Announcement

Collapse
No announcement yet.

গিরি-কন্দরগুলো ডাকছে: কোথায় হে মুজাহিদগণ! এসো আমাদের কোলে!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গিরি-কন্দরগুলো ডাকছে: কোথায় হে মুজাহিদগণ! এসো আমাদের কোলে!

    তোরাবোরায় দাঁড়ানো মুজাহিদীন; সামনে বোম্বার্ডিং করছে ইউএস বোম্বার


    ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সোভিয়েত বাহিনীর আফগান বর্ডার পাড়ি দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশের মাধ্যমে শুরু হয় প্রথম আফগান জিহাদ। অল্প কদিনের মধ্যে তারা সারা দেশ কব্জা করে নেয়।
    মুজাহিদীন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েন সারা দেশের গ্রামগঞ্জে ও পাহাড় গুহায়। গুহা, পাহাড়ি এলাকা, গিরি, কন্দর, হিংস্র প্রাণীর বাসস্থানগুলো পূর্ণ হয়ে যায় মুজাহিদিনের পদচারণায়। হাজার বছর যাবত যেসব স্থানে বিরাজ করতো পিনপতন নিরবতা, মাঝে মধ্যে শোনা যেতো পাহাড়ি বাঘের গর্জন কিংবা পাহাড়িয়া তক্ষকের ধ্বনি সেইসব স্থান পূর্ন হলো মুজাহিদ পরিচিত একদল উম্মাহর মুক্তিকামী যুবকদের ধ্বনিতে।

    অস্ত্রের গর্জন, কোরআন তেলাওয়াত, মধ্যরাত্রির কান্না সব মিলিয়ে এক শাহাদাতী পরিবেশ। পাহাড়গুলো বেশ পুলকিত ছিলো এই সোনার যুবকদের নিয়ে।

    ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরাজিত হয়ে চলে গেলে মুজাহিদীন এসব স্থান ছেড়ে চলে গেলেন। শহরে বা গ্রামে। যার যার এলাকায়। বিজন হয়ে গেলো এই এলাকাগুলো।

    ২০০১ সালে আবার যখন আমেরিকা আগ্রাসন চালালো, মুজাহিদীন আবার প্রবেশ করলেন এই পাহাড়ি এলাকাগুলোতে। আরও বিস্তৃতভাবে। এবার আফগান থেকে শুরু করে পাকিস্থানের উপজাতি এলাকার কোনো পাহাড়ই বাকি রইলো না। তাদের পদচারণায় পূর্ণ হয়ে গেলো। অন্তত একদিনের জন্য হলেও মুজাহিদদের সংস্পর্শে আসলো। এবার আরো বিশ বছর যাবত তাদের পদধূলি তে ধ্বনি হলো।



    ২০ বছর পরে আবার বিজয় হলো আফগান। এই পাহাড়ি এলাকাগুলো ছেড়ে দিলেন। যার যার ঘরে ফিরলেন। যে যার মতো করে হালাল রুজির তালাশে আবার কেউ শাসনব্যবস্থায় অংশ নিলেন।

    আর কখনো মনে হয়না যে এই এলাকাগুলো মুজাহিদদের সংস্পর্শে আসবে, কারণ আর আফগানে তৃতীয় কোনো শক্তির প্রবেশের সম্ভাবনা নেই।

    কিন্তু এককালে মুজাহিদদের পদধূলি প্রাপ্ত এই পাহাড়, গুহা, কন্দরগুলো মুজাহিদদের ডেকে ডেকে আহ্বান করবে, হে মুজাহিদগণ! তোমরা কোথায়, আসো আবার আমাদের কোলে। আবার আমাদের ধন্য করো। তৃপ্ত করো তোমাদের কোরআন তিলাওয়াত শোনিয়ে।

    যখন আমাদের কোলে শুয়ে শুয়ে তোমরা আজ কোনো শত্রুর ট্যাংক ধ্বংস হওয়ার গল্প করতে আমাদের ভিতর কি আনন্দ অনুভূতি হতো! বলার মত হবে না। আবার যখন শত্রুর যুদ্ধবিমান এসে তোমাদের ওপর আগুনের হল্কা ফেলতো তখন নিজেদের কোলে তোমাদের আশ্রয় দিয়ে আনন্দে কেঁদেই ফেলতাম।

    তোমাদের হাতে যখন শত্রুবাহিনী নিজের চোখে পযুর্দস্থ হতে দেখতাম, আমাদের আনন্দ কে দেখতো! আবার তোমাদেরই কেউ আহত অবস্থায় আমাদের কোলে শুয়ে আর্তনাদ করতো অথবা হয়ে যেত শহীদ তখন কলিজাটা বিদীর্ণ হয় যেতো।

    হে আল্লাহর সেনারা! হাজার বছরের প্রতীক্ষার পরেই এই সুন্দর মুহূর্তগুলো এসেছিলো। আবার প্রতীক্ষায় আছি তোমাদের, কখন আবার তোমাদের পদচারণায় মুখরিত হবে আমাদের হৃদয়গুলো!

Working...
X