দারসে কুফর ও তাকফির-
বিষয়ঃ
ইমানের মৌলিক শর্ত [সংক্ষিপ্ত]
ইমানের মৌলিক শর্ত পাঁচটি [সংক্ষিপ্ত]
১। মৌখিক স্বীকারোক্তি [الإقرار باللسان]
২। সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা [الرضا والمحبة]
৩। সম্মান শ্রদ্ধাবোধ [التعظيم والإحترام]
৪। আত্মসমর্পণ ও আনুগত্য [التسليم والإنقياد]
৫। ইসলাম ছাড়া অন্য দ্বীনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা [التبري عن الأديا سوي الإسلام]
#ইমানের_জন্য_এসব_শর্ত_কেন_প্রয়োজনঃ ইমান এবং কুফর পরস্পর বিপরীত জিনিস।
যেভাবে কারও মধ্যে একসঙ্গে দুটি একত্রিত হওয়া অসম্ভব , সেভাবে কেউ উভয়টা থেকে মুক্ত হওয়াও অসম্ভব ।
পৃথিবীর সকল মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত : হয়তো মুমিন , নয়তো কাফির।
এটি কুরআনেরই ঘোষণা।
[সুরা তাগাবুন (৬৪) :
২] সুতরাং ইমান বিবেচ্য হতে সেসব বিষয় থেকে মুক্ত থাকা শর্ত করা হয়েছে ; যা কুফরের প্রতীক , চিহ্ন বা নিদর্শন বহন করে।
আকিদা - বিশেষজ্ঞ প্রায় সকল ইমামের বক্তব্যেই একত্রে বা বিক্ষিপ্তভাবে এ শর্তগুলোর আলোচনা এসেছে।
ইমাম ইবনুল হুমাম রাহ .
( মৃত্যু : ৮৬১ হিজরি ) লেখেনঃ
❝ইসলামে একজন ব্যক্তির ওপর ইমানের অপরিহার্য বিধিবিধান আরোপ করতে কিছু বিষয়ের বিবেচনা করা হয়েছে ,
যা বিদ্যমান না থাকলে ইমানের বিপরীত বিষয় —
অর্থাৎ ,
কুফরের বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে। যেমন : আল্লাহ তাআলা , তাঁর নবিগণ , তাঁর কিতাবসমূহ ও তাঁর ঘরকে সম্মান করা , মূর্তি ও এ জাতীয় জিনিসের সিজদা বর্জন করা এবং আনুগত্য করা —
অর্থাৎ ,
আল্লাহর আদেশ নিষেধসমূহ গ্রহণের উদ্দেশ্যে নিজেকে সঁপে দেওয়া ইত্যাদি।
হকপন্থিদের উভয় দল -
আশআরি ও হানাফি ( মাতুরিদি ) ইমামগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে ,
ইমান ও ইসলাম একটি ছাড়া অপরটি বাস্তবায়িত হয় না।
অতএব ,
এই ব্যাখ্যার আলোকে উল্লিখিত বিষয়সমূহকেও ইমানের হাকিকতের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা যথাযথ ।
সুতরাং যদি এমন হয় যে ,
কারও তাসদিক ( সত্যায়ন ) তো ঠিকই আছে ;
কিন্তু এসব বিষয় অবিদ্যমান থাকার কারণে ইমানের অপরিহার্য বিধিবিধান আরোপ হচ্ছে না ,
তাহলে তা মূলত ইমান অবিদ্যমান হয়ে যাওয়ার কারণেই আরোপ করা যাচ্ছে না ।❞
[১] (কারণ , ইমানের অপরিহার্য মৌলিক শর্ত বিদ্যমান না থাকার কারণে কেমন যেন ইমানই অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে।)
ইমাম ইবনু হাজার হাইতামি রাহ . - ও তাঁর রচনায় ইমানের জন্য অবধারিত অনুরূপ কিছু বিষয়ের বর্ণনা দিয়েছেন
।[২] এ ছাড়াও প্রসিদ্ধ হাম্বলি মুতাকাল্লিম ইমাম শামসুদ্দিন সাফারিনি রাহ .
লেখেন , ❝কুফর ও তাকফির‘ সংখ্যাগরিষ্ঠ আশআরি ও মাতুরিদি ইমাম বলেন ,
ইমান হলো নবি -কে এবং যেসব বিষয়সহ তাঁর আগমন আবশ্যিকভাবে বিদিত হয়েছে ,
তা সব তাসদিক ( সত্যায়ন ) করা ।
অর্থাৎ , আনুগত্য - বরণ ,
সন্তুষ্টির সঙ্গে গ্রহণ ও আত্মসমর্পণ করা এবং সে ব্যাপারে অন্তর প্রশান্ত হওয়া ।
যেসব বিষয় বিস্তরভাবে জানা গেছে , সেগুলো বিস্তরভাবে সত্যায়ন করা এবং যেসব বিষয় মোটামুটিভাবে জানা গেছে ,
সেগুলো মোটামুটিভাবে সত্যায়ন করা।❞
[৩] ——————————
১] আল মুসায়ারা :
২৮১ ।
২] আল - ফাতহুল মুবিন ,
শারহু হাদিসি জিবরিল :১৫৪ ।
[৩] লাওয়ামিউল আনহারিল বাহিয়া, ফাসলুন ফিল কালামি আলাল ইমান ওয়াখতিলাফিন নাসি ফিহি, তানবিহাত:১/৪২০
দারসে কুফর ও তাকফির
[ইমানের মৌলিক বিষয়ের আলোচনা]
বিষয়ঃ
ইমানের মৌলিক শর্ত [সংক্ষিপ্ত]
ইমানের মৌলিক শর্ত পাঁচটি [সংক্ষিপ্ত]
১। মৌখিক স্বীকারোক্তি [الإقرار باللسان]
২। সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা [الرضا والمحبة]
৩। সম্মান শ্রদ্ধাবোধ [التعظيم والإحترام]
৪। আত্মসমর্পণ ও আনুগত্য [التسليم والإنقياد]
৫। ইসলাম ছাড়া অন্য দ্বীনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা [التبري عن الأديا سوي الإسلام]
#ইমানের_জন্য_এসব_শর্ত_কেন_প্রয়োজনঃ ইমান এবং কুফর পরস্পর বিপরীত জিনিস।
যেভাবে কারও মধ্যে একসঙ্গে দুটি একত্রিত হওয়া অসম্ভব , সেভাবে কেউ উভয়টা থেকে মুক্ত হওয়াও অসম্ভব ।
পৃথিবীর সকল মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত : হয়তো মুমিন , নয়তো কাফির।
এটি কুরআনেরই ঘোষণা।
[সুরা তাগাবুন (৬৪) :
২] সুতরাং ইমান বিবেচ্য হতে সেসব বিষয় থেকে মুক্ত থাকা শর্ত করা হয়েছে ; যা কুফরের প্রতীক , চিহ্ন বা নিদর্শন বহন করে।
আকিদা - বিশেষজ্ঞ প্রায় সকল ইমামের বক্তব্যেই একত্রে বা বিক্ষিপ্তভাবে এ শর্তগুলোর আলোচনা এসেছে।
ইমাম ইবনুল হুমাম রাহ .
( মৃত্যু : ৮৬১ হিজরি ) লেখেনঃ
❝ইসলামে একজন ব্যক্তির ওপর ইমানের অপরিহার্য বিধিবিধান আরোপ করতে কিছু বিষয়ের বিবেচনা করা হয়েছে ,
যা বিদ্যমান না থাকলে ইমানের বিপরীত বিষয় —
অর্থাৎ ,
কুফরের বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে। যেমন : আল্লাহ তাআলা , তাঁর নবিগণ , তাঁর কিতাবসমূহ ও তাঁর ঘরকে সম্মান করা , মূর্তি ও এ জাতীয় জিনিসের সিজদা বর্জন করা এবং আনুগত্য করা —
অর্থাৎ ,
আল্লাহর আদেশ নিষেধসমূহ গ্রহণের উদ্দেশ্যে নিজেকে সঁপে দেওয়া ইত্যাদি।
হকপন্থিদের উভয় দল -
আশআরি ও হানাফি ( মাতুরিদি ) ইমামগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে ,
ইমান ও ইসলাম একটি ছাড়া অপরটি বাস্তবায়িত হয় না।
অতএব ,
এই ব্যাখ্যার আলোকে উল্লিখিত বিষয়সমূহকেও ইমানের হাকিকতের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা যথাযথ ।
সুতরাং যদি এমন হয় যে ,
কারও তাসদিক ( সত্যায়ন ) তো ঠিকই আছে ;
কিন্তু এসব বিষয় অবিদ্যমান থাকার কারণে ইমানের অপরিহার্য বিধিবিধান আরোপ হচ্ছে না ,
তাহলে তা মূলত ইমান অবিদ্যমান হয়ে যাওয়ার কারণেই আরোপ করা যাচ্ছে না ।❞
[১] (কারণ , ইমানের অপরিহার্য মৌলিক শর্ত বিদ্যমান না থাকার কারণে কেমন যেন ইমানই অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে।)
ইমাম ইবনু হাজার হাইতামি রাহ . - ও তাঁর রচনায় ইমানের জন্য অবধারিত অনুরূপ কিছু বিষয়ের বর্ণনা দিয়েছেন
।[২] এ ছাড়াও প্রসিদ্ধ হাম্বলি মুতাকাল্লিম ইমাম শামসুদ্দিন সাফারিনি রাহ .
লেখেন , ❝কুফর ও তাকফির‘ সংখ্যাগরিষ্ঠ আশআরি ও মাতুরিদি ইমাম বলেন ,
ইমান হলো নবি -কে এবং যেসব বিষয়সহ তাঁর আগমন আবশ্যিকভাবে বিদিত হয়েছে ,
তা সব তাসদিক ( সত্যায়ন ) করা ।
অর্থাৎ , আনুগত্য - বরণ ,
সন্তুষ্টির সঙ্গে গ্রহণ ও আত্মসমর্পণ করা এবং সে ব্যাপারে অন্তর প্রশান্ত হওয়া ।
যেসব বিষয় বিস্তরভাবে জানা গেছে , সেগুলো বিস্তরভাবে সত্যায়ন করা এবং যেসব বিষয় মোটামুটিভাবে জানা গেছে ,
সেগুলো মোটামুটিভাবে সত্যায়ন করা।❞
[৩] ——————————
১] আল মুসায়ারা :
২৮১ ।
২] আল - ফাতহুল মুবিন ,
শারহু হাদিসি জিবরিল :১৫৪ ।
[৩] লাওয়ামিউল আনহারিল বাহিয়া, ফাসলুন ফিল কালামি আলাল ইমান ওয়াখতিলাফিন নাসি ফিহি, তানবিহাত:১/৪২০
দারসে কুফর ও তাকফির
[ইমানের মৌলিক বিষয়ের আলোচনা]