#আজকে_যা_নিয়ে_বলবোঃ
খারেজিদের মানহাজ গ্রহনকারী একিউর আদর্শচ্যুত সাবেক শাখা আ'ই'এ'স। তারা এক সময় বিশাল দাপটের সাথে ছিলো,
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদের কোমড় ভেঙ্গে দিয়োছেন। ফলে তারা কিছু সীমাবদ্ধতায় আটকে পড়েছে।
আজকে বলবো “উলায়াত” শব্দের ব্যবহার নিয়ে, কিছু কথা।
তাদের কিছু মুর্খ সমর্থক রয়েছে যারা উলালে নাচার মতো, যা বলে দেয় তাই বলে বেড়ায়, আসলে যা বললো তাতে কোন ভুল আছে কী না,
থাকলে তার মাত্রা কতটুকু ইত্যাদি ইত্যাদি এই বিষয়গুলো তাদের মাথায় কখনই স্থান পায়না।
কারণ তাদের মাথায় রয়েছে হীন স্বার্থ চরিতার্থের উদ্দেশ্য আর রয়েছে উম্মাহকে তাকফির করে রক্ত হালাল করা।
#আচ্ছা_যাইহোক! তাদের একটি সংবাদ নজরে আসলো।
“উলায়াত খোরাসান” নামে সংবাদাটি কোন সমর্থকের আইডিতেই হয়তোবা দেখলাম।
ওখানে বলা হয়েছে আ'ই'এ'সের সৈনিকরা তা'লে'বা'নের উপর হামলা করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আবার আরেকটি পোস্টে দেখলাম একই সমর্থক বলছে-
“আফগান এখন দারুল কুফর” কারণ তা এখন তা'লে'বা'নদের দখলে, তা'লে'বান তো কাফের, তাই রাষ্ট্রও দারুল কুফর.
#কথা_দুটি_পূণরায়_দোখুন- প্রথমটি- উলায়াত খোরাসান দ্বিতীয়টি-
আফগান দারুল কুফর এই দুটি কথা মাথায় রাখুন, আমরা মূল আলোচনায় যাচ্ছি। একটি শব্দ [ولاية] বিলায়াত/উইলায়াত এর অর্থ হলো- প্রদেশ, রাজ্য, অংগরাজ্য, রাষ্ট্র, শাসন, ব্যবস্থাপনা
[কোন আরবি ডিকশিনারির খুলে দেখতে পারেন, অথবা মু'জামুল ওয়াফি দেখা যেতে পারে] আ'ই'এ'স যখন বলে উলায়াত খোরাসান, তখন এর অর্থ হলো- “আ'ই'এ'সের খোরাসানি রাজ্য/ খোরাসানী অংগরাজ্য” এটা শুধু খোরাসান নয়, বরং বহু রাষ্ট্রেই তাদের দাবি হিসেবে “উলায়াত/রাজ্য বা অংগরাজ্য” রয়েছে।
অঙ্গরাজ্য_কাকে_বলেঃ
“আভিধানিক অর্থে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য মিলে একটি রাজ্য হলেও রাজ্য ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। আর, প্রদেশ মানে একটি দেশের ছোট ছোট অংশ। সুতরাং রাজ্য, অঙ্গরাজ্য, প্রদেশ শব্দ তিনটি গঠণগত দিক দিয়ে ভিন্ন হলেও অর্থগত দিক দিয়ে তারা পরস্পরের সমর্থক শব্দ।”
আবার অনেকগুলি দেশ একত্রিত হয়ে বৃহত্তর স্বার্থে যখন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয় তখন ঐ দেশগুলিকেও অঙ্গরাজ্য বলে। আর আইএস তাদের কথা দিয়ে এটা প্রমাণের চেষ্টা করে যে,-
“পৃথিবীতে আলাদা আলাদা রাষ্ট্র থাকবেনা বরং একই রাষ্ট্রের অধীনে সব রাষ্ট্র হবে, আর রাষ্ট্রগুলো হবে অঙ্গরাজ্য [উলায়াত]
#প্রশ্ন_হলোঃ আমি দাবি করলাম খোরাসান আমারই রাজ্য/অংগরাজ্য অর্থাৎ আমারই শাসিত রাষ্ট্রের অংগ।আর আমার রাষ্ট্র হলো ‘ইসালমি রাষ্ট্র’ তাহলে এটা আবশ্যক হয় যে, আমার ইসলামি রাষ্ট্রের প্রতিটি অংগরাজ্যই ইসলামি রাজ্য। কারণ কোন অঞ্চলকে আমি আমার রাজ্য বলে ঘোষনা করে বসে থাকলাম, কিন্তু সেখানে আমার কোন শাসন নেই, নূন্যতম কোন কর্তৃত্ব নেই, তাহলে তো আর আমার অংগরাজ্যই হতে পারেনা। তাহলে আইএসের দাবি অনুযায়ী তাদের যতগুলো উলায়াত রয়েছে সেগুলো কি দারুল ইসলাম নাকি দারুল কুফর??
যদি দারুল ইসলাম হয় তাহলে সেখানকার শাসনব্যবস্থায় আমন ও আমনিয়্যাহ বা নিরাপত্তার সাথে ইসলামি শরীয়াহ কোথায়??
আর যদি তা ইসলামি রাষ্ট্র না হয় ইসলামি কর্তৃত্ব ও শাসন নাইই থাকে তাহলে তা উলায়াত কীভাবে হয়??
বিষয়টির ওজাহাত বা নিরসন সামনে আসা দরকার। একদিক দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে কুফরি রাষ্ট্রও বলছি আবার তা ইসলামি রাষ্ট্রের রাজ্যও দাবি করছি এটা কীভাবে সম্ভব?? আবার যদি তা'লে'বান ইরানকে ইসলামি রাষ্ট্র বলে তাহলে আবার তা'লে'বানকে কাফেরও বলছি, কি হিপোক্রেসি!!
#কিছু_নিরসনঃ
আ'ই'এ'সের অস্তিত্ব আছে ঠিকই তবে তা আগের তুলনায় কতটা কম সেটা কল্পনাও করতে পারবেনা,
আ'ই'এস কিছু ইহুদির উপর আক্রমন করেছে৷
এর অর্থ এই নয় যে,
তারা খিলাফাতের দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত হয়ে গেছে।
✍️ এক মুওয়াহিদ
খারেজিদের মানহাজ গ্রহনকারী একিউর আদর্শচ্যুত সাবেক শাখা আ'ই'এ'স। তারা এক সময় বিশাল দাপটের সাথে ছিলো,
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদের কোমড় ভেঙ্গে দিয়োছেন। ফলে তারা কিছু সীমাবদ্ধতায় আটকে পড়েছে।
আজকে বলবো “উলায়াত” শব্দের ব্যবহার নিয়ে, কিছু কথা।
তাদের কিছু মুর্খ সমর্থক রয়েছে যারা উলালে নাচার মতো, যা বলে দেয় তাই বলে বেড়ায়, আসলে যা বললো তাতে কোন ভুল আছে কী না,
থাকলে তার মাত্রা কতটুকু ইত্যাদি ইত্যাদি এই বিষয়গুলো তাদের মাথায় কখনই স্থান পায়না।
কারণ তাদের মাথায় রয়েছে হীন স্বার্থ চরিতার্থের উদ্দেশ্য আর রয়েছে উম্মাহকে তাকফির করে রক্ত হালাল করা।
#আচ্ছা_যাইহোক! তাদের একটি সংবাদ নজরে আসলো।
“উলায়াত খোরাসান” নামে সংবাদাটি কোন সমর্থকের আইডিতেই হয়তোবা দেখলাম।
ওখানে বলা হয়েছে আ'ই'এ'সের সৈনিকরা তা'লে'বা'নের উপর হামলা করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আবার আরেকটি পোস্টে দেখলাম একই সমর্থক বলছে-
“আফগান এখন দারুল কুফর” কারণ তা এখন তা'লে'বা'নদের দখলে, তা'লে'বান তো কাফের, তাই রাষ্ট্রও দারুল কুফর.
#কথা_দুটি_পূণরায়_দোখুন- প্রথমটি- উলায়াত খোরাসান দ্বিতীয়টি-
আফগান দারুল কুফর এই দুটি কথা মাথায় রাখুন, আমরা মূল আলোচনায় যাচ্ছি। একটি শব্দ [ولاية] বিলায়াত/উইলায়াত এর অর্থ হলো- প্রদেশ, রাজ্য, অংগরাজ্য, রাষ্ট্র, শাসন, ব্যবস্থাপনা
[কোন আরবি ডিকশিনারির খুলে দেখতে পারেন, অথবা মু'জামুল ওয়াফি দেখা যেতে পারে] আ'ই'এ'স যখন বলে উলায়াত খোরাসান, তখন এর অর্থ হলো- “আ'ই'এ'সের খোরাসানি রাজ্য/ খোরাসানী অংগরাজ্য” এটা শুধু খোরাসান নয়, বরং বহু রাষ্ট্রেই তাদের দাবি হিসেবে “উলায়াত/রাজ্য বা অংগরাজ্য” রয়েছে।
অঙ্গরাজ্য_কাকে_বলেঃ
“আভিধানিক অর্থে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য মিলে একটি রাজ্য হলেও রাজ্য ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। আর, প্রদেশ মানে একটি দেশের ছোট ছোট অংশ। সুতরাং রাজ্য, অঙ্গরাজ্য, প্রদেশ শব্দ তিনটি গঠণগত দিক দিয়ে ভিন্ন হলেও অর্থগত দিক দিয়ে তারা পরস্পরের সমর্থক শব্দ।”
আবার অনেকগুলি দেশ একত্রিত হয়ে বৃহত্তর স্বার্থে যখন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয় তখন ঐ দেশগুলিকেও অঙ্গরাজ্য বলে। আর আইএস তাদের কথা দিয়ে এটা প্রমাণের চেষ্টা করে যে,-
“পৃথিবীতে আলাদা আলাদা রাষ্ট্র থাকবেনা বরং একই রাষ্ট্রের অধীনে সব রাষ্ট্র হবে, আর রাষ্ট্রগুলো হবে অঙ্গরাজ্য [উলায়াত]
#প্রশ্ন_হলোঃ আমি দাবি করলাম খোরাসান আমারই রাজ্য/অংগরাজ্য অর্থাৎ আমারই শাসিত রাষ্ট্রের অংগ।আর আমার রাষ্ট্র হলো ‘ইসালমি রাষ্ট্র’ তাহলে এটা আবশ্যক হয় যে, আমার ইসলামি রাষ্ট্রের প্রতিটি অংগরাজ্যই ইসলামি রাজ্য। কারণ কোন অঞ্চলকে আমি আমার রাজ্য বলে ঘোষনা করে বসে থাকলাম, কিন্তু সেখানে আমার কোন শাসন নেই, নূন্যতম কোন কর্তৃত্ব নেই, তাহলে তো আর আমার অংগরাজ্যই হতে পারেনা। তাহলে আইএসের দাবি অনুযায়ী তাদের যতগুলো উলায়াত রয়েছে সেগুলো কি দারুল ইসলাম নাকি দারুল কুফর??
যদি দারুল ইসলাম হয় তাহলে সেখানকার শাসনব্যবস্থায় আমন ও আমনিয়্যাহ বা নিরাপত্তার সাথে ইসলামি শরীয়াহ কোথায়??
আর যদি তা ইসলামি রাষ্ট্র না হয় ইসলামি কর্তৃত্ব ও শাসন নাইই থাকে তাহলে তা উলায়াত কীভাবে হয়??
বিষয়টির ওজাহাত বা নিরসন সামনে আসা দরকার। একদিক দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে কুফরি রাষ্ট্রও বলছি আবার তা ইসলামি রাষ্ট্রের রাজ্যও দাবি করছি এটা কীভাবে সম্ভব?? আবার যদি তা'লে'বান ইরানকে ইসলামি রাষ্ট্র বলে তাহলে আবার তা'লে'বানকে কাফেরও বলছি, কি হিপোক্রেসি!!
#কিছু_নিরসনঃ
আ'ই'এ'সের অস্তিত্ব আছে ঠিকই তবে তা আগের তুলনায় কতটা কম সেটা কল্পনাও করতে পারবেনা,
আ'ই'এস কিছু ইহুদির উপর আক্রমন করেছে৷
এর অর্থ এই নয় যে,
তারা খিলাফাতের দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত হয়ে গেছে।
✍️ এক মুওয়াহিদ