Announcement

Collapse
No announcement yet.

★ প্রশ্ন ঃ- জিহাদের জন্য মানবজাতির জন্য কল্যাণ না অকল্যাণ?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ★ প্রশ্ন ঃ- জিহাদের জন্য মানবজাতির জন্য কল্যাণ না অকল্যাণ?

    ★ প্রশ্ন ঃ- জিহাদের মধ্যে মানবজাতির জন্য কল্যাণ না অকল্যাণ?


    ★ প্রশ্ন ঃ- জিহাদের মধ্যে মানবজাতি (অর্থাৎ মুমিন ও কাফের উভয়ের) জন্য কল্যাণ না অকল্যাণ?
    উত্তর ঃ- জিহাদের মধ্যে মানবজাতির জন্য শুধু কল্যাণ আর কল্যাণই হয়। অকল্যাণের কিছুই নেই।

    প্রশ্ন ঃ- জিহাদ মুমিন ও কাফের কাদের জন্য কতটুকু কল্যাণ ?
    উত্তর ঃ- মুমিন ও কাফের উভয়ের জন্য ব্যক্তি হিসেবে কল্যাণ ।

    প্রশ্ন ঃ- তা কিভাবে হয় ?
    উত্তর ঃ- হ্যাঁ ! তাহলে শুনোন।
    মুমিনের দুই অবস্থা
    ১) হয়তো গাজি হবে।
    যদি সে গাজি হয়,
    তাহলে সে জিহাদে অংশ গ্রহণের সাওয়াব ও পাবেই এবং বাড়তি আমল করার কারণে উচুস্তরের জান্নাত ও সে পাবে।

    ২) নয়তো শহীদ হবে।
    যদি সে শহীদ হয়, তাহলে সে সবুজ পাখি হয়ে জান্নাতের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াবে । আর আনন্দ উল্লাসে দিনাতিপাত করবে।

    প্রশ্ন ঃ- আপনি কি শহীদ হতে ইচ্ছুক?
    উত্তর ঃ- হ্যাঁ!

    প্রশ্ন ঃ- আপনি কেন শহীদ হতে ইচ্ছুক?
    উত্তর ঃ- কারণ শহীদ মরে না।

    প্রশ্ন ঃ- আপনি শহীদের ফজিলত জানেন কি?
    উত্তর ঃ- হ্যাঁ!

    প্রশ্ন ঃ- শহীদের মৃত্যুর কষ্ট হবে কি?
    উত্তর ঃ- না। শহীদের মৃত্যুর কষ্ট হবে না। তবে অল্প।

    প্রশ্ন ঃ- অল্পের পরিমাণ কি?।
    উত্তর ঃ- পিপীলিকার কামরের মত।

    প্রশ্ন ঃ- শহীদের কিছু ফজিলত বলবেন কি?
    উত্তর ঃ- হ্যাঁ!
    তাহলে শুনুন ।
    হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “শহীদগণের রূহ সবুজ পাখীর প্রতিস্থাপন করা হয়, ফলে তারা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারে। তারপর তারা আরশের নীচে অবস্থিত কিছু ঝাড়বাতির মধ্যে ঢুকে পড়ে। তখন তাদের রব তাদের প্রতি এক দৃষ্টি দিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কি চাও? তারা বলে হে রব! আমরা কি চাইতে পারি? আমাদেরকে যা দিয়েছেন তা তো আপনি আপনার কোন সৃষ্টিকে দেন নি? তারপরও তাদের রব আবার তাদের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে অনুরূপ প্রশ্ন করেন। যখন তারা বুঝল যে, তারা কিছু চাইতেই হবে, তখন তারা বলে, আমরা চাই আপনি আমাদেরকে দুনিয়ার জীবনে ফেরৎ পাঠান, যাতে আমরা পুনরায় আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদ করে শহীদ হতে পারি। শহীদগণের সাওয়াবের আধিক্য দেখেই তারা এ কথা বলবে- তখন তাদের মহান রব তাদের বলবেন, আমি এটা পূর্বে নির্ধারিত করে নিয়েছি যে, এখান থেকে আর ফেরার কোন সুযোগ নেই। " [মুসলিম: ১৮৮৭]

    প্রশ্ন ঃ- শহীদগণ কি চাইবে?
    উত্তর ঃ- শহীদগণ কি চাইবে পূণরায় দুনিয়ায় আসা ও শহীদ হওয়া। অর্থাৎ বারংবার দুনিয়ায় আসা ও শহীদ হওয়া।

    প্রশ্ন ঃ- এর কোন প্রমাণ আছে কি?
    উত্তর ঃ- হাদীসে বর্ণিত আছে
    ١- [عن أبي هريرة:] لَوَدِدْتُ أنِّي أُقاتِلُ في سبيلِ اللهِ حتّى أُقتَلَ ثمَّ أُحْيا ثمَّ أُقتَل ثمَّ أُحْيا ثمَّ أُقتَلَ ثمَّ أُحْيا ثمَّ أُقتَلَ الطبراني (ت ٣٦٠)، المعجم الأوسط ٧‏/٣٣٤ • لم يرو هذا الحديث عن عبد الله بن علي وهو أبو أيوب الأفريقي إلا أبو يوسف القاضي • شرح رواية أخرى

    আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমি মহব্বত করি যে, আল্লাহর রাস্তায় ক্বিতাল করি যে তার রাস্তায় শহীদ হই, পূণরায় জীবিত হই, আবার শহীদ হই, আবার জীবিত হই ,আবার শহীদ হই, আবার জীবিত, আবার শহীদ হই। বিঃদ্রঃ- উক্ত হাদীসে বারবার জীবিত হওয়া ও বারবার শহীদ হওয়ার কথা এসেছে।

    প্রশ্ন ঃ- শহীদ মারা যায় কি? উত্তর ঃ- শহীদ মরে না বরং তারা জীবিত।

    প্রশ্ন ঃ- শহীদ যে জীবিত তার কোন প্রমাণ আছে কি?
    উত্তর ঃ- হ্যাঁ!
    তার প্রমাণ আছে
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    1) وَ لَا تَقُوۡلُوۡا لِمَنۡ یُّقۡتَلُ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ اَمۡوَاتٌ ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ وَّ لٰکِنۡ لَّا تَشۡعُرُوۡنَ ﴿۱۵۴﴾
    যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত; কিন্তু তোমরা অনুভব করতে পার না।
    2) 2) وَ لَا تَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ قُتِلُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ اَمۡوَاتًا ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ یُرۡزَقُوۡنَ ﴿۱۶۹﴾ۙ
    আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদেরকে তুমি মৃত মনে করো না, বরং তারা তাদের রবের নিকট জীবিত। তাদেরকে রিয্ক দেয়া হয়।

    [১] আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু উপরোক্ত আয়াত সম্পর্কে বলেনঃ আমরা এ আয়াত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ ‘শহীদদের আত্মাকে সবুজ পাখির পেটে রাখা হয়। আরশের সাথে লটকানো ঝাড়বাতির সাথে যেগুলো অবস্থিত। জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা তারা সেখানে বিচরণ করতে পারে। তাদের প্রভু তাদের দিকে একবার তাকিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা কি কিছু চাও?
    তারা বললঃ আমাদের আর কি চাহিদা থাকতে পারে?
    আমরা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারি?
    এভাবে তিনবার তিনি তাদের তা জিজ্ঞাসা করলেন। এরপর যখন শহীদগণ বুঝতে পারল যে, তাদেরকে চাইতেই হবে, তখন তারা বললঃ হে রব! আমরা চাই আমাদের আত্মাকে আমাদের দেহে ফিরিয়ে দেয়া হোক যাতে আমরা আবার আপনার রাস্তায় শহীদ হতে পারি। তারপর আল্লাহ যখন দেখলেন যে, তাদের আর দরকার নেই তখন তাদের এভাবেই ছেড়ে দিলেন। [মুসলিমঃ ১৮৮৭]

    অন্য এক হাদীসে এসেছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সাথে সাক্ষাত হলে বললেনঃ “জাবের, তোমার কি হল, তোমার মন খারাপ দেখছি? আমি বললামঃ ওহুদের যুদ্ধে আমার বাবা শহীদ হয়ে গেলেন। তার পরিবার এবং অনেক ঋণ রেখে গেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাকে কি আমি তোমার বাবার সাথে আল্লাহ তা’আলা কিভাবে সাক্ষাত করেছেন সে সুসংবাদ দেব? আমি বললামঃ অবশ্যই হে আল্লাহ্‌র রাসূল। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা সবার সাথে কথা বলেন পর্দার আড়াল থেকে। কিন্তু তোমার বাবাকে আল্লাহ জীবিত করে সরাসরি কথা বলেছেন এবং বলেছেন, “হে আমার বান্দা, আমার কাছে চাও, আমি তোমাকে দেব।” তিনি বললেনঃ হে আমার রব, আমাকে জীবিত করে দিন যাতে আমি আবার আপনার রাস্তায় শহীদ হতে পারি। মহান আল্লাহ বললেনঃ “আমার পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত এই যে, এরা দুনিয়াতে পুনরায় ফিরে যাবে না।” জাবের বলেনঃ তখন এই আয়াত নাযিল হয়। [তিরমিযীঃ ৩০১০, ইবনে মাজাহঃ ১৯০, ২৮০০]

    ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, শহীদদের অবস্থা ও মর্যাদার মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে। কাজেই বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্ন প্রকার বর্ণনা এসেছে।
    3)
    ٤- أنَّ الشُّهداءَ أحياءٌ يرزقونَ في قبورِهم وَهو ﷺ رأسُ الشُّهداءِ الشوكاني (ت ١٢٥٥)، الفتح الرباني ٧‏/٣٣٣٤ • ثابت

    ★★কাফেরদের জন্য ও কল্যাণ★★

    প্রশ্ন ঃ- কাফেরদের জন্য কল্যাণ কিভাবে?
    উত্তর ঃ- তারা দুই অবস্থা থেকে খালি নয়।
    ১) হয়তো মরবে।
    ২) নাহয় জিবিত থাকবে।

    ★ যদি সে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে সে বেশি শাস্তি থেকে বাঁচবে।
    কারন ! জিবিত থাকলে আরো বেশি অন্যায়, জুলুম- নির্যাতন ও পাপাচারে লিপ্ত থাকত। পরকালে সে শাস্তি আরো বেশি পেত।
    ★ যদি সে জিবিত থাকে, তাহলে সে চিন্তা ফিকির করে মুসলমান হয়ে বিশাল বড় জান্নাতের অধিবাসী হয়ে যাবে।
    আল্লাহ তাআলা বলেন کُنۡتُمۡ خَیۡرَ اُمَّۃٍ اُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ
    তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত [১], মানব জাতির জন্য যাদের বের করা হয়েছে; আবু হুরায়রা রাঃ বলেন, আমরা মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম মানুষ। আমরা তাদেরকে শিকল দিয়ে বেঁধে ইসলামের দিকে নিয়ে আসব। (তাফসিরে কুরতুবি)

    বিঃদ্রঃ - ১)
    শিকল দিয়ে বেঁধে ইসলামের দিকে নিয়ে আসার মাধ্যম হল জিহাদ । আর জিহাদ ছাড়া শিকলে বাঁধা সম্ভব নয়।

    (বিঃদ্রঃ -২)
    শহীদদের আত্মাকে সবুজ পাখির পেটে রাখা হয়। আরশের সাথে লটকানো ঝাড়বাতির সাথে যেগুলো অবস্থিত। জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা তারা সেখানে বিচরণ করতে পারে।)

    প্রশ্ন ঃ- সবুজ পাখির পেটে ঢুকে কে কে জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা সেখানে বিচরণ করতে ইচ্ছুক?
    উত্তর ঃ-

    প্রশ্ন ঃ- জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা সেখানে বিচরণের ইচ্ছা থাকলে এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করছেন কি?
    উত্তর ঃ-

    প্রশ্ন ঃ- দীর্ঘ হায়াতের কোন নিশ্চয়তা আছে কি?
    উত্তর ঃ-

    প্রশ্ন ঃ- প্রস্তুতি এখনই শুরু করবেন কি?
    উত্তর ঃ- হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে বুঝার ও এর উপর আমল করার তৌফিক দাও। আমিন।

    মানুষ মৃত্যুর থেকে বাঁচতে চেষ্টা করে অথচ তা সম্ভব না। কিন্তু ইচ্ছা করলে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারে, কিন্তু তার জন্য চেষ্টা করে না।
Working...
X