসলমান যদি কাফেরদের বিজয় ও সাহায্যের জন্য, তাদের পক্ষালম্বন করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে কিংবা লড়াইয়ে কাফেরদেরকে সাহায্য করে। যখন কাফের ও মুসলমানদের মাঝে যুদ্ধ বাধে, তখন কাফেরদের পক্ষ অবলম্বন করে। এটি কুফর ও শত্রুতার সর্বনিকৃষ্ট স্তর। যার ফলে ঈমানের উপর মৃত্যু লাভ করা এবং ইসলামের পথে চলা অসম্ভব হয়ে যাওয়ার এমন ভয়াবহ অবস্থা হয় যে, যারপরে কুফরের আর কোন স্তর কল্পনা করাও দুস্কর। দুনিয়ার সর্ব প্রকার গোনাহ, সব ধরণের নাফরানি, সব রকমের নাপাকি ও যত রকমের মন্দ কাজ একজন মুসলমান করতে পারে কিংবা চিন্তা করতে পারে, এই সবগুলোর চেয়ে কাফেরের পক্ষালম্বন করা নিকৃষ্টতর।
    যে মুসলমান কাফেরদের পক্ষালম্বন করবে, সে সুনিশ্চিতভাবে কাফের। বরং সর্ব নিকৃষ্টতম কাফের। সে শুধু মুসলিম হত্যাতেই শরীক নয় বরং ইসলামের বিরুদ্ধে আল্লাহ তা'য়ালার শত্রুদের অনুসরণ ও সাহায্যকারী। আর এটি সকলের ঐক্যমতে সুস্পষ্ট কুফর। এমন অবস্থায় যখন শরীয়ত কোনো বিধর্মীদের সাথে কোনো ধরণের সম্পর্ক রাখার বৈধতা দেয়নি, তাহলে যুদ্ধের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট সাহায্য করার পরেও কীভাবে তার ঈমান ও ইসলাম বাকী থাকতে পারে!
    (মায়ারিফে মাদানী, ইফাদাতে শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি রহ. অধ্যায়-কতলে মুসলিম। সংকলন ও বিন্যস্ত করেছেন আল্লামা মুফতি আব্দুশ শাকুর তিরমিজি)

    এই ফতোয়া অনুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমান সরকার কাফির-মুরতাদ। কেননা তারা কিছুদিন আগে ঘোষণা দিয়েছে কাশ্মীর ইস্যুতে তারা সর্বাবস্থায় ভারতের পাশে থাকবে। এমনকি এদেশের মুসলমান যদি মুক্তিকামী কাশ্মিরিদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে বাংলাদেশের তাগুত সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। আরেকটা প্রমাণ হলো, ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যাও এই ফতোয়ার শামিল। কেননা এদেশীয় আওয়ামী দুসরেরা ভারতীয় প্রভুদের পক্ষাবলম্বন করে একজন নিরীহ মুসলমানকে হত্যা করেছে। আর এটা সরকারের ইশারায়-ই হয়েছে তা সবারই জানা। এরকম বর্তমান বাংলাদেশ সরকার নিত্য-নতুন অহরহ ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যা কুফর ও মুরতাদ হওয়ার শামিল।
    তাহলে যে দেশের শানস ব্যবস্থা কুফরি আইন বাস্তবায়নকারী, যে দেশের সরকার মুরতাদ-তাগুত, সে দেশের সরকার উপরোক্ত ফতোয়ার মিসদাক অর্থাৎ তারা শত্রুর বন্ধু, সে দেশ দারুল ইসলাম হয় কী করে আমার বুঝে আসছে না!
    ★ইকদামি জিহাদের হুকুম★

    ইকদামি জিহাদের শর্তসমূহ পাওয়া গেলে, কাফেরদের বিরুদ্ধে ইকদামি জিহাদ শুরু করা সঠিক হবে।...

    আর কাফেররা যদি ইসলাম গ্রহণ না করে, তাহলে তাদের ব্যাপারে একমাত্র বিধান হলো তাদেরকে হত্যা করা। সুতরাং তারা যদি জিযিয়া দিতে চায়, তাহলে তা গ্রহণ করা হবে না।
    (বায়ানুল কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত-১৯০)

    ★শাহাদাত হলো সর্বশ্রেষ্ঠ আমল★

    .... সুতরাং শাহাদাৎ যেহেতু সর্বশ্রেষ্ঠ আমল, তাই তার উপর প্রতিদানও হবে সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তায়ালা এর বিনিময়ে যে সমস্ত প্রতিদান রেখেছেন, তার মধ্য থেকে এটিও একটি যে, মুজাহিদদের এবং শুহাদাগণের কোনো ধরণের ভয়-ভীতি থাকবে না।
    (ওয়াদা হলো এই) যে ব্যক্তি আমার পথে আমার কাজে অংশগ্রহণ করবে, আমি তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে সব ধরণের সহায়তা করবো।
    ( বায়ানুল কুরআন, সূরা আলে ইমরান, আয়াত-১৭০)

    ★জিহাদ করার কারণ সমূহ★

    এই আয়াতে জিহাদ করার কারণ-সমূহ বর্ণনা করা হচ্ছে। যেগুলো পাওয়া গেলে কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা আবশ্যক।
    উদাহরণ স্বরুপ : রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা, তাদের বিরোধীতা করা,তাদেরকে যেকোনো ধরনের কষ্ট দেওয়া, সত্যধর্ম ইসলামের আলো নিভিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা ইত্যাদি।
    (বয়ানুল কুরআন, সূরা সফ,আয়াত-৫)

    ★জিহাদের বিধান প্রকৃত তাই জিহাদের বিধান প্রকৃত কল্যাণ উপযোগী।
    (বায়ানুল কুরআন, সূরা সফ, আয়াত-৬)


    ★জিহাদের জন্য বের হতে পারা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ★

    আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    كما اخرخك ربك من بيتك.....
    যেমনিভাবে বের করে এনেছেন আপনাকে (জিহাদের জন্য) আপনার প্রতিপালক ঘর থেকে...........।
    এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নিজে অনুগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিহাদের জন্য ঘর থেকে বের করে আনাকে অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ থেকে বুঝা যায়, জিহাদের জন্য বের হওয়া আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ।

    (বয়ানুল কুরআন, সূরা আনফাল, আয়াত-৫)

    ★জিহাদের মাধ্যমেই মুসলমানগণ বিজয়ী হবেন এবং কাফেররা হবে পরাজিত★

    পূর্ববর্তী আয়াতের মধ্যে আল্লাহ তা'য়ালা বর্ণনা করেছেন যে, তিনি মুসলমানদেরকে কাফেরদের ক্ষতি ও অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করবেন। আর এই আয়াতের মধ্যে বর্ণনা করে দিচ্ছেন যে, কীভাবে তাদেরকে রক্ষা করবেন। আর তা এভাবে যে, মুসলমানগণ জিহাদ করবেন, আল্লাহ তা'য়ালা এই জিহাদের মধ্যে তাদেরকে সাহায্য করবেন। ফলে কাফেররা পরাজিত হবে এবং ইসলাম ও মুসলমানগণ বিজয়ী হবেন।
    (বয়ানুল কুরআন, সূরা হজ্, আয়াত-৩৯)

    ★রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণের দাবী হল জিহাদের ময়দানে অবিচল থাকা★

    জিহাদের ময়দানে পাহাড়ের ন্যায় অটল থাকা, রাসূল সা.-এর অনুসরণের দাবী এবং পূর্ণ ঈমানের পরিচায়ক। সুতরাং মুনাফিকরা যেহেতু দাবী করে জিহাদের ময়দানে যায়নি। তাই তারা চরমভাবে লজ্জিত হবে। আর মুসলমানগণ সুসংবাদ প্রাপ্ত হবেন। কেননা, তারাই আল্লাহ তায়ালা এই আয়াত

    لمن كان يرجوا الله....
    -এর মধ্যে উদ্দেশ্য।

    (বয়ানুল কুরআন, সূরা আহযাব,আয়াত- ২১)

    ★জিহাদ ছেড়ে সুন্নতের অনুসারী দাবি করা গোমরাহি বৈ কিছুই নয়★

    আল্লাহ তা'য়ালা বলেন- "তোমাদের জন্য" অর্থাৎ এমন ব্যক্তিদের জন্য যারা আল্লাহ তা'য়ালা ও আখিরাতকে ভয় করে থাকে এবং বেশি বেশি আল্লাহ তা'য়ালার যিকির করে থাকে। অর্থাৎ তোমরা যারা পরিপূর্ণ মুমীন তাদের জন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি উত্তম আদর্শ হলো জিহাদে অংশ গ্রহণ করা। কেননা, স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিহাদে অংশ করেছেন। সুতরাং তাঁর চেয়ে বেশি প্রিয় আর কে আছে যে, জিহাদের ক্ষেত্রে সে তাঁর অনুসরণ করবে না, বরং নিজের জান বাঁচিয়ে ঘুরতে থাকবে?
    (বয়ানুল কুরআন, সূরা আহযাব,আয়াত-২১)

    ফায়দা: এ থেকে বুঝা যায়, জিহাদে অংশ গ্রহণ করা, তাতে অবিচল থাকা এবং আল্লাহ তা'য়ালার পথে যেকোনো ধরনের কুরবানী পেশ করা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তরীকা। একারণে যে সমস্ত ব্যক্তিগণ নিজেদের জীবন থেকে জিহাদকে ছুঁড়ে মেরেছেন, তাদের জন্য এই সুস্পষ্ট আয়াত এবং তার ব্যাখ্যার মধ্যে অবশ্যই চিন্তার খোরাক রয়েছে। আহ! তারা যদি একটু চিন্তা করার সময় পেতেন!

    ★জিহাদের হুকুম মুমীনের জন্য পরীক্ষা★

    তোমাদেরকে জিহাদের হুকুম এই জন্য দেওয়া হয়েছে যে, তোমাদের এক-জনের মাধ্যমে যেন অপর জনকে পরীক্ষা করা হয়। মুমীনের জন্য পরীক্ষা হলো, কারা আল্লাহর হুকুমকে নিজের জানের উপর প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং কারা প্রাধান্য দেয় না, তা যাচাই করার জন্য। আর কাফেরদের জন্য পরীক্ষা হলো, কারা এই শান্তির প্রতি ভীত হয়ে সত্য দ্বীনকে গ্রহণ করে এবং কারা তারপরেও মুখ ফিরিয়ে থাকে, তা যাচাই করা। সুতরাং এই হেকমতের জন্যও জিহাদকে বৈধ সাব্যস্ত করা হয়েছে।
    (বয়ানুল কুরআন, সূরা মুহাম্মদ, আয়াত-৪)

    চলবে →→→→
    সাথেই থাকুন
Working...
X