PDF Download Links
https://archive.org/details/LokkhoUddessoKamonHoaDorkar
http://www.mediafire.com/file/4dc3gh...orkar.pdf/file
https://sabercathost.com/9w1f/lokkho...hoa_dorkar.pdf
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য যিনি মানব জাতির জন্য পথ নির্দেশিকার ব্যবস্থা করেছেন। সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক এই উম্মতের শিক্ষক, আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। ইসলামের প্রথম *যুগ থেকে এখন পর্যন্ত যত ঈমানদার ভাই ও বোন সঠিক আক্বীদাহ ধারণ করে ছিলেন ও আছেন যারা প্রতিকূল অবস্থাতেও সঠিক আক্বীদাহ ও দ্বীন ত্যাগ করেননি, যারা এক আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে রেখেছেন, যারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবকিছু ব্যয় করতে রাজি এমন কি নিজের জীবন দিতেও দ্বিধা করেনা, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাদেরকে ক্ষমা করে তদের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে দিন, আর আমাদেরকেও তাঁর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করুন; আমীন।লক্ষ্য উদ্দেশ্য কেমন হওয়া দরকার?
অধিকাংশ মানুষের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারিত, যার যে লক্ষ্য সে তা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের উপায় উপকরণ ব্যবস্থা অবলম্বন ও সংগ্রাম করে চলছে। কত ধৈর্য্য, কত সহ্য, কত ত্যাগ, অনেকে কত অপেক্ষার প্রভাত গণনা করছে তার লক্ষ্যে পৌছার জন্য। এরপরেও কেউ পৌঁছতে পারছে আবার কেউ তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছে না আবার অনেকে তার লক্ষ্যে পৌঁছার পর বুঝতে পেরেছে যে, সে যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে এত দিন তার পিছনে ছুটেছে তাতে আসলে পরিতৃপ্ত হওয়ার কিছুই নেই কারন এসব কিছুই তার থেকে পৃথক হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে, সে এতদিন মরিচিকাকে পানি মনে করে তৃষ্ণা নিবারণ করার জন্য তার পিছনে ছুটেছে, কাছে পৌঁছার পর সে বুঝতে পেরেছে এটা আসলে মরিচিকা এতে তৃষ্ণা নিবারক কিছুই নেই। মহান আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য যে কোন কিছুকেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারিত করা হোক না কেন তা ধ্বংসশীল। নিজের খেয়ালখুশির অনুসরণ করে বা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দ্রুততার সাথে যে কোন একটা লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করাই বুদ্ধি বিচক্ষণতার পরিচয় নয়, যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য শেষ পরিণামে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে এমন লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচয়, আর কোনটি উপকারী ও সঠিক এমন লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করার জন্য লাগবে চুড়ান্ত পরিণতি সম্পর্কিত জ্ঞান। আসুন আল কুরআনের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে সতর্কতার সাথে নিজের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করি।
দুর্ভাগাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য-
মহাজ্ঞানী আল্লাহ সূরা নাযিআতে বলেন-
فَأَمَّا مَنْ طَغَىٰ [٧٩:٣٧]
অনন্তর যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে; [সূরা নাযিআত ৭৯:৩৭]
وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا [٧٩:٣٨]
এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, [সূরা নাযিআত ৭৯:৩৮]
فَإِنَّ الْجَحِيمَ هِيَ الْمَأْوَىٰ [٧٩:٣٩]
তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। [সূরা নাযিআত ৭৯:৩৯]
উপরোক্ত আয়াতসমূহ থেকে স্পষ্ট, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর আনুগত্যকে উপেক্ষা করে দুনিয়ার জীবনকে তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য বানিয়ে নেয় এবং দুনিয়ার জীবনকে বেশী গুরুত্ব দেয় সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
সূরা হুমাযাহতে মহান আল্লাহ বলেন-
وَيْلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَةٍ [١٠٤:١]
ধ্বংস প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির জন্য, যারা পশ্চাতে ও সম্মুখে লোকের নিন্দা করে; [সূরা হুমাযাহ ১০৪:১]
الَّذِي جَمَعَ مَالًا وَعَدَّدَهُ [١٠٤:٢]
যে অর্থ জমায় ও তা গণনা করে রাখে; [সূরা হুমাযাহ ১০৪:২]
يَحْسَبُ أَنَّ مَالَهُ أَخْلَدَهُ [١٠٤:٣]
সে মনে করে যে, তার অর্থ তাকে চিরস্থায়ী করে রাখবে; [সূরা হুমাযাহ ১০৪:৩]
كَلَّا ۖ لَيُنْبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ [١٠٤:٤]
কখনো নয়, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে হুতামায়; [সূরা হুমাযাহ ১০৪:৪]
উপরোক্ত আয়াতসমূহের আলোকে- যারা অহংকারী, যারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য সম্পদ ব্যয় না করে দুনিয়ার জীবনে ভোগ বিলাসের জন্য সম্পদ জমায়, পরকালের ব্যাপারে যাদের বিশ্বাস ঠিক নেই যারা তাদের সম্পদের ব্যাপারে এরূপ ধারণা রাখে যে তা তাকে চিরস্থায়ী করে রাখবে, তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ভুল ও অস্থায়ী, এদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
সূরা ইবরাহীম এ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন-
الَّذِينَ يَسْتَحِبُّونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا عَلَى الْآخِرَةِ وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ وَيَبْغُونَهَا عِوَجًا ۚ أُولَٰئِكَ فِي ضَلَالٍ بَعِيدٍ [١٤:٣]
যারা পরকালের চাইতে পার্থিব জীবনকে পছন্দ করে; আল্লাহর রাস্তায় বাধা দান করে এবং তাতে বক্রতা অন্বেষণ করে, তারাই তো ঘোর বিভ্রান্তিতে রয়েছে। [সূরা ইবরাহীম ১৪:৩]
এ আয়াত থেকে একেবারে স্পষ্ট যে, যারা পরকালের চেয়ে দুনিয়ার জীবনকে সবথেকে বেশী ভালবাসে আর এ জন্যই তারা নিজে আল্লাহর রাস্তায় (سَبِيلِ اللَّهِ) জীবন দিতে চায় না বরং অন্য যারা আল্লাহর রাস্তায় জীবন দিতে চায় তাদেরকেও এরা বাধা দান করে এবং আল্লাহর রাস্তার অপব্যাখ্যা ও এথেকে অব্যহতি লাভের বাহানা যারা খুঁজে তারা চরমভাবে পথভ্রষ্ট, এরা এখনও আখিরাত দিবসের ব্যাপারে সন্দেহে লিপ্ত। দুনিয়া নামক যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য এরা নির্ধারণ করেছে তার চুড়ান্ত পরিণতি বড়ই ভায়াবহ।
সূরা তাওবায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন-
قُلْ إِنْ كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ ۗ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ [٩:٢٤]
বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই, তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যাতে তোমরা মন্দা পড়বার আশঙ্কা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যাকে তোমরা পছন্দ কর (যদি এসব) তোমাদের নিকট অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তার রসূল ও তার পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হিদায়াত দান করেন না। (সূরা তাওবাহ ৯:২৪)
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট যে- মহান আল্লাহ, তার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর রাস্তার জিহাদকে সব থেকে বেশী ভালবাসতে হবে এ ছাড়া অন্য কিছুকে বেশী ভালবাসলে তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার বিধানে অপরাধ আর এরূপ অপরাধী বান্দাদেরকে পরাক্রমশালী আল্লাহ শাস্তি দান করবেন আর এরা হিদায়াতও পাবে না।
সুতরাং দুনিয়াকে পরকালের চেয়ে বেশী প্রধান্য দেয়া, দুনিয়ার জীবন এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়কে সব থেকে বেশী ভালবাসা বা লক্ষ্য উদ্দেশ্য বানানো হচ্ছে বিভ্রান্তি, যার চূড়ান্ত পরিণতিতে ব্যক্তিকে জাহান্নামে যেতে হবে।
সূরা নাহলে মহা বিচারক আল্লাহ বলেন-
ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمُ اسْتَحَبُّوا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا عَلَى الْآخِرَةِ وَأَنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ [١٦:١٠٧]
এটা এ জন্যে যে, তারা পার্থিব জীবনকে পরকালের চাইতে প্রিয় মনে করেছে এবং আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। [সূরা নাহল ১৬:১০৭]
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট- যারা এক আল্লাহ, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম তথা পরকালে বিশ্বাস করে না তারাই পার্থিব জীবনকে লক্ষ্য উদ্দেশ্য বানায় এবং এটাকেই সব থেকে বেশী ভালবাসে। এরূপ যাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য শুধু দুনিয়া, পরকালের ব্যাপারে যারা উদাসীন এদের শেষ পরিণতি অগ্নিকুন্ডলীতে।
সৌভাগ্যবানদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য-
সূরা আনআমে মহাদাতা আল্লাহ বলেন-
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ [٦:١٦٢]
আপনি বলুন- আমার নামায, আমার কুরবাণী এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে। [সূরা আনআম ৬:১৬২]
لَا شَرِيكَ لَهُ ۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ [٦:١٦٣]
তার কোন অংশীদার নেই। আমি এর জন্যে আদিষ্ট হয়েছি আর আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমিই হলাম প্রথম। [সূরা আনআম ৬:১৬৩]
উপরোক্ত আয়াত সমূহের আলোকে, রাসূলুল্লহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সকল ঈমানদার মুসলিমদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, সব কিছু এমনকি জীবন, মরণের বিনিময়ে হলেও সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে খুশি করা, একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য বানানো।
সূরা তাওবায় মহান আল্লাহ বলেন-
وَمِنَ الْأَعْرَابِ مَنْ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَيَتَّخِذُ مَا يُنْفِقُ قُرُبَاتٍ عِنْدَ اللَّهِ وَصَلَوَاتِ الرَّسُولِ ۚ أَلَا إِنَّهَا قُرْبَةٌ لَهُمْ ۚ سَيُدْخِلُهُمُ اللَّهُ فِي رَحْمَتِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ [٩:٩٩]
আর বেদুঈনদের মধ্যে কতিপয় লোক এমনও আছে, যারা আল্লাহর প্রতি এবং কিয়ামত দিবসের প্রতি (পূর্ণ) ঈমান রাখে, আর যা কিছু ব্যয় করে তাকে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উপকরণরূপে গ্রহণ করে; স্বরণ রাখো! তাদের এই ব্যয়কার্য নিঃসন্দেহে তাদের জন্যে (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের কারণ; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে নিজের রহমতে দাখিল করে নিবেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ হচ্ছেন অতি ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়। [সূরা তাওবাহ ৯:৯৯]
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট যে, যারা বিশ্বাসী (ঈমানদার), যাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করা আর এজন্য যারা তাদের সম্পদও ব্যায় করে তাদেরকে মহান আল্লাহ তাঁর রহমতে প্রবেশ করাবেন আর মহান আল্লাহ যাকে তার রহমতে প্রবেশ করাবেন এদের আর কখনো কোন দুঃখ, দুর্দশা ও দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না, এদেরই লক্ষ্য উদ্দেশ্য সঠিক ও চুড়ান্ত পরিনাম ভাল।
সুতরাং বলা যায় যারা ঈমানদার যাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করা আর এ জন্য তারা সম্পদও ব্যয় করে এমনকি দুনিয়ার জীবন মরন সবকিছু ব্যয় করতে প্রস্তুত, যারা দুনিয়ার জীবনের চেয়ে পরকালকে বেশী গুরুত্ব দেয় এদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সঠিক ও চুড়ান্ত ফলাফলে সুখকর। চিরশান্তি এদের জন্যই অপেক্ষা করছে...
আর যারা দুনিয়ার জীবনকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে আখিরাতকে উপেক্ষা করে, দুনিয়ার জীবনের সুখ, সম্পদ, ভোগ বিলাসিতা যাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এজন্য যারা সম্পদ জমায়, মহান আল্লাহ, তার রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর রাস্তার জিহাদকে সব থেকে বেশী ভালবাসে না ও বিশ্বাসও রাখেনা আর এ জন্যই নিজে আল্লাহর রাস্তায় (سَبِيلِ اللَّهِ) জীবন দিতে চায় না বরং অন্য যারা আল্লাহর রাস্তায় জীবন দিতে চায় তাদেরকেও বাধা দান করে এবং আল্লাহর রাস্তার অপব্যাখ্যা ও এথেকে অব্যহতি লাভের বাহানা যারা খুঁজে তারা চরমভাবে পথভ্রষ্ট, এরা এখনও আখিরাত দিবসের ব্যাপারে সন্দেহে লিপ্ত। দুনিয়া নামক যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য এরা নির্ধারণ করেছে এদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সঠিক নয় এবং এর চুড়ান্ত ফলাফলও দুঃখকর। চিরশাস্তি এদের জন্যই অপেক্ষা করছে...
আসুন স্মরণে রাখি মহান আল্লাহকে, মহান আল্লাহর কথাকে এবং তাঁর কিতাবকে অনুসরণ করেই পথ চলি ও এক আল্লাহর সন্তুষ্টিকে লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করি।
মহাজ্ঞানী আল্লাহ তাঁর কিতাবে বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ ۚ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ [٦٣:٩]
হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিল না করে। যারা এমন করবে (উদাসীন হবে) তারাই তো ক্ষতিগ্রস্থ। [সূরা মুনফিকূন ৬৩:৯]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সকলকে তার পক্ষ থেকে দেয়া হিদায়াত গ্রন্থ অনুসারে আমল করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদেরকে প্রকৃত মুসলিম হিসেবে কবুল করুন। আর আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে সঠিক ও সংশোধিত করার তাওফিক দান করুন আমীন............
হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও প্রার্থনা শ্রবণকারী।
দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক মহান আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি। আল্লাহ তাঁকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন............
সমস্ত প্রশংসা অংশিদারমুক্ত এক আল্লাহ’র জন্য, আমি সাক্ষ্য *দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন কল্যাণ ও অকল্যাণ দাতা নেই, তার কাছেই আমি তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
রচনায়ঃ হুজাইফা