بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله رب العالمين و الصلاة ةالسلام علي نبينا محمد
প্রতিরোধযুদ্ধ এবং নিয়োগ, নিরপেক্ষকরণ এবং বিচ্ছিন্নকরনের তত্ত্ব : (১)
সংঘর্ষের ক্ষেত্রে দুটি বিবাদমান পক্ষ (ন্যূনতম)। প্রতিরোধশক্তি এবং শত্রুদের মধ্যে, নিম্নলিখিত শ্রেণী বিদ্যমান,الحمد لله رب العالمين و الصلاة ةالسلام علي نبينا محمد
প্রতিরোধযুদ্ধ এবং নিয়োগ, নিরপেক্ষকরণ এবং বিচ্ছিন্নকরনের তত্ত্ব : (১)
১. প্রতিরোধের সদস্যরা। (২)
২. প্রতিরোধের সাহায্যকারী ও সমর্থক।
৩. নিরপেক্ষ শিবির। (৩)
৪. শত্রুদের সাহায্যকারী এবং তাদের সমর্থক।
৫.শত্রুরা প্রতিরোধের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছে। (আগ্রাসী শত্রু) (৪)
দাওয়াত এবং রাজনৈতিক প্রচেস্টা প্রত্যক প্রতিরোধযুদ্ধে এবং বিপ্লবের প্রতিটি পক্ষে মিডিয়া এবং রাজনৈতিক মাধ্যমে এমনকি কখনও সামরিকভাবেও তীরের আকারে পরিবর্তনের গতিপথ এমন তীরের আকার হয় যা এই উপাদানগুলি শেষ থেকে শুরুর দিকে নিয়ে যায়। (৫)
অর্থাৎ, পঞ্চম সারি থেকে যতটা সম্ভব উপাদান সমুহ, সদস্য এবং জোটকে অর্থাৎ যারা কিনা এ সংঘর্ষ এ সরাসরি শত্রু শিবিরের সাথে সম্পিক্ত তাদের চতুর্থ সারিতে অর্থাৎ যারা সরাসরি যুদ্ধ করছেনা তাদের সারিতে নামিয়ে নিয়ে আসা। আর চলমান এই দ্বন্দ্বে নিরপেক্ষ থাকতে চতুর্থ শ্রেণীকে তৃতীয় শ্রেণিতে স্থানান্তর। প্রতিরোধের সমর্থক হওয়ার জন্য ৩য় শ্রেনী বা নিরেপেক্ষ শ্রেনীকে দ্বিতীয় সারিতে পরিণত করা, যাতে তারা সাহায্যকারী হয়ে যায় এবং আর ২য় সারিকে প্রথম সারিতে পরিনত করা অর্থাৎ সরাসরি প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে। (৬)
৫- শত্রু শিবির → ৪- শত্রুর সমর্থক → ৩- সংঘর্ষে নিরপেক্ষ →
২- প্রতিরোধের সমর্থক → ১- প্রতিরোধে অংশগ্রহণকারী।
(৭)
এবং যখন সামরিক, রাজনৈতিক, মিডিয়া বা অন্যান্য কাজসমুহ এই অবস্থার বিপরীত দিকে নিয়ে যায় (৮)। প্রতিরোধের নেতারা, বা যে কোনও দল যে কোন ধরনের লড়াইয়ে লিপ্ত হয়, এমনকি যদি এটি বাজারে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত একটি বাণিজ্যিক কোম্পানিও হয়, লক্ষ্য করুন সমীকরণটি বিপরীত দিকে যাচ্ছে... সদস্যরা দূরে সরে যায়, সমর্থকরা কমে যায় এবং নিরপেক্ষ হয়, এবং নিরপেক্ষরা শত্রুকে সমর্থন ও সাহায্য করা শুরু করে এবং আর সাহায্যকারীর শ্রেনী শত্রু শিবিরে শামিল হয়।
এই দলটির জেনে রাখা উচিত যে আল্লাহ এই দলটিকে এমন নেতৃত্বর মাধ্যমে পরীক্ষা করছেন যারা পরাজয় ও ব্যর্থতার দিকে যাচ্ছে এবং তাদের কাজের প্রোগ্রাম এবং আন্দোলনের ধরন ভুলের উপর ভিত্তি করেছে।
এটা রাজনীতি ও যুদ্ধের জগতে সাধারণ নীতি যার খুব কমই এর বাইরে হয়ে থাকে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সহজতর করা লাগবে যাতে সমর্থকদের সারি থেকে রিক্রট করা যায় এবং নিরেপেক্ষরা সমর্থক হয়ে যায়, শত্রুর সারি ভেংগে যায়। এইভাবে, প্রতিরোধ, এর সদস্য এবং তার সমর্থকদের বৃত্ত প্রসারিত হয়। নিরেপেক্ষতার বৃত্তটি শত্রুর কাছাকাছি চলে গিয়েছে এবং প্রতিরোধের পক্ষে ইতিবাচক নিরপেক্ষতার বৃত্তে প্রবেশ করেছে। শত্রুর সমর্থকদের সারি ভেংগে তারা নিরপেক্ষ হয়ে গিয়েছে এবং নিরপেক্ষতার দিকে চলে যায় এবং শত্রুর জোট ভেংগে গিয়েছে। (৯)
(দাওয়াতুল মুকাওয়ামা পেজ-৯৪৯)
(১) এই অনুবাদটি মুলত শায়খ আবু মুসাব আস সুরি ফা: আ: এর অনন্য কিতাব দাওয়াতুল মুকাওয়ামাতি আলামিয়াতিল ইসলামিয়্যাহ (ইসলামীবিশ্বে প্রতিরোধযুদ্ধের ডাক) কিতাবের রাজনৈতিক মতবাদের একটি চিন্তাধারা থেকে নেয়া হয়েছে। শায়েখ এখানে মুসলিমদের প্রতিরোধযুদ্ধে আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক কাজ কি ধরনের হবে তা উল্লেখ করেছেন। শাইখ সহজ সমীকরনে পাচটি ভাগে মানুষকে ভাগ করেছেন। এই ভাগটির ফলে শাইখ প্রত্যেকের ব্যাপারে বা প্রতি দলের ব্যাপারে কাজ কি হবে বুঝাতে চেয়েছেন কিতাবের অন্য স্থানে।
২) যারা সরাসরি জড়িত প্রতিরোধ যুদ্ধে। সামরিক, দাওয়াতি, রাজনৈতিক, মিডিয়া ইত্যাদি কাজে।
৩) এরা আসলে দুই শিবিরের কোন একটিতে নেই নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত, ক্যারিয়ার, বাচ্চা, ওয়াইফ, পেশা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত। বাকি দুনিয়ায় কি হচ্ছে তেমন খোজ খবর নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেনা অথবা খোজ নিলেও কিছু করার ইচ্ছা রাখেনা এবং কোন শিবিরকে সমর্থন করেনা।
৪) সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ইত্যাদি।
৫) দাওয়াতি, রাজনৈতিক, সামরিক, মিডিয়া, ফিনান্সিয়াল, সাংস্কৃতিক প্রত্যেক কাজ যদি এমন হয় যা নিজের সমর্থক না বাড়ায় তাহলে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে সে প্রতিরোধ যুদ্ধটি। মিডিয়া: বিবিসি, সিএনএন আমেরিকা ও তার মিত্রদের সমর্থনে যে প্রচারণা করতে থাকে।
৬) অর্থাৎ প্রতিটি শক্তি চেস্টা করে থাকে তার বিপরীতে যারা আছে তাদের কাছ থেকে মানুষ কমানোর জন্য। নিরপেক্ষকে তার সমর্থক বানানো, সমর্থককে সরাসরি সে যাতে যুদ্ধ করে সে অবস্থা করা। বিপরীত পক্ষে যারা যুদ্ধ করছে তাদের কোনভাবে সাইকলজীকাল ব্রেকডাউন, মিথ্যা, গ্রেফতার, গুম, খুন ইত্যাদির মাধ্যমে শুধু সাহায্যকারী অথবা সমর্থক বানানো। যাতে শত্রু নিজের যোদ্ধা হারায়।
৭) এখানে শায়েখ দেখিয়েছেন কিভাবে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। তীর চিনহ যদি নিজের দিকে আসতে থাকে তাহলে অবস্থা ভাল আর যদি বিপরীত দিকে যায় তাহলে সমস্যা।
৮) হতে পারে টিভি এ্যাড, নাটক, সিনেমা, রাজনৈতিক টকশো, বিব্রিতি, সামরিক শডাউন, মিসাইল দেখানো, ভুল হামলা, ভুল রাজনৈতিক কাজ ইত্যাদি। যা দেখলে মানুষ ধীরে ধীরে পক্ষ পরিবর্তন করবে। এই পরিস্থিতি কখনো দ্রুত হয় কখনো দীর্ঘমেয়াদী হয়।
৯) আর এর ফলে শত্রু তার কাজ থেকে দুরে সরে যায়। শত্রু দ্রুত নিজের মাঝে গুটিয়ে যায়। শত্রু অর্থ, সামরিক, রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
আমাদের প্রত্যেকেরই মুকাওয়ামার কাজ করার ক্ষেত্রে চিন্তা করা উচিত আমার কাজে জিহাদের বদনাম হচ্ছে না মানুষ আরও জিহাদকে মহব্বত করছে। আর এটা আপনার কাছের সবার থেকে শুরু করে দূরে যারা আছে তাদের ক্ষেত্রেও। তাই আমাদের কথা, কাজ হতে হবে এমন যার ফলে প্রতিরোধযুদ্ধ আরও বেগবান হয়।