Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদদের মর্যাদা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদদের মর্যাদা

    আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদদের মর্যাদা

    عن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله (صلى الله عليه وسلم) مثل المجاهد في سبيل الله كمثل الصائم القائم القانت بآيات الله لا يفتر من صيام ولا صلاة حتى يرجع المجاهد في سبيل الله ، (متفق عليه)
    হযরত আবু হুরাইরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের উদাহরণ হল ঐ ব্যক্তির মত যে রোযা রাখে, নামায পড়ে, এবং কুরআন তেলাওয়াত করে। আর সে আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদ ফিরে আসা পর্যন্ত রোযা রাখাতে থাকে এবং নামায পড়তে থাকে ক্লান্ত হয় না।


    (নেহায়াহ ওয়ালা বলেছেন, হাদিসের মধ্যে القنوت শব্দের কয়েকটি অর্থ উদ্দেশ্য হতে পারে; তা হল, الطاعة আনুগত্য করা, الخشوع বিনয়, الصلاة নামায, الدعاة দোয়া করা, العبادة ইবাদত করা, القيام নামাযে দাড়ানো, طول القيام নামাযে দির্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকা, এবং السكوت চুপ থাকা)

    মুজাহিদ তার ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় থেকে তার জন্য ছাওয়াব লেখা হতে থাকে। মুজাহিদ যে অবস্থায়ই থাকবে তার প্রতিদান সে পেতে থাকবে ।চাই সে দাড়িয়ে থাকুক বা ঘুমিরে থাকুক, শত্রুর মুকবালা করুক বা না করুক। সুবাহানাল্লাহ!

    ইবনে হুমাম (রহ.) আবু হুরাইরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার সমপরিমাণ কোনো আমল আছে কি? রাসূল (সা বললেন, তোমরা তা পারবে না। এভাবে দু'তিনবার বললেন যে তোমরা তার পারবে না। অতপর বললেন, আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদদের উদাহরণ হল ঐ ব্যক্তির ন্যয় যে রোযা রাখে, নামায পড়ে, কুরআন তেলাওয়াত করে। আর সে নামায পড়তে ও রোযা রাখতে ক্লান্ত বা বিরোত্ববোদ্ধ করে না যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদ ফিরে আসে। তখন সাহাবায়ে কেরাম (রাযিঃ) বললেন, এটা কে পারবে? অর্থাৎ, কেউ পারবে না মুজাহিদদের সমপরিমাণ ছাওয়াব হাসিল করতে।

    জামিউস সগিরের মধ্যে আল্লাহর মুজাহিদদের উদাহরণের ব্যাপারে আছে, আল্লাহর রাস্তার যারা জিহাদ করে তাদের ব্যাপারে (তাদের মর্যাদার ব্যাপারে প্রকৃত অবস্থা) আল্লাহই ভালো জানেন। (তবে দুনিয়ার বাহ্যিক দৃষ্টিতে) তাদের উদাহরণ হবে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে সর্বদা রোযা রাখে এবং নামায পড়ে। আর সে রোযা রাখতে বিরোক্ত হয় না ক্লান্ত হয়না এবং সাদাকা করতে থাকে মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তা থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত।

    আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদদের দায়িত্ব নিয়ে নেন, যদি সে শহীদ হয়ে যায় তাহলে তো তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন অথবা নিরাপদে প্রতিদান অথবা গণিমত দিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে দেন।
    الجامع الصغير ٢/٤٩٩ الحديث، رقم: ٨١٥٦.

    কিসে আমাদের বাধা দিচ্ছে আল্লাহর রাস্তায় বের হতে?! আর কি চান ভাই?! আরো কি চাওয়ার থাকতে পারে। অথচ বর্তমান সময়ে জিহাদ ফরজে আইন। সারা পৃথিবীতে আজ মুসলিম উম্মাহর উপর চলছে জুলুমের ষ্টিম রোলার / করছে হাহাকার/চাই একটু নিরাপদ জায়গা। তারা আল্লাহর কাছে করছে ফরিয়াদ, করছে আল্লাহর দোয়ারে আমাদের ব্যপারে শেকায়াত, কাফেররা মুসলিম ভূখন্ডগুলো দখল করে নিচ্ছে। আবার কোথায় চলছে দখলের চেষ্টা, কোথায় আজ মুসলিম যুবকরা!? তারা কি শুলতে পায়না তার মাজলূম বোনের আর্তচিৎকার ? তারা কি শুনতে পায়না মুসলিম উম্মাহর গলা ফাটানো কান্না ?! আজ যখন মুসলিম উম্মাহ প্রতিদিন কাফেরদের গুলিতে মারা যাচ্ছে তখন একদল মুসলিম খেল তামাশায় নিমগ্ন রয়েছে। কাফেরদের পাতা জালে জরিয়ে পরেছে। আসুন ভাই! আর দেরি না করে, আমাদের দিকেও এমন পরিস্থিতি ধেয়ে আসার আগে ইদাদ ও জিহাদের পথে অগ্রসর হতে থাকি। আসুন ভাই! আমরা সকলে একটি কাফেলা বদ্ধ হই।

    (আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুন, আমিন)
Working...
X