মুজাহিদ হচ্ছেন সর্বকালের সর্বোত্তম ব্যক্তি:
আবু সাঈদ খুদরী রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
উক্ত হাদীসদ্বয়ে ব্যাপকভাবে সর্বকালের জন্য মুজাহিদকে সর্বোত্তম ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অন্যান্য বর্ণনায় বিশেষভাবে ফেতনার সময়ে মুজাহিদকে সর্বোত্তম ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবু হুরায়রা রাদি. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
[1] সহীহ বুখারী: ২৭৮৬, সহীহ মুসলিম: ১৮৮৮
[2] জামে তিরমিযী: ১৬৫২, সুনানে নাসায়ী: ২৫৬৯, মুসনাদে আহমদ: ২৯২৭, মুওয়াত্তা মালিক: ২/৪৪৫, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ: ১০/২৪৮। ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন, “হাদীসটি হাসান, উক্ত সনদে ‘গরীব’ (তথা যয়ীফ)। হাদীসটি ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে অন্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে।”
[3] মুসনাদে আহমদ: ৯৭২৩, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ: ১০/২৪১, মুসতাদরাকে হাকিম: ২/১০২, মুসনাদে বাযযার: ১৫/৪৪, সহীহ ইবনে হিব্বান: ৪৬০০। উক্ত হাদীসটি ভিন্ন শব্দে সহীহ মুসলিমে (১৮৮৯) বর্ণিত হয়েছে।
[4] মুসতাদরাকে হাকিম: ৪/৪৯৩, মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ১১/৩৬৮। ইমাম হাকিম রহ. বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী রহ. তা সমর্থন করেছেন।
উল্লেখ্য: মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাকে হাদীসটি তাঊস রহ. থেকে মুরসাল বর্ণিত হয়েছে।
আবু সাঈদ খুদরী রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَيُّ النَّاسِ أَفْضَلُ؟ فَقَالَ: «رَجُلٌ يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللهِ بِمَالِهِ وَنَفْسِهِ»، قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: «مُؤْمِنٌ فِي شِعْبٍ مِنَ الشِّعَابِ يَعْبُدُ اللهَ رَبَّهُ، وَيَدَعُ النَّاسَ مِنْ شَرِّهِ»
“এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, সর্বোত্তম ব্যক্তি কে? রাসূল বলেন, যে ব্যক্তি মাল ও জান দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে। সাহাবী জানতে চাইলেন, তার পরে কে সর্বোত্তম? রাসূল বলেন, যে মুমিন কোন পাহাড়ী উপত্যকায় নির্জনে তার রবের এবাদত করে এবং তার অনিষ্ট থেকে মানুষকে বাঁচায় (অর্থাৎ কাউকে কোন ধরণের ক্ষতি করে না)।”[1]ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
«أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ النَّاسِ؟ رَجُلٌ مُمْسِكٌ بِعِنَانِ فَرَسِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ. أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِالَّذِي يَتْلُوهُ؟ رَجُلٌ مُعْتَزِلٌ فِي غُنَيْمَةٍ لَهُ يُؤَدِّي حَقَّ اللَّهِ فِيهَا. أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِشَرِّ النَّاسِ؟ رَجُلٌ يُسْأَلُ بِاللَّهِ وَلَا يُعْطِي بِهِ»
“আমি কি তোমাদেরকে সর্বোত্তম ব্যক্তির কথা বলবো না! সে হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহর রাস্তায় তার ঘোড়ার লাগাম ধরে (জিহাদের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে)। আমি কি তার পরের ব্যক্তির কথা বলবো না! সে হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে তার কিছু ছাগল নিয়ে জনবিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং আল্লাহর নির্ধারিত হকসমূহ (যাকাত) আদায় করে। আমি কি তোমাদেরকে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তির কথা বলবো না! সে হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যার কাছে আল্লাহর ওসীলায় ভিক্ষা চাওয়া হয়, অথচ সে কিছু দেয় না।”[2]উক্ত হাদীসদ্বয়ে ব্যাপকভাবে সর্বকালের জন্য মুজাহিদকে সর্বোত্তম ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অন্যান্য বর্ণনায় বিশেষভাবে ফেতনার সময়ে মুজাহিদকে সর্বোত্তম ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবু হুরায়রা রাদি. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ، يَكُونُ خَيْرُ النَّاسِ فِيهِ مَنْزِلَةً مَنْ أَخَذَ بِعَنَانِ فَرَسِهِ فِي سَبِيلِ اللهِ، كُلَّمَا سَمِعَ بِهَيْعَةٍ اسْتَوَى عَلَى مَتْنِهِ، ثُمَّ يَطْلُبُ الْمَوْتَ فِي مَظَانِّهِ، وَرَجُلٌ فِي شِعْبٍ مِنْ هَذِهِ الشِّعَابِ، يُقِيمُ الصَّلاَةَ وَيُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَيَدَعُ النَّاسَ إِلاَّ مِنْ خَيْرٍ.
“মানুষের মধ্যে এমন এক সময় আসবে, যখন সর্বোত্তম ব্যক্তি হবে, যে আল্লাহর রাস্তায় তার ঘোড়ার লাগাম ধরে থাকবে; যখনই কোন বিপদ সংকেত পাবে ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসবে এবং সে মৃত্যুস্থলে তার মৃত্যু খুঁজতে থাকবে। এবং যে (পাহাড়ের) উক্ত গুহাসমূহের কোন একটিতে আশ্রয় নিয়ে নামায পড়ে, যাকাত আদায় করে এবং ভালো ব্যবহার ছাড়া মানুষের সাথে অন্য কোন ব্যবহার করে না।”[3]ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
خَيْرُ النَّاسِ فِي الْفِتَنِ رَجُلٌ آخِذٌ بِعِنَانِ فَرَسِهِ -أَوْ قَالَ: بِرَسَنِ فَرَسِهِ- خَلْفَ أَعْدَاءِ اللَّهِ يُخِيفُهُمْ وَيُخِيفُونَهُ، أَوْ رَجُلٌ مُعْتَزِلٌ فِي بَادِيَتِهِ يُؤَدِّي حَقَّ اللَّهِ تَعَالَى الَّذِي عَلَيْهِ.
“ফেতনার সময় সর্বত্তোম ব্যক্তি হচ্ছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর শত্রুদের পিছনে তার ঘোড়ার লাগাম ধরে থাকে, অথবা বলেছেন, ঘোড়া বাধার দড়ি ধরে থাকে; সে আল্লাহর শত্রুদেরকে ভয় দেখায় এবং তারাও তাকে ভয় দেখায়। অথবা যে ব্যক্তি মরুভূমিতে জনবিচ্ছন্ন হয়ে থাকে এবং তার উপর আল্লাহ প্রদত্ত হক আদায় করে।”[4][1] সহীহ বুখারী: ২৭৮৬, সহীহ মুসলিম: ১৮৮৮
[2] জামে তিরমিযী: ১৬৫২, সুনানে নাসায়ী: ২৫৬৯, মুসনাদে আহমদ: ২৯২৭, মুওয়াত্তা মালিক: ২/৪৪৫, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ: ১০/২৪৮। ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন, “হাদীসটি হাসান, উক্ত সনদে ‘গরীব’ (তথা যয়ীফ)। হাদীসটি ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে অন্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে।”
[3] মুসনাদে আহমদ: ৯৭২৩, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ: ১০/২৪১, মুসতাদরাকে হাকিম: ২/১০২, মুসনাদে বাযযার: ১৫/৪৪, সহীহ ইবনে হিব্বান: ৪৬০০। উক্ত হাদীসটি ভিন্ন শব্দে সহীহ মুসলিমে (১৮৮৯) বর্ণিত হয়েছে।
[4] মুসতাদরাকে হাকিম: ৪/৪৯৩, মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ১১/৩৬৮। ইমাম হাকিম রহ. বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী রহ. তা সমর্থন করেছেন।
উল্লেখ্য: মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাকে হাদীসটি তাঊস রহ. থেকে মুরসাল বর্ণিত হয়েছে।