Announcement

Collapse
No announcement yet.

★প্রশ্ন ঃ- আমি কি ঈমানদার না দাবিদার?★

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ★প্রশ্ন ঃ- আমি কি ঈমানদার না দাবিদার?★

    ★ আমি কি ঈমানদার না দাবিদার?★

    (1) প্রশ্ন ঃ- আপনি কি ঈমানদার না দাবিদার?
    উত্তর ঃ- হ্যাঁ! আমি ঈমানদার।

    প্রশ্ন ঃ- আপনি কি জানেন ঈমানদার কাকে বলে?
    উত্তর ঃ- হ্যাঁ! তিনটি জিনিসের সমন্বয়কারী ।

    প্রশ্ন ঃ- আপনি কি জানেন ঈমান কাকে বলে?
    উত্তর ঃ- হ্যাঁ! তিনটি জিনিসের সমন্বয়কে ঈমান বলে।

    প্রশ্ন ঃ- উক্ত তিনটি জিনিস কি?
    উত্তর ঃ- উক্ত তিনটি জিনিস হল এই- 1) تصديق بالجنان 2) عمل بالاركان 3) اقرار باللسان ১) মুখে স্বীকার করা। ২) অন্তরে বিশ্বাস করা। ৩) কাজে/বাস্তবে পরিণত করা।

    প্রশ্ন ঃ- এর বিপরীত হলে কি হবে?
    উত্তর ঃ- তার নাম ভিন্ন হবে।

    প্রশ্ন ঃ- কিরূপ হবে?
    উত্তর ঃ- যথা ১) শুধু মুখে স্বীকার করে, কিন্তু অন্তর তার বিপরীত তাহলে সে মুনাফিক। ২) অন্তরে বিশ্বাস করে কিন্তু মুখে অস্বীকার করে তাহলে সে কাফির। ৩) তিনটি জিনিসের সমন্বয় হলেই মুমিন। অর্থাৎ অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার, ও কাজে বাস্তবায়ন করে তাহলেই সে মুমিন।

    প্রশ্ন ঃ- আপনি কি জানেন কয়টি জিনিসের উপর ঈমান আনতে হয়? উত্তর ঃ- হ্যাঁ! ৭টি জিনিসের উপর ঈমান আনতে হয়।

    প্রশ্ন ঃ- কিভাবে জানলে ৭টি জিনিসের উপর ঈমান আনতে হয়? উত্তর ঃ- হাদীসের মাধ্যমে ٢- [عن عمر بن الخطاب:] أن تُؤْمِنَ باللَّهِ وملائِكَتِهِ وَكُتبِهِ ورسلِهِ وبالموتِ وبالبعثِ والجنَّةِ والنّارِ والقدرِ كلِّهِ فإذا فعلتُ ذلِكَ فقد آمنتُ قالَ نعَم قالَ صدقتَ قالَ فلمّا ولّى قالَ رسولُ اللَّهِ عليَّ بالرَّجلِ قالَ فطلبوهُ فلم يجدوهُ فقالَ هذا جبريلُ علَيهِ السَّلامُ جاءَ يعلِّمُكُم أمرَ دينِكُم الألباني (ت ١٤٢٠)، تخريج كتاب السنة ١٢٠ • صحيح • أخرجه مسلم (٨) بنحوه، وابن أبي عاصم في «السنة» (١/ ٥٥) واللفظ له. • شرح رواية أخرى امنت بالله وملئكته وكتبه ورسله واليوم الاخر والقدر خيره وشره من الله تعالي والبعث بعد الموت
    আমি ঈমান আনলাম :- ১) আল্লাহ তাআলার উপর, ২) তার ফেরেস্তাগণের উপর, ৩) তার কিতাব সমূহের উপর, ৪) তার রাসূলগণের উপর, ৫) কিয়ামতের দিবসের উপর, ৬) ভালমন্দ তাকদীরের উপর, ৭) পুনরায় জীবিত হওয়ার উপর।

    প্রশ্ন ঃ- কুরআন এ বিষয়ে কি বলে?
    উত্তর ঃ-
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اٰمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ وَ الۡکِتٰبِ

    الَّذِیۡ نَزَّلَ عَلٰی رَسُوۡلِہٖ وَ الۡکِتٰبِ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ مِنۡ قَبۡلُ ؕ وَ مَنۡ یَّکۡفُرۡ بِاللّٰہِ وَ مَلٰٓئِکَتِہٖ وَ کُتُبِہٖ وَ رُسُلِہٖ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلًۢا بَعِیۡدًا ﴿۱۳۶﴾

    হে মুমিনগণ, তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি, তাঁর রাসূলের প্রতি এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি তাঁর রাসূলের উপর নাযিল করেছেন এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি পূর্বে নাযিল করেছেন। আর যে আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ এবং শেষ দিনকে অস্বীকার করবে, সে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত হবে।


    [১] কুফরী করার দুটি অর্থ হয়। (এক) সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় অস্বীকার করা।
    (দুই) মুখে মেনে নেয়া কিন্তু মনে মনে অস্বীকার করা। অথবা নিজের মনের ভাবের মাধ্যমে একথা প্রমাণ করা যে, সে যে জিনিষটি মেনে নেয়ার দাবী করছে আসলে সেটিকে মানে না। এখানে কুফরী শব্দটি দু’টি অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে।

    বিঃদ্রঃ- ১) সরাসরি কাফের। প্রকাশ্য শত্রু।
    ২) মুনাফিক । সে ও কিন্তু কাফের তবে সে হল বন্ধু বেশে শত্রু । তার শত্রুতা মারাত্মক ক্ষতিকর। আর যে আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ এবং শেষ দিনকে অস্বীকার করবে, সে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত হবে। ঈমান আনার পর সাথে সাথেই আমার উপর কর্তব্য আল্লাহ তাআলার বিধিবিধানগুলো মেনে নেওয়া

    1) যথা:- আল্লাহ তাআলা বলেন
    اقيموا الصلوة..(البقرة/٤٣) তোমরা নামাজ কায়িম কর ।

    আল্লাহ তাআলা নামাজ প্রতিষ্ঠা করতে বলেছেন,
    আমি নামাজ প্রতিষ্ঠা করলাম না । প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা ও করলাম না। বিরোধীতা করলাম, বা উপহাস করলাম,
    বা যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করেছে
    তাদেরকে জঙ্গি, জি এম বি ইত্যাদি উপাধি দিলাম,
    এ ধরনের শব্দ দিয়ে উপহাস করলাম।
    বা তাদের কাজে বাঁধ সাধলাম।
    এরপর ও কি আমি/ আমরা ঈমানদার ?
    অথবা দাবিদার?

    প্রশ্ন ঃ- দাবিদারদের জন্য ও আবশ্যক দাবি অনুযায়ী কাজ করা আমি তা করলাম না।
    এরপর ও কি আমি /আমরা ঈমানদার /দাবিদার?
Working...
X