আমরা কি আসলেই স্বাধীন? আমাদের মুক্তি কোন পথে ?
بسم الله الرحمن الرحيم
بسم الله الرحمن الرحيم
দাওয়াহ ও জিহাদের মাধ্যমে রব্বানী আলেমদের নেতৃত্বে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া এই জাতি কখনো প্রকৃত মুক্তির স্বাদ পাবেনা। পুরো জাতি এখন মানবরচিত বিধি বিধান এবং তাদের রচয়িতাদের দ্বারা নিষ্পেষিত হচ্ছে। পশ্চিমা সমর্থিত ইসলামবিরোধী মিডিয়ার অব্যহত প্রোপাগাণ্ডার ফলে জনমনে ইসলামী দণ্ডবিধি ও শরীয়াহভিত্তিক রাষ্ট্রব্যাবস্থা নিয়ে এক ধরণের ভীতি তৈরি হয়ে আছে। অধিকাংশ মানুষ প্রকৃত ইসলামের সৌন্দর্য্য এবং আলেম ওলামার সম্মান ও দায়িত্ব সম্পর্কে বেখবর। তারা মনে করে আলেমরা হল পরজীবি। তাদের কাজ হল, মসজিদ মাদ্রাসা নিয়ে পড়ে থাকা আর সুদখোর মদখোরদের দান অনুদানে কোনমতে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে বেঁচে থাকা। মানুষের এই ধারণা পরিবর্তন করতে হবে। খুব দ্রুত ইসলামপন্থীরা নেতৃত্বের পজিশনে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য সবাইকে সাধ্যমত পদক্ষেপ নিতে হবে।
আমার ক্ষুদ্র ভাবনায় আমাদের (ইসলামপন্থীদের) কিছু করণীয়ঃ
- স্টেজে মিম্বরে, সভা সেমিনারে ইসলামী অর্থনীতি ও ইসলামী শাসনের সৌন্দর্যের ব্যাপারে আলোচনা করে এর পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে হবে।
- যৌক্তিক ও উত্তম নসীহার মাধ্যমে মানুষের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে হবে এবং জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে নিজেদেরকে জনগণের সেবক হিসেবে তুলে ধরতে হবে।
- যেসকল আলেম ও ইসলামী ব্যাক্তিত্ব মানুষের সাথে মেশেন তারা সামাজিক সংগঠন তৈরি করে বা অন্যকোন উপায়ে মানুষদেরকে নিজেদের সাথে আরো বেশি সম্পৃক্ত করে রাখতে পারেন। তবে এটি যেন ব্যাক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার মাধ্যম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- ইসলাম প্রতিষ্ঠার এই লড়াই দুইদিন বা দুই মাসের কোন মাসের লড়াই নয়। এর ব্যাপ্তি কয়েক যুগও হতে পারে। তাই সবাই যেন মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে সেই নসিহত সবাইকে করতে হবে।
- মানুষের মনে জিহাদ ও মুজাহিদীনের ব্যাপারে যে ভুল ধারণা তৈরি হয়ে আছে তা দূর করার জন্য কার্যকরী ও কৌশলী পদক্ষেপ নিতে হবে।
- নিজেরা আল্লাহমুখী হতে হবে এবং মানুষকেও আল্লাহমুখী বানানোর চেষ্টা করতে হবে। বিজয় আসে আল্লাহর পক্ষ হতে এই বিশ্বাস সবার অন্তরে গেঁথে দিতে হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের পথচলা সহজ করুন। আমীন সুম্মা আমীন