বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সমস্ত ফরযের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ফরয! আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি তো!
নিশ্চয় জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদাত। যখন জিহাদ ফরযুল কিফায়াহ থাকে তখন জিহাদই সর্বশ্রেষ্ঠ ফরযুল কিফায়াহ। ইমাম আহমাদ রাহিঃ বলেন, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর চেয়ে পূণ্যের কোন কাজ নেই।
জিহাদ ফারযুল আইন হলে তা অন্য সকল ফরযের উপর প্রাধান্য পাবে, তবে সালাত ব্যতিক্রম। যেমন, হাম্বলী মাযহাবের ইমামগণ বলেন, সালাত ফারযুল আঈন জিহাদের উপর প্রাধান্য পাবে। কেননা তাদের মতে সালাত তরক করা কুফরী, যা ইসলামের গন্ডী থেকে বের করে দেয়।
তবে মালিকী, হানাফী ও শাফিয়ী মাজহাব হল: যখন ইমাম বা আমীরের পক্ষ থেকে জিহাদের ঘোষনা করা হবে কিংবা মুসলিম ভূমিতে কুফ্ফাররা আক্রমনের জন্য প্রবেশ করবে, তখন সালাত ও জিহাদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। বরং ইমাম ইবনু তাইমিয়া রাহিঃ বলেন, ঈমান আনার পর প্রথম ফরয হচ্ছে, আগ্রাসী শত্রুকে প্রতিহত করা। প্রথমত: ঈমান “ শাহাদাতাইনের স্বাক্ষ্য প্রদান”। অতপর; আগ্রাসী শত্রুকে প্রতিহত করণ।
জিহাদ যখন ফরযুল আইন হবে তখন বিলম্বিত হবে না। পক্ষান্তরে সিয়াম রমজান মাসেও জিহাদের কারণে ভেঙ্গে ফেলা বৈধ। যেমন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কুরা’ আল আমিম বা আসফান নামক স্থানে পৌঁছলেন , তখন ( সময়টা ছিল আসরের সালাতের পর ) জনসম্মুখে পান পাত্র থেকে পানি পান করে সিয়াম ভঙ্গ করলেন। এবং বললেন, “নিশ্চয় তোমরা শত্রুদের মুখোমুখি হবে, আর সিয়াম ভঙ্গ করা তোমাদের শক্তি যোগাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট সংবাদ পৌঁছল যে, কতক সাহাবী রাযিঃ সিয়াম ভঙ্গ করেন নি। তখন তিনি বললেন, “ তাঁরা হচ্ছে পাপাচারী! তাঁরা হচ্ছে পাপাচারী!”- সহিহ মুসলিম।
নিঃসন্দেহে যখন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ও সিয়াম পালনের বিষয়টি একসঙ্গে আসবে তখন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ অগ্রাধিকার পাবে। এ বিষয়ে সকল ইমামগণ একমত।
উম্মাহ এ বিষয়ে একমত, ফরযুল আইন জিহাদ ফরয হজ্ব, সিয়াম ও সালাতের উপর প্রাধান্য পাবে। যেমন খন্দক যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আসরের সালাত ছুটে গিয়েছিল। তখন তিনি বলেন, “ আল্লাহ তাআলা তাঁদের কবর ও ঘরগুলো আগুনে ভর্তি করে দিন, তাঁরা আমাদের মধ্যবর্তি সালাত ( আসরের সালাত) থেকে ব্যস্ত রেখেছে” -সহিহ মুসলিম।
সুতরাং ফরযুল আইন জিহাদ সমস্ত ফরয ইবাদাতের উপর প্রাধান্য পাবে, যখন অন্য ফরযগুলো জিহাদের সাথে পালনের প্রসঙ্গ আসবে।
শাইখুল জিহাদ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ এর কিতাব “ফিল জিহাদি ফিকহুন ওয়া ইজতিহাদুন” থেকে সংগ্রহিত।
হে তরুণ ভাইয়েরা! একটু চিন্তা করুন।হে আল্লাহর বান্দাগণ! আপনাদের এমন কী হলো, যার কারণে এই মহান ইবাদাতকে গুরুত্ব দিচ্ছি না! অথচ এমন কোন সাহাবীকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি জিহাদে শরীক হন নি। আল্লাহ আমাদেরকে সুস্থতা, দৃষ্টিশক্তি, বিবেক এবং সম্পদ, সকল নিয়ামত দান করেছেন! আমরা দুনিয়াবী ধান্ধার জন্য সারা দুনিয়া চষে বেড়াতে পারি, তাহলে কি নিজের স্রষ্টা ও মালিকের সাহায্যের জন্য ঘর থেকে বের হতে পারি না? হঠাৎ মৃত্যু আসার আগেই নিজের জীবন, সুস্থতা, সম্পদ এবং জীবনকে গনীমত মনে করা জরুরী।
হে আল্লাহ! আরশে আজীমের অধিপতি! আপনি আমাদের এই মহান ইবাদাতের জন্য কবুল করুন..আমীন!
পরিশেষে একটি নিবেদন, মুহতারম ভাইয়েরা! আমি আপনাদের নবীন ভাই! তাই জিহাদের পথে দৃঢ়ভাবে চলার জন্য ও শাহাদাতের মৃত্যু নসীবের জন্য আপনাদের কাছে খাসভাবে দোয়া চাই। আপনাদের নেক দোয়ায় আমাকে স্বরণ করার আকুল আবেদন করছি।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান!
সমস্ত ফরযের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ফরয! আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি তো!
নিশ্চয় জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদাত। যখন জিহাদ ফরযুল কিফায়াহ থাকে তখন জিহাদই সর্বশ্রেষ্ঠ ফরযুল কিফায়াহ। ইমাম আহমাদ রাহিঃ বলেন, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর চেয়ে পূণ্যের কোন কাজ নেই।
জিহাদ ফারযুল আইন হলে তা অন্য সকল ফরযের উপর প্রাধান্য পাবে, তবে সালাত ব্যতিক্রম। যেমন, হাম্বলী মাযহাবের ইমামগণ বলেন, সালাত ফারযুল আঈন জিহাদের উপর প্রাধান্য পাবে। কেননা তাদের মতে সালাত তরক করা কুফরী, যা ইসলামের গন্ডী থেকে বের করে দেয়।
তবে মালিকী, হানাফী ও শাফিয়ী মাজহাব হল: যখন ইমাম বা আমীরের পক্ষ থেকে জিহাদের ঘোষনা করা হবে কিংবা মুসলিম ভূমিতে কুফ্ফাররা আক্রমনের জন্য প্রবেশ করবে, তখন সালাত ও জিহাদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। বরং ইমাম ইবনু তাইমিয়া রাহিঃ বলেন, ঈমান আনার পর প্রথম ফরয হচ্ছে, আগ্রাসী শত্রুকে প্রতিহত করা। প্রথমত: ঈমান “ শাহাদাতাইনের স্বাক্ষ্য প্রদান”। অতপর; আগ্রাসী শত্রুকে প্রতিহত করণ।
জিহাদ যখন ফরযুল আইন হবে তখন বিলম্বিত হবে না। পক্ষান্তরে সিয়াম রমজান মাসেও জিহাদের কারণে ভেঙ্গে ফেলা বৈধ। যেমন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কুরা’ আল আমিম বা আসফান নামক স্থানে পৌঁছলেন , তখন ( সময়টা ছিল আসরের সালাতের পর ) জনসম্মুখে পান পাত্র থেকে পানি পান করে সিয়াম ভঙ্গ করলেন। এবং বললেন, “নিশ্চয় তোমরা শত্রুদের মুখোমুখি হবে, আর সিয়াম ভঙ্গ করা তোমাদের শক্তি যোগাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট সংবাদ পৌঁছল যে, কতক সাহাবী রাযিঃ সিয়াম ভঙ্গ করেন নি। তখন তিনি বললেন, “ তাঁরা হচ্ছে পাপাচারী! তাঁরা হচ্ছে পাপাচারী!”- সহিহ মুসলিম।
নিঃসন্দেহে যখন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ও সিয়াম পালনের বিষয়টি একসঙ্গে আসবে তখন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ অগ্রাধিকার পাবে। এ বিষয়ে সকল ইমামগণ একমত।
উম্মাহ এ বিষয়ে একমত, ফরযুল আইন জিহাদ ফরয হজ্ব, সিয়াম ও সালাতের উপর প্রাধান্য পাবে। যেমন খন্দক যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আসরের সালাত ছুটে গিয়েছিল। তখন তিনি বলেন, “ আল্লাহ তাআলা তাঁদের কবর ও ঘরগুলো আগুনে ভর্তি করে দিন, তাঁরা আমাদের মধ্যবর্তি সালাত ( আসরের সালাত) থেকে ব্যস্ত রেখেছে” -সহিহ মুসলিম।
সুতরাং ফরযুল আইন জিহাদ সমস্ত ফরয ইবাদাতের উপর প্রাধান্য পাবে, যখন অন্য ফরযগুলো জিহাদের সাথে পালনের প্রসঙ্গ আসবে।
শাইখুল জিহাদ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ এর কিতাব “ফিল জিহাদি ফিকহুন ওয়া ইজতিহাদুন” থেকে সংগ্রহিত।
হে তরুণ ভাইয়েরা! একটু চিন্তা করুন।হে আল্লাহর বান্দাগণ! আপনাদের এমন কী হলো, যার কারণে এই মহান ইবাদাতকে গুরুত্ব দিচ্ছি না! অথচ এমন কোন সাহাবীকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি জিহাদে শরীক হন নি। আল্লাহ আমাদেরকে সুস্থতা, দৃষ্টিশক্তি, বিবেক এবং সম্পদ, সকল নিয়ামত দান করেছেন! আমরা দুনিয়াবী ধান্ধার জন্য সারা দুনিয়া চষে বেড়াতে পারি, তাহলে কি নিজের স্রষ্টা ও মালিকের সাহায্যের জন্য ঘর থেকে বের হতে পারি না? হঠাৎ মৃত্যু আসার আগেই নিজের জীবন, সুস্থতা, সম্পদ এবং জীবনকে গনীমত মনে করা জরুরী।
হে আল্লাহ! আরশে আজীমের অধিপতি! আপনি আমাদের এই মহান ইবাদাতের জন্য কবুল করুন..আমীন!
পরিশেষে একটি নিবেদন, মুহতারম ভাইয়েরা! আমি আপনাদের নবীন ভাই! তাই জিহাদের পথে দৃঢ়ভাবে চলার জন্য ও শাহাদাতের মৃত্যু নসীবের জন্য আপনাদের কাছে খাসভাবে দোয়া চাই। আপনাদের নেক দোয়ায় আমাকে স্বরণ করার আকুল আবেদন করছি।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান!