জামাতুল বাগদাদী বলেছিলেন কিভাবে তোমরা আমাদের খাওয়ারিজ বলতে পারো,
যখন খাওয়ারিজরা কবীরা গুনাহর উপর তাকফির করে আর আমরা কবীরা গুনাহর উপর
তাকফির করি না?
এ বিভ্রান্তির জবাব হল নিম্নরূপঃ
১। তারা প্রকাশ্যে সবার উপর তাকফির করে না,
কিন্তু তাদের কাজ থেকে প্রমাণিত হয় তারা বিভিন্ন গুনাহর কারণে অনেককেই তাকফির করে,
এটা স্পষ্ট হয়
যখন আমরা তাদের এসব নীতির বাস্তবিক প্রয়োগের দিকে তাকাই। তারা একজন গুনাহগারের সাথে সেরকম আচরণ করে যা একজন কাফিরের সাথে করা উচিৎ।
যেমনঃ
রমদ্বানে দিনের বেলায় পানাহার করার কারণে গুনাহগার ব্যক্তিদের প্রতি তাদের আচরণ।
এছাড়া আল-আদনানি কিছুদিন আগে তার বক্তব্যে বলেছে,
যারাই জামাতুল বাগদাদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তাঁরাই কাফির হয়ে যাবে, তারা উপলব্ধি করুক বা না করুক।
অর্থাৎ ,,
যে ব্যক্তি জামাতুল বাগদাদীর ক্ষেত্রে যুদ্ধ করবে সে বুঝুক আর না বুঝুক, সর্বক্ষেত্রে কাফির বলে গণ্য হবে।
যদি আত্বরক্ষার্থে কোন ব্যক্তি জামাতুল বাগদাদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাও সে কাফির হয়ে যাবে
–আদনানীর কথা অনুযায়ী,,
অথচ এর আগে এই একই ব্যক্তি আল্লাহ-র কসম করে বলেছিল
যারা জামাতুল বাগদাদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাদেরকে জামাতুল বাগদাদী তাকফির করে না।
২। ফলাফলের দিক দিয়ে জামাতুল বাদাদীর তাকফির আর কবীরা গুনাহর উপর পূর্বযুগের খাওয়ারিজদের তাকফির সাদৃশ্যপূর্ণ।
আর শারীয়াহর উদ্দেশ্যই থাকে ফলাফলের দিকে নজর দেয়া।
যদি তাকফিরের ফলাফল হল – মুসলিমদের জান-মাল হালাল করা – তবে নিশ্চয় জামাতুল বাগদাদী এই কাজটিই করছে।
তারা তুচ্ছাতিতুচ্ছ অজুহাতে মুসলিমদের রক্ত হালাল ঘোষণা করে। একইভাবে তারা মুমিনদের ভূমিকে [যেমন জাইশ আল ফাতিহর নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি, তালিবানের নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি, ইয়েমেনে আল-ক্বাইদার নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি ইত্যাদি] দারুল হারব ঘোষণা করে, আর নিজেদের অঞ্চলকে দারুন আমান ঘোষণা করে।
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ,
মাজমু আল ফাতাওয়া (৭৩/১৯) এ ব্যাখ্যা করেছেনঃ
“খারেজিদের প্রতিটি প্রজন্ম/দল, মুসলিমদের উপর তাকফির ও তাদের রক্ত হালাল করার দিক দিয়ে একে অপরের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
আর তারা এটা করে সন্দেহ ও ধারণার বশবর্তী হয়ে, আর এমন সব কাজের কারণে, যেগুলোকে তারা কুফর মনে করে, কিন্তু আদতে সেগুলো কুফর না।“
৩। খাওয়ারিজ হবার জন্য সকল কবীর গুনাহর উপর তাকফির করতে হবে, এমনটা আবশ্যক না। মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যেসব খাওয়ারিজ জামা’আর উত্থান ঘটেছে, তার সবগুলোই যে গুনাহর কারণে তাকফির করতো, এমন না। যেমন নাজদাত খারেজিরা (যাদের নেতা ছিল নাজদাহ ইবন আমির আল-হানাফি) কবীরা গুনাহকারীর উপর তাকফির করতো না। একারণে কবীর গুনাহর উপর যারা তাকফির করে না, তারা খারেজি হতে পারে না, এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। খারেজি হল এমন সব দল/জামা’আ যারা অবৈধ ভাবে মুসলিমদের তাকফির করে, এবং মুসলিমদের রক্তকে হালাল করে নেয়। যে ব্যক্তি এমন করে, সে কবীর গুনাহর কারণে কাউকে কাফির ঘোষণা করুক আর না করুক, সে খারেজিদের অন্তর্ভুক্ত।
৪। তাকফিরের বিভিন্ন রূপ আছে। যেমন, কবীরা গুনাহকারীর উপর তাকফির, কিংবা এমন কাজের কারণে কাউকে তাকফির করা যে কাজ গুনাহই না, কিংবা সন্দেহ বা ধারণার বশবর্তী হয়ে তাকফির করে, কিংবা এমন ব্যাপারে তাকফির করা যেগুলোর ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ইজতিহাদের কারণে ইখতিলাফ আছে, কিংবা প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা বিবেচনা না করেই, উযর বিবেচনা না করেই তাকফির করা।
৫। সকল খাওয়ারিজের প্রকৃত মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলঃ শারীয়াহ সম্মত বৈধ কারণ ছাড়া এমন কাউকে তাকফির করা, যার উপর তাকফির প্রযোজ্য না। আর এর ফলাফল হল এমন কারো হত্যাকে বৈধতা দেয়া যার হত্যার বৈধতা শারীয়াহ দেয় না। খারেজিরা কিছু স্বতন্ত্র ও নির্দিষ্ট মূলনীতি বানিয়ে নেয় ও গ্রহণ করে, আর এই ব্যাপারে যারা মতবিরোধ করে তারা তাদের কাফির গণ্য করে।
ডঃ আল-ওয়াইস বলেছেনঃ ইবন তাইমিয়্যাহ এবং তার মতো অন্যান্য উলেমার বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে যায়, তারা খাওয়ারিজের অর্থকে শুধু সেসব দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন না, যার মদ খাওয়া বা যিনা করার মতো কবীরা গুনাহর কারণে তাকফির করে। বরং ইবন তাইমিয়্যা তাদের (খারেজিদের) বর্ণিত করেছেন এমন কিছু লোক হিসেবে যারা হয়তো এমন কাজকে ক্ষমা করে দিতে পারে যে কাজ আসলে হালাল, তাই এতে ক্ষমার প্রশ্ন আসে না। কিংবা তারা কোন নেক আমলকে হারাম হিসেবে অথবা কোন হারাম কাজকে কুফর হিসেবে গণ্য করে। তারা হয়তো এমন কাজকে গুনাহ মনে করে যে কাজ শারীয়াহ অনুযায়ী গুনাহর কাজ না। আর এসব ভ্রান্তির উপর ভিত্তি করে তারা তাকফির করে এমন সব মানুষকে, যারা তাদের (অর্থাৎ খারেজিদের) খাহেশাতের সাথে একমত পোষণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
অনুসন্ধানী উলেমারা এও বলেছেন যে কবিরা গুনাহর কারণে তাকফির করার এই বৈশিষ্ট্য পরের দিকের খারেজিদের মধ্যেই শুধু দেখা গিয়েছিল।
কারণ এতো জানা কথা যে খারেজিদের প্রথম প্রজন্ম ‘আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর উপর তাকফির করেছিল নিরপেক্ষ শারীয়াহ আদালতের মধ্যস্থতা মেনে নেবার কারণে – আর একাজ তো জায়েজ ও হালাল ছিল, আর এও কোন কবিরা গুনাহও না।
আর খারেজিদের আদি পিতা দ্বুল-খুওয়াইসিরা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে পক্ষপাতদুষ্টতা ও না-ইনসাফির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল, কারণ রাসূলুল্লাহﷺ কিছু মানুষকে অন্যদের তুলনায় বেশি দিয়েছিলেন,
এর দ্বারা তাদের হৃদয়সমূহকে নরম করার জন্য। আর এতো ছিল একটি বৈধ কাজ।
৬। আর এটা কোন আবশ্যকতা না কোন দল বা জামা’আকে খাওয়ারিজ হতে হলে তাদের মধ্যে প্রথম যুগের খাওয়ারিজের প্রতিটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে
– যেমনটা আমরা ইতিপূর্বে বলেছি। বরং যদি অধিকাংশ বৈশিষ্ট্য তাদের মধ্যে থাকে তবে সেটাই যথেষ্ট।
কোন দলকে তখনই খাওয়ারিজ বলা হয়, যখন তাদের অধিকাংশ বক্তব্য ও কাজ আদি খারেজিদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়, অথবা মৌলিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে তারা সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। যেমনটা – আশ শাতিবি ব্যাখ্যা করেছেন।
- শাইখ আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনির
যখন খাওয়ারিজরা কবীরা গুনাহর উপর তাকফির করে আর আমরা কবীরা গুনাহর উপর
তাকফির করি না?
এ বিভ্রান্তির জবাব হল নিম্নরূপঃ
১। তারা প্রকাশ্যে সবার উপর তাকফির করে না,
কিন্তু তাদের কাজ থেকে প্রমাণিত হয় তারা বিভিন্ন গুনাহর কারণে অনেককেই তাকফির করে,
এটা স্পষ্ট হয়
যখন আমরা তাদের এসব নীতির বাস্তবিক প্রয়োগের দিকে তাকাই। তারা একজন গুনাহগারের সাথে সেরকম আচরণ করে যা একজন কাফিরের সাথে করা উচিৎ।
যেমনঃ
রমদ্বানে দিনের বেলায় পানাহার করার কারণে গুনাহগার ব্যক্তিদের প্রতি তাদের আচরণ।
এছাড়া আল-আদনানি কিছুদিন আগে তার বক্তব্যে বলেছে,
যারাই জামাতুল বাগদাদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তাঁরাই কাফির হয়ে যাবে, তারা উপলব্ধি করুক বা না করুক।
অর্থাৎ ,,
যে ব্যক্তি জামাতুল বাগদাদীর ক্ষেত্রে যুদ্ধ করবে সে বুঝুক আর না বুঝুক, সর্বক্ষেত্রে কাফির বলে গণ্য হবে।
যদি আত্বরক্ষার্থে কোন ব্যক্তি জামাতুল বাগদাদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাও সে কাফির হয়ে যাবে
–আদনানীর কথা অনুযায়ী,,
অথচ এর আগে এই একই ব্যক্তি আল্লাহ-র কসম করে বলেছিল
যারা জামাতুল বাগদাদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাদেরকে জামাতুল বাগদাদী তাকফির করে না।
২। ফলাফলের দিক দিয়ে জামাতুল বাদাদীর তাকফির আর কবীরা গুনাহর উপর পূর্বযুগের খাওয়ারিজদের তাকফির সাদৃশ্যপূর্ণ।
আর শারীয়াহর উদ্দেশ্যই থাকে ফলাফলের দিকে নজর দেয়া।
যদি তাকফিরের ফলাফল হল – মুসলিমদের জান-মাল হালাল করা – তবে নিশ্চয় জামাতুল বাগদাদী এই কাজটিই করছে।
তারা তুচ্ছাতিতুচ্ছ অজুহাতে মুসলিমদের রক্ত হালাল ঘোষণা করে। একইভাবে তারা মুমিনদের ভূমিকে [যেমন জাইশ আল ফাতিহর নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি, তালিবানের নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি, ইয়েমেনে আল-ক্বাইদার নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি ইত্যাদি] দারুল হারব ঘোষণা করে, আর নিজেদের অঞ্চলকে দারুন আমান ঘোষণা করে।
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ,
মাজমু আল ফাতাওয়া (৭৩/১৯) এ ব্যাখ্যা করেছেনঃ
“খারেজিদের প্রতিটি প্রজন্ম/দল, মুসলিমদের উপর তাকফির ও তাদের রক্ত হালাল করার দিক দিয়ে একে অপরের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
আর তারা এটা করে সন্দেহ ও ধারণার বশবর্তী হয়ে, আর এমন সব কাজের কারণে, যেগুলোকে তারা কুফর মনে করে, কিন্তু আদতে সেগুলো কুফর না।“
৩। খাওয়ারিজ হবার জন্য সকল কবীর গুনাহর উপর তাকফির করতে হবে, এমনটা আবশ্যক না। মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যেসব খাওয়ারিজ জামা’আর উত্থান ঘটেছে, তার সবগুলোই যে গুনাহর কারণে তাকফির করতো, এমন না। যেমন নাজদাত খারেজিরা (যাদের নেতা ছিল নাজদাহ ইবন আমির আল-হানাফি) কবীরা গুনাহকারীর উপর তাকফির করতো না। একারণে কবীর গুনাহর উপর যারা তাকফির করে না, তারা খারেজি হতে পারে না, এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। খারেজি হল এমন সব দল/জামা’আ যারা অবৈধ ভাবে মুসলিমদের তাকফির করে, এবং মুসলিমদের রক্তকে হালাল করে নেয়। যে ব্যক্তি এমন করে, সে কবীর গুনাহর কারণে কাউকে কাফির ঘোষণা করুক আর না করুক, সে খারেজিদের অন্তর্ভুক্ত।
৪। তাকফিরের বিভিন্ন রূপ আছে। যেমন, কবীরা গুনাহকারীর উপর তাকফির, কিংবা এমন কাজের কারণে কাউকে তাকফির করা যে কাজ গুনাহই না, কিংবা সন্দেহ বা ধারণার বশবর্তী হয়ে তাকফির করে, কিংবা এমন ব্যাপারে তাকফির করা যেগুলোর ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ইজতিহাদের কারণে ইখতিলাফ আছে, কিংবা প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা বিবেচনা না করেই, উযর বিবেচনা না করেই তাকফির করা।
৫। সকল খাওয়ারিজের প্রকৃত মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলঃ শারীয়াহ সম্মত বৈধ কারণ ছাড়া এমন কাউকে তাকফির করা, যার উপর তাকফির প্রযোজ্য না। আর এর ফলাফল হল এমন কারো হত্যাকে বৈধতা দেয়া যার হত্যার বৈধতা শারীয়াহ দেয় না। খারেজিরা কিছু স্বতন্ত্র ও নির্দিষ্ট মূলনীতি বানিয়ে নেয় ও গ্রহণ করে, আর এই ব্যাপারে যারা মতবিরোধ করে তারা তাদের কাফির গণ্য করে।
ডঃ আল-ওয়াইস বলেছেনঃ ইবন তাইমিয়্যাহ এবং তার মতো অন্যান্য উলেমার বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে যায়, তারা খাওয়ারিজের অর্থকে শুধু সেসব দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন না, যার মদ খাওয়া বা যিনা করার মতো কবীরা গুনাহর কারণে তাকফির করে। বরং ইবন তাইমিয়্যা তাদের (খারেজিদের) বর্ণিত করেছেন এমন কিছু লোক হিসেবে যারা হয়তো এমন কাজকে ক্ষমা করে দিতে পারে যে কাজ আসলে হালাল, তাই এতে ক্ষমার প্রশ্ন আসে না। কিংবা তারা কোন নেক আমলকে হারাম হিসেবে অথবা কোন হারাম কাজকে কুফর হিসেবে গণ্য করে। তারা হয়তো এমন কাজকে গুনাহ মনে করে যে কাজ শারীয়াহ অনুযায়ী গুনাহর কাজ না। আর এসব ভ্রান্তির উপর ভিত্তি করে তারা তাকফির করে এমন সব মানুষকে, যারা তাদের (অর্থাৎ খারেজিদের) খাহেশাতের সাথে একমত পোষণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
অনুসন্ধানী উলেমারা এও বলেছেন যে কবিরা গুনাহর কারণে তাকফির করার এই বৈশিষ্ট্য পরের দিকের খারেজিদের মধ্যেই শুধু দেখা গিয়েছিল।
কারণ এতো জানা কথা যে খারেজিদের প্রথম প্রজন্ম ‘আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর উপর তাকফির করেছিল নিরপেক্ষ শারীয়াহ আদালতের মধ্যস্থতা মেনে নেবার কারণে – আর একাজ তো জায়েজ ও হালাল ছিল, আর এও কোন কবিরা গুনাহও না।
আর খারেজিদের আদি পিতা দ্বুল-খুওয়াইসিরা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে পক্ষপাতদুষ্টতা ও না-ইনসাফির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল, কারণ রাসূলুল্লাহﷺ কিছু মানুষকে অন্যদের তুলনায় বেশি দিয়েছিলেন,
এর দ্বারা তাদের হৃদয়সমূহকে নরম করার জন্য। আর এতো ছিল একটি বৈধ কাজ।
৬। আর এটা কোন আবশ্যকতা না কোন দল বা জামা’আকে খাওয়ারিজ হতে হলে তাদের মধ্যে প্রথম যুগের খাওয়ারিজের প্রতিটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে
– যেমনটা আমরা ইতিপূর্বে বলেছি। বরং যদি অধিকাংশ বৈশিষ্ট্য তাদের মধ্যে থাকে তবে সেটাই যথেষ্ট।
কোন দলকে তখনই খাওয়ারিজ বলা হয়, যখন তাদের অধিকাংশ বক্তব্য ও কাজ আদি খারেজিদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়, অথবা মৌলিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে তারা সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। যেমনটা – আশ শাতিবি ব্যাখ্যা করেছেন।
- শাইখ আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনির